সিনিয়র খালাতো বোন । bangla golpo

 সিনিয়র খালাতো বোন । bangla golpo

সিনিয়র খালাতো বোন । bangla golpo

আমি ঈশিতাকে ছাদ থেকে কোলে করে এনে বিছানায় শুয়ে দিলাম,,
তারপর আমি তার উপরে শুয়ে পড়লাম,,,
তার নাকে গলায় কানে অল্প অল্প করে চুমু দিচ্ছি,, সে আমার আদরের
ছোয়া পেয়ে চোখ বন্ধ করে আছে,,, জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলতে লাগল,,,
, আমি যখন তার গোলাপী ঠোট জোড়া সাথে আমার ঠোট জোড়া মিলিয়ে
ভালবাসার পরশ দিচ্ছি,,, সে তার দুই হাত দিয়ে আমার মাথার চুল শক্ত
করে খামচে ধরেছে,,,,
আমি যখন ঠোঁট ছেড়ে একটু নিচে নামতে যাব,, তখন সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে
ফেলে দিল তারপর আমার উপরে উঠে,, তার ঠোটজোড়া আমার ঠোট যার
কাছে এনে বলতে লাগলো,,,
,
আমি একটা কথা বলতে চাই।
বল কি কথা বলবে?
আগে আমাকে কথা দিতে হবে,,, আমি যা বলব তাই শুনবি ।।
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যা বলবে তাই শুনবো।
আমরা দুজনের তো এখনো পড়ালেখা শেষ হয় নাই,,, আমার আরো এক বছর লাগবে,,,
আর তোর আরও আড়াই বছর
তাই আমরা পড়ালেখা শেষ না করার আগে অন্য কিছু চিন্তা করবো না ?
অন্যকিছু মানে।
যাহ আমি মুখে বলতে পারবো না
মুখে না বললে কি ভাবে বঝবো
আমি বেবির কথা বলছি। (((একথা বলে লজ্জায় মুখ লাল করে ফেলেছে।)))
তুমি কি পাগল হয়েছো পড়ালেখার সাথে বেবির কি সম্পর্ক, আমি এখনই বেবি নিতে চাই,।
তুই কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছিস আমি যা বলব তা শুনবি,,, তাছাড়া আমরা
যদি এরকম প্ল্যান করি,, তাহলে আমাদের আর পড়ালেখা হবে না,, নিজের
পায়ে দাঁড়াতে পারবো না, আর আমার খালুজান মানে তোর আব্বু একা ব্যবসা
সামলাচ্ছে,,, তোর পড়ালেখা শেষ না হলে তোর আব্বুর সাথে ব্যবসায় সাহায্য করতে
পারবি না,, তাই আমরা এখন এরকম প্লান করা ঠিক হবে না?
তাহলে আমরা বিয়ে করেছি কেন,,, পড়ালেখা শেষ করে বিয়ে করতাম,,,,
আমি এতকিছু জানি না আমি যা বলছি তাই হবে,,,
তার মানে এই দুই বছর তোমাকে আমি নিজের করে পারবো না।
না?
কি বলছো তুমি পাগল পেয়েছো,,, বিয়ের পরে বউকে নিজের করে পাব না,,,
আদর করতে পারবো না এ কথা বললেই হলো,, মানি না আমি তুমি আমার বিয়ে
করা বউ আমি যা বলব তা শুনতে হবে।
কি বলছিস তুই,,, আমাকে কথা দিয়েছিস আমি যা বলব তাই শুনবি,,
কিন্তু এতদিন তোমাকে কাছে না পেয়ে থাকতে পারবো।।
কে বলল আমাকে কাছে পাবিনা,,, আমি তো সব সময় তোর সাথেই থাকব।
সাথে থাকলেই কি হবে তোমাকে নিজের করে না পেলে।
আরে পাগল আমি তো সব সময় তোরই থাকবো। আর আমি তো আমাদের
ভালোর জন্যই বলছি।
আমার রাগ উঠে গেলো,,, দু'বছর কিভাবে থাকবো,,, লাগবে না সব সময় তোমাকে আমার,,
আমি ধাক্কা দিয়ে উপর থেকে নামিয়ে বিছানার একপাশে শুয়ে পরলাম।
আমার বাবুটা দেখি খুব রাগ করেছে দেখি বাবু এদিকে আসো,, এ কথা বলে
আমাকে কাছে টেনে নিল,,, তারপর আমার দু গালে কয়েকটা পাপ্পি দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল,,,
আমি তার জড়িয়ে ধরার কোন রেসপন্স দিচ্ছি না,,, কি হলো জড়িয়ে ধর আমাকে,,
জড়িয়ে ধরে কি হবে,,,
আমি বলছি জড়িয়ে ধরে,,, নাহলে কিন্তু আমি রুম থেকে চলে যাব।
কি আর করা বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হলো,,, তা না হলে শাকচুন্নির রুম থেকে বাহির হয়ে যাবে,,
আর বাসর রাতে বউ রুম থেকে বাহির হওয়া মানে একটা গন্ডগোল লাগা
আমি আর কিছু না বলে জড়িয়ে ধরলাম সাথে সাথে আমার বুকে এসে শুয়ে পড়লো,,,
আমি কপালে একটা চুমু দিয়ে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম,,,
সকালে কারোর চুলের পানি দিয়ে আমার ঘুম ভাঙলো,, তাকিয়ে দেখি আমার শাকচুন্নি,,,
কিছুক্ষণ আগে মনে হয় শাওয়ার নিয়েছে,,, পরনে আকাশী কালার একটা শাড়ি,, চুল
গুলো থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে,, সে পানি মনে হয় আমার মুখের দিয়েছিল,,,
সে তার রেশমি কালো চুল গুলো ঘারের এক সাইড করে তোয়ালে দিয়ে চুল গুলো মুচছে,,
তার উন্মুক্ত পিঠে পানির ফোটা জমে আছে,, কোমরের এক সাইডে শাড়িটা উপরে
তোলা নাভি টা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,,, হায় আল্লাহ এভাবে
যদি আমার সামনে তাকে,,, তাহলে একবছর কেন,, একদিন নিজেকে কন্ট্রোল রাখা
আমার পক্ষে অসম্ভব হবে।
আমি আস্তে আস্তে উঠে পিছন থেকে তার কোমরে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম সে একটু
কেঁপে উঠল। এই কি করছিস।
আমি আর কোন কথা না বলে তাকে কোমর ধরে টেনে এনে খাটে আমার কোলে বসিয়ে দিলাম,,,
সে ছাড় ছাড় বলে চিল্লাতে লাগলো,, সে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে না,,
দিব্য আমার কোলে বসে আছে,,, আমি তার হাত থেকে তোয়ালেটা নিয়ে তার ভেজা চুলগুলো মুছতে লাগলাম।
কি শুরু করে দিয়েছিস সকালবেলা,,, আমাকে নিচে যেতে হবে,, সব মেহমানরা আছে নাস্তা মাস্তা তৈরি করতে হবে না।
চুপ একদম চুপ নতুন বউয়েরা প্রথম দিন কোন কাজকর্ম করে না,,,
কে বললো তোকে এ কথা,,, আর আমি নতুন বউ হয়েছি তো কি হয়েছে,,, এটাতো আমার খালামণির বাড়ি,।
চুপ কর কোন কাজকর্ম করতে হবে না,, তুমি শুধু আমার কাজ করবা,,,
আরে নতুন বউ সকালে নিচে না গেলে সবাই কি বলবে।
কিচ্ছু বলবে না,,
আমি তার চুল গুলো মুছে,,তার গলায় কানে চুমু দিতে লাগলাম,,, সে শিহরিতলো উঠলো,,
কি করছিস আমার কেমন জানি লাগছ
কেমন লাগছে বল।
না ছাড় বলছি আমাকে,, জোরাজুরি শুরু করে দিল,,, ছাড়বো না তার আগে পাপ্পি দাও।
কেন রাতে না অনেকগুলকো দিয়েছে, এখন আবার কেন
রাতে দিয়েছে তো কি হয়েছে,, দিনে বিশটা করে পাপ্পি দিতে হবে,,,তার একটা কম হলে আমার টা আমি আদায় করে নিব।
যাহ দিনে এতগুলো পাপ্পি দিতে পারব না।
দিতে পারবে না তো সমস্যা নাই অন্য কারো কাছ থেকে নিয়ে নেব।
কিই,,,
না কিছু না।
অন্য কারো কাছ থেকে নিয়ে নিবি মানে।
বললাম তো কিছু না।
একথা যদি দ্বিতীয়বার কোন সময় মুখে শুনি, তাহলে একটা বারি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলবো।
হায় হায় কি বলো মাথা ফাটিয়ে ফেললে তো আমি মারা যাব,, আর তুমি বিধবা হয়ে যাবে।
বিধবা হলে হব তারপরও কোন মেয়ের কথা যেন তোর মুখে না শুনি।
আচ্ছা ঠিক আছে শুনবা না,, এখন পাপ্পি দাও।
না,,,,,,,,,,,
আচ্ছা ঠিক আছে শুনবা না,, এখন পাপ্পি দাও।
না দিব না।
আচ্ছা ঠিক আছে না দিলে যাও গা লাগবে না তোমার পাপ্পি।
লুচ্চা ছেলে চোখ বন্ধ কর।
চোখ বন্ধ করবো কেনো।
চোখ বন্ধ না করলে দেব না বলে দিলাম।
আমি চোখ বন্ধ করলাম সাথে সাথে আমার দু গালে কয়েকটা পাপ্পি দিয়ে দৌড়ে
চলে গেল,,, আমি ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম,,,
সাথে সাথে নানা ভাই আমাকে একটা সোফায় বসিয়ে দিল,,, তারপর নানান
কথা জিজ্ঞাসা করতে শুরু করল,,, আমি নানা ভাইয়ের কথা শুনে হাসতে
হাসতে শেষ,, বউকে কতক্ষন আদর করেছি,, বউকে মন ভরে আদর করেছে
কিনা,,, কিছুদিন পরে খুশির সংবাদ পাবে কিনা,,, আরো নানান কথা,,, আমিও
বানিয়ে বানিয়ে সব মিথ্যা কথা বলেছি।
সকালের নাস্তা করে,, শাকচুন্নি কে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে রওনা দিলাম,, হায়রে
আপ্পায়ন,,, এতদিন ছিল খালার বাড়ি,, এখন হলো শ্বশুর বাড়ি,,, দুনোটা
একজাস্ট হয়ে গিয়েছে,,, মনে হয় খাওয়াতে খাওয়াতে মেরে ফেলবে,,, এত
আপ্যায়ন আর সম্মান দেখে তো মনে মনে ভাবলাম আরো বছর খানেক আগে
বিয়ে করলাম না কেন,, এক রাত শ্বশুরবাড়িতে থেকে আবার আমার শাকচুন্নি
কে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসলাম,,, তারপর থেকে চলতে লাগল আমাদের
দিন,, শাকচুন্নি এত কাজ করতে পারে আমি কল্পনাও করতে পারিনি,,, আম্মুর
কোন কাজ করতে হয় না সব কাজ শাকচুন্নিই করে।
সাথে আমার কাপড় ধোয়া কাপড় ইস্তারি দাওয়া যাবতীয় যা কাজ আছে বাড়ির
সবই করে।
এক সপ্তাহ পরে ভার্সিটিতে যাওয়া শুরু করলাম,, একই সাথে ভার্সিটিতে রিস্কা
করে যাওয়া,,, আবার ভার্সিটির শেষ করে একই সাথে রিসকা দিয়ে আসা,,,
আমার ক্লাস অবশ্যই তার ক্লাসের এক ঘণ্টা আগে শেষ হয়ে যায়,,, তার ক্লাস 1
ঘন্টা পরে শেষ হয়,,, আর 1 ঘন্টা আমি তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়,,,
অপেক্ষা না করে যদি চলে যায়,,, তাহলে আমার সাথে রাগ করে তিন দিন কথা
বলবে না,, আগে তো কথা না শুনলে থাপ্পর মারত,,, কিন্তু বিয়ের পর থেকে
আমাকে থাপ্পর দেয় না,,, আমি কোন কিছু বললে আবার কোন কিছু করলে,,,
রাগ করে অভিমান করে বসে থাকবে,,, রাতে সোফায় ঘুমাবে,,, আমাকে স্পর্শ
করতে ও দিবে না। তাই আমিও তার কথামতো বাধ্য হয়ে চলি,,,
প্রতিদিন রাতে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার বুকে মাথা রেখে ছোট বাচ্চার মত
ঘুমাবে,, আমিও তাকে ভালোবাসার স্পর্শ জড়িয়ে নেই,,, ভালোই চলতে
লাগলো দিন কাল,, আজকের তিন মাস হয়ে গেছে এখনো তাকে নিজের করে
পাইনি,,, রাতে 4 পাপ্পি দিনের 4 পাপ্পি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আমি মাঝে
মাঝে জোর খাটিয়ে তাকে একটু ভালোবাসা দেয়?
একদিন রাতে ল্যাপটপে এক বন্ধুর সাথে চ্যাট করতেছিলাম,,, হঠাৎ একটা
ইমেইল চোখে পড়ল, ইমেইল টা আসছে আজ থেকে 5 দিন আগে,, অনেকদিন
ধরে অনলাইনে থাকি না তাই ইমেইলটা চোখে পড়েনি,,, ইমেইল টা পরে যা
বুঝলাম,,, লন্ডন একটা ইউনিভার্সিটি তে এপ্লাই করেছিলাম,,, তারা আমাকে
সিলেক্ট করেছে,,, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে,, আগামী 27 তারিখে আমাকে
লন্ডন যেতে হবে,, এবং সব কাগজপত্র ফিলাপ করতে হবে,, 1 তারিখ থেকে
আমার ক্লাস শুরু হবে,,, তারমানে আর 15 দিন,,,
এখন চিন্তায় পড়ে গেলাম,,, আব্বু আম্মু কি রাজি হবে,,, বিশেষ করে আমার
শাকচুন্নি কে কি বলবো,,, আমি কি শাকচুন্নি কে ছাড়া থাকতে পারব,,, কেউই
হইত রাজি হবে না,,, কারণ এখন আমি একটা পাবলিক ভার্সিটিতে লেখাপড়া
করেছি,,, তাহলে বিদেশ যাওয়ার দরকার কি,,, সবার সামর্থ্য বা মেধা থাকে না,,
পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ার,,, আমার সাথে আমার তিন বন্ধু ভর্তি পরীক্ষা
দিয়েছিল কিন্তু ওরা চান্স পায়নি,,, আমি পেয়ে গেলাম,,, আবার মনে মনে ভাবলাম,, আব্বু একা ব্যবসা সামলাচ্ছে,,, আর ঈশিতা যেহেতু আমাকে শর্ত
দিয়েছে,, লেখাপড়া শেষ না করার আগে আমাদের ভবিষ্যত ফিউচার নিয়ে
ভাবা যাবে না,,, তাহলে দেশে থেকে কী করব,,, বন্ধু বান্ধবের আড্ডায় উড্ডায়
আরো লেখাপড়ার ক্ষতি হবে,,, ভাবলাম রাতে খাওয়ার সময় আব্বু আম্মুকে
কথাটা বলব।
কিছুক্ষণ পরে নিচে খেতে গেলাম,,, আমার শাকচুন্নির সবাইকে খাবার বেড়ে
দিচ্ছে,, আমি অল্প খেয়ে উঠে পড়লাম,,
ইমেইল টা আসার পরে থেকে ভালো লাগছে না,,, আব্বু আম্মু জিজ্ঞাসা করল
খাবার শেষ না করে উঠে পড়লি কেনো,
আসলে আমার তে রকম খিদে নেই,, তাই অল্প খাওয়ার পরেই পেট ভরে গেছে।
একথা বলে আমি রুমে চলে আসলাম,,
কিছুক্ষণ পরে আমার সিনিয়র শাকচুন্নি আসলো।
কি হয়েছে কোন সমস্যা,,, খানা না খেয়ে রুমে চলে আসছো কেন?
না এমনি,, আব্বু আম্মুকে রুমে আছে।
হ্যা আছে কেন?
একটু কাজ আছে আমি আব্বু আম্মুর সাথে একটু কথা বলে আসি,,, আমার
শাকচুন্নি কৌতুহল হয় আমার পিছনে আসতে লাগলো,,,।
আমি আব্বু আম্মুর কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম,,
আম্মু বলতে লগ্লো কি হলো কিছু বলবি।
আসলে আম্মু,, আব্বু একা ব্যবসা সামলাচ্ছে, একবার এখান থেকে ওখানে
আবার ওখান থেকে এখানে,, এত দৌড়াদৌড়ি করছে,,, আমিতো আব্বুকে হেল্প
ওকরতে পারছি না,,, তাই বাহিরে একটা ভার্সিটিতে এপ্লাই করেছিলাম,,,
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী 27 তারিখের আমাকে যেতে বলল। আর 1
তারিখ থেকে ক্লাস।
কি বলিস তুই,,, দেশের বাহিরে গিয়ে লেখাপড়া করবি কেন,, দেশের সবচেয়ে
ভালো ভার্সিটিতে লেখাপড়া করছিস,,, এখানে লেখাপড়া শেষ করবি,,, দেশের
বাহিরে যাওয়ার দরকার নাই।
আম্মু প্লীজ আমার অনেক দিনের স্বপ্ন দেশের বাইরে কোন একটা ইউনিভার্সিটি
তে লেখা পড়া শেষ করব,,, তারপর আব্বুর সাথে ব্যবসায় জয়েন করব।
তুই কেন বুঝিস না বাবা তুই আমাদের একমাত্র ছেলে তুই এত দূরে থাকবি
তাহলে আমরা কিভাবে থাকবো,,, আর বিশেষ করে ঈশিতা মেয়েটা এক মুহূর্ত
তোকে ছাড়া থাকতে পারবে।
ঈশিতার কথা চিন্তা করো না ওকে আমি বুঝিয়ে বলব,,, এখন তোমরা বলো কি
করতে।
আচ্ছা ঠিক আছে ঈশিতাকে যদি তুই বোঝাতে পারিস,,, তাহলে যাবি সমস্যা
নাই।
ঈশিতার কথা চিন্তা করো না ওকে আমি বুঝিয়ে বলব,,, এখন তোমরা বলো কি করতে।
আচ্ছা ঠিক আছে ঈশিতাকে যদি তুই বোঝাতে পারিস,,, তাহলে যাবি সমস্যা নাই।
আমি আম্মুর রুম থেকে বাহির হতে যাবো দেখি শাকচুন্নি দরজায় দাঁড়িয়ে আছে,,,
আমাকে দেখে মুখটা কালো করে রুমের দিকে যেতে লাগল,,,
আমি রুমে ঢুকে দেখি মুখ ফুলিয়ে খাটের এক সাইডে বসে আছে,,, আমি আস্তে
আস্তে তার কাছে গেলাম,,, এবং তার হাত দুটো ধরে বলতে লাগলাম।
কি হয়েছে এভাবে মুখ কালো করে চলে আসলে কেন।
তুই লেখাপড়া শেষ করতে বাহিরে যেতে হবে কেন,, যে ভার্সিটিতে এখন পড়তেছিস
সেখানেই তো লেখাপড়া শেষ করা যায়,,, তাছাড়া আমি তোকে না দেখে থাকতে পারবো না।
আরে তুমি তো বলেছ লেখাপড়া শেষ না করার আগে আমাদের ফিউচার
নিয়ে না ভাবতে,, আগে নিজের পায়ে দাঁড়াতে তাছাড়া দেশে বন্ধু বান্ধবের
আড্ডা ওড্ডায় পড়ালেখায় ভালো ভাবে মন ও বসাতে পারি না,,, আর তোমাকে
কে বলল তুমি আমাকে দেখতে পারবে না,, আমি তো প্রতিদিন তোমার সাথে
কথা বলবো,, ভিডিও কলে তোমাকে দেখবো।
তারপরও আমি থাকতে পারবো না।
দেখো তুমি সব বুঝো,, যেহেতু আমরা এখন পড়ালেখা ছাড়া অন্য কোনো চিন্তা
করছি না,,, তাহলে ভালোভাবে পড়ালেখাটায় শেষ করি,,, আর আমার অনেক
দিনের স্বপ্ন বাহিরে কোন ভার্সিটিতে পড়ালেখা শেষ করব,,, তুমি চাওনা আমার স্বপ্ন পূরণ হোক।
কিন্তু?
কিসের কিন্তু?
ভয় করে?
কিসের ভয়?
তোকে নিয়ে ওই জায়গায় তো অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়ে,,, ওইখানে গিয়ে
যদি আমাকে ভুলে যাস।
পাগলি মেয়ে তোমাকে আমি ভুলতে পারবো,, তুমি যে আমার অন্তরের সাথে
মিশে গেছো,,, নিজেকে নিজে ভুলতে পারি কিন্তু তোমাকে ভুলতে পারবো না,,
বিশ্বাস রাখু শুধু আমার উপর তোমার বিশ্বাসের আমি অমর্যাদা করবো না,,
এখন অনেক রাত হয়েছে চলো ঘুমাবে,,
আমার সিনিয়র বউ আর কোন কথা না বলে চুপচাপ আমার বুকে মাথা দিয়ে
আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল।
দিন চলতে লাগলো আর আমারও যাওয়ার দিন ঘনিয়ে আসতে লাগলো,,,
এর ভিতরে বউকে একদিনের জন্য নিজের করে আদর করতে পারেনি,,,
আর মাত্র 2 দিন বাকি আছে,, সব ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে,,, প্রতিদিনের মতো
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেলাম,,,
রিয়া শামিম মিশাল ফারিয়া এরা সবাই পার্কে বসে আছে,,, আমি একটা রিস্কা
নিয়ে পার্কে গেলাম,,, পার্কের ভেতরে ঢুকতে যাবো দেখি একটা গাছের নিচে,,
একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে বসে আছে,,, আর মেয়েটা ছেলেটার কূলে বসে
আছে ছেলেটার মুখের দিকে মুখ দিয়ে,,, আর ছেলেটা একটু পরপর মেয়েটাকে
ঠোটে চুমু দিচ্ছে আরো অশ্লীল কিছু কাজকর্ম করছে, এমন
দৃশ্য দেখে আমার শরীর কেমন জানি একটা শিহরিত হয়ে উঠল।
আমি রিয়া শামিম মিশাল ফারিয়া সবার সাথে পার্কে দেখা করলাম,,,
ঘন্টাখানেক আড্ডা দিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম,,,
ওই ছেলে মেয়ের দৃশ্য এখনো চোখে ভাসছে,,,
রুমের ভিতর প্রবেশ করে দেখি আমার সিনিয়র বউ বিছানা গোছাচ্ছে আমি গিয়ে
তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম,, সে একটু ভয় পেয়ে গেল,,,
★এই কি করছো ছাড় বলছি,, আমি কাজ করছি দেখতে পাচ্ছ না,,,
কোন কাজ করতে হবে না,,, আর আজ তোমাকে ছাড়ার জন্য ধরে নিয,,
, এ কথা বলে তাকেও দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলাম,,, সে যাওয়ার জন্য
ছুটোছুটি শুরু করলো,, আমি দু হাত দু সাইডে দিয়ে তাকে আটকে ধরলাম,,
তারপরও যাওয়ার জন্য জোরজবস্তি শুরু করলো,,
দিলাম এক ধমক,, কি হয়েছে তোমার এরকম ছোটা ছুটি করছ কেন,,,
আমার ধমক শুনে একটু চুপ মেরে গেলো,,। আমি আস্তে আস্তে তার ঠোঁটের
দিকে আমার ঠোঁট নিতে লাগলাম,, সে চোখ বন্ধ করে ফেলেছে,, তার নিঃশ্বাস
আর আমার নিঃশ্বাস খুব কাছাকাছি,, তার ঠোঁট জোড়ার গুলো আরেকটা সুখের
ছোঁয়া পেতে কাঁপতে লাগলো,, সে চোখ বন্ধ করে তার গোলাপি
ঠোঁট জোড়া ফেভিকলের আঠার মত একসাথে লাগিয়ে আছে,,, অল্প অল্প কাঁপছে,,
আমি আস্তে আস্তে তার ঠোঁটের কাছে আমার ঠোট জোড়া নিয়ে আবার ফিরিয়ে আনলাম,,,
আমার ঠোটের স্পর্শ বিলম্ব হতে দেখে তার চোখ আর ঠোঁট জোড়া খুলে আমার দিকে তাকালো,,
আমি সাথে সাথে তার খোলা ঠোঁটে আমার ঠোট ডুবিয়ে দিলাম,,, সে তার হাত দিয়ে
আমার চুল খামচে ধরেছে,,, আমি তাকে পাগলের মত কিস এবং আদর করতে লাগলাম,,,
আদর করার এক পর্যায়ে তার বুক থেকে আচলটা আমি ফেলে দিলাম,,, সে সাথে সাথে বলতে লাগল কি করছিস।
আজ তোমাকে আমি আমার নিজের করে পেতে চাই।
তুই কি পাগল হয়েছিস,, তুই আমাকে কথা দিয়েছিস কিন্তু।
হ্যা কথা দিয়েছি কিন্তু কথা আমি আজকে রাখতে পারব না,,, আমার আর যাওয়ার
দুই দিন বাকি আছে এ দুদিন আমি তোমাকে আমার করে পেতে চাই,,, এ কথা বলে
তাকে আমি জোর করে আদর করতে লাগলাম,,, সে আমাকে জোরে একটা ধাক্কা মারলো,,,
আমি তার ধাক্কা সামলাতে না পেরে ওয়ারড্রব এর সাথে বারি খেলাম,,
সাথে সাথে কপালে ব্যথা অনুভব করলাম,, কপালে হাত দিয়ে দেখে রক্ত,,,
অল্প একটু কেটে গেছে,,, আমার সিনিয়র বউ আমার কপালে রক্ত দেখে দৌড়ে
আমার কাছে আসলো,,, এবং আমার মাথা ধরে বলতে লাগলো,, হায় আল্লাহ এ
আমি কি করলাম,, সরি সরি আমি ইচ্ছে করে তোমাকে ধাক্কা মারে নি,,, প্লিজ
আমার ভুল হয়ে গেছে,,, সে দৌড়ে ডেটল এবং ব্যান্ডেজ নিয়ে আসলো,,, আমার
মাথা ব্যান্ডেজ দিয়ে বাধতে যাবে,,, আমি এক ঝটকা দিয়ে তার হাত সরিয়ে ফেললাম,,
এবং মাথায় হাত দিয়ে রাগ করে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম,, সে পিছন থেকে কান্না
করতে লাগল আর বলতে লাগলো,, কোথায় যাচ্ছিস,,, আমার ভুল হয়ে গেছে।
আমি তার কোন কথা শুনলাম না,, বাইরে বের হয়ে একটা ফার্মেসিতে গিয়ে
মাথাটা ব্যান্ডেজ করে নিলাম,,, তারপর দুজন বন্ধুকে ফোন করে এনে দোকানে
বসে আড্ডা শুরু করলাম,,, দুপুরে লাঞ্চ টাইম পাড়িয়ে গেছে,,, আমি এখন অব্দি
বাসায় যাই নাই,,, বন্ধুরা কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে চলে গেল,,, আমি দোকানে বসে
আছি বিকাল 4 টা বাজে,,, হঠাৎ করে মোবাইলটা পকেট থেকে বের করলাম,,
সাথে সাথে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখি,, হায় হায় সর্বনাশ ১০২টা ফোন ৫ টা আম্মুর
আর বাকিগুলো ঈশিতার। ২ মিনিট পরে আবার ফোনটা বাজতে লাগলো,,, আম্মু ফোন
দিয়েছে,,, আমি ফোনটা রিসিভ করলাম,,,
হ্যালো?
কোথায় তুই তাড়াতাড়ি বাসায় আয় ?
কেন কি হইছে?
তুই সারাদিন বাসার বাহিরে আর ঐদিকে ঈশিতা কখন থেকে রুমের দরজা বন্ধ করে
কান্না করছে,, আমি অনেকবার গিয়ে ডেকেছি খাবার জন্য,, কিন্তু দরজায় ওই খুলে না,,
তুই তাড়াতাড়ি বাসায় আয়।
আমি ফোনটা কেটে দিয়ে বাসার দিকে যেতে লাগলাম,,,বাসায় আমার রুমে গিয়ে
স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি কান্নার আওয়াজ,, আমি দরজা একটা ধাক্কা দিয়ে ডাক দিলাম,,,
কিন্তু কান্না করে যাচ্ছে দরজা খোলা নামে কোন খবর নাই,,, আমি আরো কই একটা
ধাক্কা দিলাম এবং ডাক দিলাম,,, কিন্তু দরজা খুলছে না,,, এবার আমি একটু রেগে
বললাম,, ঠিক আছে যত পারো কান্না করতে থাকো,,, দরজা খোলার দরকার নাই,,
আমি আবার বাহিরে চলে যাই,,, সাথে সাথে দরজা খুলে দিল,, এবং আমাকে
জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল।
আমার অনেক খারাপ লাগছে এভাবে কখনো কান্না করতে দেখি নাই, আমার
এরকম করা ঠিক হয়নি।
আমি তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,, আরে কি হয়েছে এভাবে কান্না করছো কেন,,
আসলে আমি সরি,, ওই সময় আমার মাথা ঠিক ছিল না,,, এই যে তোমাকে ছুঁয়ে বলছি
তোমার অনুমতি ছাড়া তোমাকে আমি টাচ করবো না,, আবার একটু কান্না টা স্টপ কর,,,
সে এক নাগাড়ে কেঁদেই যাচ্ছে,, আর ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় বলতে লাগলো,,, আমি সরি,
আমি ইচ্ছে করে এমন টা করিনি,,, আমি বুঝতে পারিনি এভাবে লেগে যাবে প্লিজ আমাকে
ক্ষমা করে দে।
আরে কি বলছো তুমি,, আমার তেরকম কিছু হয়নি,, আর তুমি কান্না করতে করতে চোখ
গুলো লাল করে ফেলেছো,, এই সামান্য বিষয় নিয়ে এভাবে কান্না করতে হয়।
তুই আমার ফোন ধরিস নি কেন।
আমার ফোন ভাইব্রেশন লাগানো ছিল তাই ধরতে পারিনি।
তুমি খেয়েছো?
তোকে ছাড়া খেয়েছি কখনো।
তুমি না খেয়ে এভাবে কান্না করছো কেমনটা লাগে বলতো'' চলো খাবে,, একথা বলেন আমি
তাকে কোলে তুলে নিলাম,, সে তার হাত দিয়ে আমার গলা জড়িয়ে ধরলো আর
বলতে লাগলো,,, কি করছিস খালামণি দেখবে তো।
আম্মু দেখলে দেখুক আমার বউকে আমি কোলে নিবো কার কি,।
আম্মু দেখলে দেখুক আমার বউকে আমি কোলে নিবো কার কি,।
আমি ঈশিতাকে কোলে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচতলায় নামছি,, এমন সময় আম্মু
হুট করে কোথায় থেকে যেন এসে পড়লো।।। আমার সিনিয়র বউ আম্মুকে দেখে
আমার কোল থেকে নামার জন্য ছটফট করতে শুরু করলো,,, আমি একটু
রাগী লুক নিয়ে তার চোখের দিকে তাকালাম,,, সে সাথে সাথে চুপটি মেরে
গেল,,,
আম্মু বলতে লাগলো কি হয়েছে ঈশিতার,, এতক্ষণ রুমে বসে কান্না করছিল,,,
এখন তুই কোলে নিয়ে নিচে নামছিস কোন সমস্যা হয়েছে নাকি,,,
আমার সিনিয়র বউ আম্মুর কথা শুনে লজ্জায় মুখ লাল করে আমার বুকের
দিকে মুখ ঘুরালো,,,
আমি থমথমে গলায় বললাম,, আসলে ঈশিতার অনেকক্ষণ ধরে নাকি কি জন্য
পায়ে ব্যথা করছিল,, তাইলে নিচে নেমে খাবার খেতে পারেনি?
আমার কথা শুনে আম্মু বলতে লাগল বোকা মেয়ে এমন বোকা মেয়ে তো দেখি
নাই,, পায়ে ব্যথা করলে আমাকে বলবি না,,, না খেয়ে দরজা বন্ধ করে কান্না
করলে পায়ের ব্যথা যাবে,,যা ওকে নিয়ে উপরে যা তারপর পায়ে ব্যথার মলম
লাগিয়ে দে,,, আমি তোদের দুজনের জন্য খাবার নিয়ে আসছি
আমি আমার সিনিয়র বউকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসলাম সে সাথে সাথে
আমার কল থেকে নেমে পড়লো,, তারপর বলতে লাগলো,,, আমি বলছিনা
খালামণি দেখে ফেলবে।।
আরে আম্মু দেখেছে তো কি হয়েছে।
যাহ খালামণির সামনে বুঝি আমার লজ্জা করে নাই,, খালামণি এখন কি
ভাববে,,।
আরে আমার লজ্জাপতি সিনিয়র বউ আম্মু কিছু ভাববে না,,, ছেলে তার ছেলের
বউকে করে নিয়েছে তাতে কি ভাবার আছে,,
একটা বারি দিয়ে মাথাটা ফাটিয়ে ফেলবো।
ওমাহ আমি আবার কি করলাম মাথা ফাটাবে কেন।।
সিনিয়র বউ বলিস কেন,, শুধু বউ বলতে পারিস না ।
আচ্ছা ঠিক আছে সিনিয়র বউ বলবো না সিনিয়র শাকচুন্নি বলবো,,
কি বললি?
না কিছু না?
কিছু না মানে তুই সিনিয়র শাকচুন্নি বললি কেন,,,
সরি মুখ ফসকে বের হয়ে গিয়েছে।
মুখ ফসকে বের হইনি তুই ইচ্ছেকৃতভাবে বলেছিস,, আজকে খাইছি তোরে
আমি।
আরে কি করছো ছাড়ো আমাকে,,তোমার না পায়ে ব্যাথা,
কিসের ব্যথা?
ওমা আম্মুকে না বললাম তোমার পায়ে ব্যাথা, এখন আম্মু যদি এসে দেখে তুমি
ব্যথা নিয়ে তার ছেলের গলা চেপে ধরে আছো, তাহলে আম্মু ও বুঝে ফেলবে যে
তোমার পায়ে খুব ব্যথা নাই,, তোমাকে আমি এমনি এমনি কূলে নিয়েছিলাম।
ও হ্যা তাই তো?
এখন চুপচাপ সোফায় বসে পড়ো,, আমি তোমার পায়ে মলম লাগিয়ে দেয়।
মলম লাগাবি কেন আমার পায়ে তো ব্যাথা নাই,,,
আরে আম্মু না বলল তোমার পায়ে মলম লাগিয়ে দেওয়ার জন্য।
আচ্ছা ঠিক আছে?
আমি আমার সিনিয়র বউয়ের পায়ে মলম লাগিয়ে দিচ্ছি, এমন সময় আম্মু
খাবার নিয়ে রুমে আসলো,, দুজনে হাত মুখ ধুয়ে এসে খাবার খেতে বসলাম,,,
কিন্তু আমার শাকচুন্নি নাকি খেতে পারবে না,,, আমি তো জানি শাকচুন্নি কি
জন্য বললো খেতে পারবে না,,, আমি নিজের হাতে শাকচুন্নি কে খাইয়ে দিলাম।
শাকচুন্নির ছোট বাচ্চার মত ভাত চিবানো দেখলে আৃার যে কি ভাল লাগে,,,তা
বলে বুঝাতে পারবোনা।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ছাদে দুজনে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম,,,
আমার যাওয়ার আর দুদিন বাকি আছে,, কিছু শপিং করতে হবে,,, তাই বিকালে
বাসা থেকে বের হলাম শপিং করার জন্য,,, কিন্তু শাকচুন্নি আমার সাথে শপিং
যাবে না,,, শপিং করতে নাকি ওর ভালো লাগেনা।
শপিং করে রাতে বাড়ি ফিরলাম,,, রাতের খাবার খেয়ে খুব ক্লান্ত লাগছে,, রুমে
গিয়ে বিছানায় গা টা এলিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পরে আমার শাকচুন্নি রুমে
আসলো,,, এসে দেখে আমি বিছানায় শুয়ে আছি তাই জিজ্ঞাসা করল,, তোমার
কি শরীর খারাপ,, আমি মাথা ঝাকিয়ে দিয়ে না বললাম,,,,, আমার মাথা ঝাকি
দেখে রেগে বললো,, মুখে কি কোন কিছু ঢুকছে নাকি ইদুর বিড়াল টিড়াল,, মুখে
বলা যায় নাহ।
আমি তার কথা কোন উত্তরই দিলাম না বালিশের নিচ থেকে মোবাইলটা বের
করে,, টিপতে লাগলাম,, সে রাগ করে আমার পাশেই শুয়ে পরল,,, আমি
মোবাইল টিপছি আড়চোখে তার দিকে তাকাচ্ছি,,, সে এপাশ ওপাশ করছে,,
কি যেন বলবে মনে হয়,,, কিন্তু আমার এ অবস্থা থেকে রাগে কিছু বলতে পারছে
না,, আমি দিব্য মোবাইল টিপেই যাচ্ছি,,
সে অনেকক্ষণ নড়াচড়া করে আমার কাছে ঘেষতে লাগলো,,, তারপরও আমি
একনাগারে মোবাইল টিপেই যাচ্ছি,, সে এবার আর চুপ থাকতে পারিনি,,বলতে
শুরু করলো,, কি আছে মোবাইলে,,,এভাবে মোবাইল টিপছো,, ওখানে গিয়ে
যদি এভাবে মোবাইল টিপো তাহলে লেখাপড়া তো কারে উঠবে,,,
আমি তার কোন কথার জবাব দিচ্ছি না,,, সে এবার আমার বুকে চলে আসলো,,
এবং আমার হাত থেকে মোবাইলটা ছো মেরে নিয়ে নিল,,, কি করছো,, আমার
উপরে আসলা কেন।
ওপরে আসলাম মানে।
দুপুরে আমি তোমাকে কথা দিয়েছি তোমার অনুমতি ছাড়া তোমাকে টাচ করব
না।
তুমি আমাকে কথা দিয়েছো টাচ করবা না
কিন্তু আমি তো কথা দেইনি,, আমি আমার স্বামীর উপরে আসবো না আসবো
তাতে তোমার কি হ্যাহ।
মানে তুমি আমার ওপরে আসবা আর আমার কিছু না।।
না তোমার কিছু না,,, দুপুরের জন্য এখনো মৃার উপর রাগ করে আছো,,,আচ্ছা
ঠিক আছে দুপুরের জন্য আমি সরি,, আমি ইচ্ছে করে এ মনটা করে নি,,, খুব
লেগেছিল না?
আমি কোন কথা বললাম না?
কি হলো কথা বলবা না,, আচ্ছা ঠিক আছে আমি আদর করে দিচ্ছি,, একথা
বলে আমার কপালে কয়েকটা চুমু দিল,, তারপর বলল এখন ঠিক আছে তো,,
এখন তো রাগ কমেছে নিশ্চয়ই,,,
নাহ এখন ও রাগ কমেনি,,,
কি বলো তুমি,, এখনো রাগ কমেনি,, তাহলে কি করলে রাগ কমবে তোমার,,
এক কাজ কর আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরো,, তাহলে তোমার রাগ কমে
যাবে।
(((কি লজিক শক্ত করে জড়িয়ে ধরলে রাগ কমে যাবে)))
কি হলো ধরো না কেন?
না ধরবো না?
না ধরলে দুপরে যে জায়গায় ব্যথা পেয়েছ সে জায়গায় দিব একটা,,,
কি দিবা,,
বাঁশ দিয়া বারি,,,
কিহহ?
না কিছু না
কিছু মানে তুমি যে বললা বাঁশ দিয়ে বারি৷ দিবা
না বাবু আমি বাঁশ দিয়া বারির কথা বলি নাই,,আমি চুমুর কথা বলছি,,, এই যে
আর একটা চুমু দিচ্ছি,,, এবার তো জড়িয়ে ধরো প্লিজ।
আমি কিছু না বলে.......
আমি কিছু না বলে পাগলীটাকে জড়িয়ে ধরলাম,, সে আমার বুকে মাথা দিয়ে
শুয়ে পড়লো,,,
হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম সে ঘুমাচ্ছে না নড়াচড়া করছে,,, আর বারবার আমার
বুক থেকে মাথা তুলে আমাকে দেখছে,,, আগে তো এরকম করে নি,, আমার
বুকে শুয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ করে আমাকে বলতে লাগল।
এই
কি?
এই?
কি?
একটা কথা বলব?
হ্যা বল?
আমি না?
হ্যা বল?
আমি না?
কি তুমি না?
আমি না?
আরে কি আমি না আমি শুরু করছো?
আমি মুখে বলতে পারব না কানে কানে বলবো?
আচ্ছা ঠিক আছে বল,,, আমার সিনিয়র বউ কানে কানে যে কথা বলল,,, তা
শুনে আমার চোখ চাড়কগাছ হয়ে গিয়েছে,,, সে নাকি আমার আদর পেতে চাই
আমার ভালোবাসা পেতে চাই আমার স্পর্শ চাই,, কিন্তু মাগার বেবী টেবির প্লান
করা যাবে না,,, সমস্যা নাই,,, আমিতো এর সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিলাম।
সে আমার কানে কানে এ কথা বলে লজ্জায় আমার বুকে মুখ লুকালো,,, আমি
তার মাথাটা আমার বুক থেকে তুললাম,,, তারপর তার দিকে তাকালাম,, সে
চোখ বন্ধ করে আছে,,, আর আমি এই সুযোগে আমার ঠোট তার ঠোঁটের কাছে
কাছে নিতে লাগলাম,,, তার শ্বাস প্রশ্বাস আমার মুখের উপরে পড়ছে,,, তার বুক
দ্রুত ওঠানামা করছে আমি বুঝতে পারছি। একসময় তার ঠোটের সাথে আমার
ঠোঁট এক হয়ে যায়,, সে নিজেকে সামলাতে পারছেনা,, আমার প্রতিটি ছোঁয়ায়
সে কেপে উঠছে,,, এক সময় দুজন দুজনার মাঝে হারিয়ে যেতে লাগলাম।।
দুটা দিন খুব ভালোভাবে কেটেছে,,, এই দুইটা দিন হিসাব করলে জীবনের
সবচেয়ে আনন্দময় দিন ধরা যেতে পারে়।।।
আজকের বিকাল 5 টা বাজে আমার ফ্লাইট,,, যতা সময় বন্ধুবান্ধ
আত্মীয়স্বজন সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ীতে উঠলাম,,,আমার খুব
খারাপ লাগছে,,, বন্ধুবান্ধব সবাইকে ছেড়ে এত দূরে চলে যাচ্ছি,,, ভাবতেই
কেমন যেন একটা কষ্ট লাগছে,, বন্ধু বান্ধবের সাথে কত আড্ডা উড্ডা দিলাম,,
হাসির রং তামাশায় খেলাধুলায় জীবনটাকে মাতিয়ে তুলেছিলাম,, আর হয়তো
সেই সোনালী দিনগুলো জীবনে ফিরে আসবে না। শত ইচ্ছে করলেও সব বন্ধু
বান্ধব এক হয়ে আর আড্ডা দিতে পারব না,,, কারন ততদিনে হয়তো সবাই যার
যার কর্ম জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে,,,
গাড়িতে বসে আছি,,, গাড়ির ভিতরে কারো মুখের দিকে তাকাতে পারছি না,,,
সবার মুখ কালো হয়ে আছে। হয়তো আপন জন দূরে চলে গেলে,, যে একটা
কষ্ট বুকে জমা হয় সে কষ্ট থেকে আপনা আপনিই মুখ কালো হয়ে যায়।
গাড়ি এয়ারপোর্টে গিয়ে পৌঁছালো,,, এখন সবাই থেকে বিদায় নিয়ে ভিতরে
ঢুকার পালা,,, মা বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম,,, চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে
আসছে,,, মা-বাবাকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি না,,, বিদায় টা এত কষ্টের হয় কেন,,
মা বাবার সামনে দাঁড়াতেই টপ টপ করে চোখ থেকে পানি পড়তে লাগলো,,,
আমার মা আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউ মাউ করে কেঁদে দিলেও সাথে বাবা ও,,,
আমিও তাদের কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম,,, ঈশিতার দিকে তাকিয়ে দেখি
বার বার ওড়না দিয়ে মুখ মুচছে চোখ দুটো লাল হয়ে আছে।
মামা এসে আব্বু আম্মুকে বলতে লাগলো,, ওকে জড়িয়ে ধরে যদি এভাবে কান্না
করতে থাকো তাহলে ও যাবে কিভাবে,, ফ্লাইট মিস করবে তো। আব্বু আম্মু
নিজেদেরকে সামলে নিল,,, তারপর আম্মু আমাকে কপালে চুমু দিয়ে বলতে
লাগলো।
বাবা সাবধানে থাকবি,,, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করবি,,, বেশি রাত জাগবি
না,,, তোর তো আবার রাত জাগার অভ্যাস আছে,,, ঠিক মত পড়ালেখা করবি,,,
কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ করবিনা,, খারাপ মানুষ থেকে দূরে থাকবি,, খারাপ
কোন জিনিস খাবি না,,, সময় পেলেই আমাকে ফোন দিবি,,,, আরো নানান
উপদেশ দিতে লাগল,,, হঠাৎ করে বলতে লাগল,,, ওই দেখ ঈশিতা মেয়েটা
কিভাবে কান্না করছে,,, যা মেয়েটাকে কিছু বলে আই???
আমি আস্তে আস্তে আমার শাকচুন্নির কাছে গিয়ে দাড়ালাম,,, সাথে সাথে
শাকচুন্নি আমাকে জড়িয়ে ধরে,,,ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না শুরু করে দিল,, আমি
তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,,, আরে পাগলী এভাবে কাঁদলে আমি যাব
কিভাবে,,, আমার যে ফ্লাইটের টাইম হয়ে গেছে,,, যাবার সময় এভাবে কাঁদলে
আমি যেতে পারব,,, কিন্তু আমার শাকচুন্নি আমার কোন কথাই শুনছে না,,,
কেঁদেই চলছে,,,
আমি আব্বু আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ইশিতার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম
সাথে সাথে আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো।
আমি তাকে কি বলে সান্তনা দিবো ভাষা খুজে পাচ্ছিনা,, কিছুক্ষণ পরে আমি
তার মাথাটা আমার বুক থেকে তুলে তার চোখে পানি মুছে দিয়ে বললাম যে
ভাবে কান্না করছো,,, মনে হচ্ছে আমি তোমাকে ছেড়ে,, আজীবনের জন্য চলে
যাচ্ছি,,, এভাবে কান্না করলে আমি যেতে পারবো,,,আমি তোমার সেই মিষ্টি
হাসি মাখা মুখটা দেখে যেতে চাই,,,কি দিবানা সেই হাসি মাখা মুখে বিদায়,,
আমার কথা শুনে মাথা ঝাকি দিয়ে বললো হ্যা দিবো,,,তাহলে চোখের
পানি মুছো,,,আর তাকাও আমি দিকে,,, আমি তার কাঁধের উপর দুহাত দিয়ে
বললাম,,একদম টেনশন করবা না আমাকে নিয়ে,,,আমি তোমাকে প্রতি মিনিটে
ফোন দিবো,,ঠিকটাক মত খাওয়া দাওয়া করবে হ্যা,,আর আব্বু আম্মুর খেয়াল
রেখো,,,বাসা থেকে ভার্সিটি ছাড়া বাহিরে যাওয়ার দরকার নাই,,এখন তুমি
কোন মেয়ে না- কারো -স্ত্রী কারো বাড়ির বউ সাবধানে চলা ফিরা করবা,, যদি
পারো যে বোকরাটা পড়ে আমার সাথে বাজার গিয়েছিলা সেই বোকরাটা পড়ে
বাহিরে বের হবা,,,কেউ যেন আমার রেখে যাওয়া আনামতের দিকে নজর দিতে
না পারে,,,কি হল কথা বলোনা কেন,,,
(ইশিতা))তুমি যে ভাবে বলবা আমি সেই ভাবেই চলবো,,,কেউ তোমার
আনামতের দিকে নজর দিতে পারবে না,,,
আমি আমার সিনিয়র বউয়ের কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম,, তাহলে এখন
একটু হাসো,,আমার যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে,,ইশিতা একটা মুছকি হাসি
দিল কিন্তু সেই হাসিতে কোন প্রাণ নেই আসলে প্রিয় এবং কাছের মানুষ যদি
দূরে কেথাও চলে যায়,,,সেই কাছে মানুষকে বিদায় দেওয়াটা যে কতটা কস্টর
মুহূর্ত শুধু তারাই অনুভব করতে পারবে যারা কাছের এবং প্রিয় মানুষকে দূরে
কোথাও যাবার সময় বিদায় দিয়েছে ,,,আমি বললাম তাহলে আসি,,,একা কথা
বলার সাথে সাথে ইশিতা আমার বুকে যাপিয়ে পড়লো,,,আর বলতে লাগলো।।
,একা কথা বলার সাথে সাথে ইশিতা আমার বুকে যাপিয়ে পড়লো,,,আর বলতে
লাগলো
আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না,,,
পাগলি মেয়ে আমি তো আজীবনের জন্য চলে যাচ্ছি না মাএ তো কয়েকটা
বছর তারপরে তো আবার তোমার কাছে ফিরে আসব,,, এভাবে কান্না করলে
আমি তো যেতে পারবোনা ,,,,প্রিয় মানুষ গুলো কে হাসি মুখে বিদায় দিতে
হয়,,ইশিতা একটু স্বাভাবিক হয় নাক টানতে টানতে বলতে লাগলো,, যে ভাবে
যাচ্ছো সে ভাবে ফিরে আসবা,,,
হ্যা আসবে
আর ঐ জায়গায় কিন্তু অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়েরা আছে,,দেখতে সেম
বান্দরের মত ওদের সুন্দরের লোভে পড়বানা,,,,ঐ লাল চামড়ার মেয়েদের থেকে
১০০হাত দূরে থাকবা,,,কি হল আমি কি বলছি বোঝতে পারছোনি,,,
হ্যা বোঝতে পারছি,,,(,আমি)
আর ঠিকটাক মত খাওয়া দাওয়া করবা,,,শরিলের যত্ন নিবা,,,ঐ জায়গায়
একদম অগোছালো ছেলেদের মত থাকবেনা,,,বাহিরে ঘোরাঘুরির দরকার নাই,,
ভার্সিটি টু হোস্টেল,,, হোস্টেল টু ভার্সিটি,,,এর বাহিরে কোন জায়গায় যাবা
না,,মন দিয়ে পড়বা,,,মোবাইলে খারাপ কোন ভিডিও দেখতে পারবা না,,বলে
দিলাম,,, প্রতিদিন আমার সাথে মোবাইলে কথা বলতে হবে,,,তা না হলে কিন্তু
আমি না খেয়ে থাকবো,,,আর ঐ জায়গায় যদি উল্টো পাল্টা কিছো কর,,
তাহলে কিন্তু আমাকে হারাবা,,,
((আমি))তোমাকে হারাবো মানে ""
((ইশিতা))আমি ইস্টেট মারা,,,
কথাটা শেষ করতে দেয়নাই তার আগেই তার মুখে হাত দিয়ে চেপে দরলাম
চুপ একদম একথা বলোনা,,,,,,তুমি যে ভাবে বলবা সে ভাবেই ঐ জায়গায়
চলবো,,,তুমি একদম আমাকে নিয়ে টেনশন করবানা,,আমি তোমারি আছি
তোমারি থাকবো,,,,বোঝতে পেরেছো,,,ইশিতা মাথা ঝাকি দিয়ে বললো হ্যা
এখন তাহলে আমি যায়৷, ,,
আচ্ছা ঠিক আছে,,,যায় বলিনা বলো আসি,,,
আচ্ছা আসি তাহলে,, সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এয়ারপোর্টের ভিতরে
ঢুকবো,,এয়ারপোর্টের টারমিলানালের বাহিরে শেষ কদমটা রাখার আগে
পিছনে একবার ঘুরে দাঁড়ালাম,,, দেখি আব্বু আম্মু নিরভাক হয়ে দাড়িয়ে আম্মু
চোখের জল মুছার ব্যর্থ চেষ্টা করতেছে,,,কিন্তু পারছে না,,,কোন বাবা মা প্রিয়
সন্তানকে দূরে কোথাও পাঠানোর সময় স্বাভাবিক থাকতে পারে না,,,ইশিতার
দিকে একবার তাকালাম ছাতক পাখির নয়ন জোড়ার মত তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে
আমার যাবার পথের দিকে তাকিয়ে আছে,,
আমি খেয়াল করে দেখলাম আমার চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে আসছে,,চোখের
কোণে কয়েক ফোটা নোনা জল এসে জোড়ো হয়েছে,,আর পিছনে না তাকিয়ে
সোজা ভিতরে চলে গেলাম,, বিমান লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়ার কিছু
মুহূর্ত আগে বড় একটা নিঃশ্বাস নিয়ে আমার সোনার দেশের মাটির ঘ্রাণ
নিলাম,, আব্বু আম্মুর আর ইশিতার বলা কথা গুলো মনের গোপন সিন্দুক
কোটায় জমা করে রাখলাম যেন সেখান থেকে বের করে তা অক্ষরে অক্ষরে
পালন করতে পারি,, চলে আসলাম সেই জীবন স্বপ্ন পূরণের ভার্সিটিতে,,দুদিন
হোস্টেলে থাকলাম,,,দুদিনে অনেক জায়গা ঘুরা হয়ে গিয়েছে,,,ইশিতা ঠিকিই
বলছে,,এখানের মেয়েরা অনেক সুন্দর,,,কিন্তু আমাদের দেশের মেয়েদের চেয়ে
না,,,এদের হাসি কেমন যেন,,,এদের চোখ নাইকেলের ভিতরের আভারনের
মত,,নাক গুলো লম্পা,,,কেমন যে বিশ্রী বিশ্রী লাগে শুধু চামড়ার সুন্দর হলে
সুন্দরী হওয়া যায়না,,,কালো হক আর ফর্সা হক,,,, তার হাসি সুন্দর থাকতে
হবে,,,তার চোখে মায়া থাকতে হবে,,যে চোখের দিকে তাকালে সেই চোখের
অতল সাগরে যে কোন ব্যক্তি সেকেন্ডের ভিতর নিজেকে ভাসাতে পারবে,,,
কন্ঠস্বর খুব মিশ্রণ হতে হবে,,,এগুলো যার মধ্যে থাকবে,,,হক সে কালো কুচ
কুচে সে যে কোন চামরা সুন্দরীকে হার মানাবে,,,আর এগুলো শুধু বাংলী
নারীদের মধ্যেই আছে,,
তার পর থেকে নিয়মিতো ক্লাস করতে শুরু করলাম,,,নতুন পরিবেশে নতুন
জায়গা,,,নতুন ভার্সিটি কিছু দিনের ভিতরে বন্ধু বান্ধব হয়ে গিয়েছে,,, শিক্ষক
শিক্ষিকাদের সাথে পরিচিত হয়ে গেছি,,,চলতে শুরু করলাম আমার সপ্ন পূরণ
বাস্তবায়ন করার পথে,, সময় পেলেই আব্বু আম্মু আর ইশিতার সাথে কথা
বলি,, কথা বলার পর কোন কিছু ঐ ভাল লাগেনা,,,আব্বু আম্মু আর ইশিতার
চেহারা চোখের সামনে ভেসে উঠে,,খুব মিস করি বন্ধুদের আড্ডার মজা,,,জানি
যত দিন থাকবো এই দূর দেশে,,,ত তো দিন থাকবে প্রিয় মানুষদের সাথে
কাটানো সময় গুলো আমার স্মৃতির ফ্রেমে,,,দিন চলতে লাগলো,এক এক করে
৪টা বছর চলে গেল,,,, বি বি এ ফাইনাল এক্সাম দিয়েছি,,,১৫ দিন পরে রেজাল্ট
জানাবে,,, উপস্থিত হলাম রেজাল্ট এর দিন ভার্সিটিতে,,,,, বছরের 10 জন সেরা
ছাত্র এর ভিতর আমি ৩ নাম্বার হয়েছি,,,,বিদায় অনুষ্ঠানে ওই দেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বছরের সেরা ছাত্র পরিষ্কার তুলে দিলেন,,, এবং আমার
হাতে সরকারি সিলমোহর দিয়ে বিবিএ ডিগ্রিধারী সার্টিফিকেট তুলে দিলেন,,,,,
,,, আজ আমি অনেক খুসি,,,আমার সপ্ন পূরন করতে পেরেছি,,, ইচ্ছে করলে
এখন এই মুহূর্তে দেশে যেতে পারি,,,, কিন্তু না আরো কয়েকটা দিন সুন্দর এই
শহর লন্ডন কে দেখবো,,,
একটা দিন ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর জায়গায় দেখেছি,,,কিন্তু না কিছুতে
ভাল লাগছেনা,,,,মনটা শুধু ছটফট করছে আব্বু আম্মু আর ঈশিতাকে দেখার
জন্য,,,রাতে টিকেট কেটে আব্বু আম্মু কে ফোন দিয়ে বললাম ১৫ দিন পরে
দেশে আসছি,,
একথা শুনে আব্বু আম্মু যে কতটা খুশি হয়েছে তা আমি মন দিয়ে অনুভব
করতেপারছি,,,ইশিতাকে ফোন দিয়ে জানালাম,,ইশিতা তো বিশ্বাস ওই করতে
পারছে না,,,,,আমি আগামিকালের জন্য টিকেট কেটেছি কেউ জানেনা,,,,সবাইকে
সারপ্রাইজ দেবো,,,আর হ্যা এই চার বছরে অনেকটা
পরিবর্তন হয়েছে,,ইশিতা অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করে মামার অফিসে চাকরি করছে,,,
আমি অনেক বার বলেছি চাকরি করার দরকার নাই,,, কিন্তু ইশিতা বলে
তাহলে লেখা পড়া করিছি কেন,,, তুমি আসলে চাকরি ছেড়ে দিবো,,বন্ধু বান্ধব
অনেকেই চাকরি করছে,,
এর পরের দিন ভোর ৬টায় বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,,বাড়ির গেইটের
কাছএসে দেখি বর দুপুর বেলা দারোয়ান চাচা ঘুমাচ্ছে,,
চাচাকে ডাক দিলাম,,,চাচা ঘুম থেকে উঠে বললো কে তুমি,,,
চাচা আমাকে চিনতে পারছোনা আমি ফারাবী,,, তুমি ফারাবী তুমি তো অনেক
সুন্দর এবং স্মার্ট হয়ে গিয়েছো,,,আমি চাচার কথা শুনে হাসতে
লাগলাম,,,গেইট দিয়ে আসতে আসতে ভিতরে ঢুকছি,,,দেখি আম্মু মটরের
পাইপ দিয়ে ফুল গাছে পানি দিচ্ছে,,,,পিছন থেকে মার চোখে হাত জোড়া
রাখলাম,,, সাথে সাথে আম্মু তার হাত দিয়ে আমার হাত জোড়া চেপে
ধরলো,,আর বলতে লাগলো,,,কে এভাবে আমার চোখ ধরেছে,,,আমার ফারাবী
ছাড়া তো কেউ এভাবে চোখ ধরেনা,,,কে তুমি,,, আমি মার চোখ জোড়া ছেড়ে
মাকে কুলে তুলে নিলাম,,,আম্মু সাথে সাথে ঘুরে আমাকে দেখে কান্না শুরু করে
দিলো,,,ফারাবী তুই আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না,,,হ্যা আম্মু আমি
তোমার ফারাবী,,,সাথে সাথে আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে
দিল,,আর বলতে লাগলো কেন যে আমার মন বলছিল তুই আসবি,,,
তুই না বলছিলি আরো ১৫দিন পরে আসবি,,,তোমাদের সারপ্রাইজ দেওয়ার
জন্য ওই দিন মিথ্যা কথা বলেছিলাম,,,এখন এভাবে কান্না করোনা আমি তো
আর তোমাদের কে ছেড়ে কখনো যাবো না,,,,,আব্বু কোথায়
তোর আব্বু অফিসে,,,তোর আব্বু কে এখনি ফোন দিয়ে জানাচ্ছি,, চল বাসার
ভিতরে চল,,,,বাসার ভিতরে গেলাম ব্যাগ ট্যাগ রেখে সোফায় বসলাম,,,আম্মু
আব্বুকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে,,,আম্মু তারাতারি সরবত এনে দিল,,,চার
বছর পর মায়ের হাতে কোন খাবা খাচ্ছি,,, সরবতটা শেষ করে এদিক ওদিক
তাকিয়ে এক জোড়া চোখকে খুঁজছি,,,,আম্মু আমি কাকে খুজছি তা মানের
বোঝে ফেলেছে,,,ইশিতা কে খুজছিস,,,ইশিতা সকালে ওদের বাড়িতে
গিয়েছে,,,বললো আজকে অফিস নাই বিকালে চলে আসবে,,,,তুই যেয়ে তোর
রুমে রেস্ট কর আমি ইশিতা কে ফোন দিয়ে বলছি,,,,না আম্মু তুমি আগে ফোন
দিবানা,,,আমি ওদের বাসায় গিয়ে ওকে সারপ্রাইজ দেব,,,
আম্মু)) আচ্ছা ঠিক আছে,, তুই এখন গিয়ে একটু রেস্ট কর,,তার পর ওদের
বাড়িতে যাবি,,,
আমি আমার রুমে এসে দেখি,,রুম খুবিই পরিপাটি,,এবং খুব সুন্দর করে
গোছানো,,,আমার বই পত্র কাপর চুপর খুব যত্ন করে রাখা,,, ওয়াশরুম থেকে
ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই দুচোখে ক্লান্তির ঘুম এসে জড়ো
হয়েছে,,,দুপুরে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙলো,,,ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে
দেখি আব্বু দাঁড়িয়ে আছে,,,আমি আব্বু কে সালাম করলাম,,,আব্বু আমাকে
জড়িয়ে ধরলো,,,,ইশিতাটা কে এখন অব্দি দেখি নাই,,, দুপুরের মায়ের হাতে
রান্না করা খাবার খুব তৃপ্তি সহ করে পেট ভরে খেলাম,,,দুপুর পেড়িয়ে বিকালের
মধু লগ্ন সময়ে আমি ইশিতাদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল চাপতে
লাগলাম,, আর যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন দরজা খুলবে ,,
আর আমার সিনিয়র শাঁকচুন্নিকে দেখবো,,,এক মিনি পরে খালামনি এসে
দরজা খুলে দিলো,, হঠাৎ করে আমাকে দেখে খালামনি চমকে উঠলো যেন
বিদ্যুতের শক খেয়েছে
ফারাবী তুই,,,, আমি খালামনিকে সালাম করলাম,,,তুই না বললি,,১৫দিন পড়ে
আসবি,,,
হ্যা বলছিলাম,,
কিন্তু তোমাদেরকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য আজকে চলে আসছি,,, হঠাৎ করে
রক্ষা করে দেখি,,, ড্রইংরুমের এক সাইডে কয়েক জোড়া ছেলেদের জুতা রাখা
আমি খালামনিকে জিজ্ঞেসা করলাম,,,বাসার ভিতরে ছেলেদের জুতো
কেন,,,খালামনি বললো,,এগুলো সাকিবের জুতা,,,
সাকিব কোন সাকিব,, সাকিবের জুতা এখানে কেন,,
((খালামনি))আরে তোর মামাতো ভাই,,সাকিবের জুতা,,,সাকিব এখানেই
থাকে,,ওদের অফিস এখান থেকে কাছে,,,তাই যাতায়াতের সুবিধার জন্য
এখানেই থাকে৷৷,,গত ২ মাস ধরে,,আর ইশিতা তো সাকিবদের অফিসেই চাকরি
করে,,,৷৷ (আমি))কয় ইশিতা তো আমাকে একথা বলে নাই,,,যে সাকিব ভাইদের
অফিসে চাকরি করে,, ((খালামনি))হয়তো তোকে বলতে মনে নাই,,,
এখন আপনাদের কে সাকিবের কথা একটু বলি,,সাকিব আমার বড় মামার
ছেলে,,আমার চেয়ে দের বছরের বড়,,, মাস্টার্স কমপ্লিট করে তাদের অফিসে
দেখা শুনা করছে
(খালামনি)আচ্ছা বাদ দে,,,তুই ইশিতাকে না জানিয়ে হঠাৎ করে চলে আসলেি,,,
আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না,, ইশিতা জানলে কতটা খুশি হবে,,,তুই
জানিস,,,, তোর আসার ১৫ দিন বাকি আছে সেই কথা শুনে,,মেয়েটা যে কতটা
খুশি হয়েছিল,, আমার কান তো একবারে ঝালা ফালা করে ফেলেছে,,,
সারাক্ষণ খালি আমাকে বলে,,,আম্মু ফারাবী আসার আর ১৫ দিন বাকি
আছে,,,ফারাবী আগে ফারাবী থাকবে তো,,নাকি পরিবর্তন হয়ে যাবে,,, ও মনে
হয় বিদেশে থেকে অনেক সুন্দর হয়ে আসবে,,,আমি ওকে এয়ারপোর্টে থেকে
রিসিভ করে আনবো,,আরো নানান কথা,, তুই দাঁড়া আমি এখনি ইশিতাকে
ফোন দিয়ে বলছি,,,,তুই দাঁড়া আমি এখনি ইশিতাকে ফোন দিয়ে বলছি,,,,
((আমি))ইশিতা কোথায় গিয়েছে,,,,
((খালামনি))ইশিতা সাকিবের সাথে একটু মার্কেটে গিয়েছে,, এক্ষুনি চলে
আসবে,,,
(আমি)না তোমার ফোন দেওয়ার দরকার নাই,তাহলে সারপ্রাইজ দিতে পারব
না,,,
খালামনি))আচ্ছা ঠিক আছে ফোন দিবো না,,,তুই ইশিতাী রুমে গিয়ে
বস,,,ইশিতা আসলে এমন ভাবে বলবো,,, ও চমকিয়ে উঠবে,,,
আমি()আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাচ্ছি,,, ইশিতা আসলে বলবা যে একটা নিল
শাড়ি পড়ে ওর রুমে আসতে,,
খালা))আচ্ছা আচ্ছা বলবো,,,এমন ভাবে বলবো ও না চমকিয়ে পারবে না,,
আমি ইশিতার রুমে চলে গেলাম,,,ওর রুমটা খুব গোছানো,,,ওর টেবিলে উপর
দুটা ছবি রাখা দুনো টা ছবিই আমার,,,দেওয়ালে আমার আর ইশিতার একটা
বড় ফ্রেমের ছবি লাগানো,,,ইশিতাকে ছবিটার মধ্যে খুব সুন্দর লাগছে,,,,
অনেকক্ষণ হয়ে গেল হয়ে গেল ইশিতার আসার কোন খরব নাই,,,আমি যেন
আর ধৈর্য ধরতে পারছি না,,কখন দেখা হবে আমার ইশিতার সাথে,,,ঘুড়ির কাটা
যেন এক জায়গায় থমকে দাঁড়িয়ে আছে,,,সময় যেন চলতে চাচ্ছে না,, এই
অপেক্ষা টা যেন একটা ছটফট অনুভূতির অপেক্ষা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,১০
মিনিট পরে খালামনি এক কাপ আমার পছন্দের জ্যামলি কফি এনে
দিল,,,কফির মগটা হাতে নিয়ে দুতলা বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম,,, শেষ
বিকালের লাল রক্তিম সূর্য অস্তয় যায় যায় অবস্থা,,হালকা সো সো শব্দ করা
প্রবলা বাতাস,,সিমাহিন নিল আকাশ,,দল বেধে শুন্য আকাশে ভেসে বেরানো
পাখির কিচিমিচি ব্যস্ত শহরের কোলাহল মানুষ গুলো যার যার নীড়ে ফিরে
যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছে,, আর আমি উদাসীন হয়ে বহমান অপেক্ষায়
দাঁড়িয়ে আছি,,,আমার সিনিয়র পয়শিকে দেখবো বলে,,৪বছর ৯ দিন ১১ ঘন্টা
পর যখন তার সাথে দেখা হবে,, তখন এর সিচুয়েশন কেমন হবে,, কত টুকু
আবেগ এসে জমা হবে,,সে কথা ভাবতেই মনে ভিতরে একটা অন্য রকম
ভাললাগা কাছে করতে লাগলো,, হঠাৎ করে নিচে খেয়াল করে দেখি সাকিব
মোটরসাইকেল খুব স্পিডে এনে গেটের সামনে থামালো আর তার পিছনে
একটি মেয়ে বসা ছিলো,, মেয়েটা তাল সামলাতে না পেরে সাকিবের সাথে
ল্যাপটে গেল,,,হাসতে হাসতে মেয়েটি গাড়ি থেকে নামলো,,আমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি
নিয়ে তাকিয়ে আছি,, হঠাৎ করে মেয়েটার দিকে খেয়াল করে দেখি এত আমার
ঈশিতা,,আমার বুক বুক ডুগ ডুগ করতে শুরু করল বকের কোন এক গোপন
জায়গা চিন চিন ব্যাথা অনুভব করতে লাগলাম,,, সারপ্রাইজ দিতে এসে আবার
না আমিই সারপ্রাইজ হয়ে যাই কে জানে হতে ওতো পারে????
ইশিতা আর সাকিব হেসে হেসে বাসার ভিতরে ঢুকছে,,,আর সে হাসি যেন
আমার বুকে ধারালো ছুরির মত বিঁধছে,, এ আমি কি দেখছি,, ইশিতা এরকম
টাইট ফিটিং বোরকা পড়ে সাকিবের সাথে মার্কেটে গিয়েছিল,,আমি ভাবতে ও
পারছিনা,,৪ বছর পরে এসে আমার ইশিতাকে এ রূপে দেখবো,,আমার ঘৃন্না
হচ্ছে,,, তার মানে ইশিতা আমার থেকে দুরে থাকার সুবাদে অফিসের নাম করে
এরকম অশ্লীল কাপড়-চোপড় পড়ে মার্কেট করে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাও আবার
আরেক জনকে নিয়ে,, আমার অগোচরে,,,আর আমাকে ভুল বাল বুঝিয়েছে
, যে সে সর্বদা পর্দা করে চলে,,,
আমি দুতলা বারান্দা থেকে ইশিতার রুমে চলে আসলাম,,তার পর ইশিতার
রুমের জানালার গ্লাস দিয়ে তাকিয়ে আছি ড্রইং রুমে,, ইশিতা আর সাকিব কি
করে,,,
এরা দুজন বাসার ভিতরে ঢুকার সাথে সাথে খালামনি বলতে শুরু করলো
এতক্ষণে আসলি,,,আমি এখন থেকে তোদের জন্য ওয়েট করছি,,
ইশিতা বলতে লাগলো আর বলনা আম্মু,,ও আমাকে সারাটা রাস্তা জালিয়ে
মেরেছে,আর দেখ আমাকে কি কাপড় পছন্দ করে দিয়েছে,,এরকম কাপড়
কেউ পরে,,
সাকিব বলতে লাগলো দেখো ফুপি ওর কাপড় গুলো খুব সুন্দর না,,ওকে কিন্তু
খুব মানাবে,,ও সারা রাস্তা উল্টো আমাকে জালিয়েছে মেরেছে ওর কাপড়
গুলো নাকি সুন্দর না,,,
কচু সুন্দর ( (ইশিতা))
আর তুই যে শাট প্যান্ট গুলি আমাকে পছন্দ করে দিয়েছিস সেগুলো তো
একবারে ডাস্টবিন((সাকিব))
মুটে ও না আমি যে গুলো তোকে পছন্দ করে দিয়েছি সেগুলো তুই পড়লে
তোকে অনেক সুন্দর লাগবে,, ((ইশিতা))
শার্ট প্যান্ট আর টাই কোট পড়লে আমাকে এমনি হ্যান্ডসাম লাগে,,তোর ঐ শার্ট
পেন্ট পড়লে আমাকে ফকিরের মত লাগবে ((সাকিব)))
ওরা দুজনের কথা শুনে মনে হচ্ছে, ওরা প্রকৃতপক্ষে স্বামী স্ত্রী আর আমি তৃতীয়
পক্ষ বিলেন হয়ে তাদের মধ্যে এসে পড়েছি,,
এই তোরা থাম, ইশিতা ফারাবীর কোন শাড়ি পছন্দ রে?, ((খালামনি))
কেন ((( ইশিতা)))
না এমনি ((খালামনি))
নিল আর আকাশি
কেন বলতো? (ইশিতা)
নাহ এমনি তুই এক কাজ কর একটা নিল বা আকাশি শাড়ি পড়ে তোর রুমে
যা,,,((খালামনি))
আমার রুমে ফারাবীর পছন্দের নিল বা আকাশী শাড়ি পড়ে যেতে হবে কেন?
,((ইশিতা))
তুই তোর রুমে গেলেই দেখতে পারবি,,((খালামনি))
আরে আজিব তো আমার রুমে গেলে কি দেখতে পাবো,, (((ইশিতা)))
এত কথা বলিছ কেন তুই একট শাড়ি পড়ে রুমে গিয়ে দেখনা ((খালামনি))
আচ্ছা ঠিক আছে যাচ্ছি((( ইশিতা)))
ইশিতার রুমে গিয়ে একটা আকাশী কালারের শাড়ি পড়তে লাগলো,,আর
দূনিয়ার কৌতুহল এসে ওর মাথায় জমা হতে লাগলো,,কে আছে আমার
রুমে,,যে কারনে আম্মু বললো ফারাবীর পছন্দের শাড়ি পড়তে,,আর আমি ও বা
কেন ফারাবীর পছন্দের শাড়ি পড়ছি কিছুই বুঝতে পারছিনা,,ইশিতার শাড়ি
পড়া শেষ হলে,,সাকিব গিয়ে ইশিতার রুমে ঢুকে,,
তুই এই খানে আসলী কেন(( ইশিতা))
এমনি দেখতে আসলাম শাড়ি পড়লে তোকে কেমন লাগে,,,((সাকিব))
তোর দেখতে হবে না তুই যা এখান থেকে,,,((ইশিতা))
বাহ তোকে তো আকাশী কালার শাড়িতে খুব সুন্দর লাগছে,,,(সাকিব)
দেখতে হবে না কার পছন্দের,এই শাড়িটা ফারাবীর পছন্দের,,ও নিজে আমাকে
কিনে দিয়ে ছিল,,আর বলেছিল এ শাড়িতে নাকি আমাকে খুব মানাবে,,আর
অনেক সুন্দর লাগবে,,তাই শাড়িটা তুলে রেখে ছিলাম,,ফারাবী যে দিন আসবে
ঐদিন ওর সামনে এই শাড়িটা পরে দাঁড়াবো,,,ওকে চমকিয়ে দিবো আর বলবো
দেখ তোমার দেওয়া শাড়িটা আজো আমি যত্ন করে তুলে রেখেছি,,তোমার
সামনে পড়বো বলে,,,তোমার মুখ থেকে একবার আমার প্রশংসা শুনবো বলে,,
বাহ বাহ দারুন তো,,আমার দেওয়া পছন্দের শাড়ি পড়লে বুঝি তোকে
তোমার মুখ থেকে একবার আমার প্রশংসা শুনবো বলে,,
বাহ বাহ দারুন তো,,আমার দেওয়া পছন্দের শাড়ি পড়লে বুঝি তোকে
সুন্দর লাগবে না ((সাকিব))
হাহাহাহা তোর আবার পছন্দ,(ইশিতা)
এভাবে হাসছিস কেন,, আমার দেওয়া শাড়ি পড়লে তোকে আরো সুন্দর
লাগবে,((সাকিব))
তোর দেওয়া শাড়ি আমার পড়ার ও দরকার নাই আর সুন্দর লাগার ও দরকার
নাই,,তোর বউকে তোর পছন্দের শাড়ি দিস,, সর সামনে থেকে,,,((ইশিতা))
আরে কোথায় চাচ্ছিস দাড়ানা,,,একথা বলে সাকিব ইশিতার
হাত ধরে ফেললো,,
তুই আমার হাত ধরছিস কেন আমার হাত ছাড়(( ইশিতা))
আচ্ছা ছাড়বো আগে তোর সাথে কয়েকটা ছবি তুলি,,তোকে শাড়িতে যে সুন্দর
লাগছে না,আমি তো চোখ
সরাতে পারছিনা ((সাকিব)
চোখ নিচে নামিয়ে রাখ,,আমার দিকে ভুলে ও তাকাবি না,,,আমি আরেক জনের
রেখে যাওয়া সম্পদ,,
সে সম্পদের দিকে কেউ কুনজরে তাকাবে তা আমি হতে দিবো না,,
আরে আমিতো তোর দিকে কুনজরে তাকাই না,,ভালবাসার নজরে তাকাই
ভালবাসার নজরে তাকাস মানে,,ভুলে ও একথা মুখে আনবি না,,কোন নজরেই
আমার দিকে তাকাতে পারবি না ব্যাস😡😡😡,,(ইশিতা))
আচ্ছা ঠিক আছে তাকাবো না,,এখন চল একটা ছবি তুলি(( সাকিব))
আচ্ছা ঠিক আছে তুল,,(ইশিতা)
সাকিব ইশিতার গার সাথ গা ঘেসে ছবি তুলতে লাগলো,,
এমন সময় ওরা কি করে দেখার জন্য একটু সামনে গেলাম,,,যখন আমি দেখলাম,
ইশিতার গার সাথে গা ঘেঁসে সাকিব ছবি তুলছে,,,তখন আমার বুঝতে বাকী রইলনা,,
ইশিতার সাথে সাকিবের কিছু চলছে,,,বুকের ভিতরে জমে থাকা ৪ বছরের ভালবাসাটা
যেন সেকেন্ডের ভিতরে ঘৃণাই পরিনিত হলো,,,রাগে আমার সমস্ত শরীর কাঁপতে লাগলো,,,
ইচ্ছে করছে এখন গিয়ে ইশিতার গালে কয়েকটা থাপ্পর দেয় স্বামী দূরে রেখে
আরেকজনের সাথে গা ঘেঁষে ছবি তুলে,,,কিন্তু ওকে আমি ভালবাসি,ভালবাসার মানুষের
উপরে হাত তুলা যায় না,,তাকে ভালবাসার মাধ্যমেই বুঝাতে হয়,,আর তা নাহলে
হিতে বিপরীত হয়ে যায়,,,
আমি রাগে বাসা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি,,,খালারমনি বলতে লাগলো কোথায় চাচ্ছিস
ফারাবী,,, ইশিতা শাড়ি পড়তে গিয়েছে এক্ষুনি চলে আসবে,,
কি শাড়ি যে পড়েছে তা আমি দেখেছি,,,আমার একটা জুরুরি কাজ আছে।আমি চলে যাচ্ছি,,,
কি এমন জরুরি কাজ যে এতো দিন পড়ে এসে ইশিতার সাথে দেখা না করেই চলে
যাচ্ছিস,,, ইশিতা যদি জানতে পারে তাহলে কি হবে জানিস,,(খালামনি))
কিচ্ছু হবে না আমার কাজ আছে আমি যাচ্ছি,,,চলে আসলাম বাসায়,,খালামনি পিছন
থেকে ডাকলো,,রাগে এতোটায় ভিভোর ছিলাম যে কিছু ওই শোনি নি,,,, বাসায় এসে
সোফায় বসে আছি,,আম্মু বলতে লাগলো কিরে তুই আসলি ইশিতাকে আনলি না জে,,
ইশিতাকে আমি আনবো কেন ইশিতার কি পা নেই,,(আমি))
কি বলছিস তুই না গিয়েছি ইশিতাকে আনার জন্য ((আম্মু ))
না আমি য়ায়নি,আচ্ছা ইশিতা কি তোমার কাছে বলে ওদের বাড়ি গিয়েছিলো,,
হ্যা কেন ((আম্মু))
তুমি কি ওকে হুকুম দিয়েছো য়াওয়ার জন্য নাকি ও বলেই চলে গিয়েছিলো,,((আমি))
ও বললো খালামনি আমি একটু বাড়িতে যাচ্ছি বিকালে চলে আসবো
হঠাৎ একথা কি জন্য জিজ্ঞাসা করছিস বলতো,ও ওর বাড়িতে যাবে এটা কি বলে যেতে
হবে নাকি((আম্মু)))
অবশ্যই বলে যেতে হবে,, তুমি জানো না,, নিজের আপন বাবা ও যদি মারা যায়, স্ত্রী স্বামীর
হুকুম ছাড়া বাবাকে দেখতে যেতে পারে না
তুই তো ঐ সময় ছিলিনা,,((আম্মু)
ছিলাম না ঠিক আছে,,কিন্তু তোমার কাছ থেকে তো হুকুম নেওয়ার দরকার ছিল,,,
আমার কাছে বলে গিয়েছে তো,,,কি এমন হয়েছে যে তুই এভাবে বলছিস,,
নাহ কিচ্ছু হয়নি এমনি (আমি)
ঐ দিকে ইশিতা শাড়ি পড়ে ওর রুমে গিয়ে দেখে কেউই নাই,,ওর আম্মুকে জিজ্ঞাসা করলে
ওর আম্মু আমার কথা সব খুলে বলে,,ইশিতা তা শুনে বিশ্বাসেই করতে পারছে না যে আমি
এসেছি,, নিশ্চিত হওয়ার জন্য আম্মুকে ফোন দিল,,
আমি সোফায় বসে বারবিকিউ চানাচুর আর অমৃত মটর বাজা খাচ্ছি এমন সময় দরজায়
কলিং বেলটা বাজতে লাগলো আমি সোফা থেকে উঠে দরজা টা খুললাম একজন বোরকা
পরিহিত মহিলা দাঁড়িয়ে আছে তার পিছনে একটা স্কুটি রাখা,, আমি মহিলাটিকে লক্ষ করে
বললাম কাকে চাই,,মহিলাটি কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ আমাকে শক্ত করে
জড়িয়ে ধরল,,, আমি আমি হতভম্ব হয়ে বলতে লাগলাম আরে আন্টি কি করছেন ছাড়েন
আমাকে আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তো,,,কি শুরু করে দিয়েছেন,ছাড়ুন বলছি,, কিন্তু
আন্টি আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে,,নাহ আর পারছি না
#আমি মহিলাটিকে লক্ষ করে বললাম কাকে চাই,, মহিলাটি কিছুক্ষণ আমার দিকে
তাকিয়ে হঠাৎ করে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো,, আমি বলতে লাগলাম,
আরে আন্টি কি করছেন আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তো, ছাড়ুন আমাকে,কিন্তু
মহিলাটি আমাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো,,নাহ আর
পারছিনা এবার বুঝি দমটা আটকে যাবে,,,অনেক কষ্ট করে বললাম,,আরে আন্টি
আমার দম আটকে যাচ্ছে,, ছাড়ুন আমাকে সাথে সাথে আমাকে ছেড়ে দিয়ে মুখের
পর্দা টা তুলল আর বলতে লাগলো,, শয়তান আমি আন্টি না,,আমি তোমার ঈশিতা
এ কথা বলে আবারও জড়িয়ে ধরল,,, এবার কিছু একটা সস্তি পাচ্ছি,,৪ বছরের
জমিয়ে রাখা ভালবাসার অনুভূতিটা আবেগ হয়ে একসাথে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে,,,
কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখার পরে বলতে লাগলো,, দেখি তোমাকে,, আমি তো বিশ্বাস
করতে পারছি না তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছো,,,
আমি যা ভেবেছি তাই তুমি আগের চেয়ে খুব সুন্দর হয়ে গেছো কিন্তু চেহারাটা সেই
পিচ্চি পিচ্চি রয়ে গেছে,,,
কি হল কথা বল না কেন (((ইশিতা)))
কি বলবো ((আমি))
কি বলবো মানে তুমি বলেছিলে 15 দিন পরে আসবে,,,কিন্তু হঠাৎ করে চলে আসছো,,
তাহলে আমাকে মিথ্যা বলেছিলে কেন,, আর তুমি এসে আমাদের বাসায় গিয়ে আমাকে
না দেখেই চলে আসলে,,আমি কি কষ্ট করে শাড়িটা পড়েছিলাম,,আমি কি আর
জানতাম তুমি আসছো,,
কি হল চুপ করে আছো কেন, কথা বলো,, নাকি চেহারার সাথে মন দিল সব পাল্টে
ফেলেছো,, আমি ঠিক ঠাক দাঁড়িয়ে রইলাম,,কোন কথা বলছি না,,,আসলে ৪বছরে
ভালবাসার জন্য বেকুল হওয়া মনটা,, কিছু মুহূর্ত আগে ঈশিতার কাজ কর্মের দৃশ্যগুলো
দেখে,,,ভালবাসার জন্য বেকুল হওয়া মনটায় হঠাৎ করে কালো ছোট্ট একটা দুঃখ এসে
ভির করেছে,,,
আম্মু হঠাৎ করে ঈশিতার কন্ঠ শুনে বলতে লাগলো ঈশিতা তুই কখন আসলি,ইশিতা
আম্মুর কথার জবাব দিচ্ছিলো,,তাদের মাঝ খানে আমি আম্মুকে লক্ষ্য করে বললাম
আমার মাথা প্রচন্ড ব্যথা করতেছে আমাকে এক কাপ কফি বানিয়ে দাও,,
আমি আমার রুমে সোফায় বসে মোবাইল টিপতে লাগলাম,,, ঈশিতা আম্মুর হাত থেকে
কফির কাপটা নিয়ে আমার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো তারপর আমার হাতে কাপটা দিয়ে আমার
গা ঘেসে বসলো,, আমি মোবাইলটা পকেটে রেখে কফির মগে চমুক দিচ্ছি,,, ইশিতা
৪বছর পর আমার এতো কাছে আসার পরে ও
আমার ভাবমূর্তি অনুভূতির-feelings না পেয়ে বলতে লাগলো,,কি হলো তুমি আমার
সাথে কথা বলছো না কেন,,,তুমি কি কোন কিছুর জন্য আমার প্রতি অসন্তুষ্ট,,, আমি
ইশিতার কথা শুনে একবার ইশিতার দিকে ঘুড়ে তাকালাম,,
কি হল এভাবে তাকালে কেন কথা বলো,,তুমি কি বুবা হয়ে গেছো,,,তুমি আমার সাথে
কথা বলছোনা,, মনে হচ্ছে আমার গলায় বিশাল বড় একটা কাটা আটকে আছে,,,
আমার ভাল লাগছে না,,
কথা বলনা চুপ করে থাকো,((,আমি)
মাথা কি বেশি ব্যাথা করছে,,তাহলে কফি খাওয়ার দরকার নাই,, আমি কমপ্লেক্স নিয়ে
আসছি,, কম্প্লেক্স খেয়ে ঔষধ খেয়ে একটু রেস্ট করো,,দেখবে মাথা ব্যাথা চলে যাবে,,
ইশিতা কমপ্লেক্স দুধ চিনি আর ট্যাবলেট নিয়ে আসলো এবং বলতে লাগলো,,,এগুলো
খেয়ে ঔষধ খেয়ে একটু রেস্ট করো,,,আমি ইশিতার হাত থেকে ট্যাবলেটা নিয়ে খেয়ে
ফেললাম,,ইশিতা বলতে লাগলো খালি পেটে ট্যাবলেট খেয়েছো শরিল তো আরো খারাপ
করবে,,
আমি কোন কথা বললাম না সোজা বিছানায় শুয়ে পড়লাম,,ইশিতা হয়তো এটা বুঝছে যে
আমার মাথা ব্যাথা করছে,তাই ওর সাথে কথা বলছিনা,,,আসল কারন তো ও আর জানে না,,,,
ইশিতা আসতে আসতে আমার মাথা পাশে গিয়ে বসলো,,তার পর ওর নরম হাতটা আমার
কপালে রাখলো,,৪বছর পর ভালবাসার মানুষের হাতের স্পর্শ পেয়ে অনুভূতিহীন ভালবাসাটা
যেন জাগা দিয়ে উঠলো,, পরক্ষণে দুচোখে ঈশিতা শাকিবের সাথে মোটরসাইকেলে লেপ্টে
যাওয়ার দৃশ্যটা ভেসে উঠলো,,, আমার একটা হাত দিয়ে ইশিতার হাতটা সরালাম,,এবং
বললাম ধরবানা আমাকে,,আমার কেমন যেন লাগে,,
কি বল তুমি,, তোমার মাথা ব্যাথা করছে আমি তোমায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি, তোমার তো
আরাম লাগার কথা,,,((ইশিতা))
তোমাকে আমি বলছি হাত বুলিয়ে দিতে,,(আমি)
((ইশিতা))এরকম করছো কেন তুমি আমার সাথে,,সত্যিই তোমারর আমি তোমার
এত কাছে কিন্তু তোমার কোন অনুভূতি নাই,,
((আমি))শুন তোমার কথার উত্তর আমি দিতে পারবো না,,আমার মাথা ব্যাথা করছে
যাও এখান থেকে,,,
((ইশিতা))না আমি যাবো না,, সত্যি করে বল তোমার কি হয়েছে,,
((আমি))আমার কিচ্ছু হয়নি এখান থেকে যেতে বলেছি তোমাকে,,,
((ইশিতা))না আমি যাবো না,,
যাবে না তো,,( আমি)
নাহ (ইশিতা)
এবার আমার সত্যি সত্যি রাগ উঠে গেল,,
আমি বিছানা থেকে উঠে ইশিতার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকালাম,,,
ইশিতা একটু ভয় পেয়ে গেল,,এবং বলতে লাগলে,,আমার দিকে এভাবে চোখ লাল
করে তাকালে কেন,,চোখ নামাও বলছি,,,(ইশিতা)
এবার আমি জোরে ধমক দিয়ে বললাম,, তোমাকে আমি এখান থেকে যেতে বলেছি,,,
ইশিতা আমার ধমক শুনে কেপে উঠলো,,,এরকম ধমক হয়তো আমার কাছ থেকে
আশা করেনি,,,
ইশিতা চুপ করে বাহিরে চলে যাচ্ছে,, আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম হাতের উল্টো পিঠ
দিয়ে চোখের জল মুচছিল,,,আমি বিছানায় শুয়ে পড়লাম,,,
ঐদিকে ইশিতা আম্মুর সামনে গিয়ে দাড়ালো,,,আম্মু ইশিতাকে দেখে বলতে লাগলো,
কি হল কাঁদছিস কেন,,,,
তোমার ছেলে আর সাভাবিক নাই,,,এ ৪বছরে অনেকটা পাল্টে গেছে,,,আমি আসার
পর থেকে আমার সাথে একথা ও বলে নাই,,,ওর মাথা ব্যাথা করছে,,,আমি হাত দিয়ে
ওর মাথা দিপে দিচ্ছি আমাকে বলে কি ওকে না ধরার জন্য,,আমাকে চোখ লাল করে
ধমক দিয়েছে,,তোমার ছেলে সব সময় আমাকে ভয় পেতো,,আর এখন তোমার ছেলের
চোখে দিকে তাকাইতে ভয়ে কেপে উঠলাম,,,আমি ওর এরকম অগ্নি দৃষ্টি চোখ কখনো দেখি নি,,,
((আম্মু)) আর এজন্য এভাবে কাঁদতে হবে ওর বুঝি মাথা ব্যাথা করছে তাই তোর সাথে
এরকম করেছে
((ইশিতা))না না সত্যি সত্যি তোমার ছেলে পাল্টে গেছে,,
(আম্মু)) কিচ্ছু পাল্টায়নি ও যেমন ছিল তেমনি আছে,,একটু পরে দেখবি ভাল,,,,
রাত ৮ টা কারো গরম উষ্ণন নিঃশ্বাস আমার মুখে উপর পড়ছে,,আমি আসতে করে
চোখটা খুলে দেখি,, ইশিতা আমার দিকে ঝুলে আছে,, এবং তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে
তাকিয়ে আছে,, ইশিতা ঠোঁট আমার ঠোঁটের এতোই কাছে যে দুজন দুজনার নিঃশ্বাস
অনুভব করতে পারছি,, আমিও এক দৃষ্টি নিয়ে ঈশিতার মায়াবী চোখ জোড়ার দিকে
তাকিয়ে আছি,,,ওর ঠোঁট অল্প অল্প কাপঁছে,,, কিছুক্ষণ আগে কান্নার কারণে এবং
গাল এবং নাক লাল হয়ে আছে,,নাকের ডগায় কয়েক হাজার ছোট ছোট ঘামের
ফোটা এসে জরো হয়েছে,,
৪ বছর পর ইশিতাকে আমি সেই মায়াবি রুপে দেখছি,,,যে মায়াবি রুপের সাগরে আমি
অনেক আগেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি,,,
দুজন নিস্তব্ধ নীরবতা পালন করতে লাগলাম,,আমার ৪ বছরের জমিয়ে রাখা গভির
ভালবাসা জানান দিছিলো যে,, ইশিতার কাঁপা কাঁপা ঠোঁট গুলো নিজের আয়ত্তে নিয়ে
নিতে,,গভীর এক লম্বা চুম্বনে হারিয়ে যেতে,,, পরক্ষনে আমার মনে হয়ে গেল শাকিব
আর ঈশিতার কিছু মুহূর্তের কথা,, ধাক্কা দিয়ে আমার উপর থেকে ইশিতাকে সরিয়ে
দিলাম, তার পর সোজা ওয়াশ রুমে ঢুকে ঠাস করে দরজাটা লাগিয়ে দিলাম,,, ইশিতা
আমার এরকম ব্যবহারে অবাক হয়ে গিয়েছে,,এক দৃষ্টি নিয়ে আমার যাবার দিকে তাকিয়ে
ছিল,,, ইশিতা হয়তো আমার কাছে এরকম কখনই আশা করেনি,, যে ছেলেটা কাছে
বিরার জন্য সব সময় পাগল হয়ে থাকতো,, ৪ বছর পর ছেলেটার এত কাছে গেলাম,,
ওর কোন অনুভূতি নাই,,,ইশিতা কিছুই বুঝতে পারছে না,, কেন তার সাথে এরকম করছে,,,
আমি ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে দেখি ইশিতা বিছানাটা গোচাছছে,,আমাকে দেখে একটা
তোয়ালা এনে দিল,,,আমি তোয়ালাটা হাতে নিয়ে বিছানায় ডিল মেরে ফেলে দিলাম,,ইশিতা
নিরবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,আমি রুম থেকে বের হয়ে নিচে নেমে আসলাম,,
ডাইনিং টেবিলে আব্বু আম্মু বসে আছে,,আমাকে দেখে বলতে লাগলো মাথা ব্যাথা কমেছে
তোর,,আমি মাথা ঝাকি দিয়ে হ্যা শব্দ উচ্চারণ করলাম,,,২ মিনিট পর ইশিতা উপর থেকে
ডাইনিং টিবিলে আসলো,, মুখটা গোমরা করে আছে,,ঠোঁট গুলো শুকিয়ে একটা থেকে
আরেকটা আলেদা হয়ে আছে,,যেন ঠোঁটে কোন প্রানের ছোঁয়া নেই,,চেহেরাটা অনেকটা
কালো হয়ে আছে,,,ওর লম্বা চুল গুলো দিয়ে চেহেরার এক পাশ ঢেকে রাখছে,,,আর বার
বার আর চোখে আমাকে দেখছে,,,
আম্মু ইশিতার তার দিকে তাকিয়ে বললো,,কি হয়েছে ইশিতা তোর,,ইশিতা মাথা ঝাকি দিয়ে
বললো,,না কিছু হয়নি তো,,
তাহলে এভাবে দাড়িয়ে আছিস কেন বস?
ইশিতা আমার পাশ একটা চেয়ার টেনে বসলো,,,আমি অল্প খেয়ে টেবল থেকে উঠে
পড়লাম,,,আম্মু জিজ্ঞাসা করল কি হলো উঠে পড়লি কেনো,,,আমার খাওয়া শেষ,,
ইশিতা বুঝতে পারছেনা, আমার এগুলো করার মানে কি,,আমি রুমে এসে বিছানায়
শুয়ে পড়লাম,১০ মিনিট পর ইশিতা আমার রুমে আসলো,,,
ইশিতা আমাকে দেখে আমার মাথার পাশে এসে বসলো,, কি হয়েছে তোমার সত্যি
করে বলতো,,কেন এমন করছো,,
কি রকম করছি,,((আমি))
((ইশিতা))যে এত বছর পড়ে এসে আমাকে কাছে পেয়েও কোন ফিলিংস নাই তোমার,,,
আমার সাথে ঠিকঠাক ভাবে কথা ও বলছোনা,,, অদ্ভুত সব আচরণ করছো,,,
আমি কোন অদ্ভুত আচরণ করছি না,, আমি ঘুমাবো লাইট অফ করো,,,((আমি))
((ইশিতা))তুমি সত্যিই অনেকটা পাল্টে গেছো,,,তুমি আর আমার আগের ফারাবী নাই,,,
তুমি চেঞ্জ হয়ে গেছো,,,
আমি আগে যেমন ছিলাম এখন ঠিক তেমনি আছি,,,বেশি কথা না বলে চুপচাপ ঘুমাও তো,,,
ইশিতা সাথে সাথে আমার হাতটা ধরে ফেললো,,
আমি কি তোমার সাথে অন্যায় কিছু করেছি,বলো আমাকে,, যদি কিছু করে থাকি,,
তাহলে আমাকে মারো বকা দাও,,কিন্তু আমার সাথে এরকম করোনা প্লিজ,,আমাকে
ইগনোর করো না,,আমি তোমার এই অদ্ভুত আচরণ গুলো মেনে নিতে পারছি না,,
এই তোমাকে না বলছি আমি ঘুমাবো,,তোমার এই পেছের পেছের ভালো
লাগেনা আমার হাত ছাড়ো,, ((আমি))
ইশিতা আমার একথা শুনে কান্না শুরু করে দিল,,,কান্নার আওয়াজ পেয়ে আম্মু আমার
রুমে চলে আসলো,,আম্মু বলতে লাগলো কি হয়েছে ইশিতা,,
ইশিতা আমার একথা শুনে কান্না শুরু করে দিল,,,কান্নার আওয়াজ পেয়ে
আম্মু আমার রুমে চলে আসলো,,আম্মু বলতে লাগলো কি হয়েছে ইশিতা,,
দেখ তোমার ছেলে আমার সাথে কেরকম করছে,,,((ইশিতা))
কি হয়েছে ফারাবী তুই মেয়েটার সাথে এরকম করছিস কেন,,, ((আম্মু))
আমি কিছু করছি না,,ওকে বল কান্না থামাতে, আর না হয় অন্য রুমে গিয়ে
কান্না করতে,,আমি ঘুমাবো((আমি))
না আমি এখান থেকে যাবো না,,আমি এ রুমেই কান্না করবো (( ইশিতা))
না গেলে আমি চলে যায়,,,আমি রুম থেকে বাহির হতে যাবো,,,এমন সময়
ইশিতা কান্না করতে করতে রুম থেকে বাহির হয়ে গেল,
আম্মু পিছন থেকে ইশিতাকে ডাকছে কিন্তু ইশিতা শুনছে না,,,,আম্মু ইশিতার
পিছনে যেতে লাগলো,,,
আমি দরজা লাগিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম,,কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছেনা,,
বুকটা কেমন যেন খালি খালি লাগছে,,কিসের যেন অভাব,,,৪ বছর আগে
বাহিরে যাওয়ার সময়,, ইশিতা আমার বুকে মাথা রেখে বলেছিল তোর এই
বুকটা শুধু আমার জন্য বরাদ্দ,,এখানে আর কাউকে
থাই দিবি না,আমার বাকিটা জীবন তোর এই বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে চাই,,,
এসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেলাম বলতে পারবো না,,,সকাল ১০টায়
ঘুম ভাঙলো,,,আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে,,, ঈশিতাকে দেখতে পাচ্ছিনা ,,,সারা
রাত কোথায় ছিল,, কোন রুমে ছিল তাও জানিনা,,,আমি আম্মুকে ইশিতার কথা
জিজ্ঞাসা করলাম,আম্মু বলতে লাগলো আমি জানিনা,,
তুমি জাননা মানে,,,(আমি)
৪বছর পরে এসে মেয়েটার সাথে এরকম ব্যবহার করতে পারলি তুই,,,মেয়েটা
সারা রাত ড্রইংরুমের সোফায় বসে কান্না করেছে,একটু ও ঘুমায় নি,,
এখন কোথায় (আমি)
চলে গেছে ((আম্মু))
চলে গেছে মানে কোথায় চলে গেছে,, (((আমি))
ওদের বাসায় ((আম্মু))
আম্মুর কথা শুনে আমার রাগ উঠে গেল,,যে কারনে ৪ বছর পরে এত কাছে
আসার পরে ওকে আপন করে নিতে পারিনি,,,আবার ও না বলে ঐ বাড়িতে গিয়েছে
,,,কেন গিয়েছে,,সাকিবের সাথে কথা বলার জন্য,, আমি একটা রিকশা নিয়ে
ঈশিতার বাসায় চলে গেলাম,,,রাগ একটু ও কমেনি।।।।
বাসার কলিংবেল চাপ দিতেই খালামনি এসে দরজা খুলে দিল,,,তার পর
আমাকে ইশিতার সম্পর্কে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করলো,,, আমি কোন
কিছুর প্রতি উত্তর না দিয়ে সোজা ঈশিতার রুমের কাছে চলে গেলাম,,,
সাকিব কে বাসায় দেখতে পাচ্ছি না হয়তো অফিসে চলে গিয়েছে,,,
আমি ইশিতার দরজার সামনে দাঁড়াতেই ইশিতার স্পষ্ট কান্নার আওয়াজ শুনতে
পেলাম,,,,আমি দরজায় দাড়িয়ে ইশিতাকে একটা ডাক দিলাম,,,সাথ সাথ কান্নার
আওয়াজটা কয়েক সেকেন্ডের জন্য অফ হয়ে গেল,,,হয়তো বুঝার চেষ্টা করছে
কে আমাকে ডাকে,,,আমি আবার ও ইশিতাকে ডাক দিলাম,,,এবার কান্নার
আওয়াজটা একটু বেড়ে গেলো,,,হয়তো বুঝে ফেলেছে আমি এসেছি,,,,
আমি আরো কয়েকটা ডাক দিলাম দরজা খুলার জন্য,,,নাহ প্রতিবারই কান্নার
আওয়াজ বেড়ে চলছে,,, আমি একনাগাড়ে ডেকেই যাচ্ছি,,,আর ও একনাগাড়ে
কান্না করেই যাচ্ছে,,,
অলরেডি 30 মিনিট ওভার হয়ে গিয়েছে আমি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ওকে ডাকছি,
কিন্তু ও দরজা খুলছে না,,, এবার মেজাজটা একটু খারাপ হয়ে গেল,,
আমি দরজা জোড়ে ধাক্কা দিয়ে ডাকতে লাগলাম,, দরজা খুলবে কি খুলবে না বল,,,
আর যদি দরজা না খুলো,,,তাহলে এ বাড়িতে আজীনের জন্য থেকে যেও,,,ঐ
বাড়িতে আর যাওয়ার দরকার না,,,আমি চলে যাচ্ছি,,,,
ইশিতা তার পর ও দরজা খুলছে না,,,এবার মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেল,,,
কি হল তুমি দরজা খুলবে না,,আচ্ছা ঠিক আছে দরজা খুলার দরকার নেই,,,,
যত পারো কান্না করো,,,আমি চলে যাচ্ছি,,,, একথা বলে চুপ করে সাইট হয়ে
দাড়িয়ে রইলাম,,, কিছুক্ষণ কোন সাড়াশব্দ করলাম না,,,
ইশিতার কান্না অফ হয়ে গেল,,,হয়তো মনে মনে বলছে,,,ও কি সত্যি সত্যি চলে
গেছে,,,,
আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে,,আবার ও দরজার সামনে গিয়ে ডাক দিলাম,,,আমি
ডাক দেওয়ার সাথে সাথে কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি,,,, হয়তো বলছে ও এখনো
যায় নাই,,, মেয়েরা আর কিছু পারোক আর না পারক,, কান্না করে অনেক কিছু হাছিল
করতে পারে,,যে কোন পুরুষকে ঘায়েল করতে পারে?
কি হল তুমি দরজা খুলবে না,,,,এবার যদি দরজা না খুলো,,তাহলে আমি সত্যি সত্যি
চলে যাবো,,, তার পর দেখি কি করো
নাহ আর থাকবো না,,এবার সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে যাবো,,,এমন সময় দরজা খুলার
আওয়াজ শুনতে পেলাম,,,
আমি রুমের ভিতরে প্রবেশ করে দেখি,,মাথা নিচের দিকে দিয়ে বিছানার কাছে
দাঁড়িয়ে আছে,,,
আমি তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম ,,,সে মুখ অন্য দিকে ফিরিয়ে নিল,,,আমি আবার
ও সামনে গেলাম,,,সে এবার ও অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিল,,, বুঝতে পেরেছি
অনেকটা অভিমান করে বসে আছে,,,, কিন্তু আমি তার অভিমান ভাঙাবো না,,,,
সে না বলে এখানে আসলো কেন,,,
আমি তার হাতটা ধরলাম, এবং বললাম,,,কার কাছে বলে এখানে এসেছো,,
ইশিতা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো,,,হয়তো এ মুহূর্তে এ কথাটা আমার কাছ
থেকে আশা করিনি,,,সে হয়তো ভেবে ছিল,,,ও সারা রাত কান্না করেছে,,,রাগ করে
অভিমান করে চলে এসেছে,,, আমি তার রাগ অভিমান ভাঙ্গিয়ে বলবো,,,সরি তোমাকে
অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি,,,ঐ সময় আমার কি হয়ে ছিল জানিনা,, তোমার সাথে
এরকম ব্যাবহার করেছি আমাকে ক্ষমা করে দাও,,,কিন্তু আমি তাকে উল্টা জিজ্ঞাসা
করছি,,,তুমি কার কাছে বলে এ বাড়িতে এসেছো,,,
ইশিতা কোন কথা বলছে না,,তাই আমি আবারও জিজ্ঞাসা করলাম,,,কি হল কথা
বলনা কেন,,,কার কাছে বলে এ বাড়িতে এসেছো,,,
কারো কাছে না,,(( ইশিতা)))
তাহলে আসলে কেন,,,কথা বল, আমার কথার উত্তর দাও,,,,তোমার সাথে একরাত
কথা বলি নাই,,, তুমি রাগ করে অভিমান করে চলে এসেছো,,,,তোমার সাথে কথা বলি
নাই তুমি যত টুকু কষ্ট পেয়েছো,,,তার চেয়ে ও বেশি কষ্ট পেয়েছি আমি,,,সারা রাত ঘুমাতে
পারি নাই,,,৪ বছর পর তুমি আমার কাছে আসার পরে ও কেন তোমার সাথে এরকম
ব্যবহার করলাম জানো তুমি,,,
ইশিতা আমার কথা শুনে আমার দিকে অবাক হয়ে ঘুরে তাকালো,,,
এক এক করে ইশিতাকে সব কিছু খুলে বললাম,,,ইশিতা বলতে লাগলো,,, বিশ্বাস করো
তুমি,, আমি শাকিবের সাথে মার্কেটে যেতে চাইনি,,,ও আম্মুকে অনেক রিকুয়েস্ট করে বলল
,,, তার পর ও আমি যেতে রাজি হয়না,,,,কারন তুমি যে বোরকাটা পড়ার জন্য বলে ছিলে,,
ঐ বোকরাটা ধুয়ে শুকাতে দিয়েছিলাম,,,,,কিন্তু আম্মুর অনেক রিকুয়েস্ট এর পরে ঐ
বোকরা টা যেটা তুমি পছন্দ না করো ঐ টা পড়ে গিয়ে ছিলাম,,আমি সরি,,,আর এরকম
বোকরা কখনো পড়বো না,,
আচ্ছা ঠিক আছে চলো,,এবার বাসায় চলো,,,আর কখনে না বলে এবাড়িতে আসবানা,,
,যদি প্রয়োজন হয় আমাকে বলবা আমি নিয়ে আসবো,,,
ইশিতাকে নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে আছি,,, অনেকক্ষণ হয়ে গেল একটা রিস্কা ও পাচ্ছি না,,,
নাহ আর দাঁড়িয়ে না থেকে দুজন হাটতে শুরু করলাম,,, দুজন পাশা পাশি হাটছি,,,
ঈশিতার হাত আর আমার হাত বার বার স্পর্শ হচ্ছে,,,কিন্তু আমি ইশিতার হাত ধরছি না,,,
ইশিতা হয়তো চাচ্ছে ওর হাতটা আমি ধরি,,,বার বার ওর হাতটা আমার হাতের সাথে
ইচ্ছাকৃতভাবে স্পর্শ করছে,,,আমি একটু মজা নেওয়ার জন্য,,,আমার হাত দুটা পকেটে
ঢুকিয়ে ফেললাম,,,,,ইশিতা আমার দিকে একরাব তাকালো,,,হয়তো মনে মনে বলছে,,
শয়তা পোলা হাত দুটো পকেটে ঢুকিয়ে ফেলছিস কেন,,আমার সাথে ভাব ধরিস,,, যাহ
তোর হাত ধরবই না?
আমি পকেট থেকে একটা হাত বের করে ইশিতার হাতটা ধরলাম,,,সাথ সাথ ইশিতা আমার
দিকে তাকালো,,,৪বছর পর ভালবাসার মানুষের হাত স্পর্শ করছি,,,হাতটা একদম
পিচ্চি বাচ্চাদের হাতের মত,,দেখলে বুঝা যাই না ২৩ ২৪ বছরের মেয়ের হাত,,,হাতে
নখ গুলো একটু বড়,,, প্রতিটি নখে লাল রঙ্গের নীল পালিশ দেওয়া,,,আর হাতের মধ্যে
সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছে যেটা সেটা হল আমার পরিয়ে দেওয়া রিং
আমি হাতটা ধরে অল্প একটু জোরে চাপ দিলাম,,ইশিতা কোন সারা শব্দ করলো না,,
এবার আমি একটু জোরেই চাপ দিলাম,,,
ইশিতা এবার জোরে উহহহ করে উঠলো,,
আমি সাথে সাথে হাত ছেড়ে দিলাম,কি হল ব্যাথা পেলে,,
যাহ এতো জোরে কেউই চাপ দেই,,,
ইশিতার দিকে লক্ষ করে দেখি চোখে পানি টলমল করছে,,,নাহ সত্যিই অনেকটা
ব্যাথা পেয়েছে,,,না হলে চোখে পানি আসতো না,,এত জোরে চাপ দিওয়া আমার ঠিক হয়নি,,,
আমি ইশিতার সামনে গিয়ে ইশিতার থুতাই হাত দিয়ে মাথা উপরে তুললাম,
,, ইশিতার চেহেরার দিকে তাকিয়ে তো আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি,,, এতক্ষণ
কথা বললাম আমিতো চেহারার দিকে লক্ষ্য করি নাই,,,রাত থেকে এ পর্যন্ত কান্না
করতে করতে চেহারার একবারে বাজে অবস্থা করে ফেলেছে,,,চোখ গুলো
আগুনের মত লাল হয়ে আছে,,,নাকের ডগায় মনে হচ্ছে রক্ত জমাট বেঁধেছে,,,
বেশি কান্নার কারণে ফর্সা চেহেরা সূর্যের লাল রক্তিম কালার ধারণ করেছে,,,,
নাহ এভাবে কষ্ট দেওয়া আমার ঠিক হয়নি,,, আমি গতকাল রাতে একটু বেশিই
করে ফেলেছি,,,, হঠাৎ করে হয়তো আমার এমন ব্যবহার মেনে নিতে পারে নাই,,,
তাই সারারাত কান্না করেছে
আমি ইশিতার দুগালে হাত দিয়ে বললাম,,,এ কি কান্না করতে করতে চেহেরার কি
বাজে অবস্থা করেছো,,,এভাবে কেউ কান্না করে,,,
তোর ব্যবহারের জন্যই তো""((অভিমানি কন্ঠ))
আসলে আমি রেয়েলি সরি,,,আমি বুঝতে পারিনি তুমি এতটা কষ্ট পাবে,,,,কি করবো
বল ঐ সময় আমার মাথা ঠিক ছিলনা,,, এক হলো মাথা ব্যথা আর এক হল তোমার
চিন্তা,,দুনোটা মিলিয়ে আমার মাথা নষ্ট করে দিয়েছিল,,,তাই মুখ দিয়ে যা এসেছে তাই
বলেছি,,,এবারের মত তোমার পিচ্চি বরটাকে মাফ করে দাও,,,
কোন মাফ নাই (((গাল মুখ ফুলিয়ে)))
আমি()কেন সরি বললাম তো,,আর কখনো এরকম করবোনা,, তোমাকে কষ্ট
দিবো না,,,এবারের মত মাফ করে দাও,,,
((ইশিতা))বললাম তো কোন মাফ নাই ,,,তুমি আমাকে বেশি কষ্ট দিয়েছো,,,সারা
রাত কান্না করিয়েছো,,এত সহজে মাফ করে দিলে,তুমি আমাকে আবার কষ্ট দিবে,,,
(((আমি))আর কখনো কষ্ট দিবো না,,এই যে প্রমিস করে বলছি,,,
ইশিতা))))না হবে না?
আমি))(তাহলে কি করলে মাফ করবে,,,
ইশিতা))())যা বলবো তা করবে তো,,,
আমি))))হ্যা করবো,,,
ইশিতা)))কিছু শর্ত মানতে হবে,,,
আমি))()কি শর্ত
ইশিতা)))কি শর্ত আগে বলতে পারবো না,আগ তুমি বল আমার শর্ত গুলো
মানবে কি মানবে না
আমি)))হ্যা মানবো।
প্রথম শর্ত,,,গতকাল রাত থেকে কিছু খায় নাই,, প্রচুর খিদে লেগেছে,,,এখন বাসায়
গিয়ে আমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিতে হবে,,
আমি)))কি বল তুৃমি, কাল রাত থেকে কিছু খাওনায়,,এজন্যই চেহেরার এ অবস্থা করেছ
চল এখন তারাতারি বাসায় চলো?
ইশিতা))))না আগে আমার শর্ত গুলো শুন,,,
আমি))))শর্ত পরে শুনবো,,আগে তারাতারি বাসায় চল,,,এভাবে না খাইয়ে থাকলে
শরিলে রুগ বেধে যাবে
ইশিতা)))কিচ্ছু হবে না আমার,,, আগে আমার শর্ত গুলো শোনো,,,
আমি))))বললাম তো পরে শুনবো,,,আগে বাসায় চল,,,বাসায় গিয়ে তার পর শুনবো,,,
ইশিতা))))তার মানে তুৃমি আমার শর্ত গুলো শুনবে না,,,
আমি))))আচ্ছা ঠিক আছে তারাতারি বল?
ইশিতা))))) প্রথম শর্ত মনে আছে তো
আমি)))হ্যা আছে
,,,তাহলে দ্বিতীয় শর্ত,, আজকে থেকে আমি যা চাইবো,,, তা অনায়াসে এনে
দিতে হবে কখনো না করতে পারবা না,
,,তাহলে দ্বিতীয় শর্ত,, আজকে থেকে আমি যা চাইবো,,, তা অনায়াসে এনে
দিতে হবে কখনো না করতে পারবা না,,,
আমি))))আচ্ছা ঠিক আছে এনে দিবো,,
তাহলে তৃতীয় শর্ত,,,
আমি))))হ্যা বল
আমি যদি কখনো কোন ভুল করি তাহলে আমাকে শুধরিয়ে দিবে,,, আর না
হয় আমাকে বলবে আমি শুধরে নিব,,, কিন্তু আমাকে না বলে,, তার কারণে
আমাকে ইগনোর করা চলবে না,,,, আমাকে দূরে সরিয়ে দিতে পারবে না,,,
ধমক দিতে পারবে না,, যদি আমাকে কিছু না বলে আমার সাথে গত কালের
মত উল্টাপাল্টা কিছু করো তাহলে একটা বাড়ি দিয়ে মাথাটা ফাটিয়ে হসপিতালে
ভর্তি করে রাখবো??
হিহিহি,,তার পর তুমিই কাদবে,,
ইশিতা)))কাঁদলে কাঁদবো,,
চতুর্থ শর্ত,,
আমি))))))আরো আছে?
ইশিতা)))))))হ্যা আরো অনেক
আচ্ছা দাঁড়াও এক মিনিট,,, এই মিয়া আপনারা শুনছেন নি,,,আরে ঐ দিকে
কি দেখেন,,,আমার দিকে তাকান
আপনাকে বলছি,,,শুধু তো গল্প পড়তে বসে থাকেন,,, কীর্তি কারবারটা
দেখছেননি,,,আমার সিনিয়র আপুর,,, নাউজুবিল্লাহ সিনিয়র বউয়ের,,,
হেতে আর বউ ওইয়া মটর সাইকেলে আরেক ছেমরার লগে ল্যাপটি মাইরা
ঘুইরা বেড়ায় ছে,,,গার সাথে গা ঘেসে ছবি তুলছে,,, তার এই অপরাধের জন্য
আমার কাছে একবার সরি বলছে আমি মাফ করে দিছি,,,আর আমি তার
সাথে একটু রাগ দেখিয়ে কথা বলছি,,,তার পর ৩ বার সরি বললাম,,,কিন্তু
আমার মাফ নাই,,, এই মাঝ রাস্তায় রোদের মধ্যে দাড়িয়ে আমাকে শর্ত দিচ্ছে,,,
অলরেডি তিনটা দিয়ে ফেলেছে আরো অনেক আছে,,, কেমনটা লাগে বলেন,,
মেজাজটা গরম হয়ে যায়নি,,, মনটা ক থাপড়াইয়া সবগুলো দাঁত ফেলে দেয়,,,
মেয়েদের কে বেশি ভালবাসা দেখানো ঠিক না,,,তাহলে তারা আহ্লাদী হয়ে
মাথা চড়ে বসে,,,
ইশিতা)))))এই কি হল কাকে থাপড়িয়ে দাঁত ফালানোর কথা বলছো,,
আমি)))))না কাউকে না,,কি বলতে ছিলা বল,
তাহলে চতুর্থ শর্ত শুন,,,
আমি)))))হ্যা বল,,
এই ৪ বছরে তুমি ছিলেনা বলে,,, আমার কোন পছন্দের জায়গায় ঘুরতে
যেতে পারি নাই,,এখন থেকে প্রতি বিকেল বেলা আমাকে আমার পছন্দের
জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে,,, এবং আজ বিকেলে এক জায়গায় যাব
ওই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে,,,
আমি))((যথা আজ্ঞা,,
তাহলে পঞ্চম শর্ত পঞ্চম শর্তটা কিন্তু একটু কঠিন
আমি)))))যত কঠিন হোক তুমি বলো,,
ইশিতা))))আমাকে সারা রাত কাঁদানোর জন্য এবং কষ্ট দেওয়ার জন্য,,
এই মাঝ রাস্তায় ২০ বার কান ধরে উঠবস করতে এবং বলতে হবে
আমাকে আর কখনো কষ্ট দিবে না,,,
আমি)))কি বল তুমি,,,এর আগের শর্ত গুলো ঠিক আছিলো,,কিন্তু এটা কি
শর্ত দিলে তুমি,, এ মাঝ রাস্তায় এত মানুষের মধ্যে আমি 20 বার কানে ধরে
উঠবস করব,,,
ইশিতা))(হ্যা করতে হবে,,দরকার হলে আরো মানুষ ডেকে আনবো,,তার
পর করতে হবে,,,
নাহ মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল,, মান সম্মান আজ আর থাকবে না,,, মন চাচ্ছে
উপরে তুলে একটা আছাড় মারি,,দেখতে তো পিচ্চি মাইয়ার মত লাগে,হাত পা
ছোট ছোট,মুখটা গুল,, মনে হয় ১৬ ১৭ বছরের মেয়ে,,কিন্তু কে বলবে এ
মেয়ের বসয় ২৩ ২৪,,,, আমার চেয়ে দের দুই বছরের বড় ,,
((ইশিতা))এখন ২০ বার কানে ধরে উঠবস করবা,,,আর বলবা আমাকে
আর কখনো কষ্ট দিবানা,,,
((আমি))২০বার,😱😱😱 ঐ শাস্তিটা একটু কমানো যায় না,,,
((ইশিতা))না কমানো যাবে না,,,
প্লিজ দেখনা কোন উপায়ে কমানো যায় নি,,,২০ বার উঠবস করলে আমি বাঁচবো?
ইশিতা))) না ২০বার ঐ উঠবস করতে হবে,,আমাকে কষ্ট দেওয়ার সময় মনে ছিলনা,,
((আমি))১৫ বার করি
((ইশিতা))না ২০ বার
কি আর করা এখন ২০বার ঐ উঠবস করতে হবে,,,আমি কানে ধরে উঠবস
করতে যাবো দেখি রাস্তার সব মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,হায় হায়
আজকে তো মান ইজ্জত সব প্লাস্টিক হবে আমার,,,আমি কান থেকে হাত
ছেড়ে দাড়িয়ে রইলাম,,,
((ইশিতা))কি হল দাঁড়িয়ে রইলে কেন উঠবস করো,,,
((আমি))চল বাসায় গিয়ে উঠবস করবো,,তুমি যত বার বলবে তত বার,,
এখানে প্রচুর মানুষ,,,
ইশিতা))বাসায় গিয়ে না,,, এখানেই করতে হবে,,,,মানুষের সামনে,,,,এটা
আমাকে সারা রাত কাঁদানোর শাস্তি,,,,
((ইশিতা))কি হল উঠবস করবা না,,,আচ্ছা ঠিক আছে,, না করলে আমি চলে
যায়,,একথা বলে ইশিতা হাটতে লাগলো,,,
(আমি)আরে কোথায় যাচ্ছো,,,
((ইশিতা))তুমি তো বাসায় যেতে মানা করেছো,,,এখন যে দিকে যেতে পারি,,,
((আমি))আরে দাঁড়াও উঠবস করছি তো,,,
((ইশিতা))তাহলে করো?
এখন ভাবতে লাগলাম শাস্তিটা কোন উপায়ে কমানো যায়না কি,,,হ্যা মাথায়
একটা বুদ্ধি এসেছে,,,আচ্ছা তোমাকে যদি এখান থেকে কোলে করে বাসায়
নিয়ে যায় তাহলে,,
((ইশিতা))সত্যি নিয়ে যাবে,,
((আমি))হ্যা নিয়ে যাবো,,
((ইশিতা))তাহলে ৫ বাদ যাও,,এখন ১৫ বার উঠবস করো,,
(আমি)মাএ ৫টা,,,৬০ কেজি ওজনের বস্তা বাসায় নিয়ে গেলে তো আমার জান
যাবে আর আসবে,,এতো কষ্ট করবো মাএ ৫টা বাদ,,,
((ইশিতা))কি বললে তুমি আমি ৬০কেজি 😡😡আমি বস্তা,,
হায় হায় কি বলে ফেললাম,😬😬,
((ইশিতা))আমাকে কোলে করে বাসায় নিয়ে যেতে হবে না,,,এখন ২৫ বার উঠবস করবা,,
((আমি))২৫বার কেন,,২০বার না বললে?
ইশিতা))এখন ২৫ বার উঠবস করতে হবে,,,আমাকে বস্তা বললে কেন,,আমি
৬০কেজি,, আমি মুটেও ৬০ কেজি নয়, আমি ৪৭কেজি,,,এখন চুপচাপ ২৫বার
উঠবস করো,,,
((আমি))আচ্ছা ঠিক আছে সরি ৫বারিই কমিয়ে দাও,,
((ইশিতা))তাহলে ২০উঠবস করো,,,
(আমি)আবার ২০বার কেন ১৫ বার হবে"
ইশিতা))তুমি আমাকে বস্তা বললে কেন,,এজন্য ৫টা বেড়েছে ২০+৫=২৫ এখান
থেকে তুমি আমাকে কোলে করে বাসায় নিয়ে যাবে তাহলে ৫টা কমবে,,,২৫টা
থেকে ৫টা চলে গেলে থাকে ২০টা,,এখন তারাতারি ২০বার উঠবস করো,,,
কেমনটা লাগে বলেন,, পাঁচটা বিয়োগ করে কমালাম,,, ও আবার পাঁচটা এনে
যোগ করল,,তাহলে ঘুরে তো ২০টায় হলো,, যেই লাউ সেই কদু,,, কোলে করে
বাসায় নিয়ে যাবো তো ফাও,,
কি আর করা,,কোন উপায় নেই, চুপচাপ ২০বার উঠবস করে ফেলা ভাল,,, আমি
কান ধরে উঠবস শুরু করলাম,,, ঈশিতা আমার উঠবস দেখে মুচকি মুচকি হাসছে
,, আর রাস্তার সব লোক এক দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,, আমি চোখ
বুজে ৮ টা নিয়ে ফেললাম,,, কপাল দিয়ে অল্প অল্প ঘাম বের হচ্ছে,,,আর ৪
টা নিয়ে কমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম,,,
((ইশিতা))কি হল দাঁড়িয়ে পড়লে কেন,,,
((আমি))আমার কমর প্রচুর ব্যথা করতেছে,,,
((ইশিতা))সত্যি?
(আমি) হুম?
(ইশিতা)তাহলে আর উঠবস করার দরকার নাই চল বাসা চলে যায়,,,
((আমি))হুম চল,,,আমি মুচকি মুচকি হেসে মনে মনে বলতে লাগলাম,,আমার
সাথে চালাকি কর আমি ৫ টা কমালাম আর তুমি ৫টা বাড়িয়ে দিলে,,,এখন
মোট ১০ টা নিলাম কেমন হল,,,
ইশিতা আমার মুচকি হাসি দেখে বলতে লাগলো তুমি হাসো কেন,,
(আমি) না এমনি?
((ইশিতা))তার মানে তুমি আমাকে মিথ্যে বলেছ, তোমার কোমরে কোন ব্যথা নাই,,
আমি))না আছে তো,,
(ইশিতা))আচ্ছা ঠিক আছে,, এখন আমাকে কোলে নাও,,
(আমি))কমরে ব্যথা নিয়ে?
(ইশিতা))তুমি কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছো,,
(আমি)আচ্ছা ঠিক আছে নিচ্ছি,,,
ইশিতাকে কোলে নিয়ে হাটতে শুরু করলাম,,ইশিতা আমার কপালে বেয়ে আসা
ঘাম গুলো তার শাড়ির আচল দিয়ে মুছে দিচ্ছে,,, একটা মানুষ যে তার প্রিয় মানুষকে
কতটুকু ভালবাসে তার কেয়ারিং দেখে বোঝা যায়,আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি,,
তাই তো সব দিকে তোমার এত কেয়ার করি,,ইশিতা তার হাত দিয়ে আমার গলা
জরিয়ে ধরে আছে এবং পলকহীন দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
আমি))কি দেখ?
ইশিতা)) আমার পিচ্চি বরটাকে,,
(আমি))আমাকে দেখার কি আছে.
ইশিতা))তোমার মাথা একটু নিচে নামাও
আমি মাথাটা নিচে নামালাম,,,ইশিতা তার হাত দিয়ে আমার স্টাইল করা চুল গুলো
সব ওলট পালট করে দিল,,
আমি))কি হল চুল গুলো এমন করলে কেন
ইশিতা))তোমাকে এত সুন্দর এত স্মার্ট লাগে কেন,,
আমি))তাই বলে চুল গুলো তুমি এমন করবে,,
((ইশিতা))হুম ১০০ বার করবো,, কেউ যেন তোমার দিকে না তাকায়,,শুধু আমি দেখবো?
(আমি)তাই,, শুধু তুমি দেখবে?
(ইশিতা)হুম?
বাসার সামনে গিয়ে ইশিতাকে কোল থেকে নামিয়ে দিলাম,,
বাসার সামনে গিয়ে ইশিতাকে কোল থেকে নামিয়ে দিলাম,,
দরজার কলিংবেল চাপ দিতেই আম্মু এসে দরজা খুলে দিল,,,আম্মু ইশিতাকে
দেখে বলতে লাগলো,,কি হল তুই চলে আসলি কেন,,
((ইশিতা))তোমার ছেলে নিয়ে আসছে,,
(আম্মু))আমার ছেলেই তো তোর সাথে গতকাল রাতে খারাপ ব্যবহার করেছে,,
((ইশিতা))তোমার ছেলে আমার কাছে প্রমিস করেছে আর কখনো এরকম
করবে না,, না হলে আমি আসতাম না,,ফের যদি আবার এরকম করে তাহলে
একবারে চলে যাবো,,,,আর কখনো আসবো না,,,
এখন আমাকে খাবার দাও,,, আমার প্রচুর খিদে লেগেছে,,তোমার ছেলের
জন্য একদিন না খেয়ে ছিলাম,
আম্মু)) ঠিক আছে তুই টেবিলে বস আমি খাবার দিচ্ছি,,,
ইশিতা)) না টেবিলে বসে খাব না,,তুমি খাবার দাও আমি রুমে নিয়ে খাবো,,
আম্মু ইশিতার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলো,,মার চোখ ফাকি দেওয়ার
মত কেউ নাই,,,আম্মু হয়তো বুঝে ফেলেছে ইশিতা কি জন্য রুমে খাবার নিয়ে খাবে,,,
আমি রুমে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লাম,,২ ৩ মিনিট পর ইশিতা খাবার প্লেট হাতে
নিয়ে রুমে ঢুকলো,, দেখে আমি বিছানায় শুয়ে আছি,বলতে লাগলো,, কি হল শুয়ে
পড়লে কেন,,উঠ বলছি,,
আমি))শুয়ে পড়ছি কি সাদে,,তোমাকে কোলে করে নিয়ে আসতেই তো আমার জান শেষ?
((ইশিতা)) তারমানে বুঝাচ্ছো আমি অনেক উইট,,
আমি))আমি কখন বললাম তুমি অনেক উইট,,
ইশিতা))এই যে বললে,আমাকে কোলে করে নিয়ে আসতে আসতে তোমার
জান শেষ,,আর ভুলে ও কখনো বলবো না আমাকে কোলে নেওয়ার জন্যে,,,
ইশিতা রাগ করে খাবার প্লেট হাতে নিয়ে রুম থেকে চলে যাচ্ছে,,,
(আমি))আরে কোথায় যাচ্ছো?
ইশিতা))নিচে যাচ্ছি খাব না আমি??
আমি))কেন তুমি না বললে তোমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিতে
ইশিতা,,))না কেউই খাইয়ে দিতে হবে না, আমি খাবই না,
আমি))কেন
ইশিতা))তুমি ঐ সময় বললে আমি বস্তা,,এখন বলছো আমি অনেক উইট,,,
খাব না আমি
((আমি)) আচ্ছা বাবা সরি আর কখনো এগুলো বলবো না,,, তুমি যখন বলবে
তখনই তোমাকে কোলে নিব,,
((ইশিতা)) সত্যি আমি যখন বলবো তখন নিবা তো,,
আমি))হ্যা নিবো,,
ইশিতা))তাহলে এখন আমাকে কোলে নিয়ে খাইয়ে দিবা,,
কেমন মাইয়া বলেন,, এখন বললো খাবে,,আবার এখনিই বলে কোলে তুলে
খাইয়ে দিতে হবে,,,কথা বললেই বিপদ,, এখন যদি বলি তুমি না বললে আর
কখনো কোলে উঠবা না,,তাহলে রাগ খাবারের প্লেট ফেলে দিয়ে চলে যাবে,,,
এই সুন্দর কিউট মাইয়া গুলোর এত রাগী হয় কেন,,
ইশিতাকে কোলে নিয়ে খাইয়ে দিচ্ছি,, একটা লোকমা দিয়েছি অনেক বড়
দুগাল ফুলিয়ে চিবুচ্ছে, আর কি যেন বলার চেষ্টা করছে কিন্তু মুখ দিয়ে শুধু
উমমমম উমমম শব্দ বের হচ্ছে আমি হাত দিয়ে ইশারা করে বললাম আগে
খেয়ে নাও তারপর কথা বলবা,,
ইশিতা মুখের ভাত শেষ করে বলতে লাগলো,, এত বড় লোকমা দিয়েছো কেন,,
আমার চাবাতে অনেক কষ্ট হইছে,,,
আমি)) তুমি না বললে তোমার অনেক খিদে লেগেছে,,
ইশিতা))তাই বলে সব একবারে দিয়ে দিবা নাকি,, ছোট ছোট লোকমা দেও,,
আচ্ছা ঠিক আছে এবার ইশিতাকে একটা ছোট লোকমা দিলাম,, তারপরও দু
গাল ফুলিয়ে চাবাচ্ছে,,,আমি জিজ্ঞাসা করলাম এবার তো ছোট লোকমা দিলাম,,
তাহলে দু গাল ফুলিয়ে চাবাচ্ছ কেন,,,
ইশিতা)))উমমম মহা ইমমমমম, একটা ঢোঁক গিলে বলতে লাগলো এটা আমার
ছোটবেলার অভ্যাস,,,
আমি ঈশিতার খাবারের স্টাইল দেখে আমার হাসি উঠে গেল,,, ইশিতার কাছে পিচ্চি
বাচ্চারা ও হাট মানবে ,, বাচ্চারা মনে হয় এ সিস্টেমে খাবার খাই না,,
ঈশিতাকে খাবার খাওয়ানো শেষ করতে দেরি আম্মু ডাক দিতে দেরি নয়,,, একটু
রোমান্স করব সে সুযোগটা পেলাম না,,,
আমি গোসল দিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে চলে গেলাম,,, নামাজ শেষ করে
মসজিদে কিছুক্ষণ কোরআন তেলাওয়াত করে তারপর বাসায় আসলাম,,, বাসায়
এসে দেখি টেবিলে খাবার রেডি,,,সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম,,,ইশিতা
আগে উঠে চলে গেল,,আমি আব্বুর সাথে একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতেছি,,
,আব্বুর সাথে কথা বলা শেষ করে , আমি আমার রুমের দিকে পা বাড়ালাম,,রুমে
ঢুকে দেখি ইশিতা ড্রেসিংয়ের আয়নার সামনে বসে চুল আসরাচছে,,আমি দরজাটা
লাগাতে গিয়ে দরজাটা একটু জোরে আওয়াজ হলো,, ঈশিতা হকচকিয়ে বলল কে,,,
ইশিতা এত জোরে কে বলছে আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম,,এমন তারছিড়া মেয়েতে
দেখি নাই,,এ বাসায় আব্বু আম্মু আমি আর ইশিতা ছাড়া কেউ নায়,তাহলে রুমে কে
আসবে,,, ইশিতা আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,আমি ও এক দৃষ্টি নিয়ে ইশিতার দিকে
তাকিয়ে,,ওকে খুব সুন্দর লাগছে,,,আমি একটু মজা নেওয়ার জন্যে সিনেমা অ্যাক্টিং
শুরু করলাম,,দেখি ইশিতা কি কর"""হায় সুন্দরী তুমি আমাকে চিন না,,আমি কে,,
কিছুদিন আগে সবার সামনে তুমি আমার গালে থাপ্পড় দিয়েছিলে,,আমি আজ তার
প্রতিশোধ নেব,,, এ নির্জন বাসায় তোমাকে একা পেয়েছি,,,আজ কেউই তোমাকে
আমার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না হাহহহাহহহাহাহা হাহহাহহাহাহা,,,
ইশিতা)) আমি তোদের মত সন্ত্রাসীকে ভয় পাই না,,,
আমি))তাই নাকি সুন্দরী,, আজ তোমাকে দেখাবো ভয় কত প্রকার ও কি কি,,,
একথা বলে আমি ইশিতার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম,,,,
ঈশিতা বলতে শুরু করল,,, প্লিজ আপনি আমার কাছে আসবেন না,,, আমি কিন্তু
চিৎকার করবো লোক ডাকবো,,
হায় হায় এতো দেখি অ্যাক্টিং এ আমার ওস্তাদ,,
আমি))হাহহাহহাহ হাহহাহহাহ চিৎকার করে কোন লাভ হবে না সুন্দরী,,,,তোমার
চিৎকার শুনে কেউ আসবে না,,তাই চুপ চাপ বসে থাকো আর আমার লীলা খেলা
দেখতে থাকো,,আমি ইশিতার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম,,,
ইশিতা বলতে লাগলো,,,তুই আমার কাছে আসবি না শয়তান,,, তুই আমার স্বামী কে
চিনিস না,, আমার স্বামী যদি একবার জানতে পারে তাহলে তোকে জ্যান্ত মাটিতে
দিয়ে ফেলবে,,,
((আমি)) হাহহাহ হাহ হাহ হাহ তাই নাকি ডাক তোর স্বামীকে,,
ইশিতা চোখ বুঁজে ফারাবী বলে একটা ডাক দিলো,,সাথে সাথে আমি অ্যাক্টিং ছেড়ে
দিয়ে হাতের ডেনাটা একটু উপরে তুললাম,, চুলগুলো হাত দিয়ে নাড়া দিয়ে ঈশিতার
সামনে গিয়ে বললাম কি হয়েছে ইশিতা,, এতো জোরে চিৎকার করলে কেন,,,
ঈশিতা))) একটা গুন্ডা এসেছিল,,,
আমি))কোথায়
ইশিতা))তুমি আসার পর চলে গেছে
আমি))তাই
ইশিতা))হুম?
দুজনই জোরে হেসে উঠলাম,ইশিতাকে ড্রেসিংয়ের আয়নার সামনে থেকে
কোলে তুলে নিলাম,,তার পর বিছানার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম,,,ইশিতা
তার হাত দিয়ে আমার গলা জরিয়ে ধরেছে,,,বিছানার কাছে নিয়ে ওকে শুয়ে দিলাম,
,ইশিতা তার চোখ জোড়া বন্ধ করে আছে ,,আমি আসতে আসতে ইশিতার
★আমি ইশিতাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে,, তার উপরে শুয়ে পড়লাম,,,,
ইশিতা চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো,,,আমি
ইশিতার সেই নিঃশ্বাসের আওয়াজ স্পষ্ট শুনতে পারছি,,,
আমি আসতে আসতে ইশিতার গোলাপি ঠোঁট জোড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি,,,
ইশিতার বুক খুব দ্রুত ওঠানামা করছে,,,আমি যখন ইশিতার ঠোঁট জোড়া
গুলো নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেব,,, এমন সময় ইশিতা দিকে তাকালাম,,,ওর
কপালে অল্প অল্প ঘামের ফুটা,, ঠোঁট গুলো শুকিয়ে একটা থেকে আরেকটা
আলাদা হয়ে আছে,,, ঈশিতার গরম উষ্ণ নিঃশ্বাস আমার মুখের উপর পড়ছে,,,
নিজেকে এক অজানা জগতে হারিয়ে ফেলছি,,
আমি ঈশিতার ঠোঁট জোড়ার কাছে আমার ঠোঁট জোড়া নিয়ে ফিরিয়ে আনলাম,,,
পরক্ষণে ইশিতা তার চোখ খুলে তাকালো এবং বলতে লাগলো,,কি হল
((আমি))না কিছু না,,
ইশিতা))সরো আমার উপর থেকে খালামণি ডাকছে,,
আমি))) কেউ ডাকছে না চুপচাপ শুয়ে থাকো,ইশিতা আমার কথা মতে চুপ
হয়ে শুয়ে রইলো,
এবার ও আমি ইশিতার ঠোঁট জোড়া এর কাছে আমার ঠোট জোড়া নিলাম,,
ঈশিতা চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলছে,,,আর কারো ঠোঁটের
স্পর্শ পাওয়ার জন্য তার ঠোট গুলো অল্প অল্প কাপন তুলছে,,,আমি আসতে
আসতে ইশিতার ঠোঁট গুলো নিজের আয়ত্বে নিয়ে নিলাম,, দুজনের গরম উষ্ণন
নিঃশ্বাস মিলে একাকার হয়ে গেল,,ইশিতা তার হাত দিয়ে আমার চুল খামচে
ধরেছে,,, কতক্ষণ পর্যন্ত
দুজন বিভোর হয়ে ছিলাম ভালোবাসার মধুময় ফিলিংসে বলতে পারবো না,,,
কিছুক্ষণ পর ঈশিতা আমাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে আমার বুকে এসে শুয়ে
পড়লো,,এবং জোরে জোরে হাঁপাতে লাগলো,,, আমি বড় বড় কয়েকটা নিঃশ্বাস
নিয়ে ঈশিতা কে বললাম এখন উঠ আমার একটু বাহিরল যেতে হবে,,
((ইশিতা))) বাহিরে কেন,,,
((আমি)) আমার একটু কাজ আছে,,
((ইশিতা)) না কোথাও যেতে পারবে না,, আমি এখন ঘুমাবো,
((আমি)))ঘুমাবে ভালো কথা বালিশে ঘুৃমাও,,
((ইশিতা)) না আমি তোমার বুকে ঘুমাবো,,আমি বলছি না তোমার বুকটা শুধু
আমার জন্য বরাদ্দ,,,এখন কোন কথা নয়,,গতকাল রাতে ঘুমাতে পারি নাই
তোমার জন্য,,, এখন আমি ঘুমাবো,, তুমি চুপচাপ শুয়ে থাকো,
((আমি)) আরে এই দিনের বেলা আমার ঘুমে ধরবেনা তো,,
(( ইশিতা)) ঘুমে না ধরলে ও,,,তোমার শুয়ে থাকতে হবে,,, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি
ঘুমাবো,,, ততক্ষণ পর্যন্ত,, একদম নড়াচড়া করবে না,, নড়াচড়া করলে কিনতু
একদম মেরে ফেলবো,,
হিহিহিহি পাগলী একটা,,
কি আর করা বাধ্য হয়ে বুকে নিয়ে শুয়ে আছি,এই দিনের বেলা তো ঘুম
আসবে না,,ইশিতার দিকে তাকিয়ে দেখি চোখের পাতা একবার খুলে একবার
বন্ধ করে,, ছোট্ট বাচ্চাদের মতো চুপটি করে আমার বুকে শুয়ে আছে,,,ওর
লম্বা চুল গুলো দিয়ে মুখের একপাশ ঢাকা,,,ওকে ঘুমন্ত অবস্থায় খুব মায়াবি
লাগছে,,,মুখের চুল গুলে হাত দিয়ে সরিয়ে কপালে একটা চুমু একে দিলাম,
,ইশিতা সাথ সাথে একটু নড়েচড়ে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো,,,
ঈশিতা কে বুকে নিয়ে শুয়ে থাকতে থাকতে কখন যে নিজেই ঘুমিয়ে
গেলাম বলতে পারব না,,বিকাল ৫টা ইশিতা আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে
তারাতারি ওয়াশরুমে পাঠিয়ে দিল,,আজকে নাকি ওকে ওর পছন্দের
জায়গায় নিয়ে যেতে হবে,,,
ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে দেখি,,ইশিতা দাঁড়িয়ে আছে তোয়ালা হাতে,,
আমার ভেজা চুলগুলো তোয়ালে দিয়ে মুছে দিল,,তার পর আমার পছন্দের
নীল কালারের একটা পাঞ্জাবি এনে দিয়ে বললো,,তারাতারি এটা পড়,,
আমার প্রিয় কালারের পাঞ্জাবি কোথায় পেয়েছো জিজ্ঞাসা করতেই বলল,,,
চাকরির প্রথম মাসের টাকা দিয়ে তোমার জন্য এই পাঞ্জাবীটা কিনেছিলাম,,
আমি রেডি হয়ে ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছি,,ইশিতা এখনো আসার
কোন খবর নাই,, মেয়েদের সাজতে এত সময় লাগে কেন,,,হঠাৎ করে
লক্ষ করে দেখি,, ইশিতা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে,, আমি পলক হিন দৃষ্টি
নিয়ে ইশিতার দিকে তাকিয়ে আছি,,,, আমি যেন চোখ সরাতে পারছিনা,,
আকাশী কালার শাড়ি,, শাড়ির কুচি গুলো এত সুন্দর করে দিয়েছি যে,,মনে
হচ্ছে যে মেশিনে কুচি গুলো দিয়ে ক্লিপ লাগিয়ে দিয়েছে,,দুহাত ভর্তি নীল চুড়ি,,
কপালে লাল টিপ,,ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপিস্টিক,, চোখে গাঢ় করে কাজল
, লম্বা রেশমি কালো চুল গুলো কমর পর্যন্ত ছাড়িয়ে,,বা কানের ঠিক উপরে
একটা টকটকে লাল গোলাপ,,সেই লাল গোলাপটা যেন ইশিতার সৌন্দর্যটা
আরও কয়েকগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে,,, আমি মুগ্ধ মহিমাই তাকিয়ে আছি আমার
সিনিয়র পয়শির দিকে,, যেন স্বর্গ থেকে উঠে আসা কোন অপ্সরী আমার সামনে
দাঁড়িয়ে,,,
ইশিতা আমার সামনে এসে হাসি মুখে বলতে লাগলো,,দেখতো আমাকে
কেমন লাগছে,,,
অনেক সুন্দর লাগছে,,
শুধু সুন্দর লাগছে "" (অভিমানি কন্ঠে))
আমি ইশিতার দিকে তাকিয়ে দেখি,, হাসি উজ্জ্বল চেহারাটা মুহুর্তের মধ্যে
ফ্যাকাশে হয়ে গেল,,,,,হয়তো মনে মনে বলছে,, আমি এতক্ষণ লাগিয়ে এত
সুন্দর করে সাজলাম,,আর ওর কি না বলছে শুধু সুন্দর লাগছে,,,
আমি ইশিতার ফ্যাকাশে চেহারার দেখে বলতে শুরু করলাম,,,তোমাকে সত্যিই
অনেক সুন্দর লাগছে,, তোমাকে এতটাই সুন্দর লাগছে যে,আমি তোমার কাছ
থেকে চোখ সরাতে পারছিনা ,,, তোমার এই সৌন্দর্যের কাছে স্বর্গের যে কোন
অপ্সরী ও হার মানতে হবে ,,,
ইশিতা আমার মুখে তার সৌন্দর্যের প্রশংসা শুনে মুচকি হেসে বলল হইছে আর
বলতে হবে না চল,,,
ইশিতাকে নিয়ে ইশিতার পছন্দের একটা পার্কে চলে গেলাম,,, সূর্যমামা যতক্ষণ
না পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত দুজন পার্কে বসে ছিলাম,,,
দিনের আলোকে বিদায় জানিয়ে,, সন্ধ্যা যখন চারপাশকে গ্রাস করবে,,তখন
দুজন হাত ধরে হাটতে শুরু করলাম অসংখ্য বাতি ধারা ভরপুর শহরের সুন্দর
রাস্তায়,,
ইশিতা একটু থেমে থেমে হাটছে,,আমি বালিকাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি হল
খেদে লেগেছে,,, ইশিতা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো,,
তাহলে চল একটা রেস্টুরেন্টে খেয়ে বাসায় চলে যাবো,,দুজনদুজনে হাঁটছি,,
হঠাৎ করে একটু দুরে একটা ফোসকার দোকান দেখা যাচ্ছে,, ইশিতা ফুচকার
দোকানের দেখে খুশি হয়ে দৌড়ে ফোসকার দোকানের সামনে চলে গেল,,আমি
যে ইশিতার সাথে আছি তার খেয়ালই নাই,, আমি আসতে আসতে হাঁটছি,,ইশিতা
ফুচকার দোকানের সামনে গিয়ে পিছনে ফিরে তাকালো,,,আমাকে দেখতে পাচ্ছে
না,,,,তার চোখ জোড়া পাগলের মতো আমাকে খোঁজতে লাগলো,,,এদিক ওদিক
তাকাচ্ছে,,, পরক্ষণে আমি যখন তার সামনে গেলাম,, সে দৌড়ে আমার কাছে
আসলো,,,এবং হাঁপাতে হাঁপাতে বলতে লাগলো,,কোথায় ছিলে তুমি,,তুমি এতো
আসতে আসতে হাট কেন,,আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম,,
আমি)(তুমি তো আমাকে রাস্তায় ফেলে চলে আসছো,,,
ইশিতা))সরি এখন চলো ফুসকা খাবো,,
আমি))কিসের ফুসকা,,ফুসকা ভাল না,,চলো রেস্টুরেন্টে কিছু খেয়ে তারপর
বাসায় চলে যাব,,
ইশিতা)) না আমি রেষ্টুরেন্টে খাবো না আমি ফুচকা খাবো,,
আমি))ফুসকা ভাল নাতো,এগুলো খেলে পেটে সমস্যা হবে,, তার চেয়ে ভালো
রেস্টুরেন্টে কিছু খেয়ে তারপর বাসায় চলে যাবে,,,
ইশিতা))না আমি ফুসকাই খাবো,,
বালিকাকে কোন ভাবে বুঝাতে
বালিকাকে কোনো ভাবে বোঝাতে পারলাম না,,বালিকা দৌড়ে গিয়ে ৩
প্লেট ফুচকা অর্ডার দিল,,,দুটাই ঝাল একটু বেশি,আর একটাই একটু কম,
,আমি বালিকাকে জিজ্ঞাসা করলাম 3 প্লেট ফুচকা কেন,,আর একটাই
ঝাল কম দুইটাই বেশি কেন,,,ইশিতা উত্তর দিলো,,দুটা আমি খাবো সে দুটাই
ঝাল বেশি,,তুমি একটা খাবে ওটায় ঝাল একটু কম,,তুমি তো আবার ঝাল
বেশি খেতে পারনা,,বালিকা আমার জন্য ঝাল ছাড়া এক প্লেট ফুচকা অর্ডার
দিল,,,বালিকা মনে করেছে আমি আগের সেই পিচ্চি ফারাবীই রয়ে গেছি,,,
মাথায় একটা দুষ্টুমি বুদ্ধি এসে চাপল,,,,ফুসকা ওয়ালা মামাকে কিছু টাকা
দিয়ে বললাম,,,একটার মধ্যে প্রচুর জাল দিবে,,,আর তোমার ড্রামের সব
পানি ফেলে দিবে,,বালিকা যদি জিজ্ঞাসা করে,,,তোমার এখানে পানি আছে
নি,,,তুমি না বলবে,,কোন দোকানের কথা জিজ্ঞাসা করলে,,বলবে ৩০মিনিটের
মত লাগবে,, যেই ভাবা সেই কাজ,,,
ফুসকা ওয়ালা মামা এক প্লেট ফুচকা প্রচুর ঝাল দিয়ে আমাকে দিল,, আর
ইশিতাকে দু প্লেট,,,আমি ফুচকা মুখে দিয়ে দেখি আসলে প্রচুর ঝাল দিয়েছে,,,,
ইশিতা আমার দিকে না তাকিয়ে,,চোখ বুঝে ফুচকা খাওয়া শুরু করেছে,,
বালিকা কিছুক্ষনের ভিতরে এক প্লেট ফুচকা শেষ করে ফেলল,,,আমি
ঝালের কারনে অল্প অল্প মুখে দিচ্ছি,, ইশিতা আরেক প্লেট ফুচকা প্রায়
শেষের দিকে,,,তখন আমি ঝালের কারনে চেঁচিয়ে উঠলাম,,,সত্যিই আমার
অনেক ঝাল লেগেছে,,,ঝালের কারণে চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে,,
ইশিতা বলতে লাগলো,, কি হয়েছে,,
,
((আমি))আমার প্রচুর ঝাল লেগেছে,,
((ইশিতা)) তোমার এটাই তো ঝাল দেয় নাই,,
আমি)) ঝাল না দিলে কি আমি সাদে চিল্লাচ্ছি,,,
ইশিতা আমার দিকে লক্ষ্য করে দেখে,,আসলেই ঝালে কারনে আমার
চেহেরা পড়ো লাল হয়ে গিয়েছে,,চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,,,ইশিতা ফুচকার
প্লেটটা রেখে তারতারি ফুচকা ওয়ালা মামার কাছে গিয়ে বলতে লাগলো,,
তারতারি পানি দেন,,
ফুচকা ওয়ালা)) পানি তো নাই ম্যাডাম?
ইশিতা) (কি বলছেন আপনি,,আপনাকে না করেছি না,,ওর এটা মধ্যে ঝাল
না দেওয়ার জন্য,,আপনি ঝাল দিলেন কেন ওর ইটায়,,
ফুচকা ওয়ালা))ম্যাডাম ভুলে ঝাল পড়ে গেছে,,
এদিকে আমি ঝালের কারনে চিল্লিয়ে যাচ্ছি,ইশিতা দৌড়ে আমার কাছে এসে,,
ঝাল কি বেশি লেগেছে,,,,,আমি ইশিতার কথার কোন জবাব দিচ্ছি না,,
চোখ দিয়ে অঝর ধারায় পানি পড়ছে,,
ইশিতা,)),এখন কি করবো আমি,,এখানে তো পানি ও নেই,,,,,
আমি))কিছু একটা করো প্লিজ তারাতারি,,,আমি ঝালের কারনে মরে যাচ্ছি,,,,
((ইশিতা)) হায় আল্লাহ এখন আমি কি করবো,,কি জন্য আমি ফুচকা খেতে
এসেছিলাম,,,ঐ ফুচকা ওয়ালা ব্যাটার জন্য এ অবস্থা,,
ইশিতা পানির জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিল,,,ফুচকাওয়ালা মামার কাছে
আবার ও গিয়ে বললো,, প্লিজ একটু পানির ব্যবস্থা করেন না,,
ফুচকাওয়ালা))) ম্যাডাম আমি পানি কোথা থেকে আনবো,,,
((ইশিতা)) আপনি ফুচকা বিক্রি করেন আপনার কাছে পানি থাকে না,,,
আপনি ওকে ঝাল দিয়েছেন কেন,,,ইশিতা ঘুরে আমার দিকে তাকালো,,,
আমার অবস্থা খুবই খারাপ,, পরক্ষণে আবার ফুচকাওয়ালা মামাকে
বলতে লাগলো,,আশেপাশে কোন দোকান নাই,,,,
((ফুচকাওয়ালা)) না ম্যাডাম দোকান তো অনেক দূরে,, প্রায় ৩০মিনিট লাগবে,,,
ইশিতা)) কি বলছেন আপনি,,,ও তো এখন ঝালের কারণ মারা যাবে,,,
ওর যদি কিছু হয় আমি আপনাকে ছাড়বো না,,,
আমি ইশিতাকে ডাকতে লাগলাম,,ইশিতা দৌড়ে আমার কাছে এলো,,,
কি হল পানির ব্যবস্থা করতে পারলে না,,
ইশিতা)) কোথাও পানি নাই,,, দোকানে যেতে এখান থেকে ৩০ মিনিট লাগবে,,,
এখন আমি কি করবো,
আমি)) কিছু একটা করো প্লিজ,,,
ইশিতা কি করবে বুঝতে পারছেনা,, দিশেহারা হয়ে গেল,,,আমাকে টেনে একটা
গাছে আরালে আনলো,,তার পর বলতে লাগলো চোখ বন্ধ করো,,
((আমি)) আমি ঝালে মরছি চোখ বন্ধ করবো কেনো,,
ইশিতা))তোমাকে বলছি চোখ বন্ধ করতে,,,
আমি চোখ বন্ধ করলাম,সাথে সাথ ইশিতা আমার ঠোঁট জোড়া ওর আয়ত্তে নিয়ে নিল,,
অতিরক্ত ঝাল আর ইশিতার মধুমাখা চুম্বন
দুনোটা একক্রীত করে মুখে ভিতরে এক অন্য রকম ফিলিংসের আবা সৃষ্টি করেছে,,,
মনে হচ্ছে আমার সব ঝাল ইশিতা তার মধুমাখা ঠোঁট দিয়ে সব চুষে নিচ্ছে,,
কিছুক্ষণ পর ঈশিতা আমার ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করতে লাগলো,, ঝাল
কমেছে,,আমি মাথা নড়িয়ে না বললাম,,
সাথ সাথে ইশিতা আবারো এক চুম্বনে হারিয়ে গেল,,,ইশিতার এবারের চুম্বনে
আমার মুখের ঝালটাকে একবারে নিস্তব্ধ করে দিয়েছে,,,
এভাবে ইশিত ৩বার আমার ঠোঁট ওর আয়ত্তে নেওয়ার পর বলতে লাগলো এবার
ঝাল কমেছে,, আমি একটু হেসে বললাম , না,,সাথে সাথে ইশিতা আমার বুকে ২ ৩
কুষি মেরে বললো,, লুচু কোথাকার,,
ইশিতাকে নিয়ে ফুচকাওয়ালা মামার টাকা দিতে যাবো, ইশিতা বলতে লাগলো
কোন টাকা দিবে না,,
আমি))কেন
((ইশিতা)) ওনাকে ১০০বার না করছি,,তোমার ফুচকা মধ্যে ঝাল না দেওয়ার জন্যে,,
তার পরও ওনি ঝাল দিলেন কেন,, আর সবচেয়ে বড় কথা ওনি ফুচকা বিক্রি করে
পানি রাখে না কেন??
ইশিতাকে অনেক বুঝিয়ে ফুচকাওয়ালা মামার টাকা দিয়ে হাটতে লাগলাম,,,
হাঁটতে হাঁটতে মেন রোড ছেড়ে একটা ছোট রাস্তায় চলে এসেছি,, ইশিতা আমার একটু
আগে আগে হাটছে,,, নিস্তব্ধ পরিবেশ,এই রাস্তায় তেরকম মানুষ নাই,,জন মানব হিন
শূন্য রাস্তা,,, হয়তো খুব কম সংখ্যক লোক এ রাস্তাটা ব্যবহার করে,,, আমি মনে মনে
বলছি,, কোন রাস্তার চলে আসলাম,,,এ রাস্তা দিয়ে তো আমি কখনো যাইনি,, ৷ রাস্তার
ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলোর একটু দূরে দূরে,,এত দুরে দূরে বাতি দেওয়ার মানে কি,,
চারপাশে অসংখ্য বড় বড় মেহনী গাছ,,সে মেহনী গাছে কারনে রাস্তাটাকে
একটু অন্ধকার দেখা যাচ্ছে,, চারপাশে থেকে অসংখ্য ঝিঝি পোকার ঝিঝি
শব্দ কানে আসছে,,, পরিবেশটাকে আমার কাছে তেরকম সুবিধার মনে হচ্ছে
না,, হঠাৎ করে তীব্র একটা ঠান্ডা একটা বাতাস শরীরে এসে লাগলো,,,সে
বাতাসে মেহনি গাছে পাতা গুলো জর জর করে রাস্তায় পড়ছে,,গাছে ডাল
একটার সাথে আরেকটা বারি খাচ্ছে,, আকাশে দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম
মেঘের পূর্বভাস,,,, কিছুক্ষণ পরে হয়তো বৃষ্টি নামবে,, ঠান্ডা বাতাস আর
অল্প অন্ধকার রাস্তা,,এ পরিবেশটা দেখে,,গা টা কেমন যেন একটু হিম শীতল
হয়ে এলো,,
পরক্ষণে সামনে তাকাতেই দেখি বিশাল বড় একটা কবরস্থান,,,,এবার
শরীরটা পুরোপুরি কাটা দিয়ে উঠলো,,,হাতা থাকা ঘড়ির দিকে তাকালাম,,
রাত ৮টা বেজে গেছে খেয়ালেই নেই,,,আম্মু খুব টেনশন করবে,,আমি জোরে
জোরে পা চালাতে লাগলাম,,,সামনে তাকিয়ে দেখি ইশিতা আমার কিনে
দেওয়া চকলেট খাচ্ছে আর আন মনে হাঁটছে,,,আমি বালিকাকে ধরার
জন্যে আরেকটু জোরে পা চালাতে লাগলা,,
হঠাৎ করে পকেটে থাকা মোবাইলটা বাজতে লাগলো,,মোবাইলটা বের করে
কানে লাগাতেই,,ইশিতা আচমকা দৌড়ে এসে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে
ধরলো,,আমি ফোনটা কেটে ইশিতাকে বললাম,, কি হয়ে ইশিতা,, ইশিতা কোন
কথা বলছেনা,,আমাকে আরো জাপটে ধরেছে,,
বুঝতে পেরেছি বালিকা হয়তো কোন কারণে অনেক ভয় পেয়েছে,,,আমি হাত
দিয়ে ইশিতার মাথাটা বুক থেকে তুলবো,কিন্তু ইশিতা আমাকে আরো শক্ত করে
জরিয়ে ধরে,,নাহ সত্যিই অনেক ভয় পেয়েছে,, কি হয়েছে বল আমাকে,,
এত ভয় পাচ্ছো কেন,
ইশিতা তার ভয়ে কাঁপা গলায় বললো,সামনে তাকিয়ে দেখ,, আমি ইশিতা কথা
শুনে ভয়ে ডুগ গিলে ফেললাম,,,ভয়ে ভয়ে আসতে আসতে সামনে তাকালাম,,
না কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা,,,
আবারও ইশিতাকে জিজ্ঞাসা করলাম কয় সামনে তো কিছুই নাই,,, ইশিতা এবার
বলতে লাগলো,,
কবরস্থানের কোনাই বড় গাছটার নিচে তাকিয়ে দেখো,,এবার সত্যি সত্যি ইশিতার
কথা শুনে গলা শুকিয়ে গিয়েছে,,,, কবরস্থানের দিকে চোখ তুলে তাকাবো সে
সাহস টুকুও পাচ্ছিনা।।।
আমি বুঝতে পেরেছি বালিকা হয়তো কোন কারণে অনেক ভয় পেয়েছে,,
আমি হাত দিয়ে ইশিতার মাথাটা বুক থেকে তুলবো,কিন্তু ইশিতা আমাকে
আরো শক্ত করে জরিয়েছে,,নাহ সত্যিই অনেক ভয় পেয়েছে,, কি হয়েছে
বল আমাকে,,এত ভয় পাচ্ছো কেন,
ইশিতা তার ভয়ে কাঁপা গলায় বললো,সামনে তাকিয়ে দেখ,, আমি ইশিতা কথা
শুনে ভয়ে ডুগ গিলে ফেললাম,,,ভয়ে ভয়ে আসতে আসতে সামনে তাকালাম,,
না কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা,,,
ইশিতাকে জিজ্ঞাসা করলাম কয় সামনে তো কিছুই নাই,,, ইশিতা এবার বলতে লাগলো,,
কবরস্থানের কোনাই বড় গাছটার নিচে তাকিয়ে দেখো,,এবার সত্যি সত্যি ইশিতার
কথা শুনে গলা শুকিয়ে গিয়েছে,,,,
কবরস্থানের দিকে চোখ তুলে তাকাবো সে সাহস টুকুও পাচ্ছিনা।।।
ইশিতাকে জরিয়ে ধরে ভয়ে ভয়ে কবরস্থানের কোনায় গাছটা দিকে চোখ তুলে
তাকাইতেই ভয়ে শরিলটা কেঁপে উঠলো, গাছটার নিচে একজন মহিলা মনে হয়
দাড়িয়ে আছে,,,দুর থেকে বেশি বোঝা যাচ্ছে না,,কিন্তু পড়নে সাদা ধবধবে কাপড়
এটা বুঝা যাচ্ছে,, কি হতে পারে এটা কোন মানুষ,, না অন্য কিছু,,,আর এ জন মানব
হিন রাস্তায় মানুষ আসবে কোথা থেকে,,২০ মিনিট ধরে এ রাস্তা দিয়ে হাটছি একটা
মানুষ ওতো দেখতে পাইনি,,,,আর মানুষ হলেও এ রাতের বেলা কবরস্থানের
কোনায় কি করবে,,তার মানে কি অন্য কিছু,, ভূত প্রেত জিন,,
ইশিতা বলতে লাগলো,,কি দেখতে পেয়েছো
আমি)) হুম
ইশিতা)) কি ওটা
আমি))এইতো কোন মানুষ টানুষ হবে?
((ইশিতা))মানুষ হলে রাতে বেলা কবরস্থানে কোনায় কি করবে,আর পড়নে সাদা
কাপর থাকবে কেন,,
((আমি))মানুষ কি সাদা কাপর পড়েনা,,,
((ইশিতা))পড়ে কিন্তু রাতে বেলা সাদা কাপড় পড়ে কবরস্থানে কোণায় কি করবে,,
আমার কিন্তু খুব ভয় করছে,,চল আমরা অন্য রাস্তা দিয়ে চলে যায়,,
((আমি))অন্য রাস্তায় দিয়ে গেলে বাসায় যেতে অনেক রাত হয়ে যাবে,,,
((ইশিতা))তাহলে কি করবে এখন??
ইশিতার কথা শুনে ভাবতে লাগলাম কি করা যায়,,রাতে বেলা কবরস্থানের
কোনায় কি হতে পারে এটা,,,হঠাৎ করে মনে হলো কবরস্থান তো পাক পবিত্র
জায়গা ওইখানে তো কোন খারাপ জিনিস থাকে না,,,তাহলে ওটাও কোন
খারাপ জিনিস না,,,হয়তো কোন পাগল টাগল হবে,,,এর আগেও একবার ভয়
পেয়েছিলাম,,, রাতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম,,,রাত ১ টা,,
রাস্তার মোড়ে দেখি একজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে এলো মেলো চুলে মহিলাটাকে
অনেকটা অদ্ভুত দেখা যাচ্ছিল,,ঐ দিন অনেকটা ভয় পেয়েছিলাম,,,পরে জানতে
পারি ওটা একটা পাগল ছিল,,,,
আজ হয়তো ওরকমি কিছু একটা হবে,,আমি ইশিতাকে বললাম চলো আসতে
আসতে হাটতে থাকি,,,দেখি এটা কি হতে পারে,,,
ইশিতা আমার পিছনে তার দুহাত দিয়ে আমার হাত শক্ত করে ধরেছে,, যত সামনে
আগাচ্ছি ততোই ভয় লাগছে,, দোয়া দুরুস যা মুখস্থ ছিল সব পড়তে লাগলাম,,
ইশিতা আমার হাত এতটাই শক্ত করেছে যে মনে হচ্ছে ইশিতার হাতে বড় বড়
নখ গুলো আমার হাতে ভিতর টুকে যাচ্ছে,,,
হঠাৎ করে ইশিতা বলতে লাগলো,,আর সামনে যাওয়ার দরকার নাই ,,চল আমরা
অন্য রাস্তায় চলে যায়,,আমার না খুব ভয় করছে,,,
এত ভয় পাবার কি আছে,,,আমি আছি তো নাকি,,, কিচ্ছু হবে না আমরা এ রাস্তা
দিয়েই যাব এরাস্তা দিয়েই যাবো,,
ইশিতা বলতে লাগলো,,আমার কি মনে হচ্ছে জানো,,
আমি))কি
ঈশিতা))) আমার মনে হচ্ছে এটা কোন কবর থেকে উঠা মানুষ,, দেখনা সাদা
কাফন পড়া,,,
এবার ইশিতার কথা শুনে আরেকটু ভয় পেয়ে গেলাম, এ বালিকা তো আজকে
ভয় পাইয়ে এ মেরে ফেলবে,,, ব্যাক্কল মাইয়া,, কবর থেকে কোন মানুষ উঠতে পারে
আমি ইশিতাকে ধমক দিয়ে বললাম চুপ করো এ আধুনিক যুগে কি আবোল তাবোল
বক,,কবর থেকে
কখনো মানুষ উঠতে পারে
দোয়া দুরুদ পড়ে সামনে আঘাতে লাগলাম,,, না এত দোয়া দরুদ পড়ছি,,
কিন্তু জিনিসটা ওখান থেকে এক চুল পরিমাণও নড়ছে না,,, অন্য জিনিস হলে
তো এতক্ষণে এখান থেকে চলে যাওয়ার কথা,,, তার মানে নিশ্চয়ই কোন পাগল,,,
এবার ভয় অনেকটা কেটে গেছে,, ঈশিতার দিকে লক্ষ করে দেখি ভয়ে একদম
চুপসে গেছে কোন কথা বলছেন,,, গুটি গুটি পায়ে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে হাঁটছে,,,
আমি ঈশিতাকে জিজ্ঞাসা করলাম ঈশিতা
ইশিতা))হুম
আমি)(আমরা ওটার সামনে যাওয়ার পরে ওটা যদি আমাদেরকে দৌড়ানি দেয়,,,
ইশিতা))কি বলছো তুমি,, আমার কিন্তু অনেক ভয় করছে,, প্লিজ চলো অন্য রাস্তা
দিয়ে চলে যায়
ভয় পাওয়া কিছু নেই,,আচ্ছা ওটার সামনে গেলে ঐ জিনিসটা যদি আমাকে না ধরে
তোমাকে ধরে তাহলে কি করবে,,,
ইশিতা))কি করবো মানে,কিছু করবো না,,
আমি))কেন
তুমি আছতো
আমি কি করবো
তুমি আমাকে বাঁচাবে,,
ঐ সময় তো আমার জান বাঁচানো ফরজ,,
তোমাকে কি ভাবে বাঁচাবো,,
কিইইইইইই,,,তুমি আমাকে বাঁচাবে না,,,
আরে ঐ সময় আমি বাঁচলে এনে তোমাকে বাঁচাবো,,
আমি কিন্তু এখন কান্না করবো,
আমি আরেকটু মজা নেওয়ার জন্য বললাম ইশিতা তোমার পিছনে তাকিয়ে দেখ,,
বালিকা ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো,, কোন ভাবেই
ইশিতার মাথা আমার বুক থেকে তুলতে পারছিনা, অনেকক্ষণ পরে বুক দেখে
মাথাটা তুললাম,,,দেখি বালিকা কান্না করে দিয়েছে,,,
আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি ভয় পেয়েছ,,
বালিকা কান্নার কারণে মাথা ঝাকি দিয়ে হ্যা শব্দ উচ্চারণ করল,,,না অনেকটা ভয়
পেয়ে গিয়েছে,,,
আমি ইশিতার মাথাটা তুলে চোখের পানি মুছে দিয়ে বললাম,,পাগলি একটা এতো ভয়
পাবার কি,, আমি আছি তো ,,,
ইশিতা আমার হাত শক্ত করে ধরে আছে,,,আমি আসতে আসতে সামনে যেতে লাগলাম,,
ইশিতা আমাকে থামিয়ে বলতে লাগলো,,,আর সামনে যাওয়া দরকার নাই,,,
কেন
ওটা যদি তোমার কিছু করে,,,
আমি একটা হাসি দিয়ে মনে মনে বলতে লাগলাম পাগলি মেয়ে একটা নিজেও
ভয় পাবে,,আর সেই ভয়ে মধ্যে আমার কথাও চিন্তা করবে,,,এটাকেই তো ভালবাসা
বলে,,,নিজে বিপদে থেকেও,,সেই বিপদের মুহূর্তে প্রিয় মানুষটির কথা চিন্তা করে,,
আমি ইশিতাকে বললাম, কিচ্ছু করবেনা আমার চলো,,, ঈশিতা কে নিয়ে ওই
জিনিসটা কাছাকাছি চলে গেলাম,,,হ্যা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি একজন মহিলা দাঁড়িয়ে
আছে সাদা শাড়ি পড়ে,,, কিন্তু একজন মহিলা এত রাতে কবরস্থান কোনায় কি করে,,,
হঠাৎ করে লক্ষ করলাম মহিলা কি যেন বলছে,,,
মহিলার কথা শোনার জন্য আর একটু সামনে এগিয়ে গেলাম,,, সামনে গিয়ে
পুরোপুরি ভাবে বুঝতে পারলাম আমি যা ভেবেছিলাম তাই একজন পাগল মুখ দিয়ে
কি আবোল তাবোল বিলাপ করছে,,
ইশিতাকে নিয়ে দ্রুত কবরস্থানের জায়গা ওভারটেক করে সামনে চলে আসলাম,,,
কিছুক্ষণ হাঁটার পরে দেখতে পেলাম গাড়ি ঘোড়া চলছে দোকানপাট ও আছে,,,
এর ভিতরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে একটা
রিস্কা ঠিক করলাম রিসকা উঠতে যাবো এমন সময় পকেটের টাকা মোবাইল টা
বাজতে লাগলো আম্মু ফোন দিয়েছে,,
এর ভিতরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে একটা
রিস্কা ঠিক করলাম রিসকা উঠতে যাবো এমন সময় পকেটের টাকা মোবাইল টা
বাজতে লাগলো আম্মু ফোন দিয়েছে,,
হ্যা আম্মু বল
আম্মু) কোথায় তোরা,,
আমি))এইতো আম্মু রাস্তায়,,
আম্মু))রাস্তায় কি করিস,, বৃষ্টি আসতেছে দেখতে পারছিস না,,, তাড়াতাড়ি বাসায়
আই,,একদম কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজবে না,,তোর কিন্তু অল্প বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর চলে আসে,,
আমি)(আচ্ছা ঠিক আছে আসতেছি আমরা,,
আম্মু))ইশিতা কোথায়,,ইশিতার কাছে ফোনটা দে,,,
আমি ফোনটা ঈশিতার কাছে দিলাম ঈশিতা কিছুক্ষণ আম্মুর সাথে কথা বলে
ফোনটা রেখে দিল,,,আম্মু ইশিতার কাছে কি বলছে কে জানে,,,
একটা রিসকা ঠিক করে,, রিসকায় উঠতে যাবো,,,এমন সময় ঝুম বৃষ্টি পড়তে শুরু
করল,,, তাড়াতাড়ি রিসকা উঠে ঈশিতা রিস্কার হুঠটা টান দিয়ে তুললো,,,
বৃষ্টির মধ্যে রিসকা চলতে শুরু করল,, রিস্কাওয়ালা মামা একটা পলিথিন কাগজ
আমাদের পায়ের কাছে দিল,,যেন ভিজে না যাই,,, ইশিতা আমার দিকে তাকিয়ে দেখে,,
ঝুম বৃষ্টির কারণে আমার মাথা প্রায় ভিজে যাচ্ছে,,,ইশিতা জানে যে,, আমি অল্প
বৃষ্টিতে ভিজলে আমার জ্বর চলে আসে,, তাই ইশিতা তারাতারি পায়ের কাছ থেকে
পলিথিন কাগজটা তুলে আমার মাথায় ধরল, আমি ইশিতার দিকে তাকিয়ে হাত দিয়ে
কাগজটা ধরলাম,,,,
বৃষ্টি বেড়েই চলছে,,, মাথার ওপরে কাগজ দেওয়ার পরেও বৃষ্টির ফোটা এসে গায়ে
পরছে,,, প্রায় ভিজেই যাচ্ছি,,, ঈশিতা আমার দিকে তাকিয়ে তার শাড়ীর আঁচলটা দিয়ে
আমাকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে নিলো,
আমি ইশিতার এত কেয়ার দেখে ইশিতার দিকে এক দৃষ্টি নিয়ে তাকালাম,,, ইশিতা
প্রায় বৃষ্টিতে ভিজে গেছে,কিন্তু ইশিতার সে দিকে কোন খেয়াল নাই,,, আমি ভিজে যাচ্ছি
সে দিকেই তার খেয়াল,,,তাই তো কাগজের পরেও তার শাড়িল আঁচলটা আমার মাথার
উপর ধরেছে,,,
আমি ইশিতার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইশিতা বলতে লাগলো,,,
কি দেখ ভাবে তাকিয়ে,,,
আমার সিনিয়র বউটাকে দেখি,,
এত দেখতে হবে না,,, এমনি বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছো,, চুপ করে বসে থাকো
আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে,,ইশিতার বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া হাতটা শক্ত করে ধরলাম,,,
প্রায় 10-15 মিনিট পরে বাসার কাছে পৌঁছে গেলাম,,, রিসকা থেকে নেমে
বাসার ভিতরে টুকতে টুকতে প্রায় অনেকটা ভিজে গেছি,,,
ইশিতা তারাতারি রুম থেকে একটা তোয়ালা আমার হাতে দিলো,,,
আমি মাথাটা মুছে ড্রয়িংরুমের সোফায় বসলাম,,,ইশিতা কাপড় চেঞ্জ করতে
রুমে চলে গেল,,,২ মিনিট পরে আম্মু এসে বলতে লাগলো,,, এতক্ষণ পর্যন্ত বাইরে
ঘুরতে হয়,,, বৃষ্টিতে তো একবারে ভিজে গিছিস,,,এখন তো জর আসবে নিশ্চয়ই,,,
কিচ্ছু হবে না আম্মু,,, আমার প্রচন্ড খিদে লেগেছে খাবার দাও,,,
আচ্ছা ঠিক আছে দিচ্ছি,,, ইশিতাকে ডাক,,,
৫মিনিট পর ইশিতা কাপর চেঞ্জ করে নিচে আসলো,,,সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে,,,
কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম,,তার পর ইশিতা রুমে চলে গেল,,আর আমি ড্রইং
রুমের সোফায় বসে একটা হিন্দি মুভি দেখতে লাগলাম,,
রাত ১০ টা আমি আসতে আসতে রুমের দিকে যাচ্ছি,,,, রুমের দরজাটা হালকা ধাক্কা
দিতেই খুলে গেল,,, রুমের ভিতর প্রবেশ করে আমি অবাক হয়ে গেলাম,,,পুরো রুম
ফুল দিয়ে সাজানো,,, ফুলের ঘ্রাণে পুরো রুম মুখরিত হয়ে আছে,,,ইশিতাকে দেখতে
পাচ্ছি না,,ইশিতা কোথায়,,,আর ফুল দিয়ে এ রুম সাজালো কে,,,
২ মিনিট পরে ইশিতা ওয়াশ রুম থেকে বের হলো,,, আমি ইশিতার দিকে তাকিয়ে
দেখি একটা আকাশি কালার শাড়ি পড়াছে মাথায় হিজাব দেওয়া,,,ইশিতা আমাকে
দেখে বলতে লাগলো এতক্ষণে নিচ থেকে আসলে,,,না আসলেই পারতে,,, আজকে
ড্রইং রুমেই ঘুমিয়ে থাক তা,,,
আমি ইশিতার কথা শুনে ইশিতার একদম কাছে গেলাম৷ তার পর বললাম,,কি
ব্যাপার রুম এভাবে ফুল দিয়ে সাজিয়েছে কে,,,
ইশিতা)) আমি।
আমি))কেন
ইশিতা))আছে
ইশিতা ওয়ারড্রব থেকে নতুন একটা পাঞ্জাবি এনে আমার হাতে দিয়ে বলতে
লাগলো,,,যাও তারাতারি এ পাঞ্জাবিটা পড়ে অযু করে আসো,,,
আমি বাধ্য ছেলের মত,, কোন কথা না বলে পাঞ্জাবীটা পরে ওয়াশরুম থেকে
অজু করে আসলাম,,ইশিতা আমার কাছে এসে বলতে লাগলো,,চল এখন
আমরা ৪রাকাত নফল নামাজ আদায় করবো,,,,
৪ রাকাত নফল নামাজ আদায় করবো,,পুরো রুম ফুল দিয়ে সাজায়েছো,,আমি
তো কিছুই বুঝতে পারছি না,,,
ঈশিতা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলতে লাগলো,,,এত বুঝতে হবে না, চলো আমরা
আগে ৪ রাকাত নফল নামাজ পড়ি,,,
আমি))নামাজ পড়বো কেন,,,
ইশিতা))কেন নামাজ পরবে,,শুনবে
আমি))হুম
ইশিতা আমার পাঞ্জাবির বোতামগুলো লাগাতে লাগাতে বলতে লাগলো তাহলে শুন,,
আজ থেকে আমাদের নতুন জীবনের গল্প শুরু করবো,, দুজনের দেখা রঙ্গীন
স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ দিব,,, তোমার আমার পবিত্র ভালোবাসা একই সুতায় গাধবো,,,
এই ঝুম বৃষ্টি রাতে তোমার আমার ভালোবাসার পূর্ণতা দিয়ে ভালবাসাটা আরো
মধুময় করে তুলবো,,, সে মধুময় ভালোবাসা দিয়ে দুজনে সুখের একটা স্বর্গ সংসার
বানাবো,,,সে সুখের সংসারে থাকবো তুমি আমি আর আমাদের একটা সুন্দর ফুটফুটে
রাজকুমার,, যা ঠিক দেখতে হবে তোমার মত,,
ঈশিতা এ কথা বলে জিব্বায় কামড় দিয়ে ফেলল যাহ কি বলে ফেললাম,,(ইশিতা)
কি বললেযা বলছি বলেছিঐ,,কি দিতে পারবান একটা রাজকুমার ঠিক তোমার মত
ফারাবী মুচকি হেসে ইশিতাকে কাছে টেনে
নিয়ে করা কপালে একটা চুমু দিয়ে বললো,,
একটা কেন ৫ দিবো তবে রাজকুমার নয়, রাজকন্যা যার চেহেরাটা হবে ঠিক
তোমার মত,,,
না আমার চেহেরার মত হওয়ার দরকার নাই
আমি রাজকুমার চাই ঠিক তোমার মত,,
না আমার রাজকন্যা চাই ঠিক তোমার মত
নাহ আমার রাজকুমার চাই,,
না আমার রাজকন্যা চাই
ইশিতা))এখন কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে ,,
বাড়াবাড়ি হলে আমি রুম থেকে চলে যায়,,তুমি থাক তোমার রাজকুমার নিয়ে,,
ইশিতা))আচ্ছা ঠিক আছে চলো আমরা নামাজ পরে আল্লাহর কাছে চাই,,,
আল্লাহ যা দিবে আমরা তাতেই খুশি,,,
হুম চল,,,
দুজনে চার রাকাত নফল নামাজ পড়লো এবং তাদের নেক সন্তান দেওয়ার জন্য
আল্লাহর কাছে দোয়া চাইলো,,,নামাজ শেষ করে ফারাবী ঈশিতাকে কোলে
তুলে নিয়ে, আসতে আসতে বিছানার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো,,,
আজ এই ঝুম বৃষ্টি রাতে তাদের ভালবাসা পাবে পূর্ণতা,,,,,, হারিয়ে যাবে তারা
আজ সুখের এক স্বর্গ রাজ্যে,,, আজ ইচ্ছে ডানা মেলে উড়ে বেড়াবে ওই দূর
নীল আকাশে,, রংধনুর সাত রঙ্গে রাঙ্গাবে আজ তাদের জীবন,,
ভালোবাসার ছোট নৌকায় পাল তুলে পাড়ি দিবে ওই দূর মহাসাগর,,
আজকের পর থেকে তাদের জীবন নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হবে,,,
প্রেমের একটা নতুন গল্প শুরু হবে,,, সেই প্রেমের নতুন গল্পের ভিতর থাকবে
রাগ অভিমান ঝগড়া খুনসুটি আর অফুরন্ত ভালোবাসা অটুট বিশ্বাস আর
তাদের দু চোখে দেখা হাজরো রঙ্গিন স্বপ্ন,,,,,,, যতদিন থাকবে তারা ক্ষণিকের
এই দুনিয়াতে,, কষ্ট নামের কোন জড়ো হাওয়া যেন না আসে তাদের এই
অফুরন্ত ভালোবাসার বন্ধনে।।। তোমরা সবাই দোয়া করবেন দুজনে যেন
সারাজীবন শুখে থাকতে পারে।।।।
বেঁচে থাকুক পৃথিবীতে এরকম পবিত্র ও সত্যি কারের ভালোবাসা গুলো,,, আর
অচির সে দূর দেশে হারিয়ে যাক ভালোবাসা নামে মিথ্যে অভিনয় গুলো,,
[কোনো ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা দিষ্টি তে দেখবেন ]
____সমাপ্ত*
keyword
bangla golpo,new golpo,bangla new golpo,বাংলা গল্প,বাংলা নতুন গল্প, অসমাপ্ত ভালোবাসা গল্প অসমাপ্ত ভালোবাসা status অসমাপ্ত ভালোবাসা অসমাপ্ত ভালোবাসা in english অসমাপ্ত ভালোবাসা বই অসমাপ্ত ভালোবাসা কবিতা

Post a Comment

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال