হুমায়ূন আহমেদের উক্তি ও বিখ্যাত বাণী সমূহ |
(১) পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।
(২) তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো।আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না |
(৩) অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ।
(৪) যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।
(৫) সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে !
(৬) বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল !
(৭) কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত।
(৮) মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।
(৯) প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে।
(১০) সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।
(১১) পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট।
(১২) মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।
(১৩) চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম।
(১৪) মাঝে মাঝে তুচ্ছ বিষয় চোরাকাঁটার মত মনে লেগে থাকে… ব্যথা দেয় না,অস্বস্তি দেয়….
(১৫) বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।
(১৬) যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয় তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়।
(১৭) মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্র পূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন।
(১৮) মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ”- রোদনভরা এ বসন্ত ; কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়.. তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না.. তাদের কিছু অবাক্ত কথা মনের গভীরেই রয়ে যায় .. আর কিছু কিছু স্মৃতি – এক সময় পরিনত হয় — দীর্ঘ শ্বাসে
(১৯) সব মানুষকেই বিনয়কে এদেশে দুর্বলতা মনে করা হয়, বদমেজাজকে ব্যক্তিত্ব ভাবা হয়।
(২০) দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না। ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লিখা থাকে!
(২১) যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না। ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই।একটি মুহূর্তই যথেষ্ট…
(২২) মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।
(২৩) ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।
(২৪) মিথ্যা হলো শয়তানের বিয়ের মন্ত্র। মিথ্যা বললেই শয়তানের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়া মানেই সন্তান-সন্ততি হওয়া। একটা মিথ্যার পর আরো অনেকগুলি মিথ্যা বলতে হয় এই কারণেই।পরের মিথ্যাগুলি শয়তানের সন্তান।
(২৫) মানুষের স্বভাব হলো, কেউ যখন ভালোবাসে তখন নানান কর্মকাণ্ড করে সেই ভালোবাসা বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে, আবার কেউ যখন রেগে যায় তখন তার রাগটাও বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছা করে।
(২৬) ভালবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভাল।বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালবাসা থাকে না।আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়ত বা ভালবাসাটা থাকে,শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালবাসা এই দুয়ের মধ্যে ভালবাসাই হয়ত বেশি প্রিয়।
(২৭) শিকল দিয়ে কাউকেই বেঁধে রাখা হয় না । তারপরেও সব মানুষই কোনও – না – কোনও সময় অনুভব করে তার হাত – পায়ে কঠিন শিকল । শিকল ভাঙতে গিয়ে সংসার – বিরাগী গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে । ভাবে ,মুক্তি পাওয়া গেল । দশতলা বাড়ির ছাদ থেকে গৃহী মানুষ লাফিয়ে পরে ফুটপাতে । এরা ক্ষণিকের জন্য শিকল ভাঙার তৃপ্তি পায় ।
(২৮) বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।
(২৯) কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।
(৩০) যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে।
(৩১) হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায় ।সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে
(৩২) মেয়েদের অনেক গুণের মধ্যে বড় গুণ হলো এরা খুব সুন্দর করে চিঠি লিখতে পারে। কথাবার্তায় নিতান্ত এলোমেলো মেয়েও চিঠি লেখায় গোছানো। মেয়েদের চিঠিতে আরেকটা ব্যাপার থাকে – বিষাদময়তা। নিতান্ত আনন্দের সংবাদ দিয়ে লেখা চিঠির মধ্যেও তারা জানি কী করে সামান্য হলেও দুঃখ মিশিয়ে দেয়। কাজটা যে তারা ইচ্ছা করে করে তা না। প্রকৃতি তাদের চরিত্রে যে বিষাদময়তা দিয়ে রেখেছে তাই হয়তো চিঠিতে উঠে আসে।
(৩৩) দিনকাল পাল্টে গেছে, এখন আর মানুষ আগের মতো নাই।মওলানা ধরনের মানুষের দিকে এখন আর আগের মতো ভয়-মিশ্রিত শ্রদ্ধার চোখে কেউ তাকায় না। মওলানাও যে বিবেচনায় রাখার মতো একজন, কেউ তাও বোধহয় মনে করে না। ছল্টুফল্টু ভাবে।”― এই মেঘ, রৌদ্র-ছায়া
(৩৪) আমাদের সবার ভুবনই আলাদা। এই ভুবনও একদিন ভাঙবে। আমরা অচেনা এক বৃত্তের দিকে যাত্রা শুরু করব। সেই বৃত্ত কেমন কে জানে! পৃথিবীতেই এত রহস্য। না জানি কত রহস্য অপেক্ষা করছে অদেখা ভুবনে।
(৩৫) প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে। যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূণ্য জগতের বাসিন্দা
(৩৬) হিমু কখনও জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে না। ছোটখাট ঝামেলায় সে পড়ে। সেই সব ঝামেলা তাকে স্পর্শও করে না। সে অনেকটা হাসেঁর মত। ঝাড়া দিল গা থেকে ঝামেলা পানির মত ঝরে পড়ল।
(৩৭) আমার খুব শখ বড় রকমের ঝামলায় পড়লে সে কি করে। কাজেই হিমুর জন্য বড় ধরনের একটা সমস্যা আমি তৈরি করেছি। এবং খুব আগ্রহ নিয়ে তার কান্ড-কারখানা দেখেছি।
(৩৮) বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে। বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়।
(৩৯) আমার সমস্যার কথা রুপাকে কি আমি বলতে পারি? আমি কি বলতে পারি – আমার বাবার স্বপ্ন সফল করার জন্য সারাদিন আমি পথে পথে ঘুরি। মহাপুরুষ হবার সাধনা করি. যখন খুব ক্লান্তি অনভব করি তখন একটি নদীর স্বপ্ন দেখি। যে নদীর জল ছুয়ে ছুয়ে এক জন তরুনি ছুটে চলে যায়. এক বার শুধু থমকে দাড়িয়ে তাকায় আমার দিকে। তার চোখে গভীর মায়া ও গাঢ় বিষাদ। এই তরুনীটি আমার মা. আমার বাবা যাকে হত্যা করেছিলেন।
(৪০) এই সব কথা রুপাকে বলার কোনো অর্থ হয় না. বরং কোনো-কোনো দিন তরঙ্গিনী স্টোর থেকে টেলিফোন করে বলি – রুপা, তুমি কি এক্ষুনি নীল রঙের একটা সারি পরে তোমাদের ছাদে উঠে কার্নিশ ধরে নিচের দিকে তাকাবে? তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। একটুখানি দাড়াও। আমি তোমাদের বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে হেটে চলে যাব.আমি জানি রুপা আমার কথা বিশাস করে না, তবুও যত্ন করে সারি পরে. চুল বাধে। চোখে কাজলের ছোয়া লাগিয়ে কার্নিশ ধরে দাড়ায়। সে অপেক্ষা করে. আমি কখনো যাই না.আমাকে তো আর দশটা ছেলের মত হলে চলবে না. আমাকে হতে হবে অসাধরণ।আমি সারাদিন হাটি। আমার পথ শেষ হয় না. গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ থাকার তো কথাও নয় ।
(৪১) সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হলো, আসাদুল্লাহ সাহেবের নীলপদ্ম থিউরি ঠিক আছে. এই তরুণী তার সমস্ত নীলপদ্ম হিমু নামের এক ছেলের হাতে তুলে দিয়ে তীব্র কষ্ট ও যন্ত্রণার ভেতর বাস করছে। এই যন্ত্রণা, এই কষ্ট থেকে তার মুক্তি নেই
(৪২) মেয়েরা ভয়ঙ্কর দুর্যোগেও সাজ ঠিক রাখতে ভোলে না।
(৪৩) ভালোবাসা আর ঘৃণা আসলে একই জিনিস। একটি মুদ্রার এক পিঠে “ভালোবাসা” আরেক পিঠে লেখা ঘৃণা। প্রেমিক প্রেমিকার সামনে এই মুদ্রা মেঝেতে ঘুরতে থাকে। যাদের প্রেম যতো গভীর তাদের মুদ্রার ঘূর্ণন ততো বেশি। এক সময় ঘূর্ণন থেমে যায় মুদ্রা ধপ করে পড়ে যায়। তখন কারো কারোর ক্ষেত্রে দেখা যায় “ভালোবাসা” লেখা পিঠটা বের হয়েছে, কারো কারো ক্ষেত্রে ঘৃণা বের হয়েছে। কাজেই এই মুদ্রাটি যেন সবসময় ঘুরতে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ঘূর্ণন কখনো থামানো যাবে না।”― দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই ।
(৪৪) ওর কিছু নিজস্ব বিচিত্র লজিক আছে। সে ঐ লজিকে চলে । অন্য কারো কথাই শোনেনা । আমার কথাও শুনবেনা ।
(৪৫) কয়েক মুহুর্তের জন্যে আমার ভেতর এক ধরনের বেভ্রম তৈরী হল. মনে হল আমার আর হাটার প্রয়োজন নেই। মহাপুরুষ না, সাধারণ মানুষ হয়ে মমতাময়ী এই তরুনিতির পাশে এসে বসি। যে নীলপদ্ম হাতে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলাম, সেই প্দ্ম্গুলি তার হাতে তুলে দেই. তারপরেই মনে হলো – এ আমি কি করতে যাচ্ছি! আমি হিমু – হিমালয়।
(৪৬) পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই।
(৪৭) যে ভালোবাসা না চাইতে পাওয়া যায়, তার প্রতি কোনো মোহ থাকে না
(৪৮) গল্প-উপন্যাস হলো অল্পবয়েসী মেয়েদের মাথা খারাপের মন্ত্র।
(৪৯) ঝর বৃষ্টির রাত হলেই এলিটা আমার সঙ্গে পক্খিমানবের সন্ধানে বের হয়.মানব জাতির সমস্যা হচ্ছে তাকে কোনো না কোনো সন্ধানে জীবন কাটাতে হয়. অর্থের সন্ধান, বিত্তের সন্ধান, সুখের সন্ধান, ভালবাসার সন্ধান, ইশ্বরের সন্ধান।আমি আর এলিটা সন্ধান করছি সামান্য পক্খিমানবের।
৭১.
(৫০) আমার গলা ধরে যায়নি, বা চোখ ভিজে অঠেনি। দুটা ব্যাপারী এই প্রথম ঘটল.
(৫১) আমার সঙ্গে কি আছে জানিস? পদ্ম। নীলপদ্ম। পাচটা নীলপদ্ম নিয়ে ঘুরছি। কি অপূর্ব পদ্ম। কাউকে দিতে পারছিনা। দেয়া সম্বব নয়. হিমুরা কাউকে নীলপদ্ম দিতে পারে না।
(৫২) হিমুর প্রতিটি কথা ভুয়া। সত্যি কথা সে অতীতে কোনোদিন বলেনি। ভবিষ্যতেও বলবে না।
(৫৩) জোছনা দেখতে দেখতে, আমার হটাৎ মনে হলো, প্রকৃতির কাছে কিছু চাইতে নেই, কারণ প্রকৃতি মানুষের কোনো ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখে না ।
(৫৪) চানসোনা জবাব দিলো না. যেভাবে বসেছিল সেভাবেই বসে রইল । কতকাল আগে এক শ্রাবণ মাসে তের বছরের চানসোনা এই গ্রামে এসেছিল্ । লম্বা ঘোমটার ফাঁকে অবাক হয়ে দেখেছিল ভাটি অচ্ঞল । অজানা এই জায়গাটার জন্য কেমন এক ধরনের মমতা জন্মেছিল্। আজ এই মমতা বহুগুণে বেড়ে তাকে ভাসিয়ে নিতে চাইছে। এতটুকু মাত্র শরীর মানুষের এই মমতা সে কোথায় ধারণ করে?
(৫৫) দিতে পার একশ’ ফানুস এনে আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।
(৫৬) জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি।
(৫৭) দরিদ্র পুরুষদের প্রতি মেয়েদের একপ্রকার মায়া জন্মে যায়,আর এই মায়া থেকে জন্মায় ভালোবাসা।
(৫৮) বন্ধুত্ব তখনই গাঢ় হয় যখন কেউ কাউকে চিনে না।
(৫৯) বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।
(৬০) আমি কখনো অতিরিক্ত কিছুদিন বাঁচার জন্য সিগারেটের আনন্দ ছাড়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ভেবে রেখেছিলাম ডাক্তারকে বলব, আমি একজন লেখক। নিকোটিনের বিষে আমার শরীরের প্রতিটি কোষ অভ্যস্ত। তোমরা আমার চিকিৎসা করো, কিন্তু আমি সিগারেট ছাড়ব না। তাহলে কেন ছাড়লাম? পুত্র নিনিত হামাগুড়ি থেকে হাঁটা শিখেছে। বিষয়টা পুরোপুরি রপ্ত করতে পারেনি। দু-এক পা হেঁটেই ধুম করে পড়ে যায়। ব্যথা পেয়ে কাঁদে। একদিন বসে আছি। টিভিতে খবর দেখছি। হঠাৎ চোখ গেল নিনিতের দিকে। সে হামাগুড়ি পজিশন থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। হেঁটে হেঁটে এগিয়ে আসছে আমার দিকে। তার ছোট্ট শরীর টলমল করছে। যেকোনো সময় পড়ে যাবে এমন অবস্থা। আমি ডান হাত তার দিকে বাড়িয়ে দিতেই সে হাঁটা বাদ দিয়ে দৌড়ে হাতের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্বজয়ের ভঙ্গিতে হাসল। তখনই মনে হলো, এই ছেলেটির সঙ্গে আরও কিছুদিন আমার থাকা উচিত। সিগারেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত সেই মুহূর্তেই নিয়ে নিলাম।
(৬১) বেশিরভাগ রূপবতী মেয়ে নকল হাসি হাসে। হাসার সময় ঢং করার চেষ্টা করে। তাদের হাসি হায়েনার হাসির মতো হয়ে যায়।
(৬২) আমার সমস্যার কথা রুপাকে কি আমি বলতে পারি? আমি কি বলতে পারি – আমার বাবার স্বপ্ন সফল করার জন্য সারাদিন আমি পথে পথে ঘুরি। মহাপুরুষ হবার সাধনা করি। যখন খুব ক্লান্তি অনভব করি তখন একটি নদীর স্বপ্ন দেখি। যে নদীর জল ছুয়ে ছুয়ে এক জন তরুনি ছুটে চলে যায়। এক বার শুধু থমকে দাড়িয়ে তাকায় আমার দিকে। তার চোখে গভীর মায়া ও গাঢ় বিষাদ। এই তরুনীটি আমার মা। আমার বাবা যাকে হত্যা করেছিলেন। এই সব কথা রুপাকে বলার কোনো অর্থ হয় না। বরং কোনো-কোনো দিন তরঙ্গিনী স্টোর থেকে টেলিফোন করে বলি – রুপা, তুমি কি এক্ষুনি নীল রঙের একটা সারি পরে তোমাদের ছাদে উঠে কার্নিশ ধরে নিচের দিকে তাকাবে? তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। একটুখানি দাড়াও। আমি তোমাদের বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে হেটে চলে যাব। আমি জানি রুপা আমার কথা বিশাস করে না, তবুও যত্ন করে সারি পরে, চুল বাধে। চোখে কাজলের ছোয়া লাগিয়ে কার্নিশ ধরে দাড়ায়। সে অপেক্ষা করে। আমি কখনো যাই না। আমাকে তো আর দশটা ছেলের মত হলে চলবে না। আমাকে হতে হবে অসাধরণ।আমি সারাদিন হাটি। আমার পথ শেষ হয় না। গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ থাকার তো কথাও নয়।
(৬৩) ঝর বৃষ্টির রাত হলেই এলিটা আমার সঙ্গে পক্খিমানবের সন্ধানে বের হয়। মানব জাতির সমস্যা হচ্ছে তাকে কোনো না কোনো সন্ধানে জীবন কাটাতে হয় । অর্থের সন্ধান, বিত্তের সন্ধান, সুখের সন্ধান, ভালবাসার সন্ধান, ইশ্বরের সন্ধান। আমি আর এলিটা সন্ধান করছি সামান্য পক্খিমানবের।
(৬৪) কয়েক মুহুর্তের জন্যে আমার ভেতর এক ধরনের বেভ্রম তৈরী হল । মনে হল আমার আর হাটার প্রয়োজন নেই. মহাপুরুষ না, সাধারণ মানুষ হয়ে মমতাময়ী এই তরুনিতির পাশে এসে বসি । যে নীলপদ্ম হাতে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলাম, সেই প্দ্ম্গুলি তার হাতে তুলে দেই. তারপরেই মনে হলো – এ আমি কি করতে যাচ্ছি! আমি হিমু – হিমালয়।
(৬৫) তুমি আমাকে যে চিটি লিখেছিলে আমি তার জবাব লিখে এনেছি। সাংকেতিক ভাষায় লিখে এনেছি।’ মারিয়া হাত বাড়াল। তার চোখে চাওয়া কৌতুক ঝকমক করছে। মনে হচ্ছে যে কোনো মুহুর্তে হে খিলখিল করে হেসে ফেলবে । যেন সে অনেক কষ্টে হাসি থামাচ্ছে। ‘সাংকেতিক চিঠিটাই কি লেখা পড়তে পারছ?’ ‘পারছি। এখানে লেখা I hate you.’ ‘I Love you – ও তো হতে পারে।’ ‘সংকেতের ব্যাখ্যা সবাই তার নিজের মত করে করে, আমিও তাই করলাম। আপনার আটটা তারার অনেক মানে করা যাই, যেমন – I want you. I miss you. I lost you. আমি আমার পছন্দ মত একটা বেছে নিলাম।
(৬৬) কষ্টের সাথে যাদের বসবাস রাতটা তাদের জন্য যে কি কষ্টের সেটা শুধু তারাই জানে। সারাদিন কষ্ট গুলো বুকের মাঝে চেপে রাখলেও রাতে যেন কোনো ভাবেই ঠেকানো যায় না। বুক ফেটে কষ্ট গুলো বের না হলেও, চোখ ফেটে বের হয়ে আসে অশ্রু |
(৬৭) ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে।
(৬৮) রতিটি মেয়েই নিষ্ঠুর হবার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।
(৬৯) দুনিয়াতে খুব অল্প কিছু মানুষ আছে,যারা আসলেই আলাদা, সারা জীবনেও তারা কারও আপন হতে পারে না, তাদের কেউই বুঝে না, তাদের সব থেকেও আসলে শূন্যতা ছাড়া কিছুই থাকে না, তারা একা আসে, একা ঘুরে, একাই থাকে, একাই চলে যায়!
(৭০) মেয়েদের চরিত্রের একটা বিশেষ দিক হল, যেই মুর্হূতে তারা অপর পক্ষের আগ্রহ টের পায়, সেই মুর্হূতে তারা দপ করে নিভে যায়।
(৭১) বিভ্রম তৈরীর খেলা প্রকৃতির খুবই প্রিয় খেলা ।
(৭২) আবেগ লুকাতে হয় । অতি আবেগ মানুষকে সামনে এগুতে দেয় না ।
(৭৩) এক জন মানুষ সবচেয়ে বেশী ভান করে তার চিঠিতে । যে এই ভানের ওপরে উঠে আসতে পারে, তাকে তার প্রাপ্য সন্মান দিতে হয় ।
(৭৪) ভয়ংকর ভয়ের স্বপ্নে মানুষের ঘুম ভাঙে আবার অস্বাভাবিক আনন্দের স্বপ্নেও মানুষের ঘুম ভাঙে ।
(৭৫) মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত ।
(৭৬) একটি মেয়ে খুব সহজে কাঁদতে পারে। কারণ তারা মাঝে মাঝেই একটু কষ্ট পেয়েই কেঁদে অভস্ত। কিন্তু একটি ছেলে তখনই কাঁদে যখন সে তার কষ্ট কে ধরে রাখতে পারে না। ওই মুহর্তে তার কান্নাটা এতো টাই তীব্র হয়। যে পৃথিবীর সমস্ত সুখ ও যদি এনে দেওয়া হয় কারো ক্ষমতা নেই সেই কান্নাটুকু থামানোর।
(৭৭) প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করে বলেই শ্রেষ্ঠ সন্তান মানুষকে নানান রহস্য দিয়ে পৃথিবীতে পাঠায়। সারাজীবন প্রতিটি মানুষ তার রহস্যের খেলা খেলে। কিন্তু প্রকৃতি দাঁড়িপাল্লায় মেপে সবাইকে সমান রহস্য দেন না ।
(৭৮) যারা বেশি কথা বলে তারা মানুষ হিসেবে ভাল হয়।
(৭৯) একখণ্ড বিশাল মেঘ চাঁদটিকে ঢেকে দিয়েছে।চাঁদের আলো এখন আর চোখে লাগছে না। চারদিক কি সুন্দর লাগছে। কি অসহ্য সুন্দর। হতাশা,গ্লানি, দুঃখ ও বঞ্চনার পৃথিবীকে এত সুন্দর করে বানানোর কি প্রয়োজন ছিল কে জানে ?
(৮০) সত্যি । মাঝে মাঝে প্রকৃতির এত্ত সৌন্দর্য দেখলে ঠিক থাকতে পারি না । মনে হয়, প্রকৃতির সাথে মিশে একাকার হয়ে যাই । আল্লাহ্ পৃথিবীতেই যদি এত সুখ দিয়ে রাখে, বেহেস্তে কী দিবে?
(৮১) তুমি আমার জন্যে দু’ফোটা চোখের জল ফেলেছ–তার প্রতিদানে আমি “জনম জনম কাঁদিব।
(৮২) মানুষ মৃত বেক্তিদের জন্য অপেক্ষা করে না। জীবিতদের জন্য অপেক্ষা করে।
(৮৩) অন্ধকার বলে কিছু নেই, আলোর অনুপস্থিতিকে অন্ধকার বলে। তেমনি কষ্ট বলেও কিছু নেই, সুখের সাময়িক অনুপস্থিতিকে কষ্ট বলে।
(৮৪) ফেলে আসা দিনগুলোই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশি সুন্দর হয়। যেমন ধরুন আপনার স্কুল লাইফ। সত্যিই সেই দিনগুলো দারুন ছিলো।
(৮৫) আমার বাবা তাঁর সমস্ত আত্মীয়স্বজনের বিয়েতে প্রীতি-উপহার দেয়াকে অবশ্যকর্তব্য মনে করতেন। রাত জেগে নিজেই লিখতেন।বিয়ের আসরে এই ‘কাব্য’ আমাকেই পাঠ করে শুনাতে হতো। পাঠ শেষে জনে জনে টা বিলি করা হতো। তারপর আমাকে প্রীতি উপহার নিয়ে পাঠানো হতো মেয়েমহলে।কনেকে ঘিরে থাকতো তার বান্ধবীরা।তারা তখন আমাকে নিয়ে নানান রঙ্গ-রসিকতা করতো।আমি যথেষ্ট আবেগ দিয়ে প্রীতি-উপহার পড়ছি,এর মধ্যে কেউ একজন বলে বসল, ‘এই বান্দর,চুপ কর’। মেয়েরা সবাই হেসে এ ওর গায়ে গড়িয়ে পড়ত।আমি চোখ মুছতে মুছতে বিয়ের আসরে ফিরতাম।
(৮৬) মেয়েদের সবচে বেশি আনন্দ হয়, যখন ঝগড়াতে স্বামীকে হারাতে পারে। স্বামীর পরাজিত মুখ স্ত্রীর কাছে যুদ্ধে জয়ের মতো।
(৮৭) জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর! এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।
(৮৮) হয়তো আমরা আমাদের চারপাশের সবার কাছে থেকে প্রচুর ভালোবাসা পেয়ে থাকি, কিন্তু কোনো ভালোবাসা পিতামাতার ভালোবাসার মত নয়।
(৮৯) না পাওয়া ভালোবাসা গুলো সব সময় সত্যি মনে হয়, পাবার পর কত জন মূল্য দিতে পারে?
(৯০) আমরা মানুষের জটিলতা দেখে অভ্যস্ত, সারল্যকে আমরা ভয় করি। কারো ভেতরে ঐ ব্যাপারটি দেখলে থমকে যাই, এবং আমাদের মনের একটি অংশ বলতে থাকে নিশ্চয়ই কোন একটা রহস্য আছে।
(৯১) সব মানুষের মধ্যে একটা ইষ্টিশন থাকে। সেই ইষ্টিশনের সিগন্যাল ডাউন করা। ইষ্টিশনে সবুজ বাতি জ্বলছে। আনন্দময় ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা। কারো কারো ষ্টেশনে ট্রেন সত্যি সত্যি এসে থাকে। কারো কারো ষ্টেশনে আসে ঠিকই, কিন্তু মেলট্রেন বলে থামে না। ঝড়ের মতো উড়ে চলে যায়।
(৯২) শহরের সাথে গ্রামের এই বুঝি পার্থক্য। শহরে দৃষ্টি আটকে যায়। গ্রামে যায় না।
(৯৩) জীবনের গভীরতম বোধকে আমি অনুভব করতে পারি। জোছনার অপূর্ব ফুলকে আমি দেখতে পাই – কিন্তু তারা অন্তরের এতই গভীরে যে, আমি তুলে আনতে পারি না। বার বার হাত ফসকে যায়। দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী জেগে আমি অপেক্ষা করি। কোন দিন কি পারব সেই মহান বোধকে স্পর্শ করতে ? নিজেকে বোঝাই – ভাগ্যে যা আছে তা হবে। Every man’s fate We have fastened On his own neck. (সূরা বনি ইসরাঈল) আমরা কি করব না করব সবই পূর্ব-নির্ধারিত। কি হবে চিন্তা করে? নিয়তির হাতে সব ছেড়ে-ছুড়ে দিয়ে অপেক্ষা করাই ভালো। আমি অপেক্ষা করি।
(৯৪) সব মানুষের মাঝে একজন মহাপুরুষ বাস করে। তাঁরা কখনো প্রকাশিত হন। কখনো হন না।
(৯৫) মেয়ে জাতটা বড় অদ্ভুত। কী বললে পুরুষ মানুষের মন ভালো হয় সেটা যেমন জানে, আবার কী বললে পুরুষ মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায় সেটাও জানে।
(৯৬) করুণাও এক ধরনের ভালোবাসা, তবে তা ক্ষতিকারক ভালোবাসা। এই ভালোবাসা মানুষকে অসুস্হ করে দেয়
(৯৭) মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে মাঝে মাঝে তার সবকিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সে যেতে পারে না। তাকে অপেক্ষা করতে হয়। কিসের অপেক্ষা তাও সে ভালমত জানে না।
(৯৮) তুমি যদি কাউকে হাসাতে পার, সে তোমাকে বিশ্বাস করবে. সে তোমাকে পছন্দও করতে শুরু করবে!
(৯৯) আমরা কাউকেই হারাতে চাই না, কিন্তু সবাইকেই হারাতে হয়।
(১০০) কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে, আবার কষ্ট মানুষকে শক্তিশালীও করে ।
(১০১) সব ক্ষমতা নিয়ে একজন দূরে বসে আছেন। ভুল বললাম দূরে না, কাছেই বসে আছেন। খুব বেশি কাছে বলেই তাকে দেখা যায় না।
(১০২) পুরুষ মানুষ দিনরাত স্ত্রীর আঁচলে বাঁধা থাকলে বুঝতে হবে সে পুরুষ মানুষই না। তার কোন সমস্যা আছে।
(১০৩) পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ সব সময় থাকবে সমান সমান। বিজ্ঞানের ভাষায়- Conservation of আনন্দ। একজন কেউ চরম আনন্দ পেলে, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হবে।
(১০৪) অতিরিক্ত রূপবতীরা বোকা হয়, এটা জগতের স্বঃতসিদ্ধ নিয়ম।
(১০৫) কষ্টের বেপার গুলো মানুষের ভাল মনে থাকে না।সে কখনো মনে রাখতে চায় না।কিন্তু, সুখের বেপারে খুব ভালভাবে মনে থাকে।কারন,এগুলো নিয়ে প্রায়ই ভাবা হয় ।
(১০৬) মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মত সে শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জামগাছের পাতায় সরসর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হাহাকার করে ওঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষণ্নতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি।
(১০৭) যখন কেউ কারো জন্য কাঁদে, সেটা হলো আবেগ। যখন কেউ কাউকে কাঁদায়, সেটা হলো প্রতারণা। আর যখন কেউ কাউকে কাঁদিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলে, সেটাই হলো প্রকৃত ভালোবাসা ।
(১০৮) বড় বোকামিগুলি বুদ্ধিমান মানুষরাই করে।
(১০৯) ভালোবাসার মাঝে হালকা ভয় থাকলে, সেই ভালোবাসা মধূর হয়।কেননা, হারানোর ভয়ে প্রিয়য়জনের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়!!
(১১০) পৃথিবীর কিছু মানুষ জন্ম থেকে অতৃপ্ত । এদেরকে তৃপ্ত করার চেষ্টা করাও বোকামি । ওরা অতৃপ্ত থেকেই তৃপ্ত হয় ।
(১১১) বাঙ্গালী মেয়েদের গায়ের রঙের একটা মাত্রা আছে। কোনও মেয়ে যদি সেই মাত্রা অতিক্রম করে যায় তখন আর ভালো লাগে না। তার মধ্যে বিদেশী বিদেশী ভাব চলে আসে। তাকে আর আপন মনে হয় না।
(১১২) সম্পর্কের বন্ধন ঠিক পেরেকের প্যাঁচের মত। একবার যদি প্যাঁচ কেটে যায়, তা আর যত চেষ্টাই করনা কেন তা আর আগের মত মজবুত হয়না। হয়তো কৌশলে বা বল প্রয়োগে তা দেখতে আগের মত থাকবে কিন্তু ভেতরটা দেখলে একদম নড়বড়ে।
(১১৩) আমি ঘর ছাডিয়া বাহির হ্ইয়া, জোছনা ধরিতে যাই। হাত ভর্তি চাদের আলো, ধরতে গেলেই নাই।
(১১৪) মানুষের বিপদে এখন আর মানুষ এগিয়ে আসে না। এই যুগের নীতি হচ্ছে বিপদ্গ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে দুরে চলে যাওয়া । যে যত দুরে যাবে তত ভাল থাকবে।
(১১৫) সাধারণ মেয়েরা ছালবাকল নেই ছেলের প্রেমে কখনো পড়বে না। তারা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার খুঁজবে। টাকা-পয়সা খুঁজবে। ঢাকায় বাড়ি আছে কি-না দেখবে। কিন্তু অতি বিত্তবান মেয়েরা ছালবাকল নেই ছেলেদের প্রতি এক ধরনের মমতা পোষণ করবে। অসহায়ের প্রতি করুণা। সেই করুণা থেকে প্রেম।
(১১৬) সারা জীবন পাশাপাশি থেকেও এক সময় একজন অন্যজনকে চিনতে পারে না। আবার এমনও হয়, এক পলকের দেখায় একে অন্যকে চিনে ফেলে।
(১১৭) প্রত্যেক ভালবাসায় দুইজন সুখী হলেও তৃতীয় একজন অবশ্যই কষ্ট পাবেই, এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম |
(১১৮) সুন্দরী মেয়েদের হাতের লেখা সুন্দর হয়।এটা হল নিপাতনে সিদ্ধ।সুন্দরীরা মনে প্রাণে জানে তারা সুন্দর। তাদের চেষ্টাই থাকে তাদের ঘিরে যা থাকবে সবই সুন্দর হবে।
(১১৯) পৃথিবীতে সবচে’ সুখী মানুষ কে?’ ‘যার কাছে ঘুম আনন্দময় সে-ই পৃথিবীর সবচে’ সুখী মানুষ’।
(১২০) মেয়েরা হচ্ছে জন্মদাত্রী জননী। হাজার ভুল করলেও এদের উপর রাগ করতে নেই। এদের উপর রাগ করাটাই কাপুরুষতা।
(১২১) ‘বাবা’ সম্বোধনে লেখা চিঠি অগ্রাহ্য করা কোন পুরুষের পক্ষেই সম্ভব না। মেয়েদের পক্ষে ‘মা’ সম্বোধনের চিঠি অগ্রাহ্য করা খুবই সম্ভব। তারা ‘মা’ ডাক শুনে অভ্যস্ত। পুরুষরা বাবা শুনে অভ্যস্ত না। কেউ বাবা ডাকলেই সেই ডাক পুরুষদের মাথার ভেতর ডুকে যায়।
(১২২) জীবন সহজও নয় জটিলও নয়। জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে জটিল করি- সহজ করি।
(১২৩) পৃথিবীর সবচেয়ে অসুন্দর দৃশ্য হল লোভে চকচক করা চোখ। আর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য গভীর মমতায় আদ্র প্রেমিকার চোখ।
(১২৪) অতিকাছের মানুষের অবহেলা সহ্য করার ক্ষমতা মানুষের নেই মানুষ বড় অভিমানি প্রাণী ||
(১২৫) হাসি সবসময় যে সুখের প্রকাশ তা নয়, আপনি কতটা দু:খ লুকাতে পারেন তাও বুঝায়
(১২৬) খুব ভাল লাগবে যদি শুনি আমি চলে যাবার পরও কেউ হিমু হয়ে খালি পায়ে রাস্তায় হাটে।
(১২৭) আমাদের সবার ভুবনই আলাদা। এই ভুবনও একদিন ভাঙবে। আমরা অচেনা এক বৃত্তের দিকে যাত্রা শুরু করব। সেই বৃত্ত কেমন কে জানে! পৃথিবীতেই এত রহস্য। না জানি কত রহস্য অপেক্ষা করছে অদেখা ভুবনে।
(১২৮) শেকসপীয়ারের মতো মানুষও কিন্তু ভূত বিশ্বাস করতেন | তিনি হ্যামলেটে বলেছেন___ There are many things in heaven and Earth.
(১২৯) বর্তমানটাই সত্যি । অতীত কিছু না, ভবিষ্যৎ তো দূরের ব্যাপার । আমরা বাস করি বর্তমানে, অতীতেও না, ভবিষ্যতেও না ।
(১৩০) কিছু মানুষের উপর আপনি কখনোই আস্থা রাখতে পারেন না। এরা নিজের সুখের জন্য ঝুলন্ত অবস্থায় পাহাড়ের চূড়া থেকে আপনার হাত ছেড়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না।
(১৩১) পৃথিবীর সবথেকে কঠিন ভাষা হলো চোখের ভাষা, এই ভাষা পড়ার জন্য মনে গভীর ভালবাসার দরকার হয়।
(১৩২) স্বপ্নদৃশ্য সবসময় হয় সাদা-কালো| স্বপ্ন বর্ণহীন|
(১৩৩) যে-কোনো মেয়ের বিয়ের দিন বিবাহিত মেয়েদের মন খুশি খুশি থাকে| নিজের বিয়ের কথা মনে পড়ে এই জন্যে|
(১৩৪) মাঝে মাঝে রেগে যাওয়া ভাল | রাগলে শরীরের রোগ জীবানু মরে যায় |
(১৩৫) পাঁচ হচ্ছে ম্যাজিকেল নাম্বার। কোন মেয়েকে যদি কখনো পাঁচটা গোলাপ দেয়া যায় তাহলে সে জন্মের মত কেনা হয়ে যায়।
(১৩৬) . পুরোপুরি নিশ্চিন্ত, নির্ঝঞ্ঝাট জীবন যাপন সম্ভব না । সব জীবনেই কিছু ঝামেলা থাকবে । কাবাব যতই ভালই হোক,কাবাবের এক কোণায় ছোট হাড্ডির টুকরো থাকবেই।
(১৩৭) ঈশ্বর মানুষকে প্রচুর ক্ষমতা দিয়েছেন কিন্তু মনের কথা বুঝবার ক্ষমতা দেন নি।
(১৩৮) আলাদীনের চেরাগের দৈত্য যদি হঠাৎ উপস্থিত হয়ে আমাকে বলে — রূপা, চট চট করে বল। তোমার তিনটা ইচ্ছে আমি পূর্ণ করব । তাহলে মাথা চুলকে বলব, স্যার থ্যাংক য়্যু, আপনার কাছে আমার কিছু চাইবার নেই। আমার যা চাইবার তা চাইতে হবে হিমুর কাছে ।ওকে একটু আমার কাছে এনে আপনি বিদেয় হোন। আপনার গা থেকে বিশ্রী গন্ধ আসছে।
(১৩৯) কিছু কিছু সময় আসে যখন আমরা বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের সীমারেখায় অবস্থান করি। তখন আমরা একই সঙ্গে দেখতে পাই ও পাই না। বুঝতে পারি ও পারি না। অনুভব করতে পারি ও পারি না। সে বড় রহস্যময় সময়।
(১৪০) মানুষ কী অদ্ভুত দেখেছেন? মানুষ কত সহজেই- না ‘ভুল’ -সত্যি ভেবে গ্রহন করে।
(১৪১) পুরুষ রমণীর প্রভেদটা হল বাহ্যিক। শারীরিক। মানুষের আসল পরিচয় তার আত্মায়। আত্মার কোন নারী পুরুষ নেই। পুরুষের আত্মাও যা নারীর আত্মাও তা।
(১৪২) গল্প উপন্যাস যখন যেটা লিখছি তার চরিত্রই বন্ধু হিসাবে থাকে। বাইরের বন্ধুর প্রয়োজন সে কারণেই হয় না।
(১৪৩) সৌন্দর্য কোন ধ্রুব ব্যাপার না । ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। আজ তোমাকে অপূর্ব লাগছে তার মানে এই না যে কালও লাগবে।
(১৪৪) যাদের পর্যবেক্ষন শক্তি খুব ভালো, তারা প্রায়ই খুব কাছের জিনিস দেখতে ভুল করে।।
(১৪৫) যা হারিয়েছো তার জন্য আফসোস করোনা। ওটা তোমার জন্য না, যদি তোমারই থাকতো তবে তোমার কাছ থেকে তার পালানোর সাধ্য ছিলোনা।
(১৪৬) পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ রাগ প্রকাশ করতে পারে কিন্তু আনন্দ প্রকাশ করতে পারে না। আরেক ধরনের মানুষ আনন্দ প্রকাশ করতে পারে কিন্তু রাগ প্রকাশ করতে পারে না।
(১৪৭) আইসক্রিম আর চুমু খাওয়ার কোন বয়স লাগে না।
(১৪৮) আমরা শূন্য হতে এসেছি, আবার শূন্যে ফিরে যাব। দুই শূন্যের মাঝে আমরা বাস করি। ভয় বাস করে এই দুই শূন্যে।
(১৪৯) পুরুষ মানুষের চোখের জল মেয়েদের দেখাতে নেই।
(১৫০) পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় জিনিসগুলির জন্যে কিন্তু টাকা লাগে না। বিনামুল্যে পাওয়া যায়। যেমন জোছনা, বর্ষার দিনের বৃষ্টি, মানুষের ভালবাসা…
(১৫১) মানবজাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যায় আশ্রয়ে নিজেকে নিরাপদ মনে করে|
(১৫২) দুই ধরনের মানুষ মিথ্যা কথাবলতে পারে না। সবল মনের মানুষ আর দুর্বল মনের মানুষ।
(১৫৩) তুমি তোমার জীবনে ভেজাল হাসিকে আসতে দিও না।মনে কষ্ট পেলে কাদবে।মনের কষ্ট চাপা দেয়ার জন্য হাসির ভান করার প্রয়োজন নেই।
(১৫৪) কিছু মানুষের উপর আপনি কখনোই আস্থা রাখতে পারেন না। এরা নিজের সুখের জন্য ঝুলন্ত অবস্থায় পাহাড়ের চূড়া থেকে আপনার হাত ছেড়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না।
(১৫৫) পাখি উড়ে গেলেও পলক ফেলে যায়,আর মানুষ চলে গেলে ফেলে রেখে যায় স্মৃতি।
(১৫৬) মানুষই একমাত্র প্রাণী যে পুরোপুরি সফল জীবনযাপন করে আফসোস নিয়ে মৃতবরণ করে…
(১৫৭) ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে,কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে। হয়ত খুবই অল্প সময়ের জন্য, অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে, আর না হয় সব সময়ের জন্য।তবে প্রেমে তারা পড়বেই!!
(১৫৮) ক্লাস টেনের মেয়েরা পাত্রী হিসেবে সর্বশ্রেষ্ঠ হয়। কারণ এই বয়সে মেয়েরা প্রথম পুরুষের ব্যাপারে কৌতুহলি হয় এবং প্রেম করার জন্য ছোঁক ছোঁক করে। বিয়ের পর হাতের কাছে স্বামীকে পায়বলে প্রথম প্রেমটা স্বামীর সঙ্গে হয়। আর এই প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয়।
(১৫৯) একটা মেয়ের ভালবাসায় অনেক কিছু যুক্ত থাকে – সংসারের স্বপ্ন, শিশুর স্বপ্ন। থাকে অনাগত দিন সুন্দরভাবে যাপনের স্বপ্নও। কিন্তু কোন ছেলে প্রেমে পড়লে শুধু তার প্রেমিকাকেই দেখে। স্বপ্নের কোন অস্তিত্ব সেখানে থাকে না।
(১৬০) মেয়েদের মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয় ছেলেদেরও আগে। তারা তাদের কচি চোখেও পৃথিবীর নোংরামি দেখতে পায়।সে নোংরামির বড় শিকার তারাই। তাই প্রকৃতি তাদের কাছে অন্ধকারের খবর পাঠায় অনেক আগেই।
(১৬১) পৃথিবীতে এমন কোনো কাজ নেই যা করলে জীবন ব্যার্থ হয়। জীবন এতই বড় ব্যাপার যে একে ব্যার্থ করা খুবই কঠিন….
(১৬২) সারাজীবনে কখনো ভালো না বেসে থাকার চেয়ে, একবার ভালোবেসে তাকে হারানো উত্তম।
(১৬৩) সুন্দরী মেয়ে সঙ্গে নিয়ে হাঁটলেই আপনাআপনি ছেলেদের চেহারায় কিছুটা গাম্ভীর্য চলে আসে ।
(১৬৪) যার ওপর মায়া পড়েছে তার সঙ্গে শুধু কথা বলতে ইচ্ছে করে।এই ইচ্ছেটিই বিপজ্জনক। কথা বলা মানেই মায়া বাড়ানো।
(১৬৫) নোংরা কথা শুনার মাঝে মানুষ এক ধরণের নিষিদ্ধ আনন্দ পায়…
(১৬৬) পৃথিবীর সকল সৌন্দর্যই দূর থেকে দেখতে হয়,খুব কাছ থেকে দেখতে গেলেই সৌন্দর্য টা কমে যায়।
(১৬৭) প্রেমের যে কি প্রচণ্ড ক্ষমতা,প্রেমে না পড়লে বুঝা যায় না…
(১৬৮) জোছনা দেখতে হয় সাদা রঙের কাপড় পরে। কালো কাপড় পরে জোছনা দেখা যায় না। একইভাবে বর্ষা দেখতে কদম ফুল লাগে।
(১৬৯) আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব। এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে। যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না।
(১৭০) মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্র পূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন।
(১৭১) বাঙ্গালীকে বেশি প্রশংসা করতে নেই। প্রশংসা করলেই বাঙালি এক লাফে আকাশে উঠে যায়। আকাশে উঠে গেলেও ক্ষতি ছিল না- আকাশ থেকে থুথু ফেলা শুরু করে।
(১৭২) ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী করতে চায় ।
(১৭৩) হ্যাঁ এবং না পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দুটি শব্দ কিন্তু এ শব্দ দুটি বলতে মানুষের সবচেয়ে বেশী ভাবতে হয়।
(১৭৪) মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত। তারা তাদের মায়ায় সবাইকে আচ্ছ্বন্ন করে রাখে।
(১৭৫) মানব জাতি অপেক্ষা পছন্দ করে না। তবু তাকে অপেক্ষা করতে হয়। ভালবাসার জন্য অপেক্ষা, ঘৃনার জন্য অপেক্ষা, মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা, আবার মুক্তির জন্য অপেক্ষা।
(১৭৬) পুরুষ মানুষ হাবা হলে চলে কিন্তু মেয়ে মানুষ হাবা হলে চলে না। তাহলে কপালে দুঃখ জোটে।
(১৭৭) পৃথিবীর ঘৃণ্য চরিত্র গুলো নারীদের মাঝে দেখা গেলেও, তার পেছনে পুরুষের উপস্থিতি শতভাগ থাকে
(১৭৮) বেশির ভাগ মানুষের স্বভাব হচ্ছে বিড়ালের মত। তারা সুখের সময় পাশে থাকে। দুঃখকষ্ট যখন আসে তখন দুঃখ কষ্টের ভাগ নিতে হবে এই ভয়ে চুপি চুপি সরে পড়ে। তাদের কোন দোষ নেই। আল্লাহ মানুষকে এমন করেই তৈরি করেছেন। তারপরেও কিছু কিছু মানুষ আছে যারা দুঃখ- কস্টের সময় পাশে এসে দাঁড়ায়। দুঃখ- কষ্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত বড় কোন অস্র তাদের হাতে থাকে না। তাদের থাকে শুধু হৃদয় পূর্ণ ভালবাসা।
(১৭৯) মানুষকে তোমার মনের দুর্বলতা বুঝতে দিওনা, কেননা মানুষ তোমার মনের দুর্বলতা জানলে তা নিয়ে খেলা করতে আনন্দ পাবে ।
(১৮০) যদি ভালো পেনসিল হতে না পারো,কারো সুখের গল্প লিখার জন্য তাহলে ভাল রাবার হও। যেন তার দুঃখ মুছে দিতে পারো।
(১৮১) বুদ্ধিমতীরা নিজেকে ভালোবাসে অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারে না। ভালোবাসার ভান করে।
(১৮২) আমরা স্বপ্ন পূজারী তাই সর্বদা স্বপ্ন গড়ি। একটা স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আবার নতুন একটা স্বপ্ন গড়ি এভাবে চলতেই থাকে।
(১৮৩) কিছু মানুষ জীবনে আসে ক্ষনিকের জন্য,হঠাৎ চলে যায় ঘুর্নিঝড়ের মত, ধ্বংস করে দিয়ে যায় মনের ঘরবাড়িকে।
(১৮৪) পুরুষ মানুষকে চোখে চোখে রাখতে হয়। চোখের আড়াল হলেই এরা অন্য জিনিস।
(১৮৫) হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না। কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায়। সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই,কি যেন নাই……
(১৮৬) একটা মেয়ের জন্য তোমাকে পারফেক্ট হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই, কারন মেয়েরা কখনোই পারফেক্ট ছেলেদের সাথে প্রেম করে না ।
(১৮৭) স্বপ্ন টা কেমন ছিল, তা ঘুম ভাঙ্গার পর বুঝা যায়। ঠিক তেমনি কাছের মানুষ কেমন ছিল, তা শুধু হারিয়ে যাবার পর বুঝা যায়।
(১৮৮) রাত্রি কখনও সূর্যকে পায় না, তাতে ক্ষতি নেই। কারণ সে পেয়েছে অনন্ত নক্ষত্রবীথি।
(১৮৯) যার রাগ বেশি সে নিরবে অনেক ভালোবাসতে জানে, যে নিরবে ভালোবাসতে জানে তার ভালোবাসার গভীরতা বেশি, আর যার ভালোবাসার গভীরতা বেশি তার কষ্ট অনেক বেশি।
(১৯০) সব সৌন্দর্যে ব্যাখ্যাতীত কিছু ব্যাপার থাকে। রবীন্দ্রনাথ ব্যাপারটা বুঝেছিলেন বলেই ব্যাখ্যায় না গিয়ে বলেছেন- বাজিল বুকে সুখের মতো ব্যথা।
(১৯১) যারা সুখী হয় তাদের মধ্যে সুখী হবার বীজ থাকে। জল, হাওয়া এবং ভালোবাসায় সেই বীজ থেকে গাছ হয়।
(১৯২) সূর্যোদয় দেখাটা অত্যন্ত জরুরী। এই দৃশ্যটি মানুষকে ভাবতে শিখায়। মন বড় করে।
(১৯৩) সত্য কথাগুলো সব সময় বক্তৃতার মতো শোনায়, মিথ্যাগুলো শোনায় কবিতার মত।
(১৯৪) সুট-টাই পরা মানুষ অবশ্যি নরম স্বরে কথা বলতে পারে না। আপনাতেই তাঁদের গলার স্বরে একটা ধমকের ভাব চলে আসে। অবশ্য স্যুট পরা মানুষ মিনমিন করে কথা বললে শুনতেও ভালো লাগে না। তাদেরকে ঘর জামাই মনে হয়। শ্বশুর বাড়িএ স্যুটে পার্সোনালিটি আসে না।
(১৯৫) আমরা (বাংলাদেশের মানুষ) অতি দরিদ্র এই কথা সত্যি। দু’বেলা খেতে পারি না এও সত্যি। অভাবের কারণে জাল-জুয়াচুরি কেউ কেউ করে, এও সত্য- তবে সঙ্গে সঙ্গে এটাও সত্যি আমরা আমাদের আত্মাকে হারাইনি। আমরা দুঃখে-কষ্টে জীবন-যাপন করি এবং এর মধ্যেই আত্মাকে অনুসন্ধান করি।খাঁচার ভেতর যে অচিন পাখি আসা-যাওয়া করে সেই পাখিটাকে বোঝার চেষ্টা করি।
(১৯৬) ভোরবেলায় সমুদ্র দেখতে গেলাম। সমুদ্র দেখে হকচকিয়ে গেলাম। আকাশের মত বিশাল কিন্তু নিস্তব্ধ- প্রাণময়। এমন বিশাল এবং প্রায় জীবন্ত কিছু যে পথিবীতে থাকতে পারে তা ছেলেমানুষী কল্পনায় এর আগে কখনো আসেনি। সমুদ্রের তীব্র আকর্ষণ ক্ষমতা আছে। সে সারাক্ষণ ডাকে, আয় আয়- কাছে আয়।
(১৯৭) অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গন্ডারের মত। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে এই গন্ডারকে সামলানো যায় না।
(১৯৮) ধুমপানও অভ্যাসের ব্যাপার। অভ্যাস না থাকলে সিগারেটের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসবে। আবার যারা অভ্যস্ত তারা পাগল হয়ে থাকে এই ধোঁয়াটার জন্য।
(১৯৯) মানুষের সঙ্গে গাছের অনেক মিল আছে। সবচেয়ে বড় মিল হলো, গাছের মত মানুষেরও শিকড় আছে। শিকড় উপড়ে ফেললে গাছের মৃত্যু হয়, মানুষেরও এক ধরনের মৃত্যু হয়। মানুষের নিয়তি হচ্ছে তাকে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃত্যুর ভেতর দিয়ে অগ্রসর হতে হয় চুড়ান্ত মৃত্যুর দিকে।
(২০০) প্রেম নিতান্তই জৈবিক ব্যাপার। নীলপদ্ম বলে একে মহিমান্বিত করার কিছু নেই।
KEYWORD
প্রেরণামূলক উক্তি
ধর্মীয় উক্তি
দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উক্তি
স্মরনীয় উক্তি
ভবিষ্যৎ নিয়ে উক্তি
শিক্ষামূলক উক্তি
ukti
bangla ukti
facebook status