হুমায়ূন আহমেদের উক্তি ও বিখ্যাত বাণী সমূহ

 হুমায়ূন আহমেদের উক্তি ও বিখ্যাত বাণী সমূহ

হুমায়ূন আহমেদের উক্তি ও বিখ্যাত বাণী সমূহ








(২০১) মানুষ যখন বড় ধরনের কোন অন্যায় করে তখন সে বুঝতে পারেনা যে সে অন্যায় করছে। বুঝতে পারলে অন্যায়টা সে করতে পারত না। তখন তার কাছে অন্যায়টা ন্যায় মনে হয়। যখন সে অন্যায়টাকে অন্যায় বলে মনে করে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

(২০২) আমাদের একজন লেখিকা পশ্চিমা মিডিয়াতে অনেক প্রচার পেয়েছেন, তা সত্য। আমাদের কালচার ও ধর্মকে খাটো করে কেউ লেখা-লেখি করলে তাকে নিয়ে পশ্চিমারা মাতামাতি করতে পছন্দ করে। সেই সূত্রে তিনি প্রচারটা পেয়েছেন।

(২০৩) হোটেলের মালিক বললেন, সাগরের হাওয়ায় মশা থাকে না, মশারি লাগবে না। তার কথায় বিশ্বাস করে ঘুমুতে গেলাম।দেখা গেল, মশা শুধু যে আছে তাই না, প্রবলভাবেই আছে। সমুদ্রের স্বাস্থ্যকর হাওয়ার কারণে মশারা সবাই স্বাস্থ্যবতী।স্বাস্থ্যবতীরা ঝাঁক বেঁধে এসে আমাকে কামড়াতে লাগল। স্বাস্থ্যবতী মশা বলার উদ্দেশ্য, স্ত্রী মশারাই মানুষের রক্ত খায়, পুরুষরা না। তসলিমা নাসরিন আবার যেন মনে না করে বসেন যে, আমি মহিলা মশাদের ছোট করার জন্য এই কথা লিখছি। এটা একটা বৈজ্ঞানিক সত্য।

(২০৪) একটা মানুষ জগতের আনন্দ যজ্ঞের নিমন্ত্রণে উপস্থিত হয়েছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। আনন্দ যজ্ঞে আমাদের সবার নিমন্ত্রণ। কিন্তু আমরা নিমন্ত্রণের কার্ড হারিয়ে ফেলি বলে যেতে পারি না। দূর থেকে অন্যের আনন্দ যজ্ঞ দেখি।

(২০৫) রুচির রহস্য ক্ষুধায়। যেখানে ক্ষুধা নেই সেখানে রুচিও নেই।

(২০৬) মানুষ মিথ্যা কথা বলে প্রয়োজনে এবং স্বার্থের কারনে।

(২০৭) সৃষ্টিকর্তা বা প্রকৃতি প্রতিটি ছেলেমেয়েকে পাঁচটি অদৃশ্য নীলপদ্ম দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান। এই নীলপদ্মগুলি হলো- প্রেম-ভালোবাসা। যেমন ধরো তুমি। তোমাকে পাঁচটি নীলপদ্ম দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত তুমি কাউকে পাওনি যাকে পদ্ম দিতে ইচ্ছে করেছে। কাজেই তুমি কারোর প্রেমে পড়োনি। আবার ধরো, একটা সতেরো বছরের তরুণীর সঙ্গে তোমার পরিচয় হলো। মেয়েটির তোমাকে এতই ভালো লাগলো যে, সে কোনো দিকে না তাকিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে তার সব ক’টি নীলপদ্ম তোমাকে দিয়ে দিল।তুমি পদ্মগুলি নিলে,কিন্তু তাকে গ্রহণ করলে না। পরে এই মেয়েটি কিন্তু আর কারও প্রেমে পড়তে পারবে না। সে হয়তো একসময় বিয়ে করবে, তার স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার করবে, কিন্তু স্বামীর প্রতি প্রেম তার থাকবে না।

(২০৮) তার ডাক নাম হিমু। ভালো নাম হিমালয়। বাবা আগ্রহ করে হিমালয় নাম রেখেছিলেন যেন বড় হয়ে সে হিমালয়ের মত হয়- বিশাল ও বিস্তৃত, কিন্তু ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নয়। হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। ইচ্ছে করলে তিনি ছেলের নাম সমুদ্র রাখতে পারতেন। সমুদ্র বিশাল এবং বিস্তৃত। সমুদ্রকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। তার চেয়েও বড় কথা, সমুদ্রে আকাশের ছায়া পড়ে। কিন্তু তিনি সমুদ্র নাম না রেখে রাখলেন হিমালয়। কঠিন মৌ পর্বতমালা, যার গায়ে আকাশের ছায়া পড়ে না ঠিকই কিন্তু সে নিজেই আকাশ স্পর্শ করতে চায়।

(২০৯) অতি ভয়ঙ্কর যে গরল তাহাতেও অমৃত মিশ্রিত থাকে। অতি পবিত্র অমৃতে থাকে প্রাণসংহারক গরল। খাদ ছাড়া সোনা হয় না। গরল ছাড়া অমৃতও হয় না।

(২১০) যে মানুষ নিঃশব্দে হাসে তাহার বিষয়ে খুব সাবধান। দুই ধরনের মানুষ নিঃশব্দে হাসে- অতি উঁচু স্তরের সাধক এবং অতি নিম্নশ্রেণীর পিশাচ চরিত্রের মানুষ।

(২১১) বিয়ের কথা ঠিকঠাক হবার পর কোনো এক বিচিত্র কারনে মেয়েরা বাবার দিকে চলে আসে। অতিরিক্ত মমতা দেখায়। খানিকটা আহ্লাদীও করে।

(২১২) মস্ত বড় কোন সিদ্ধান্ত নেবার আগে আগে মেয়েদের চোখে সব সময় পানি আসে।

(২১৩) মেয়েরা তাদের অশ্রু অন্যদের দেখাতে চায় না, প্রিয়জনদের তো কখনোই না!

(২১৪) ইস্টার্ন সিমেট্রিতে অ্যানি নামের মেয়ের কবরের পাশে একজন বিদেশীর কবর আছে। তার গায়ে চার লাইনের একটি ইতালিয়ান কবিতা যার অর্থ অনেকটা এরকম- ‘এখানে একজন মানুষ ঘুমিয়ে আছে। তাকে শান্তিতে ঘুমুতে দাও।’ কবরটির পাশেই দুটি প্রকান্ড চেরি ফুলের গাছ। বসন্তকালে কবরটি সাদা রঙের চেরিফুলে ঢাকা পড়ে থাকে। বড় চমৎকার লাগে দেখতে।

(২১৫) সব মানুষের মাথায় আউলা গাছের বীজ পোঁতা থাকে। সেই বীজ থেকে ছোট্ট চারা বের হয়। চারা বের হওয়া মাত্র গাছ উপরে ফেলে দিতে হয়।

(২১৬) সুখ এবং দুঃখ আসলে একই জিনিস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুখ বদলে গিয়ে দুঃখ হয়ে যায়। দুঃখ হয় সুখ। জীবনের প্রবল দুঃখ ও বেদনার ঘটনাগুলি মনে পড়লে আজ আমার ভালো লাগে। প্রাচীন সুখের স্মৃতিতে বুক বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়।

(২১৭) অতি বড়লোকদের ড্রয়িংরুমে এমন সব জিনিষ থাকে যা দেখে সুন্দর সময় কাটানো যায়।

(২১৮) বড় ধরনের বিপদের সামনেই একজন মানুষ অন্য একজনের কাছে আশ্রয় খুঁজে ।তাই পৃথিবীতে ভয়াবহ বিপদ আপদেরও দরকার আছে।

(২১৯) মেঘের সঙ্গে মানুষের খুব মিল। মানুষ যেমন কাঁদে মেঘও কাঁদে। বৃষ্টি হচ্ছে মেঘের অশ্রু

(২২০) দুঃখের কথা বারবার বললে দুঃখ কমে। সুখের কথা বারবার বললে সুখ বাড়ে। এই জন্যে দুঃখের কথা, সুখের কথা দুটোই বারবার বলতে হয়।

(২২১) কিছু মানুষ ধরেই নিয়েছে তারা যা ভাবছে তাই ঠিক। তাদের জগতটাই একমাত্র সত্যি জগত। এরা রহস্য খুঁজবে না। এরা স্বপ্ন দেখবে না

(২২২) বাংলাদেশে বেশীরভাগ সময় দুই জায়গার টেলিফোন নষ্ট থাকে- পুলিশের টেলিফোন এবং হাসপাতালের টেলিফোন।

(২২৩) বৃদ্ধ বৃদ্ধরাও জীবনের শেষ দিকে এসে পিকনিক জাতীয় ব্যাপারে খুব আগ্রহী হয়ে পড়েন।

(২২৪) অভাবী মানুষদের চোখ কেন জানি পশুদের মতো চকচক করে।

(২২৫) অতি সাধারন যে মানুষ তার চরিত্রেও অবাক হয়ে লক্ষ করার মতো কিছু ব্যাপার থাকে।

(২২৬) আমরা পৃথিবীতে আসি একা,পৃথিবী থেকে ফেরত যাই একা , কিন্ত পৃথিবীতে ঘোরাফিরা করি অনেককে নিয়ে।

(২২৭) এ জগতে যুক্তিহীন কিছু ঘটে না। অযুক্তি হল অবিদ্যা। এ পৃথিবীতে অবিদ্যার স্থান নেই ।

(২২৮) রূপবতী মেয়েদের হাসি বেশীরভাগ সময়ই সুন্দর হয় না। দেখা যায় তাদের দাঁত খারাপ।

(২২৯) আলো যেমন চারপাশ আলো করে তোলে একজন পবিত্র মানুষও তার চারপাশ আলো করে তুলবেই।

(২৩০) মানুষের অসাধারণ অনেক ক্ষমতার অধিকারী। মানুষের অসাধারণ ক্ষমতার একটি হচ্ছে, দ্রুত অভ্যস্ত হওয়ার ক্ষমতা ।

(২৩১) পুরুষের জন্মই হয়েছে ধরা খাওয়ার জন্য। কেউ স্ত্রীর হাতে ধরা খায়, কেউ পুত্র-কন্যার হাতে ধরা খায়। কেউ ধরা খায় প্রেমিকার কাছে। আবার কেউ কেউ র‍্যাবের কাছে ধরা খায়।

(২৩২) অসম্ভব বুদ্ধিমান মানুষ সব সময় এই ছেলেমানুষীটা করে। তাদের বুদ্ধির ছটায় অন্যকে চমকে দিতে চায়।

(২৩৩) পৃথিবীর সব শিশু বয়স্ক ভীতু মানুষ দেখতে পছন্দ করে।

(২৩৪) একমাত্র মানুষই খিদে না থাকলেও লোভে পড়ে খায় ।

(২৩৫) অবিশ্বাসের কাজগুলো খুব বিশ্বাসীরাই করে।

(২৩৬) কেউ যখন ভয়ংকর অসুখ হয় তখন তার চারপাশের জগৎও শূন্য হয়ে পড়ে। তার মস্তিস্ক তখন তার জন্যে একজন সঙ্গী তৈরী করে।

(২৩৭) বিশেষজ্ঞদের কিছু জিজ্ঞেস করলেই তাঁরা এমন ভঙ্গিতে তাকান যেন প্রশ্নকর্তার অজ্ঞতায় খুব বিরক্ত হচ্ছেন। প্রশ্ন পুরোপুরি না শুনেই জবাব দিতে শুরু করেন।

(২৩৮) পশুদের জ্ঞান আছে, বুদ্ধি আছে, চিন্তাশক্তি আছে। এসব জেনেও আমরা অস্বীকার করি শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে। অস্বীকার না করলে আমরা এদের কে হত্যা করে খেতে পারতাম না। আমাদের লজ্জা করত।

(২৩৯) সব মেয়ের ভেতর যেমন একজন পুরুষ বাস করে। সব ছেলের মধ্যেও একটি নারী বাস করে। নারী-পুরুষের বিভাজন রেখা দুর্বল।

(২৪০) সমাজের সর্ব নিম্নস্তরে যাদের বাস তাদের আবেগ-টাবেগ বোধহয় কম থাকে।

(২৪১) বাঙালি মেয়েরা দামি জিনিস তা সে যতই ক্ষতিকর হোক, ফেলে না। ডেট এক্সপায়ার হওয়া ওষুধও জমা করে রাখে।

(২৪২) ভিক্ষুক শ্রেণীতে লুলা স্বামীর অনেক কদর। আর্মি অফিসার এবং ইঞ্জিনিয়াররা রুপবতী স্ত্রী পায়। লুলা ভিক্ষুকরাও রুপবতী ভিক্ষুক স্ত্রী পায়!

(২৪৩) আল্লাহতালা মেয়েগুলিকে এত সুন্দর করে পাঠিয়েছেন কেন কে জানে? মেয়েদের সবই সুন্দর। এরা রাগ করলেও ভালো লাগে, অপমান করলেও ভালো লাগে। ভালোবাসার কথা বললে কেমন লাগবে কে জানে?

(২৪৪) সব পুরুষের ভেতরই শয়তান থাকে। ছোট শয়তান, মাঝারি শয়তান,বড় শয়তান। চেহারা দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই। যে যত বড় শয়তান তার চেহারা ততটাই ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারি না টাইপ।

(২৪৫) কোন মেয়েকেই আসলে পাওয়া যায় না। তারা অভিনয় করে সঙ্গে আছে এ পর্যন্তই। অভিনয় শুধু যে অতি প্রিয়জনদের সঙ্গে করে তা না, নিজের সঙ্গেও করে। নিজেরা সেটা বুঝতে পারে না।

(২৪৬) একজন মানুষ তার এক জীবনে অসংখ্যবার তীব্র ভয়ের মুখোমুখি হয়। তুমিও হইবে। ইহাই স্বাভাবিক। ভয়কে পাশ কাটাইয়া যাইবার প্রবণতাও স্বাভাবিক প্রবণতা। তুমি অবশ্যই তা করিবে না। ভায় পাশ কাটাইবার বিষয় নহে। ভয় অনুসন্ধানের বিষয়। ঠিকমতো এই অনুসন্ধান করিতে পারিলে জগতের অনেক অজানা রহস্য সম্পর্কে অবগত হইবে। তোমার জন্য ইহার প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে তোমাকে বলিয়া রাখি, এই জগতের রহস্য পেয়াজের খোসার মতো। একটি খোসা ছাড়াইয়া দেখিবে আরেকটি খোসা। এমনভাবে চলিতে থাকিবে- সবশেষে দেখিবে কিছুই নাই। আমরা শূন্য হইতে আসিয়াছি, আবার শূন্যে ফিরিয়া যাইব। দুই শূন্যের মধ্যবর্তী স্থানে আমরা বাস করি। ভয় বাস করে দুই শূন্যে। এর বেশি এই মুহূর্তে তোমাকে বলিতে ইচ্ছা করি না।

(২৪৭) বাইরে তখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাসার সামনে বিশাল পুকুর। পুকুর থেকে ঝুপ ঝুপ বৃষ্টির শব্দ আসছে। পিরোজপুর শহরে বৃষ্টি হওয়া মানেই কারেন্ট চলে যাওয়া। আমি সিরিয়াসলি পড়ছি ভেবেই আমার সামনে হারিকেন দেয়া হয়েছে। আমার মাথার ভেতর একের পড় এক লাইন আসছে। এক ধরনের অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে আমি লিখতে শুরু করেছি আমার প্রথম উপন্যাস – শঙ্খনীল কারাগার।

(২৪৮) মানুষ দু’টা সময়ে খেলতে পছন্দ করে। শৈশবে এবং বৃদ্ধ বয়সে। শৈশবে খেলার সঙ্গী জুটে যায়, বৃদ্ধ বয়সে কাউকে পাওয়া যায় না। তখন খেলতে হয় নিজের সঙ্গে।

(২৪৯) শুরু হল একটি অন্ধকার দীর্ঘ রাত। মানুষের সঙ্গে পশুদের একটা বড় পার্থক্য আছে। পশুরা কখনো মানুষদের মত হৃদয়হীন হতে পারে না। পঁচিশে মার্চের রাতে হৃদয়হীন একদল পাকিস্তানী মিলিটারি এ শহর দখল করে নিল। তারা গুড়িয়ে দিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন। জগন্নাথ হল ও ইকবাল হলের প্রতিটি ছাত্রকে গুলি করে মারল। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকে হত্যা করল শিক্ষকদের। বস্তিতে শুয়ে থাকা অসহায় মানুষদের গুলি করে মেরে ফেলল বিনা দ্বিধায়। বাঙালীদের বেঁচে থাকা না থাকা কোন ব্যাপার নয়। এরা কুকুরের মত প্রাণী, এদের মৃত্যুতে কিছুই যায় আসে না। এদের সংখ্যা যত কমিয়ে আনা যায় ততই মঙ্গল। এদের মেরে ফেল। এদের শেষ করে দাও। এক রাতে এ শহর মৃতের শহর হয়ে গেল। অসংখ্য বাবা তাঁদের ছেলেমেয়েদের কাছে ফিরে গেল না। অসংখ্য শিশু জানল না বড় হয়ে ওঠা কাকে বলে। বেঁচে থাকার মানে কি? [পঁচিশে মার্চ রাতের বর্ণনা]

(২৫০) অধিকাংশ মানুষই আজকাল গুছিয়ে কথা বলতে পারে না। চিন্তা এলোমেলো থাকে বলে কথাবার্তাও থাকে এলোমেলো।
(২৫১) একটা চুড়ই পাখির মস্তিস্কের পরিমান কত? খুব বেশী হলে পঞ্চাশ মিলিগ্রাম। মাত্র পঞ্চাশ মিলিগ্রাম মস্তিস্ক নিয়েও সে বিপদ আঁচ করতে পারে। মানুষ কিন্ত পারে না। সিক্সথ সেন্স মানুষের ক্ষেত্রে তেমন প্রবল নয়।

(২৫২) পুরুষদের আহত করার কৌশল মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলে এবং তা ব্যবহারও করে চমৎকার ভাবে। কেউ তার প্রতিভার বাইরে যেতে পারে না।

(২৫৩) মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে গোপন করা। বয়ঃসন্ধিকালে তারা শরীর গোপন করতে শেখে। গোপন করার এই অভ্যাস তাদের মাথায় ঢুকে যায়। তখন তারা সবই গোপন করে।

(২৫৪) মহাপুরুষদের সবকিছু জয় করতে হয়। ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ঘুম। ঘুম হচ্ছে দ্বিতীয় মৃত্যু। সাধারণ মানুষ ঘুমায়—অসাধারণরা জেগে থাকে।

(২৫৫) কৌতুহল আমাদের সবারই আছে, কিন্ত কৌতুহল মেটানোর জন্যে প্রয়োজনীয় পরিশ্রমটি আমরা করি না। করতে চাই না।

(২৫৬) মেয়েরা অতি দূরের আত্মীয়কে কাছের প্রমাণ করার জন্য চট করে তুই বলে।

(২৫৭) চোখে যা দেখা যায় তা দ্রুত রহস্য হারায়। চোখে যা দেখা যায় না, যেমন ‘মন’, অনেকদিন রহস্য ধরে রাখে।

(২৫৮) মানুষ পরিবেশ দিয়ে পরিচালিত হয় না, মানুষের চালিকাশক্তি তার ডিএনএ। যা সে জন্মসূত্রে নিয়ে এসেছে। তার চারপাশের জগৎ তাকে সামান্যই প্রভাবিত করে।

(২৫৯) বয়স হলেই ছেলেরা মেয়েদের দিকে তাকায়। সেই তাকানোয় লজ্জা থাকে, দৃষ্টিতে সংকোচ থাকে।

(২৬০) জগতের যত বড় বড় Crime তার সবের পেছনে একটা মেয়ে মানুষ থাকবে। শুরুতে সেটা মাথায় রাখলে সুবিধা হয়। ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়ে গেল হেলেন নামের নাকবোঁচা এক মেয়ের জন্য।

(২৬১) খাদ্য দ্রব্য হাত দিয়ে স্পর্শ করাতেও আনন্দ আছে। সাহেবরা কাটাচামচ দিয়ে খায়। খাদ্য হাত দিয়ে ছোঁয়ার আনন্দ থেকে তারা বঞ্চিত।

(২৬২) যে কথা বেশি বলে তার গুরুত্ব থাকেনা। কথা হলো দুধের মতো। অধিক কথায় দুধ পাতলা হয়ে যায়।

(২৬৩) স্ত্রীরা স্বামীর যে-কোনো বিষয়ের প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহকে সন্দেহের চোখে দেখে।

(২৬৪) শিশুরা অতি সহজে অন্যের অপরাধ ক্ষমা করতে পারে।

(২৬৫) শিশুরা লজিক বুঝতে পারে। সমস্যা বড়দের নিয়ে। বড়রা লজিক বুঝতে চায় না।

(২৬৬) ভয় এবং কৌতূহল বোধ হয় পাশাপাশি চলে। প্রচন্ড ভীত মানুষের কৌতূহলও হয় প্রচন্ড। এরা জানালার শিক ধরে দাঁড়িয়েছে। দেখতে চেষ্টা করছে কী হচ্ছে বাইরে। কেউ কেউ চলে এসেছে বারান্দায়। চোখের সামনে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখার আলাদা মাদকতা আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে একধরনের ঘোর তৈরি হয়। মাথার ভেতরে জগাখিচুড়ির মত কিছু হয়। তখন মানুষ যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না এমন কান্ড করে” (২৫ শে মার্চ ১৯৭১ রাত)।

(২৬৭) কোনো মৃত মানুষ মহান আন্দোলন চালিয়ে নিতে পারেন না। একজন পেরেছিলেন। আমানুল্লাহ মোহম্মদ আসাদুজ্জামান। তাঁর রক্তমাখা শার্ট ছিল ঊনসত্তরের গনআন্দোলনের চালিকাশক্তি।

(২৬৮) অন্ধকারে একটি সুন্দরী মেয়েও যেমন অসুন্দরী মেয়েও তেমন। পার্থক্যটা হচ্ছে আলোতে।

(২৬৯) খুনের মামলায় যে পড়ে সে এবং তার আত্মীয় স্বজনরা কখনো জুম্মার নামাজ মিস দেয় না।

(২৭০) একটাই উপদেশ,কার্বুরেটর ঠিক রাখবি। গাড়ির যেমন কার্বুরেটর ঠিক থাকলে সব ঠিক,মানুষেরও একই ঘটনা।

(২৭১) মেয়েদের টাইটে রাখতে হবে। তুলসি দাস বলেছেন – ‘ঢোল এবং স্ত্রী দুইটাকেই মারের উপর রাখতে হবে।

(২৭২) আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমাদের যখন গুছিয়ে কথা বলা দরকার তখন টেলিগ্রাফের ভাষায় কথা বলি। আর যখন সার সংক্ষেপ বলা দরকার তখন পাঁচ শ পৃষ্ঠার উপন্যাস শুরু করি।

(২৭৩) প্রথম শ্রেণীর চামচা হচ্ছে যারা স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে চামচার ভাব ধরে থাকে। আর তৃতীয় শ্রেণীর চামচা হচ্ছে তারাই যাদের জন্মই হয়েছে চামচা হিসোবে।

(২৭৪) একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা।

(২৭৫) মানুষ তার আবেগ, ভালোবাসা, ঘৃনার জন্ম ও অবস্থানের জন্যে যে স্থান নির্ধারিত করেছে সেটা হল হৃদপিন্ড- হার্ট।

(২৭৬) সৃষ্টিশীল মানুষ তার অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি কখনো খুব ভেবেচিন্তে করেন না। সেই সব কাজ হঠাৎ করে তৈরী হয়।

(২৭৭) আজকালকার ছেলেরা চা ছাড়া আর কিছু খেতে চায় না – অথচ গরমের মধ্যে তেতুলের সরবতের মত ভাল জিনিস আর কিচ্ছু নেই।

(২৭৮) রিকশায় চড়ায় একটা রাজকীয় ব্যাপার আছে। মাথা সামান্য উচু করলেই আকাশ দেখতে দেখতে যাওয়া যায়।

(২৭৯) ঘুষের ব্যাপারে দরদাম করার দস্তর আছে। দরদাম করে ঘুষ দিলে যিনি ঘুষ নেন তিনি ভাল বোধ করেন। ঘুষ নেয়ার লজ্জাটা কমে যায়।

(২৮০) পাঁচের সঙ্গে দুই যোগ করলে কখন ছয় হয় ? কখন হয় ?’ যখন ভুল হয় তখন হয় ।অংকটা আসলে সহজ।

(২৮১) নতুন বিবাহিত স্বামীদের বেশ কিছুদিন স্ত্রী মনোরঞ্জনের জন্যে ফুচকা চটপটি এইসব খেতে হয়।

(২৮২) মেয়েরা জানে না যে হাসি মুখে পুরুষদের কাছে তারা যদি কিছু চায় – পুরুষদের তা দিতেই হবে।

(২৮৩) মানুষের পুরো জীবনটাই একগাদা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অপূর্ণ তৃষ্ণার সমষ্টি।

হুমায়ূন আহমেদ


হুমায়ূন আহমেদ(২৮৪) মহান বীর যোদ্ধাও নিজের স্ত্রীর কাছে অসহায়।

(২৮৫) মোমবাতির আলোর বই পড়ার আলাদা একটা আনন্দ আছে। আধো আলো আধো ছায়া। বইয়ের জগৎটিও তো তাই- অন্ধকার এবং আলোর মিশ্রণ। লেখকের কল্পনা হচ্ছে আলো, পাঠকের বিভ্রান্তি হচ্ছে অন্ধকার।

(২৮৬) মানুষের সবচেয়ে কঠিন অভাব কোনটি? খাদ্যের অভাব। হয় নাই। বস্ত্রের অভাব। ক্ষুধার্ত অবস্থায় তুমি পথে বের হতে পারবে। ভিক্ষা চাইতে পারবে। নগ্ন অবস্থায় সেটা পারবে না।

(২৮৭) যা আমরা বিশ্বাস করি না অথচ বিশ্বাস করতে চাই, তাই আমরা বারবার বলি।

(২৮৮) বুদ্ধিমান কেউ ভালো মানুষ হতে পারে না। ভালো মানুষেরা বোকাসোকা ধরনের হয়।

(২৮৯) পেটের ব্যথা ভুলে থাকবার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে থ্রিলার জাতীয় কোন রচনায় মনোনিবেশ করা।

(২৯০) মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনেরা কথায় কথায় চাকরি খেতে চায়। চাকরি ছাড়া ওদের মুখে অন্য কিছু রোচে না।

(২৯১) আমাদের দেশের মানুষদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, যে কাজগুলো তারা করতে পারবে না, সেই কাজগুলোর দায়িত্ব তারা সবচেয়ে আগ্রহ করে নেবে।

(২৯২) সমস্ত জীব-জন্তু ও পশু-পাখির জীবনের বেশীর ভাগ সময় কেটে যায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে গিয়ে। মানুষের জন্যও এটা সত্যি। আমরাও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজি।

(২৯৩) তুমি যখন কারো কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাত্রা শুরু করবে তখন পেছনে ফিরে তাকাবে না। পেছনে ফিরে তাকানোর অর্থ হলো মায়া নামক ভ্রান্তিকে প্রশ্রয় দেয়া।

(২৯৪) হাতের রেখায় মানুষের ভাগ্য থাকে না। মানুষের ভাগ্য থেকে কর্মে।

(২৯৫) যুক্তিবিদ্যা অতি দুর্বল বিদ্যা। সব দিকে এই বিদ্যা খাটানো যায়।

(২৯৬) আমরা মুখে অনেক কথা বলি না, কিন্ত আমাদের শরীর বলে। মনের ভেতরের কথা শরীর প্রকাশ করে দেয়। আমাদের মন অনেক কিছু বলতে চায় না। কিন্ত শরীর বলে দেয়

(২৯৭) শৈশবে এক জ্যোতিষী আমার হাত দেখে বলেছিলেন, আমি ঠান্ডা মাথায় খুন করতে পারবো। তার গণনা কিন্তু এক অর্থে মিলে গেছে। এইসব দিনরাত্রি নামক ধারাবাহিক নাটকে আমি টুনিকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছি। শুধু টুনি না, আমার উপন্যাসের অনেক চরিত্রকেও অকালে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। আমি কি করব? আমার হাতে লেখা।

(২৯৮) যা পাওয়া যায়না তার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়।

(২৯৯) মানুষের কল্পনারও সীমা থাকে। আমার তো মনে হয় না কেউ কখনো কল্পনা করে সে উড়তে পারে। আকাশে উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। কল্পনাকেও যুক্তির ভিতর থাকতে হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কল্পনাশক্তিও কমতে থাকে। একটা সময় আসে যখন মানুষ কল্পনা করেনা।

(৩০০) মহান সৌন্দর্যের মুখোমুখি হলে এক ধরণের তীব্র হাহাকার মনের ভেতরে আপনা-আপনি জন্মায়, সুন্দরের উৎস সন্ধানে ব্যাকুলতা জাগে।

(৩০১) একজন সাধুর সঙ্গে তুমি যদি কিছুদিন থাক তোমার মধ্যে সাধু স্বভাব চলে আসবে। দুষ্ট লোকের সঙ্গে কিছুদিন থাক তোমার মধ্যে ঢুকবে দুষ্ট স্বভাব।

(৩০২) মনের তীব্র ব্যাথা কমানোর একটি উপায় হচ্ছে কিছু লেখা। যে লেখা ব্যক্তিগত দুঃখকে ছড়িয়ে দেয় সবদিকে।

(৩০৩) বাংলাদেশ আর কিছু পারুক না পারুক, একদল পাগল ছেলে তৈরি করে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিয়েছে! যারা বাংলাদেশ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারে না।

(৩০৪) একটা বয়স পর্যন্ত হয়তো মেয়েদের অকারণ অর্থহীন কথা শুনতে ভালো লাগে, তারপর আর লাগে না। এই মেয়েটি অকারণে কথা বলেই যাচ্ছে। মেয়েটার মনে গোপন কোনো টেনশন আছে কি? টেনশনের সময় ছেলেরা কম কথা বলে, মেয়েরা বলে বেশি।

(৩০৫) মেয়েরা সাধারণত টিপ দেওয়ার ব্যাপারে খুব সাবধানী হয়। টিপ এক পাশে হলে সংসারে সতীন জোটে- তাই বাড়তি সাবধানতা।

(৩০৬) ছায়া ঢাকা ঘুঘু ডাকা’ গ্রাম তেমন পছন্দ হচ্ছে না। শহরবাসী হওয়ার এই এক সমস্যা। ভোরবেলা চায়ের কাপের সাথে পত্রিকা লাগে। ভালো বাথরুম লাগে। রাতে বই পড়ার জন্য টেবিল ল্যাম্পের আলো লাগে।

(৩০৭) পুরনো জিনিস তো আবার ফিরে আসছে। পুরনো প্যাটার্নের গয়নাকে এখন খুব আধুনিক ভাবা হচ্ছে।

(৩০৮) গ্রামের মানুষদের মধ্যে সবচে বেশি কথা বলে নাপিতরা। তারপরেই স্কুল শিক্ষকরা।

(৩০৯) নামে কিছু আসে যায় না। আসে যায় কর্মে। যিশুখ্রিষ্টকে বিশুব্রিষ্ট ডাকলেও তাঁর যিশুত্ব‌ কিছু মাত্র করবে না।

(৩১০) বস জাতীয় মানুষদের কাছে থেকে ভালো ব্যবহার পাওয়া যায় না। যখন পাওয়া যায় তখন মনে হয় কোথাও বোধহয় সমস্যা আছে।

(৩১১) পুলিশের চাকরির আসল মজা ইউনিফর্মে। দেখা মাত্র সবাই সমীহ করে তাকাবে।

(৩১২) বাঙালি অদ্ভুত এক জাতি। যাদের বিশ্বাস করে, তাদের সব কথা বিশ্বাস করে। তারা যদি বলে- চিলে কান নিয়ে গেছে- কান নিয়েছে কী নেয় নি যাচায় করে না। গালের পাশে হাত দিলেই বুঝবে কান এখনো আছে। জুলপির পাশেই ঝুলছে। তারপরেও দলবেঁধে লাঠিসোটা নিয়ে ছুটতে থাকে চিলের পেছনে।

(৩১৩) ব্যবহার না করলে বুদ্ধি কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। তোমাকে যদি একমাস একটা ঘন অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়, একবারও যদি সেই ঘরে আলো না জ্বালা হয়, তাহলে একমাস পর দেখা যাবে তুমি চোখে কিছুই দেখছ না। তুমি পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছ। এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।

(৩১৪) বিশেষ কোনো ঘটনা সেলিব্রেট করার জন্য আছড়ে নারিকেল ভাঙ্গার প্রথা ছিল। পশ্চিমা দেশে নারিকেলের পরিবর্তে শ্যাম্পেনের বোতল খোলা হয়।

(৩১৫) এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষই নিখোঁজ, তাই নয় কি? মানুষ জন্মের পর থেকে তার ঠিকানা খুঁজে বেড়ায়, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, কিন্তু কেউ কি তার আসল ঠিকানা খুঁজে পায়, পায় না!

(৩১৬) কোন পরিবারে একজন কেউ কানে কম শুনলে বাকি সবাই জোরে কথা বলে।

(৩১৭) হে মানব সন্তান। তুমি তোমার ভালবাসা লুকাইয়া রাখিও। তোমার পছন্দের মানুষদের সহিত তুমি রুঢ় আচরণ করিও। যেন তোমার স্বরূপ বুঝতে না পারে। মধুর আচরণ করিবে দুর্জনের সঙ্গে। নিজেকে অপ্রকাশ রাখার এই প্রথম পাঠ

(৩১৮) বড় রকমের অসুখবিসুখের সময় মানুষের মন দুর্বল থাকে। মানুষের ব্যথা – বোধের মূল কেন্দ্র মস্তিস্ক।

(৩১৯) লজিক ব্যবহার করার ক্ষমতা সবার মধ্যেই আছে। বেশীরভাগ মানুষই তা ব্যবহার করে না।

(৩২০) সাধারণত রূপবতীরা মানুষকে আকর্ষণ করে না – একটু দূরে সরিয়ে রাখে।

(৩২১) একজন ক্ষতিকর মানুষ সমাজের যতটা ক্ষতি করতে পারে । তার চেয়ে এক’শ গুন বেশী ক্ষতি করতে পারে সেই মানুষটির লেখা একটি বই।

(৩২২) প্রকৃতি শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যেই বিপরীত গুণাবলীর দর্শণীয় সমাবেশ ঘটিয়েছে, মেয়েকে যেহেতু সব সময়ই সন্তান ধারণ করতে হয়, সেহেতু প্রকৃতি তাকে করল – শান্ত, ধীর, স্থির। একই সঙ্গে ঠিক একই মাত্রায় তাকে করল – অশান্ত, অধীর, অস্থির”

(৩২৩) মেয়েরা সিরিয়াস টাইপ পুরুষ পছন্দ করে।যারা কথায় কথায় রসিকতা করে মেয়েরা তাদের ছ্যাবলা ভাবে।

(৩২৪) এই পৃথিবীতে মূল্যবান শুধু মানুষের জীবন, আর সব মূল্যহীন।

(৩২৫) মানুষ খুব যুক্তিবাদী প্রাণী হলেও তার মধ্যে অনেকখানি অংশ আছে যুক্তিহীন | মানুষ যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে ভালবাসে ||

(৩২৬) মানুষ যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে ভালোবাসে | সে সারাক্ষণ চেষ্টা করে অসহায়ত থেকে মুক্তি পেতে ||

(৩২৭) আমরা যে জিনিস বুঝতে পারিনা তাকেই ভয় পাই।

(৩২৮) রতিটি কষ্টকর অভিঞ্জতাই আমাদের জন্য নতুন শিক্ষা।

(৩২৯) যে লাঠি দিয়ে অন্ধ মানুষ পথ চলে,সেই লাঠি দিয়ে মানুষও খুন করা যায়। হাতের তসবি গলার মালাও হতে পারে।

(৩৩০) গরম মাড় কিংবা গরম পানি কুকুরের গায়ে ফেলে আমরা বড় আনন্দ পাই | ব্যাথা যন্ত্রণায় সে ছটফট করে – দেখে আমাদের বড়ই ভাল লাগে | মানুষ হিসেবে সমগ্র পশুজগতে আমরা শ্রেষ্ঠ, সেটা আবারও প্রমাণিত হয় !!

(৩৩১) ঈশ্বর যদি কাউকে মারতে চান তাহলে কি তার কোন আয়োজন করার প্রয়োজন আছে ? তাহলে মরতে কিসের ভয় , একবারই তো মরতে হবে ।

(৩৩২) বিরাট খোলা মাঠে একা থাকা যায়, কিন্তু ছোট্ট একটা বাড়ীতে একা থাকা যায় না।

(৩৩৩) বলা হয়ে থাকে, সৈনিকদের বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে। এটা ঠিক না। তাদের বুদ্ধি থাকে বুট জুতায়। যখন তারা বুট পরে তখন তারা বুদ্ধিশূন্য মানুষে পরিণত হয়। তখন তাদের বুদ্ধি চলে যায় বুট জুতায়।

(৩৩৪) আমাদের সমাজটা এমন যে বেশির ভাগ শাস্তিই আমাদের বিনা কারনে পেতে হয় ।

(৩৩৫) ইউনিভার্সিটির মেয়েরা মাথায় ঘোমটা দেয় শুধূ আজানের সময়।

(৩৩৬) একঘে’য়ে কোন আকর্ষণই আকর্ষণ থাকে না। মায়ের প্রতি মানুষের অন্ধ ভালবাসা ফিকে হয়ে আসে একঘে’য়েমীর জন্যেই।

(৩৩৭) কাগজে কলমে করা নিখুঁত পরিকল্পনা বাস্তবে ভেস্তে যায়। তুচ্ছ কারণেই ঘটে। A kingdom is lost for a nail.

(৩৩৮) সব মানুষের জীবনের কোন না কোন সময় অদ্ভূত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তখন সে যুক্তির সিঁড়ি থেকে সরে দাঁড়ায়। নিজেকে সমার্পন করে রহস্যময়তার কাছে।

(৩৩৯) কাউকে ভালোবাসলে বেশি কাছে যাবার চেষ্টা করতে নাই। তাতে করে কাছে যাবার আকুতি দেখে সে হয়তো দূরে চলে যেতে পারে।কেননা, মানুষ সোজা পথের চেয়ে বাকা পথে হাটতে আনন্দ পায় বেশি। কিন্তু সব কিছু হারিয়ে সোজা পথেই আসতে হয়। সেই সময়ে নতুন করে ভালোবাসার ইচ্ছা টা আর থাকে না।

(৩৪০) দু’ধরনের মানুষের মধ্যে পাগলামি প্রকাশিত হয়। প্রতিভাবান মানুষ এবং কর্মশূন্য মানুষ।

(৩৪১) অসুস্থ মানুষকে প্রকৃতি খুব প্রভাবিত করে। পরিবেশেরও রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা আছে।

(৩৪২) গাধা এক ধরনের আদরের ডাক। অপরিচিত বা অর্ধ- পরিচিত কাউকে গাধা বলা যাবে না। বললে মেরে তক্তা করে দেবে। প্রিয় বন্ধুদেরই গাধা বলে ডাকা যাই।

(৩৪৩) বেশি সুন্দরী মেয়েদের রাগও বেশি থাকে;।

(৩৪৪) চারপাশে পত্রপুষ্পশোভিত বৃক্ষরাজি। আকাশে চির পূর্ণিমার চাঁদ, যে-চাঁদের ছায়া পড়েছে ময়ূরাক্ষী নামের এক নদীতে।সেই নদীর স্বচ্ছ জলে সারাক্ষন খেলা করে জোছনার ফুল। দূরের বন থেকে ভেসে আসে অপার্থিব সংগীত।

(৩৪৫) মধ্যদুপুর ও মধ্যরাত, এই দুটি সময় আমার খুব প্রিয়। মধ্যদুপুরের যেমন এক ধরনের মাদকতা আছে, ঠিক মধ্যরাতের আছে নিঃশ্চুপ নিরবতা।। মাদকতা আর নিরবতা আর কি চাই….।।।

(৩৪৬) জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়-জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি।

(৩৪৬) দিতে পারো একশ ফানুশ এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুশ উড়াই

(৩৪৭) বোকা মানুষ গুলো হয়তো অন্যকে বিরক্ত করতে জানে। কিন্তু কখনও কাউকে ঠকাতে জানে না।

(৩৪৮) মা হল পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা 


KEYWORD

প্রেরণামূলক উক্তি

ধর্মীয় উক্তি

দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উক্তি

স্মরনীয় উক্তি

ভবিষ্যৎ নিয়ে উক্তি

শিক্ষামূলক উক্তি

ukti

bangla ukti

facebook status

হুমায়ূন আহমেদ

Post a Comment

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال