অবহেলিত জীবন। গল্প |bangla golpo

 অবহেলিত জীবন। গল্প |bangla golpo

অবহেলিত জীবন। গল্প |bangla golpo

মিম ঃ এই তুই আমার মোবাইল ধরছোস ক্যান। তোরে মোবাই ধরতে
নিষেধ করেছি না। তবুও তুই আমার সামনে আমার মোবাইল ধরছোস,
হুম৷।।
অন্তর ঃ দেখো আমি তোমার স্বামী। আমি তোমার মোবাইল ধরতে পারি।
আর তোমার মোবাইলে কি আছে, যে আমি তা দেখতে পারি না। আমার
দেখার অধিকার আছে।।
মিম ঃ দেখ তোরে আমি কখনো স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারবো না। আমার
বাবার মুখের কথা রাখতে গিয়ে আমি তোকে বিয়ে করেছি। আর শোন তুই তো
একটা ছোটলোক৷। তোর সাথে আমার স্টাটাস কখনো মানাবে না৷ সুতারাং
আমি তোকে স্বামী হিসেবে কখবো মানতে পারবো না, বুঝলি।। আর শোন আর
কখনো তুই আমার সামনে আসবি না, বুঝলি।। তুই আজ থেকে এই বাড়ীতে
থাকতে পারবি না।।
অন্তত ঃমজা করছো কেনো, আর আমি তোমাকে ছেড়ে কোথায়
জাবো।।
মিম ঃ ওই তোর কি মনে হয় আমি তোর সাথে মজা করছি, হুম৷ আর শোন
তুই কোথায় যাবি,, আমার তা জানার দরকার নেই। আর কয়েকদিনের মধ্যে
ডির্বোস পেপার এসে যাবে। আপনি তাতে সাইন করে
দিবেন।।।।।
অন্তর ঃ মিম তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি যে কি সব আবোল
তাবোল কথা বলতাছো আর আমি এখনে না থাকলে কোথায় যাবো, আমার
তো আর কোনো যাওয়ার জায়গা নাই, এগুলো জেনেও তুমি এই কথা
বলতাছো।।।।।
মিম ঃ এতো কথা শুনতে চাইনা, তুই আর এখানে, আমাদের বাড়ীতে আর
না আসলে আমি খুশি হবো, আমি আর তোর,,,,,,,,,,,,
আমাদের দুজনের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত, সো তোর সাথে আমার
মিলবে না৷৷।
অন্তর ঃএখন তুমি একথা বলতাছো????
মিম ঃ আমি এখন একজন ডাক্তার, আমার এখন একটা শ্ট্যাটাস আছে,
আর আমি এখন অনেক বড়লোক, আর তুই তো আগে যেমন ছিলি তেমনি
আসোস, আর আমাদের এখানে না আসলে খুশি
হবো।।।।
অন্তত ঃ ওহহহহহহহহ সরি, আমি আর তোমাদের এখানে আসবো না।।।।।
মনটা খারাপ হয়ে গেলো মিমের কথা শুনে।।
মিম ঃ হুম এর পর থেকে আমি আর যেন তোকে না দেখি, এখানে।।।
অন্তত ঃ হুম।।।।।
চারদিকে একবার তাকিয়ে চলে আসতে লাগলাম, আমার মনটা খারাপ হয়ে
গেলো মিমের কথা শুনে, মিম ডাক্তার হওয়া। আমার জন্য হলো আর আজ
সেই মিম আমাকে তাদের বাড়ীতে যেতে মানা করতাছে, মিম আর আমার
বিয়ে হয় বছর তিন আগে।। মিমের পরিবারটা ধনি ছিলো না, মধ্যবিত্ত ছিলো।।।
মিমের বিয়ে টিক হয়, একটা ছেলের সাথে, কিন্তু সেদিন ছেলেটা বিয়ে করতে
আসে না, আর মিমের ভাই আমার বন্ধু ছিলো।। সেই কারনে মিমকে আমাকে
বিয়ে করতে বলে,।। আমি একটা ভালো জব করতাম, ফলেই পরে আমাকে
বিয়ে করে বলেমিমকে বিয়ে করি ঠিকি, কিন্তু সেদিন মিম আমার কাছ থেকে একটা জিনিস
চেয়েছিলো, আর সেটা হলো, মিম ডাক্তারি লাইনে পড়তাছে, যে পর্যন্ত
ডাক্তার হতে না পারবে সেই পর্যন্ত আমি তার পাশে সুতে পারবো না,,
মিম বলেছিলো, ডাক্তার হওয়া আমার ছোট থেকে কল্পনা করে আসছি।
আমি সেদিন রাজি হয়ে গেছিলাম, সেই থেকে আমি যা বেতন পেতাম সেই
টাকা দিয়ে, মিমের কল্পনাটা বাস্তবে পুরন করতে থাকি।। আমি যখন মিমকে
বিয়ে করি তখন এক বছর হলো মিমের MBBS ভর্তি হয়েছে। আর তিনটা
বছর আমি মিমের সপ্ন টাকে বাস্তবে আনার জন্য অনেক কষ্ট করেছি।।
মিমের পড়া শেষ করে অনেক সার্কুলার ছারলো।।
মিম প্রায় সবটাতে এপ্লাই করলো, কিন্তু এপ্লাই করার পর, মিমের চাকরি হয়
না।।এক বার ভাইবাতে বাত পড়ছে, এভাবে কয়েকটা এপ্লাইয়ে পরিক্ষা দিতো।
প্রত্যেকটা পরিক্ষায় টিকতো, কিন্তু টাকা ছাড়া চাকরি হয় না।। এখনকার
সময়ে টাকা ছাড়া চাকরি করে না, বলেই বলেই মিম খুব ভেঙ্গে পড়েছে।।
কারন তার বাবা মায়ের এতো টাকা নেই যে মিমকে চাকরি নিয়ে দিবে।।।
সামনে একটা সার্কুলার আছে মিমের।। এটাই এ বছরের শেষ সার্কুলার।
যদি এটাতে চাকরি না হয় তাহলে আবার পাঁচ বছর পরে।।। মিম অনেক
কান্না করলো, যে এতগুলো ঘুরে যেহেতু হয় নাই তাহলে এটাও হবে না। আমি
তার পর আমার অফিসে গিয়ে লোন চাই,,,,।।।
তারা আমাকে পাঁচ লাখ টাকা দেয়।। মিমের চাকরির জন্য ১২ লাখ টাকা
দরকার।। আর আমার কাছে ছিলো দুই লাখ এর মতো, হলো সাত লাখ।।
একটা দালাল ধরছি সে চাকরি নিয়ে দিবেই, এ্যাপায়ারম্যান কার্ড দিবে হাতে
তার পর তাকে টাকা দিতে হবে।। আমি রাজি হই, পরে টাকার জন্য অনেক
খুজি। আমার কাছে সাত লাখ টাকা আছে।।
আরো পাঁচ লাখ টাকা দরকার।। মিমও মন মরা হয়ে বসে থাকে। সে বেবে
নিয়েছে যে তার চাকরি আর হবে না। আর মাত্র দুই দিন আছে। কিন্তু আমি
এখনো পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করতে পারি নাই।।
আজকের মিমের সেই লাস্ট পরিক্ষা, মিম পরিক্ষা দিতে যাবে,, তখন
মিম ঃ গিয়েই আর কি হবে, চাকরি তো হবে না।।
অন্তর ঃ সেটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা জানে,, তুমি শুধু ভালো মতো পরিক্ষা
দিবা।।
মিম ঃআচ্ছা,, আর তুমি চলো আমার সাথে।।
অন্তত ঃ না তুমি যাও আমার কাজ আছে।।
মিম মন খারাপ করে পরিক্ষা দিতে গেলো।। মিম যাওয়ার পর ফোন করলাম
দালাল কে।।।
অন্তত ঃ চাকরি হতে যা লাগে করবেন,, টাকার ব্যবস্থা হয়েছে। মনে রাখবেন
মিমের হাতে কার্ডটা পাওয়া মাত্র টাকাটা দিবো আপনাকে।।
দালাল ঃ আচ্ছা।।
খুশির খবর এটাই যে, সেদিন মিমের চাকরিটা হয়েছে।। দালাল আর আমি
একটা জায়গায় দাড়িয়ে আছি।।
দালাল ঃ আপনার কথা মতো কাজ করেছি৷।
অন্তর ঃ আপনি জানেন, এই টাকাটা কত কষ্টের পর জোগাড় করেছি।।
দালাদ ঃ আমি জানি, যারা টাকা জোগাড় করে অনেক কষ্ট করেই জোগাড় করে।।
অন্তত ঃ কিন্তু আমি যে অনেক কষ্ট করেই জোগাড় করেছি।।
শার্ট টা একটু তুলে,
অন্তর ঃ এই যে দেখুন, আমার শরীরের একটা কিডনি বিক্রি করে টাকা
জোগার করেছি,।।।
আবাক হয়ে যায়, কেননা মাত্র একদিন হয়েছে। আমার অপারেশন করে
কিডনিটা নিয়েছে,, শিলাইটা রয়ে গেছে, হালকা রক্ত পড়তাছে।।
দালাল ঃ এটা কি করেছেন, এমনটা কেউ করে।।
অন্তত ঃ আমার বউ কে চাকরি নিয়ে দিছি,, কিছুদিন পর আমার বউটা টাকা
কামাই করে আমার এই কিডনিটা প্রতিস্থাপন করাবে।।
দালাল ঃ এবার টাকাটা দেন।।
টাকাটা দিয়ে, চলে আসলাম।। পরে বাসায় আসি, এসে দেখি যে মিম বাসায়
নেই, তাই আমি মিমের ভাইকে ফোন দিলাম।।
মিমের ভাই ঃ আপু বাসায় আছে,,,,
ওকে বলে ফোন কেটে দিলাম, আমার এখন এতোটা শক্তি নেই যে মিমের
বাড়ীতে যেতে পারবো।। তাই বাসায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।। এভাবেই কয়েক দিন
চলে যায়, মিম এখনো এখানে আসে নি।। মিমের ভাইকে ফোন দিলে বলে
আপু ব্যাস্ত।।
আমি কিছু বলি না, চাকরি হয়েছে তাই ব্যাস্ত, ।। মিম চাকরিতে জয়েন করে,
কয়েকদিনের মধ্যে,, তখন আমি মিমের কাছে যাই,, তখন মিম কি
বল্লো দেখলেন তো আপনারা উপরের কথাগুলো।।
আমি তখন মন খারাপ করে বাসায় আসি। মিম এমনটা করতে পারলো,, নাকি
মন খারাপ করে বলছে কথাটা।।তার পরের দিন অফিসে না গিয়ে মিমের বাসায়
গেলাম।। এখন হাঁটতে গেলে কষ্ট হয়, পেট ব্যাথা করে।।আবার গাড়ীতে ঝাকি
লাগার কারনেও ব্যাথা করে। কোনো রকম করে পরের দিন গেলাম মিমের
বাড়িতে।। ভিতরে ঢুকলাম দেখি মিমের মা,,
অন্তর ঃ কেমন আছেন মা।।
মিমের মা ঃ ভালো।
বলে চলে গেলো, মিমের চাকরি হওয়ায় দেখে যায় সবাই।। আমার সাথে কথা
বলা বন্ধ করে দিছে চারপাশে দেখতে লাগলাম।।
মিম ঃ কিসের জন্য আমাদের এখানে আসা।।
অন্তত ঃ এমন করছো কেনো,, আমি না তোমার স্বামী। ।
মিম ঃ তুই আর কখনো এই কথাটা বলবি না। কারন আমি আর তোকে কোন
দিন স্বামী হিসেবে মানবো না।।
অন্তত ঃ তোমার তো সপ্নটা পূরন হয়েছে, আর তুমি তো বলেছিলা, তোমার
সপ্নটা পূরন হলে আমাকে,,,,,,,
মিম ঃ চুপ কর তো।। আর তোকে আমাদের বাড়ীতে আসতে মানা করেছি না
আসলি কেনো????
অন্তত ঃ এটা কেমন কথা।।
মিম ঃ শোন আর আজ থেকে তুই এখানে আসবি না, আমি এখন MBBS
ডাক্তার।। আর তুই সামান্য একটা চাকরি করিস।।
অন্তত ঃ তুমি না বলছো তোমার চা,,,,,,,,,
মিম ঃ ভুলে যা সব,, সেই কথা গুলো,, আর তুই এখানে আসবি না আর
সামনের মাসে বাসা পাল্টাবো,, তুই ইচ্ছে করলেও আসতে পারবি না।।
অন্তত ঃ আচ্ছা আর কোন দিন আপনার সামনে আসবো না,,
ধীরে ধীরে বাসা থেকে বাহির হলাম, বের হয়ে ধীরে ধীরে বাসার দিকে হাটতে
লাগলাম,, বাসায় এসে শুয়ে পড়লাম।। শার্ট টা তুলে দেখি রক্ত পারছে ক্ষত
জায়গা থেকে, রক্ত টা মুছে দিয়ে সুয়ে পড়লাম,, তার পরের দিন অফিসে যাই।।।
পিয়ন এসে বললো,,
পিয়ন ঃ স্যার ম্যাম আপনাকে ডেকেছে।
অন্তত ঃ ম্যাম আসবো।।
ম্যাম ঃ হুম আসুন। দাড়িয়ে আছেন কেন বসুন।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম।।
ম্যাম ঃ আপনি নাকি খুব অসুস্থ। এ অসুস্থ শরীর নিয়ে কেনো
আপনি আজকে অফিসে আসলেন।। ফোন করে ছুটি নিয়ে নিতেন।।
অন্তত ঃ না ম্যাম,, আমি মোটামুটি এখন একটু ঠিক আছি। কোনো
সমস্যা হবে না।।
ম্যাম ঃ আচ্ছা বুঝলাম। এখন এই ফাইলটার কাজটা করতে সম্ভব মনে
হলে নিয়ে যাবেন,, কেমন।।
অন্তত ঃ ওকে ম্যাম।।
এটা বলেই ফাইলটা নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম বাসার উদ্দ্যেশ্যে।। উপরিওয়া
যা করেন তা ভালোর জন্যই করেন।। বাসায় গিয়ে ফাইলটা রেডি করলাম।।
ছাদের চিলেকোঠায়,, রাতটা পারি দিয়ে, তার পরের দিন,, গেলাম
অফিসে। পিয়ন ডেকে বললো,,,,
পিয়ন ঃ স্যার আপনাকে ম্যাডাম ডাকছে।।
অন্তত ঃ ম্যাম আমি কি ভিতরে আসবো??
অন্তত ঃ আসুন।।
অন্তত ঃ জ্বি।
ম্যাম ঃওকে, আপনার আসন গ্রহণ করুন।।
অন্তত ঃ ওকে,, ধন্যবাদ ম্যাম।।
ম্যাম ঃ কালকের কাজটা কি সম্পন্ন করেছেন।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম। ম্যাম এই নেন কালকের ফাইলটা।।
ম্যাম ঃ হুম ভেরি গুড।।
অন্তত ঃ ধন্যবাদ ম্যাম।।
ম্যাম ঃ আপনাকে তো আর একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। কাল থেকে আমার
মেয়ে অফিসের বস হিসেবে আসবে।। আমি কাজটা থেকে অবসর নিচ্ছি।।
অন্তত ঃ ওহহহহহ, আচ্ছা ম্যাম।।
ম্যাম ঃ আমি আশা করি আমার অনুপস্থিতিতে আপনারা আমার মেয়েকে
বস হিসেবে মেনে আপনাদের কাজটা সম্পন্ন করবেন।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম,,, অবশ্যই।।
ম্যাম ঃ এই ফাইলটা নিন,, আশা করি আপনি খুব ভালোভাবে এটা সম্পন্ন করবেন।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম,,, আমি সাধ্য মতো চেষ্টা করবো।। এটাকে ভালোভাবে
সম্পন্ন করার।।
ম্যাম ঃ আমার আর একটা কথা রাখবেন প্লিজ,,,।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম বলুন।।
ম্যাম ঃ আমার অনুপস্থিতিতে আমার মেয়েটাকে আপনি দেখে রাখবেন।। ওকে
কখনো কষ্ট দিবেন না।। তাহলে আমি কষ্ট পাবো।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম,, আপনি কোনো চিন্তা করবেন না।। আমরা আপনার মেয়োর
কষ্ট হয়, এমন কোনো কাজ করবো না।। আপনার মেয়েকে আমরা আমাদের
সবার সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে হলেও ভালো রাখার চেষ্টা করবো ম্যাম।।
ম্যাম ঃ আপনি আমাকে চিন্তা মুক্ত করলেন।। যাক আমি আজকের পর
অনিদিষ্ট কালের জন্য আপনাদের থেকে বিদায় নিচ্ছি।। এটা আপনি সবাইকে
বলে দিবেন।।
অন্তর ঃ জ্বি ম্যাম।।
তারপর সবাইকে বলে আমি আমার,,,,,,,,,
সবাইকে বলার পর আমি আমার ডেক্সে এসে বসে কাজ করতে লাগলাম।।
কয়েকটা ফাইল আসলো আমার কাছে।। আমি সেগুলোর কাজ করতাছি।।
পাশ থেকে আমার কলিং এসে,,,
কলিং ঃ অন্তত সাহেব কেমন আছেন???
অন্তত ঃ এই তো ভালো,, আপনি কেমন আছেন???
কলিং ঃ আমিও ভালো আছি। তা কেমন চলছে আপনার দিনকাল।।
অন্তত ঃ ( হাসি দিয়ে বললাম) ভালোই।।
তারপর আবার কাজ করতে লাগলাম।। ফাইল দুইটার কাজ শেষ করে,
ম্যাডামের কাছে নিয়ে গেলাম।। ম্যাডাম ফাইলটা দেখা মাত্র ই,,,,
ম্যাম ঃ very good,,,,,, ভালো করেছেন এগুলো করে।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম। ধন্যবাদ।।
ম্যাম ঃ আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে,, আপনি আমার মুখের কথা রাখবেন।।
ওওওওআচ্ছা, আপনাকে তো একটা প্রোজেক্টের কথা ভুলেই গেছি।।
আমাদের সাথে শুভ সাহেবের সাথে একটা প্রজেক্ট এর কাজ আছে।।
এই নিন প্রোজেক্টের কাজের নমুনা।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম।।।।
এটা বলেই আমার কেবিনে চলে আসলাম।।
কলিং ঃ ম্যাম কিছু বল্লো নাকি।।
অন্তত ঃ হ্যা। এই প্রজেক্টের সম্পর্কে কিছু বলেছে।।
কলিং ঃ ওও আচ্ছা।। আপনার সমস্যা না হলে একটা কথা বলছি,,, যাওয়ার
সময় আমরা দুজন কি একসাথে যেতে পারি????
অন্তত ঃজ্বি, সমস্যা নাই।।
তারপর আমি আবারও কাজ করতে লাগলাম।। বিকেলে দুজন একসাথে বাড়ীর
উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।। নতুন একটা বাসা নিলাম।। সন্ধ্যা বাসায় এসে পৌছালাম।।
বাসার গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকতে যাবো ঠিক তখনি মনে হলো কারো সাথে ধাক্কা
খেলাম।।ধাক্কাটা ক্ষত স্থানে লাগাতে, শরীরটা কেঁপে উটলো।।
ধাক্কা লাগার সাথে সাথেই ঠাস ঠাস ঠাস করে,, কয়েকটা চড় মারলো আমাকে।।
তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে।। আমার সামনে অগ্নি দৃষ্টিতে আমার দিকে
তাকওয়ে আছে।।
মেয়েঃ তোকে এখানে ডুকার সাহস কি করে হলো্ তুই কো,,, আমাকে ধাক্কা
দিস।।
অন্তত ঃ আমি সরি,,, আসলে আমিও ডুকেছি আর আপনিও বাইরে যাচ্ছেন।।
তাই কেউ কাউকে না দেখার কারনে, এমনটা হয়েছে।।
মেয়ে ঃ তোর কথা রাখ,, যা আমার সামনে থেকে।।।
বাড়ীর মালিক ঃ কি হয়েছে রে মা,,, এমন কেনো করছিস।।
মেয়ে ঃ বাবা এই ছেলেটা আমাকে ধাক্কা দিছে।।
অন্তত ঃ আঙ্কেল সরি।। আমি ইচ্ছে করে ধাক্কা দেই নি।।
বাড়ীর মালিক ঃ ওকে তুমি যাও আমি দেখছি।।
ছাদের উপর একটা রুম, সেটাই নিয়েছি,, কি আর করবো।। সুয়ে সুয়ে মিমের
কথাগুলো ভাবতাছি,, খুব কষ্ট হচ্ছে।। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে
হালকা কিছু খেয়ে,, অফিসের উদ্দেশ্যে রহনা হলাম।। দরজাতে তালা দিয়ে
ঘুরে দাড়াই,, তখনি কেউ পড়ে যায়।। তাকিয়ে দেখি রাতের সেই বাড়ী ওয়ালার
মেয়েটা।।
অন্তত ঃ সরি আপনি যে কখন এসে পড়েছেন।।
মেয়েটা উঠে, সোজা আমার দিকে রাগি ভাবে এসে কলার ধরলো,,।
অন্তর ঃ কি হলো, আমি কি কিছু করেছি নাকি।।
মেয়েটি কিছু না বলে,, রাগের বসে হাতে কি যেন ছিলো,, সেটা দিয়ে মাথায়
বাড়ি দিলো।। খুব ব্যাথা পেলাম।। রাগে নিচে চলে গেলো।। মাথায় হাত দিয়ে
দেখি রক্ত পারছে।। তারমানে মেয়েটা কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করছে
যার কারনে মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে।।
হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলাম।। ধরে বাসার নিচে আসলাম।। দেখি রক্ত পড়া
বন্ধ হয়েছে।। তাই রুমালটা বের করে রক্ত মুছে ফেলে দিলাম।। আর অফিসে
যেতে লাগলাম।। ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখি আর কয়েক মিনিট বাকি আছে।।
যে কয়েক মিনিট সময় আছে তার মধ্যে অফিসে যাওয়া সম্ভব না।।
বিশ মিনিট লেট হলো।। গিয়ে আমার জায়গায় বসা মাত্র,,,
পিয়ন ঃ আপনাকে নতুন ম্যাম ডাকছে।।
অন্তত ঃ ওকে।।
এটা বলে ম্যাম এর কাছে যাই।।।।
অন্তত ঃ আসতে পারি ম্যাম।।
ম্যাম ঃ হুম আসুন।।।
অন্তত ঃ ম্যাম সরি,, লেট হওয়ার কারনে,,
ম্যাম ঃ shut upup,, আজকে অফিসে আসলাম, আর আজকেই আপনার লেট
হলো।। কিসের জন্য লেট হলো বলুন???
অন্তত ঃনা মানে, ম্যাম।।
ম্যাম ঃ আজ থেকে অফিসে কেউ দেরি করে আসলে তার বেতন থেকে টাকা
কেটে রাখা হবে।। এর পর থেকে যদি আপনি দেরি করেন তাহলে আপনার
বেতন থেকে টাকা কেটে রাখা হবে।।
অন্তত ঃ আর হবে না,, ম্যাম।।
ম্যাম ঃ এই নিন ফাইল গুলো। গিয়ে কাজ করেন।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম।।
ম্যাম এর কাছ থেকে নিয়ে আমার কেবিনে এসে পরি।।
কলিং ঃ ম্যাম কি জন্য ডাকলেন????
অন্তত ঃ না এমনিতেই। আমাকে এই ফাইলটা দেওয়ার জন্য ডেকেছে।।
কলিং ঃ থাক বলা লাগবে না,, বুজেঝি।।।
অন্তত ঃ ওকে তাহলে আমি কাজটা শেষ করি। পরে কথা হবেে।।
কলিং ঃ হুম।। আপনার কাজ হলে আপনাকে কিন্তু আমার সাথে খেতে যেতে হবে।।
অন্তর ঃ আচ্ছা না গেলে হয় না।।।
কলিং ঃ না, আপনাকে যেতেই হবে।। না হলে আমিও যাবো না।।।
অন্তত ঃ আপনি আমার কলিং,, আপনার সাথে যাওয়া যায়।।
কলিং ঃ না আমি এতো কিছু শুনতে চাই না।। আপনাকে আমার সাথে
যেতেই হবে।।
অন্তর ঃ আচ্ছা ঠিক আছে।।
কলিং ঃ এই আপনাকে না বললাম আমি আপনার ছোট।। আমাকে নাম ধরে
ডাকবেন।।
অন্তর ঃ আচ্ছা ঠিক আছে।।
কলিং ঃ ম্যাম আসতাছে কাজ করেন,, না হলে বকা খেতে হবে৷৷৷।
অন্তর ঃ আচ্ছা।।
এটা বলে কাজ করতে লাগলাম।।
ম্যাম ঃ এটা আড্ডা খানা না যে,, এখানে বসে বসে আড্ডা দিবেন।।।
কলিং ঃ ম্যাম একটু হেল্প করেছিলাম,,, মিঃ অন্তরকে।।
ম্যাম ঃ এর পর আর যাতে না দেখি।।
এটা বলে চলে গেলো,,
অন্তর ঃ আচ্ছা বৃষ্টি (আমার কলিং এর নাম) ম্যাম এমন কেনো শুধু বকা ঝাকা করে।।
বৃষ্টি ঃ তুমি ভুল করেও দেরিতে আসবা না অফিসে,, তাহলে তোমার বেতন
থেকে টাকা কেটে নিবে।। একদিন দেরি করলে দুই হাজার টাকা কেটে নিবে।।
অন্তত ঃ আচ্ছা ঠিক আছে।।
বৃষ্টি ঃ চলেন লাঞ্চ করে আসি।।
অন্তত ঃ না আমার একটা সমস্যা আছে। আপনি যান,, আমি এই তো জাবো।।
এটা বলে বৃষ্টি আবার আগের জায়গায় বসে পড়লো।। তারপর বৃষ্টির এসব কান্ড
দেখে আর বসে থাকতে পারলাম না।। দুজনে গিয়ে লাঞ্চ করে আসলাম।। তারপর
আমি আমার কেবিনে গিয়ে মাথা নিচু করে রইলাম।। মিমকে খুব দেখতে ইচ্ছে
করছে।। এই তিনটা বছর খুব ভালোবেসে ফেলেছিলাম।। আজ মিম প্রতিষ্ঠিত।।
তিনটা বছর কতোটা কষ্ট করেছি মিমের জন্য,, আর সেই মিম আজ বড়ো হয়ে
,, আমাকে আজ ছুড়ে ফেলে দিলো।। কপালটাই খারাপ আমার।।।
ম্যাম ঃ আপনি লাঞ্চ করেছেন।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম।।
ম্যাম ঃ তাহলে সাথে এই দুইটা ফাইল কাজ করে,, আমার কাছে নিয়ে যাবেন।।
ময়াম এর দিকে একবার তাকিয়ে,, ফাইলটা হাতে নিলাম।। নিয়ে কাজগুলো
করতে লাগলাম।। অফিস ছুটির সময়,,,,
ম্যাম ঃ মি, অন্তত বাসায় যাবেন না।।
অন্তত ঃ হুম যাবো তো।।
ম্যাম ঃ তাহলে বসে আছেন কেনো ওঠেন।।
অন্তত ঃ এই ফাইলটা বাকি আছে কিছু কাজ।।
ম্যাম ঃ কালকে করবেন,, আরকি।। চলেন এখন বাসায় যাওয়া যাক।।
অন্তত ঃ না সাথে নিয়ে যাই,,, বাসায় গিয়ে কাজ করবো।।
ম্যাম ঃ ওকে,, তাও করতে পারেন।।
অন্তত ঃ চলুন তাহলে এখন।।।।
ম্যাম ঃ চলুন তাহলে,, যাওয়া যাক,,,,
অন্তত ঃ হুম।।।।।
ম্যাম ঃ কালকে দেখা হবে, কেমন।। আজকে যাই।।।
অন্তত ঃ ওকে।।
এটা বলে আমি রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসি। গ্রেট দিয়ে ভালো করে ডুকলাম
যাতে, আবার বাড়ীওয়ালা মেয়ের সাথে ধাক্কা না লাগে।। গ্রেট পারি দিয়ে দেখি
কেই নেই।। ধীরে ধীরে সিরি বেয়ে,, আমার রুমের কাছে যেতে লাগলাম,,, ছাদে
ওঠে দেখি মেয়েটা ছাদের এক কোনায় বসে আছে।। আমি মেয়েটার দিকে না তাকিয়ে,
তালা খুলে রুমের ভিতরে গেলাম।।।।
ভিতরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে, হালকা কিছু খেয়ে নিলাম।। খেয়ে বিছানায় বসে রয়েছি
,তখন কারো দরজা ধাক্কানো আওয়াজ পাই।। দরজা খুলে দেখি বাড়িওয়ালা
আংকেল।।
অন্তত ঃ আরে আংকেল আপনি,,,
বাড়ীওয়ালা ঃ কি করছো???
অন্তত ঃ কিছু না,, এই একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম।।
বাড়ীওয়ামা ঃ রিয়া( ওনার মেয়ে ) যে ভুলগুলো করে, তার জন্য কিছু মনে
করো না।।
অন্তত ঃ রিয়ে,,,,,, সে আবার কে????
বাড়ীওয়ালা ঃ আমার মেয়ে, রিয়া।। ওর ব্যবহারে কিছু মনে করিও না।। ওর
অনেক রাগ।।
অন্তর ঃ কি যে বলেন না৷ ।। আংকেল আমি কি মনে করবো,,,,,
বাড়ীওয়ালা ঃ ওকো থাকো তাহলে আমি যাই
অন্তত ঃ ওকে।।।।।
আমি তখন ফাইলটা হাতে নিয়ে কাজ করতে লাগলাম।।। শেষ হলে শুয়ে
পড়লাম।। সকালে ঘুম থেকে উঠে, রান্না করতে লাগলাম।। একা থাকতে
থাকতে রান্না করাটা শিখে গেছি।। চুলায় তরকারি রেখে ওয়াারুমে যাই।। গিয়ে
ফ্রেশ হইতে থাকও,,,,,ওয়াশ রুম থেকে কোন কিছুর শব্দ পাই,, তরকারি,,,,,
তখন ওয়াশরুম থেকে বাহির হই।। বাহির হয়ে দেখি মিম তরকারির পাতিল
জোড়ে আছার মেরেছে।। যার কারনে মেঝেতে সব পড়ে গেছে আর পাতিলটা
চয়াপটা হয়ে গেছে।।
অন্তত ঃ এটা কিকরলেন?????
রিয়া ঃ তুই রান্না শেষ না করে, ওয়াশ রুমে কেনো গিছিলি????
অন্তত ঃ তাই বলে এমন অবস্থা করবেন।।
রিয়া ঃ দারা,,,,,
এটা বলেই ভাতের পাতিলটা জোড়ে জোড়ে আছাড় মারলো।।।
অন্তত ঃ কি করলেন আবার এটা,,,
রিয়া ঃ বেশি তর্ক করবি না আমার সাথে।। আর রান্না শেষ না করে, যে
গেছিলা,, তরকারি পোড়ার কারনে যে পোড়া পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিলো।।
আর সেই কারনে আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়েছিলো তাই এমন করেছি।।
এর পর থেকে যেন এমন কিছু না ঘটে,, তাহলে তোর অবস্থা এমন করবো।।।।।
মাথায় হাত দিয়ে রইলাম।। রিয়া চলে গেলো।। মেঝে পরিস্কার করতে লাগলাম।।
অফিসে দেরি হলে ম্যাম আবার কি না কি করে।। মেঝে পরিস্কার করে, না খেয়ে
অফিসের উদ্দেশ্যে বাহির হলাম,,,, পেটে ব্যাথ্যা হচ্ছে খুব।।
আজকেও লেট হলো,, অফিসে যেতে।।। ম্যাম কতোগুলো ঝাড়ি মারলো,,
আর দুই হাজার টাকা কেটে রাখলো বেতন থেকে।। আমি গিয়ে আমার
জায়গায় বসলাম।।
বৃষ্টি ঃ কিসের জন্য দেরি হলো?????
অন্তত ঃ না তেমন কিছু না,, আমার কপালটা ভালো তাই এমন হয়।।।
বৃষ্টি ঃ কেনো,, কেনো
অন্তত ঃ এমনি,,,
এটা বলেই মন মরা হয়ে কাজ করতে লাগলাম।।।
অন্তত ঃ ম্যাম এমন কেন,, আমি কিছুই বুঝি না।।।।
বৃষ্টি ঃ হুম,, আমি যফন এই অফিসে ম্যামকে দেখেছি,, তখন থেকে
দেখতাছি ম্যাম এর ভিতর অহংকার বেশি।। আর ম্যাম খুব রাগি টাইপের।।৷
অন্তত ঃ ওহহহহ,, আচ্ছা বৃষ্টি,, এই যে আজকে টাকাটা কেটে নিলো আমার
থেকে,, এটা কি আর দেবে না।।।
বৃষ্টি ঃ কাজ ঠিক মতো করলে দিয়ে দেয়।। আর এই অফিসে কেউ লেট করে
আসে না,,, তুমিই শুধু আসো।।।।
অন্তত ঃ ওহহহহহহহহ
বৃষ্টি ঃ কাল থেকে ঠিক টাইমে আসবে।।।।
অন্তত ঃ হুম।।
ছুটির সময়,,,
ম্যাম ঃ মি, অন্তত কাল থেকে যদি আপনার আসতে লেট হয়,, তাহলে মনে
রাখবেন, আপনাকে অনেক সমস্যার সমূখীন হতে হবে।।।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম।।
বাসায় এসে পড়ি,, খুব মিমের কথা মনে পড়ছে।। জানিনা এখন মিম কেমন
আছে।।কোন কারনে যে মিম আমার সাথে এমন করলো,, কিসের জন্য,,
মিম আজ খুব ভালো আছে হয়তো।।। আমাকে তার আর কোনো প্রয়োজন
নেই।।। আমা যতটুকু প্রয়োজন ছিলো মিম আমার কাছ থেকে সেই টুকু
আদায় করে নিয়ে আমাকে আজ একা করে দিয়েছে।।।। মিম তুমি যেখানেই
থাকে ভালো থেকো।।।
আমি চাই তুমি ভালো থেকো।। কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে,,, কোথায় একটু শান্তি
মতো বসতে পারি না,,। অফিসে ম্যাম, বাসায় রিয়া।।। কোথায় যাই আমি,,,
কয়েকদিন পড আজ অফিসটা বন্ধ,,।। বিকেলে ছাদে এক কোনায় বসে রয়েছি
মাথায় একটা ঢিল এসে লাগলো।।। তাকিয়ে দেখি রিয়া,,,
অন্তত ঃ কিছু বলবেন???
রিয়া ঃ আপনি যাদের কোনো জায়গায় বসবেন না,,, ওকে।।
অন্তত ঃ না মানে,,, রুমের ভিতর ভালো লাগে না তাই এখানে একটু বসেছি।।
এখানে বসে একটু ভালো লাগলো,,।। প্লিজ কিছু মনে নিয়েন না।।
রিয়া ঃ যাবি এখান থেকে।।।
ধাক্কা দিয়ে,,, ধাক্কার কারনে আমার এক হাতে একটা ফুল গাছের সাথে
লাগলো।।। গাছটা নষ্ট হয়ে গেলো।।।।
রিয়া ঃ তুই আমার ফুলের চারাটা নষ্ট করলি কেনো,,,
অন্তত ঃ আমি তো ইচ্ছে করে করিনি।।
দুম করে একটা আমার,,,,,,,,,,,,,,,,,
দুম করে একটা আমার পেটে ঘুশি মারলো,, ঘুশিটা গিয়ে আমার ঘত স্তানে
লাগলো।।। কয়েক মিনিটের জন্য নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছিলো আমার।।।
ঘুশি মেরে চলে গেলো।। ধীরে ধীরে আমার রুমে আসলাম।। এসে ক্ষত স্থানে
দেখি রক্ত পড়তাছে।।।
ডাক্তার বলছিলো এখানে যেন কোনো আঘাত না লাগে।। আজ কতো বড়
একটা আঘাত পেলাম এখানে।। খুব ব্যাথা করছে,, থামছেই না।।। কি করি
রাত আট টার সময়,,, বিছানায় সুয়ে রয়েছি।। ব্যাথায় চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।।
কান্না করতে পারছি না। ফোনটা দেখি বেজে চলেছে।। হাতে নিয়ে দেখি
আননোন নাম্বার।।
অন্তত ঃ হ্যালো,,,,
,,,,,,,,,,,,,,ঃ আপনি কি অন্তত।।
অন্তত ঃ হ্যা আপনি কে????
,,,,,,,,,,,,,,,,,ঃ আমি ডাক্তার।। আপনি তো একটা কিডনি বিক্রি করেছেন তাই না।
অন্তত ঃ হ্যাঁ।।।
ডাক্তার ঃ আপনি আমাদের এখানে আসেন আপনার সাথে লথা আছে।।।
অন্তত ঃ ওকে।।।।
তারপরের দিন অফিসে গেলাম ঠিক টাইমে,,,,
ম্যাম ঃ আপনাকে যে কয়টা কাজ দিয়েছি করছেন কি।।।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম।।
ম্যাম ঃ দিন তাহলে।।।
ফাইলগুলো ম্যামকে দিলাম।। ম্যাম ফাইল গুলো দেখে আমার দিকে অগ্নিময়
দৃষ্টিতে তাকালো,,,, ফাইল দেখা শেষে আমার কাছে এসে,,,
ৃম্যাম ঃ আপনি ফাইলটার এমন হাল করেছেন কেনো????
অন্তত ঃ ম্যাম ঠিক মতোই তো কাজ করেছি।।।
ম্যাম ঃ দেখুন তো কি করেছেন ফাইলটা,,, আবার বলেন কই কি করছি।।।
অন্তত ঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ফাইলটা ছুরে মারলো আমার দিকে।।।।
ম্যাম ঃ একঘন্টার মধ্যে ফাইলটা কমপ্লিট দেখতে চাই।।।
অন্তত ঃ ওকে ম্যাম।।।
কাগজ গুলো কুড়িয়ে কাজ করতে লাগলাম।।
বৃষ্টি ঃ কি ভুল করেছেন আপনি,,, দেখি।।।
অন্তত ঃ সামান্য ভুল,,, এটা ভুল ধরে না,, কিন্তু ম্যাম ভুল ধরলো।।।
বৃষ্টি ঃ আরে বোঝেন না কেনো,, ম্যাম খুব করা।। কোথাও ভুল হলে সে তো
শেষ।।।
অন্তত ঃ হুম
এটা বলে আবার ফাইলটার কাজ করতে লাগলাম।।। একঘন্টা পর ফাইলটা
জমা দেই,, এই বার কোনো ভুল নেই।।।
বৃষ্টি ঃ আপনি অনেক উদাসিন হয়ে থাকেন কেনো,,,,
অন্তত ঃ কই না তো।।।
বৃষ্টি ঃ কোনো প্রবলেম।।।
অন্তত ঃ আরে না।।।
বৃষ্টি ঃ আচ্ছা আপনার চেহারার এমন হাল হচ্ছে কেনো দিন দিন।।।।
অন্তত ঃ কি রকম।।
বৃষ্টি ঃ মুখটা একবারে শুকনো।।। আর সবার দিন দিন চেহারা উজ্জ্বল হয়,
কিন্তু আপনার তো উল্টো।।।
অন্তত ঃ তেমন কিছু না।।
ম্যাম ঃ কি হচ্ছে এখানে
বৃষ্টি ঃ কিছু না ম্যাম।।
ম্যাম ঃ দেখতেই তো পাচ্ছি কি হচ্ছে।। কাজের দিকে নাই আলাপে আছে।।।।
বৃষ্টি ঃ সরি ম্যাম।।
ম্যাম ঃ shut up,, কাজ করেন।।
ম্যাম চলে গেলো,,।।।
অন্তত ঃ সরি বৃষ্টি,, আমার জন্য আপনাকে বকা খেতে হলো।।
বৃষ্টি ঃ আরে না,, ম্যাম এমনি।। কাজ করেন, আবার দেখলে সমস্যা হবে।।
তারপর আমি বাসায় গেলাম।। বাসায় গিয়ে আমি আমার জন্য ভার রান্ন করতে
বসলাম।।তারপর আমি ফ্রেশ হতে গেলাম।। ফ্রেশ হয়ে আমি বাইরে বের
হয়ে দেখি রিয়া সকল পাতিল আছাড় মেড়ে ভেঙে ফেলেছে।। পাতিলের মধ্যে
থাকা সব তরকারি ভাত গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।। আমি ওগুলো
পরিস্কার করে অফিসের দিকে রহনা দিলাম।।।।
আমি অফিসে গিয়ে ম্যাম এর রুমের উদ্দেশ্যে গেলাম তার সাথে কথা বলার
জন্য ।।
অন্তর ঃ ম্যাম আসবো????
ম্যাম ঃ হ্যাঁ, আসুন।।
অন্তত ঃ ম্যাম আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।।
ম্যাম ঃ হ্যাঁ বলো কি কথা।
অন্তত ঃ ম্যাম, আমার টাকাটা যদি দিতেন খুব উপকার হতো।।।
ম্যাম ঃ আপনার সব টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।। আপনার অফিসে দেরি
করে আসার কারনে।।। এখন আপনার কোনো টাকা নেই।। আর এখন আপনার
আগামী মাসের টাকা থেকেও কেটে নেওয়া হচ্ছে।।।।
অন্তত ঃ ম্যাম দেখন,, আমার এই অপরাধের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন।।
আমার টাকাটা খুব দরকার।। টাকাটা দিলে আমার খুব ভালো হতো।।।
ম্যাম ঃ বলছি তো,,, আপনার এ মাসের টাকা অফিসে দেরি করে আসার জন্য
কেটে নেওয়া হয়েছে।। আর আপনি এখন আসতে পারেন।।।
তারপর আমি আমার ডেক্সে এসে বসে থাকলান।। তারপর বৃষ্টি আসে।
বৃষ্টি ঃ কি হয়েছে আপনার এমন দেখাচ্ছে কেনো,, কোনো সমস্যা???
অন্তত ম্যাম আমার বেতনটা দেয় নাই।। তারপর আমি আসার সময় ডিসিশন
নিয়েছি ম্যামকে রেজিগনেশন পেপার দিয়ে আসবো।। আর চাকরি করবো না।
বৃষ্টি ঃ চাকরি না করলে কিভাবে চলবেন???
অন্তত ঃ আমার আর এখানে থেকে লাভ কি বলুন???
তারপর আমি ম্যাম এর রুমে গেলাম গিয়ে,,,
অন্তত ঃ আমি কি ভিতরে আসবো ম্যাম।।
ম্যাম ঃহ্যাঁ আসুন।। আবার কি বলবেন, তারা তারি বলেন।
অন্তত ঃ জ্বি ম্যাম৷ আমি আর চাকরি করবো না।। এই নেন আমার
রেজিগনেশন পেপার।।
ম্যাম ঃ কেনো আপনি চাকরি করবেন না কেনো??? কোনো সমস্যা নাকি???
অন্তত ঃ না ম্যাম কোনো সমস্যা নাই।।। আর থাকলেই বা কি।। আমি তো
চাকরি ছেরে দিয়েছি।।
ম্যাম ঃ কেনো, আমাকে বলুন???
অন্তত ঃ আপনার কাছে আমি আর কোনো জবাব দিতে পারবো না।। আমার
চাকরি করার ইচ্ছে নেই।। আমি আপনার এটা থেকে বিরতি চাচ্ছি।।
এ কথা বলে আমি ম্যাম এর রুম থেকে বেড়িয়ে এসে সোজা বাড়ীতে যাওয়ার
জন্য তৈরি হলাম।। এ সময় বৃষ্টি এসে বললো,,,
বৃষ্টি ঃ চলেন আপনার সাথে যাবো।।
তারপর বৃষ্টিকে সাথে নিয়ে চলতে লাগলাম।। যাওয়ার সময় একটা রেস্টুরেন্টে
ঢুকলাম।। বৃষ্টি আমাকে জোড় করলো আমার সমস্যা গুলো বলার জন্য।।।
তারপর আমি আর অন্য কিছু না ভেবে বৃষ্টিকে সম্পন্ন ঘটনা বললাম।।
বৃষ্টি আমার এসব কাহিনি শুনে কাদতে লাগলো।।
আমি বলতে বলতে কখন যে,,,,,,,,
আমি ও বলতে বলতে কখন যে কেঁদে ফেলেছি,, টেরই পেলাম না।। তারপর বৃষ্টি
আমাকে বল্লো যে,, তোমার ক্ষত স্থান একটু দেখি।। তারপর আমি দেখাতে
চাইনি।। বৃষ্টি জোর করলো তাই আমি না দেখিয়ে আর পারলাম না।।
তারপর বৃষ্টি আমাকে ডাক্তার দপখানোর জন্য অনেক জোর করলো।। কিন্তু
আমি তাকে বললাম,,,
অন্তত ঃ দেখো বৃষ্টি এটা কোনো ভাবেই সম্ভব না।৷ আর ডাক্তার বলেছে
এটার জায়গায় নতুন কিডনি বসালে কোনো লাভ হবে না।।।
বৃষ্টি ঃ কেনো হবে না।। তুমি আমাকে বলো।। তোমাকে ডাক্তার দেখালে এটা
ঠিক হয়ে যাবে।।।।
অন্তত ঃ না বৃষ্টি।। তুমি যা ভাবছো এটা ঠিক তা নয়।৷ এটা অন্য রকম।৷
ডাক্তারও তখন বলেছিলো, এটা কখনো ভালো হবে যদি ক্ষত স্থানে দাগ
না পরে।। কিন্তু তুমি তো দেখছো এটা আরও অনেক খারাপ অবস্থা হয়েছে।।
এটা শুনে বৃষ্টি কাঁদতে লাগলো।। আমি জানি বৃষ্টি আমাকে ভালোবাসে কিন্তু
কি করবো আমার কষ্টে ভরা জীবনে কাউকে জড়িয়ে কি লাভ।৷ সে আরো
বেশি কষ্ট পাবে।। তার চেয়ে ভালো সবাই এমনিতেই ভালো থাকুক।। তারপর
বৃষ্টির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসার দিকে রহনা দিলাম।।
পথের মধ্যে দেখলাম একটা কার সামনপর দিকে আসতেছে বেপরোয়া ভাবে৷
তারপর আমি নিশ্চিত হলাম যে আমার মৃত্যু এখানে হবে।। কিন্তু না হঠাৎ
দেখলাম কারটা একটা দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেলো।।।।তারপর দেখলাম
কার থেকে একটা মানুষ বাইরে বের হয়ে আছে।। আর তার মাথা ও অন্যান্য
জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছে।।
তারপর আমি তার কাছে গিয়ে দেখলাম, একি এতে আমাদের অফিসের ম্যাম।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তারা বললো যে,, রোগীর শরীরে অনেক রক্ত
ক্ষরন হয়েছে তার।। এখন তার অনেক রক্ত লাগবে।। আমি তাকে রক্ত দিলাম।
তারপর হঠাৎ দেখলাম আমার আগের ম্যাম আসছে।৷ আমি তাকে দেখে
একটা জায়গায় সরে গেলাম।। যেন তিনি আমাকে দেখতে না পায়।।।
তারপর আমি বাসার দিকে রওনা দিলাম।। যাত্রা পথে বৃষ্টির সাথে দেখা হলো।।
সে আমাকে দেখে বললো,,,,
বৃষ্টি ঃ আরে তুমি এখানে কি করছো।। আর তোমার শার্টে রক্ত কেনো???
তোমার কি হয়েছে??? আর তুমি কোথায় যাচ্ছো??????
অন্তত ঃ না তেমন কিছু হয়নি।। আমি ঠিক আছি।।।।
বৃষ্টি ঃ কি তেমন কিছু হয় নি।।। আমার তো মনে হচ্ছে অনেক কিছু হয়েছে।।
অন্তত ঃ না আমার কিছু হয়নি।। আমি ভালো আছি।।।
বৃষ্টি ঃ তাহলে তোমার শরীরে রক্ত কেনো??? আর এ রক্তই বা আসলো কোথা
থেকে।। আমাকে বলো না হলে আমি আত্মা হত্যা করবো।।
অন্তত ঃআরে এসব কি বলো তুমি।।। আমার এ শরীরে সামান্য রক্রের চাপ
দেখে তুমি এমন কথা বলছো।।এসব কথা শুনতে আমার ভালো লাগে না।।।
বৃষ্টি ঃ তাহলে বলো,, তোমার শরীরে রক্ত এলো কোথা থেকে,, আর না হলে,,,,,,,
অন্তত ঃ থাক আর বলার দরকার নাই,, আমি বলছি,,,
তারপর সব ঘটনা খুলে বললাম৷ দেখি বৃষ্টি কাঁদছে
অন্তত ঃ এই তুমি কাঁদছো কেনো??? দেখো আমার কান্না কাটি একদম
ভালো না। সুতারাং তুমি আর কান্নাকাটি করবে না।।
বৃষ্টি ঃ আচ্ছা তুমি এসব উপকার করে তোমার কি লাভ হয় আমাকে বলো।।
তুমি তোমার জীবনকে কষ্ট দিয়ে কেনো তুমি ওদের জন্য এসব করছো।।।
এসব ওরা তুচ্ছতাচ্ছিল্যের সাথেএমনিতেই ফেলে দিবে।।।
তারপর বৃষ্টির সাথে আরো অনেকক্ষন কথা বলার পর আমি আমার বাসার
দিকে রওনা দিলাম।। বাসায় আসি,, আমার রুমে যাওয়ার জন্য ছাদে উঠি,,,
যখনি তালা খুলে আমি ছাদে প্রবেশ করলাম, তখনি কেউ কোনো কিছু দিয়ে
আমাকে আঘাত করলো।।। আমি তাকিয়ে দেখি রিয়া,,,,।।।
অন্তত ঃ মারছেন কেনো????
রিয়া ঃতোকে আজকে আমি,,,,
এটা বলে বারী মারতে থাকে,,
রিয়া ঃ তুই আমাকে চিঠি দেস,, দেখ আমি তোর কি করি।।।।।
এটা বলে বারি দিলো,,, বারিটা গিয়ে লাগলো আমার প্যান্টে।।। বারি খেয়ে
আমি কিছুক্ষনের জন্য বসে পড়লাম,,,। রিয়া ওর মতো করে বারি মেরে
চলে যাওয়ার সময় দেখলো কয়েকটা ছেলে ছাদের নিচে দাড়িয়ে হাসছে।।।
আর ওদের মধ্যে একটা বলছে,,,,,
দেখ দোস্ত ছেলেটা না আমাদের এসব কিছুর জন্য প্রতিদিন মেয়েটার হাতে
মার খায়।। কিন্তু কিছু বলে না।। আহারে বেচারার অবস্থা দেখে আমার কি
করতে ইচ্ছে করছে জানিস,,,
তখন তার বন্ধুরা একসাথে বলে উঠলো,, না বল্লে জানবো কি করে???
তখন ছেলেটি বল্লো,,,,,
আমার ওকে চুম্মা দিতে ইচ্ছে করছে।।।
তারপর আমি সেখান থেকে চলে আসলাম।। দেখি রিয়া আমার পিছন পিছন
আসছে।। আমার দিকে তাকিয়ে আছে।। রিয়া এসে তারা তারি করে আমার
রুমপ ঢুকে পড়লো।।।।
অন্তত ঃ একি আপনি আমার রুমে আসছেন কেনো??? আপনার এসব
কাজের প্রমান হিসেবে তো আপনি দেখলেন ওদের এসব কান্ড কারকানা।
আর এখন হয়তো আপনি আমাকে সরি বলবেন,,, তারপর বলবেন
আমি অনেক ভুল করেছি,, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দেন।।।
রিয়া ঃ এমন ভাবে বলবেন না,,, আমাকে ক্ষমা করে দেন।।। আমি আপনার
প্রতি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।।। আমার এ অন্যায়ের ক্ষমা হয় না।।।
তারপর হঠাৎ আমি মাথা ঘুরে নিচে পড়ে যাই।। আর আমার কাটা জায়গা
থেকে রক্ত বের হতে লাগলো।। রিয়া এসব দেখে তো অবাক,, সে একি করলো।।।
যার কারনে অন্ততের এমন অবস্থা।।। অন্তত কি কখনো তাকে ক্ষমা করবে।।।
তারপর রিয়া অন্ততকে খুব দ্রুত একটা হাসপাতালে নিয়ে গেলো।। আর তাকে
নেওয়ার সাথে সাথে তার পরিচিত সেই ডাক্তার তাকে দেখে তারা তারি
ইমারজেন্সি বিভাগে ডুকলো।। মিম সেখানে নতুন রোগিকে সেখানে
দেখতে পেয়ে তো অবাক।। তারপর ডাক্তার যা বল্লো তা শোনার জন্য হয়তো
মিম ও রিয়া ওদের কেউ প্রস্তুত ছিলো না।।।
ডাক্তার ঃ আরে এই তো সেই রোগী,,, এই রোগীর জন্য আমার অনেক দুঃখ
লাগছে।।।
মিম ঃ কেনো???
ডাক্তার ঃ আর বলো না,, আমার তার বউকে থাপ্পড় মরতে মরতে মেরে
ফেলতে মন চাইছে।।।
মিম ঃ কেনো স্যার। সে আবার কি করলো????
ডাক্তার ঃ যে লোকটা তার বউয়ের পড়ালেখার জন্য নিজের সব কিছু
ত্যাগ করতে পারে।।। তার বউকে ডাক্তার বানানোর জন্য সে তার একটা
কিডনি দান করে।।। আর তার বিনি ময়ে আজ তার বউ ডাক্তার কিন্তু আমি
তাকে অনেক বার ফোন করে বলেছি আপনার শরীরে একটা কিডনি
প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন আর সেটা না করলে আপনার নানা সমস্যা হতে
পারে।।।
মিম ঃ তারপর,, কি হলো???
ডাক্তার ঃ কিন্তু লোকটা শুনলো না,, সে বললো আমার বউ আগে একজন
বড় ডাক্তার হোক।। তারপর ও আমাকে চিকিৎসা করে ভালো করে দিবে।।
কিন্তু লোকটার বউ ডাক্তার হওয়ার পর সে ও তার পরিবার তাকে ছেরে
চলে গেলো।।। আমি মাঝে মাঝে তাকে কিডনী প্রতিস্থাপন এর কথা বললে
সে বলতো।।।।।।।।,,,,,,,,,
ডাক্তার ঃ আমি মাঝে মাঝে তাকে কিডনি পতিস্থাপনের কথা বললে
সে বলতো।।।
আমার জীবনটা যার জন্যে দিয়ে দিতাম ডাক্তার সাহেব সে কি না আমাকে
এতোটুকু বুঝলো না।।। সে যদি আমাকে তার জন্য জীবনটা দিতে বলতো
তাহলে আমি হাসতে হাসতে জীবনটা তার জন্য দিয়ে দিতাম।।। কিন্তু সে
আমাকে রেখে এখন একা থাকে,,,।। আমি তার কাছে গেলে সে তাড়িয়ে
দেয়।।। জানেন ডাক্তার সাহেব,,, সে এখন একজন বড় ডাক্তার হয়েছে বলে সে
আমাকে ছোটলোক বলে গালি দেয়।। তখন আমার অনেক খারাপ লাগে।।
জানেন ডাক্তার সাহেব আমার না এখন এ জীবনটা রেখে দিতে মন চাচ্ছে
না।।। আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে আমি মরে গেলে আরও ভালো হতো।।।
ডাক্তার সাহেব আপনি আমার যে বাকি কিডনিটা আছে সেটাও কাউকে দিয়ে
দেন।।। আমার এ জীবনটা রাখতে আর ভালো লাগছে না।।। আপনি প্লিজ
আমাকে মুক্ত করে দেন।।।
ডাক্তার ঃ একটা মানুষ কতটা কষ্ট পেলে
এমন কথা বলতে পারে।। জানেন আমার তখন মনে হয়েছিলো আমার জীবনটা
দিয়ে দেই এরকম একটা মানুষের জন্য।, যে কি না আরেকটা মানুষের জন্য এত
কিছু করেছে।। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন আগে এসেও সে একটা মহিলাকে
হাসপাতালে নিয়ে আসছে।। তারপর তাকে রক্ত দিয়ে তাকে বাচিয়ে তুলো।।।
আর আমি তাকে কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলে যখন পেটটা দেখতে
লাগলাম,,, তখন দেখলাম তার পেটের মধ্যে একটা মারাত্মক ভাবে জখম
হয়েছে।।। আমার মনে হলো কেউ কোনো শক্ত কিছু দিয়ে আঘার করেছে।।।
যার ফলে তার অপারেশন করে কিডনি প্রতিস্থাপন কারলেও সে কয়েক মাস
পরে মারা যাবে।।।আর এখন তো তার এমন অবস্থা হয়েছে যে তার শরীর
থেকে প্রচুর পরিমানে রক্ত বেরিয়ে গেছে।। এখন তার রক্তের খুব প্রয়োজন।।
কিন্তু তার রক্তের সাথে মিল এমন রক্ত আমাদের কাছে নাই।।।
ডাক্তারের মুখে এরকম কথা শুনে মিম ও রিয়া খুব কাঁদছে।।। মিম মনে মনে
নিজেকে অনেক দোষী মনে করছে কারন তার জন্য আজ অন্তরের এমন
অবস্থা।। অন্যদিকে রিয়াও তার কাজের জন্য নিজেকে ক্ষমা করতে পারছে
না।।কারন অন্তরের এ অবস্থা জন্য সেও কম দায়ী নয়।। তারপর হঠাৎ বৃষ্টি
ছুটে এলো কোথা থেকে,,, সে এসে বলতে লাগলো,,,
বৃষ্টি ঃ ডাক্তার সাহের অন্তরের কি হয়েছে বলুন আমাকে।।।
ডাক্তার ঃ আচ্ছা আপনি ওর কে হন?????
বৃষ্টি ঃ জ্বি আমি ওর সাথে একই অফিসে কাজ করতাম।। আমি ওর কলিং।
আর আমরা দুজন ভালো বন্ধু ও বটে।।
ডাক্তার ঃ ওওওও, ভালো।।। আসুন আমার সাথে।।।
ডাক্তার বৃষ্টিকে অন্তরের কাছে নিয়ে গেলো।।। নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টি
দৌড়ে গেল অন্ততরের কাছে, তারপর বলে উঠলো,,,,
বৃষ্টি ঃ অন্তত কি হয়েছে তোমার।।। তোমার এ অবস্থা কি ভাবে হলো।।।
এ কথা বলে বৃষ্টি কাদতে লাগলো।। বৃষ্টির এসব ঘটনা দেখে মিম আর চুপ করে
থাকতে পারলো না।।।। সে বলে উঠলো,,,,
মিম ঃ এই মেয়ে তুমি অন্ততকে ধরে এসব কি করছো।। তুমি অন্ততরের
কে যে অন্তর কে ধরে এসব করছো????
বৃষ্টি ঃ আমি অন্ততের যেই হই না কেনো আপনি বলার কে,,, আর আপনি
অন্তরের কি হন ???
মিম ঃ আমি ওর স্ত্রী হই,।। আর ও আমার স্বামী।।।
বৃষ্টি ঃ খবরদার আপনি আর কিছু বলবেন না।।। আপনি কোন মুখে বলছেন
আপনি ওর স্ত্রী।।। আমার তো আপনাকে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে। কারন
যে স্বামী তার স্ত্রীর পড়ালেখার জন্য নিজের কিডনি দান করে তার পড়াশুনার
খরচ দেয় আর একজন ভালো ডাক্তার বানায়।।। সে কি না আপনি তার উপর
এমনটা করতে পারলেন।। আমার তো মন চাচ্ছে আপনাকে কিছু একটা
করে ফেলি।।। আপনি প্লিজ এখান থেকে সরে যান, আপনার চিকিৎসা লাগবে
না৷ ।।। আমি অন্ততকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাবো তবুও আপনি এখান
থেকে চলে যান।৷ আপনাকে দেখে অন্তত এমনিতেই মরে যাবে।।।
এতক্ষণ ধরে ডাক্তার এসব নিজের চোখে দেখ ছিলো।।। আর তার মেজাজটা
আরও বেড়ে গেলো মিম এর উপর।৷ তারপর ডাক্তার মিমকে একটা থাপ্পড়
মেরে বলতে লাগলো
ডাক্তার ঃ মিম তুমিই সেই মেয়ে,,, আমার ভাবতেই অবাক লাগছে।। আজ
থেকে আর এখানে চেম্বার করতে পারবে না।। তোমাকে আমি আমার সামনে
দেখতে চাই না।।। তোমাকে আমি টান্সাফারের ব্যবস্থা করছি।। তোমার
মতো এমন মেয়েকে আমি আমার চোখের সামনে দেখতে চাই না।। তুমি প্লিজ
এখান থেকে চলে যাও।।।
তারপর মিম কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো।।। আর রুমের বাইরে গিয়ে কাঁদতে
লাগলো।। তারপর ডাক্তার বললো,,,
ডাক্তার ঃ অন্তরের জন্য এখন চার ব্যাক রক্ত লাগবে।। অন্তরের যা ক্ষত
হয়েছে তাতে মনে হয়, সে আর বেশিদিন বাঁচবে।।।
বৃষ্টি ঃ অন্তরের রক্তের গুপ কি????
ডাক্তার ঃ অন্তরের রক্তের গুরুপ O+।।। আমাদের এই খানে এখন ব্লাড
ব্যাংকে রক্ত নেই আর ওর রক্তের গুরুপের সাথে এখানে কারো রক্তের গুরুপ
মিল নেই।।।
বৃষ্টি ঃ ডাক্তার সাহেব আমি রক্তের ব্যবস্থা করছি।। আপনি কোনো চিন্তা
করবেন না।।।
অন্যদিকে নতুন ম্যাম তার মাকে বলছে,,,,,,
ঃ আম্মু আমাদের অফিসে অন্তর নামে একটা চেলে চাকরি করত না।।। সে
তার ডেজিগনেশন লেটার দিয়ে চাকরি থেকে চলে গেছে।।।
ঃ কেনো অন্তর সাহেব তো ভালো একটা মানুষ।।। আর সে তো আমাদের
অফিসের প্রত্যেকটা কাজের প্রতি খুব মনোযোগি ছিলো।।। সে কি কারনে
এমটা করলো।।।
ঃআরে ধুর আম্মু তুমি যে কিসব কথা বলো না।।। অন্তর সাহেব বলছো
কেনো। আর সে এমন কি কাজ করতো যার জন্য তুমি তার এমন প্রসংশা
করছো।।। আর তাকে আমার সারা দিন একটা পেন হিসেবে মনে হতো।।।।
আর কোনো একটা কাজ করলে এতে কিছু পরিমান ত্রুটি মাঝে মাঝে
দেখা যেত।।। তার জন্য আমি তাকে মাঝে মাঝে বকা ঝকা করতাম।। তাই
সে চাকরি ছেড়ে চলে গেছে।।।
ঃ তবুও অন্তর সাহেব খুব ভালো মানুষ।।। আর মানুষের কিছু না কিছু ভুল
হতে পারে,, আর মানুষের সকল ভুল ধরতে নেই।। ভুলটা সামান্য হলে তা কোনো
সমস্যা হয় না।।। বড় হলে তা অন্য ব্যাপার।। তুই অন্তর সাহেবের সাথে মনে হয়
অনেকটাই অন্যায় করে ফেলেছিস।। তার কাছ থেকে তুই ক্ষামা চেয়ে নিবি।।।
ঃ মা তুমি অন্তরকে সাহেব বলছো কেনো??? আড আমিই বা অন্তরের কাছে
ক্ষমা চাইবো কেনো, ক্ষমা তো ও চাইবে।।। ওর মতো একটা কুলাঙ্গার এর জন্য
আমার অফিসের কাজটা ঘুচিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হতো।।।
ম্যামের মা ম্যামের এসব কথা শুনে চুপ হয়ে গেলো।।। তখন বৃষ্টি তাদের মাঝে
এসে ম্যামকে বললো,,,,,,
বৃষ্টি ঃ আচ্ছা ম্যাম আপনি একটু আগে কি যেন বলছিলেন,,,,। এগুলোর সব
আমি শুনতে পারিনি।।। তবে আমার মনে হয় আমি অর্ধেক হলেও শুনেছি।।।।
ম্যাম ঃ ওওওও তুমি ওলরেডি সব শুনে ফেলেছো।।। আসলে আমি বলবো
আর তোমাদের সম্পর্কে,, তোমাদের মতো ছোট লোকের এই স্বভাব।।। অন্যের
কথা শুনে নেওয়া।।। এছাড়া আর কি বা হতে পারে বলো????
বৃষ্টি ঃ ম্যাম আমরা ছোটলোক হতে পারি তবে আপনার মতো একটা
অকৃতজ্ঞ নই।।।
ম্যাম ঃ মানে কি বলতে চাও তুমি???
বৃষ্টি ঃ কি বলবো তোকে???
ম্যাম ঃ এই তুমি আমার অফিসে চাকরি করে আমাকে তুই বলছো,, তোমার
সাহস তো কম না।।।
বৃষ্টি ঃ সাহসের কি দেখছিস তুই??? তোর মতো মেয়েকে আমাদের ম্যাম এর
মেয়ে বলে মানতে আমার কষ্ট হয়।।।
ম্যাম ঃ এই তুমি কিন্তু,,,,,,,,,,,,,,
ম্যাম ঃ এই তুমি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছো।।। তুমি জানো না তুমি কার
অফিসে কাজ করো।।। আমি ইচ্ছে করলে তোমাকে চাকরি থেকো বের করে
দিতে পারি।।।
বৃষ্টি ঃ তই আমাকে চাকরির ভয় দেখাচ্ছিস।।। আরে তোর মতো মেয়ের
অফিসে আমি চাকরি করবো না।। আজকে বিকেলে আমি রেজিগনেশন
পেপার দিয়ে আসবো।।। আমার তোর মতো অকৃতজ্ঞ ব্যাক্তির চাকরির দরকার
নেই।।। যে কি না একটা ভালো মানুষকে এমন কথা বলতে পারে।।। আমার
ভাবতে খুব ঘৃনা হচ্ছে।।।।
ম্যাম ঃ মানে কি বলতে চাও তুমি????
বৃষ্টি ঃ আরে তোকে আর কি বলবো।।। তুই অফিসে জয়েন করার পর থেকে
অন্তর সাহেবের মতো একটা ভালো মানুষকে অনেক খারাপ ব্যবহার করছিস।।।
আবার তার সকল কাজে সামান্য ভুলের জন্য তই এসব কাজ অনেকবার
করাইছিস।।। যে সব ভুলের জন্য তেমন কোনো সমস্যা হয় না।।।। তুই সেসব
ভুলের জন্য দিনের পর দিন অন্তর সাহেবের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার
করছিস।।। তারপর মাস শেষে তুই তার বেতনেট একটা টাকাও দেস নি।।।।।।
কতটা কষ্ট করে নিজের জীবনটা চালাচ্ছে জানিস তুই এগুলোর কিছু।।
জানবি কি করে।।। তুই তো টাকার মায়ায় অন্ধ হয়ে গেছোস।।। তারপর
পরের মাসের টাকার জন্য তার অপারেশন করাতে পারে নাই।।। তই ওই মাসের
টাকাও দেস নি।।। তারপর অন্তর সাহেব অনেক দুঃখে কষ্টে চাকরি ছেড়ে
দিয়েছে।। তারপর ওই দিন যে তুই গাড়ী এক্সিডেন্ট করছিলি,,, সে দিন সে
না থাকলে হয়তো তোর মতো মেয়ের লাশ হয়তো আজ কবরে থাকতো।।।।
তোকে ঐদিন গাড়ি করে নামিয়ে কোনো গাড়ী না পেয়ে নিজের কোলে
করে তোকে হাসপাতালে নিয়ে আসছে।।।। তারপর তোর শরীর থেকো অনেক
রক্ত গেছে।।। যার কারনে তোর রক্তের তিন ব্যাগ দরকার হয়।।। কিন্তু তখন
হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকে রক্ত ছিলো না।। তারপর তোকে তিন ব্যাক রক্ত
দিয়ে বাচাইছে।। আর তুই কি না তার নামে বাজে কথা বলিস।।। জানিস লোকটা
তার জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সারা জীবনটা মানুষের ভালোর
জন্য করছে।।। কিন্তু যেসব মানুষ গুলোর জন্য করেছে তারা তাকে বিন্দু মাত্র
দাম দিলো না।।। এমন কি তার বউও তাকে দাম দিলো না অথচ তার বউ এর
জন্য কতো কিছুই না করেছে।।। তাকে ডাক্তার বানানোর জন্য তার একটা
কিডনি দান করে তার বউ এর পরাশুনার খরচ দিতেন।।। আর সেই বউ আজ
ডাক্তার হয়ে তাকো চোট লোক বলে অপমান করে।। তাকে ডির্ভোজ দেয়ার
কথা বলে।।। শুধু তাই নয় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।। তারপর তিনি
বাসা ভারা করে থাকতেন।।।।
আর ঔ খানে এক মেয়ে তার সাথে অনেক খারাপ ব্যবার করতে থাকে।।। তার
অপারেশন করারা জায়গায় সে অনেক খারাপ ভাবে আঘাত করে যার কারনে
এখন সেখানে এমন ভাবে জখম হয়েছে যে সে আর বেশিদিন দুনুয়ার মাঝে
নেই।।। জানেন সে কোথায় আছে????সে আজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে
পান্জা লড়ছে।।। হয়তো আপনাদের মতো সার্থপর মানুষ গুলোর ভালো
থাকার জন্য তিনি আজকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছেন।।। তার জন্য এখন চার
বেক রক্তের প্রযোজন।।। কিন্তু এখন পর্যন্ত খোজ করে পাওয়া গেলো না।।।।
আর O+ রক্ত এখন এখন এই হাসপাতালে নেই।।। আর এখন পর্যন্ত বড়
বড় কোনো হাসাপাতালে খোজ করে পাওয়া গেলো না।।।।
ম্যাম দেখি একটা মোবাইল নিয়ে তার কয়েকটা ফ্রেন্ডকে কল করলো৷ তাদের
মধ্যে তিন জনের রক্ত O+ ।। তারপর তাদেরকে টিকানা দিলো এবং বললো,,,
দ্রুত হাসপাতালে আসতে।।।। তারপর তারা দ্রুত হাসপাতালে আসলো।।।
হাসপাতালে আসার পর ডাক্তার তাদের রক্ত পরিক্ষা করে দেখলেন এবং
দেখার পর ডাক্তার বললেন যে,,,,,,
রক্ত নেওয়া যাবে।।। তবে একটা প্রশ্ন,,, এদের মধ্যে কি কেউ আগে রক্ত
দিয়েছে কি না?? তারপর দুজন বললো তাটা দিয়েছে।। আর একজন বললো
দেয় নি।।। তারপর ডাক্তার তাদের জিজ্ঞেস করলো তোমরা কে কখন রক্ত
দিছো এবং কয়মাস আগে দিছো।।।।
তারপর তাদের মধ্যে একজন বললো যে দুমাস আগে দিছে। আরেকজন বললো
সে পাঁচ মাস আগে দিয়েছে।।। তারপর ডাক্তার তাদের দুজনকে রক্ত দেয়ার
জন্য নিলেন এবং তাদের কাছ থেকে চার বেক রক্ত নিলেন।।। তারপর তা
অন্তরের শরীরে দিলেন এবং অপেক্ষা করতে থাকলেন তার কখন জ্ঞান
ফিরবে। এর পর কিছুক্ষনের জন্য অন্য রোগিদেরকে দেখতে গেলেন এবং
কোনোসমস্যা হলে তাকে জানাতে বললেন।।।।
তারপর ডাক্তার সেখান থেকে চলে গেলেন।।।এদিকে প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর
অন্তরের জ্ঞান ফিরলো।। জ্ঞান ফেরারা সাথে সে চোখ খুলে দেখতে পেলো
বৃষ্টি, রিয়া আর মিম দাড়িয়ে আছে।।। তখন রিয়া অন্তরকে বললো যে,,,,
রিয়া ঃ অন্তর তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।।। আমি বুঝতে পারিনি,,, আমি
তোমার সাথে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।।। প্লিজ তুমি আমাকে ক্ষমা করে
দাও।।।
বৃষ্টি ঃ কে তুমি আর অন্তরের কাছে ক্ষমা চাউতেছো কেনো???
তারপর রিয়া বললো ,,,, আমার নাম রিয়া।।। তারপর বৃষ্টি বললো ও তুমি সেই
রিয়া।।। যার কারনে আজকে অন্তরের এই অবস্থা।। আজকে অন্তর মৃত্যুর সাথে .
পান্জা লড়ছিলো সেই তোমার মতো অহংকারি এ মেয়েটার জন্য।।।।
সে এখন মোটামুটি সুস্থ আছে।।।
মিম ঃ প্লিজ অন্তর তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।।। আমি যদি জানতাম
এগুলো,,, তাহলে আমি কি তোমার সাথে এমনটা করতাম,,, তুমি বলো।।।
প্লিজ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও না হলে আমি নিজেকে কোনোদিন
ক্ষমা করতে পারবো না।।।
বৃষ্টি ঃ বাহ,, ক্ষমা করে দাও।।। এ কথাটা অনেক সহজ কিন্তু আপনি যে
ক্ষমার অযোগ্য কাজটা করেছেন।।। আপনি ক্ষমা পাওয়ার
যোগ্য কি না নিজে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেন।।৷ আপনার মতে মেয়ের জন্য
একটা নিরিহ ছেলের প্রান যাচ্ছে এটি কিভাবে মনে নেওয়া যায়।। তারপর
আপনি আবার ক্ষমা চাচ্ছেন।।।আপনাদের কাছে ক্ষমা জিনিসটা হলো একটা
ব্যবহার্য বস্তুর মতো, যেখানে আপনারা একটা জিনিস ব্যবহার গুলো অনেক
দিন পর ছুরে দিলেন। তারপর আবার উঠিয়ে এই গুলোকে কয় দিনের
জন্য আপনারা ব্যবহার করলেন।।। আপনার মতো লোকেরা এগুলো ভালোই
করতে পারে।।।
তখন ডাক্তার বললো যে,,,,,
ডাক্তার ঃ অন্তর সাহেব আপনার জন্য একটা,,,,
ডাক্তার ঃ অন্তর সাহেব আপনার জন্য একটা সুসংবাদ আছে।।। সেটা হলো
আপনার জন্য দুটা কিডনী পাওয়া গেছে,,, যে গুলো আপনার দেহে প্রতিস্থাপন
করলে আপনি আবার ঠিক সাধারণ মানুষের মতো চলতে পারবেন।।।।
বৃষ্টি ঃ ডাক্তার সাহেব আপনি অপারেশনের ব্যবস্থা করেন।।। যা টাকা খরচ
হয় আমি দিবো।।। আপনি প্লিজ অন্তরের অপারেশনের ব্যবস্থা করেন।।।।
তারপর অন্তরের অপারেশন হলো এবং ডাক্তার সাকসেস হলো তার মাঝে
এগুলো প্রতিস্থাপন করে।।। এভাবে অন্তর সুস্থ হতে হতে প্রায় একমাস এর
অধিক সময় লেগে গেলো।।।
যে মিমের জন্য আমি এতো কিছু করলাম আর যার জন্য আমি আমার
জীবনের সমস্থ কিছু দিয়ে দিতাম কিন্তু সেই মিম আমাকে এতটুকু
বুঝলো না।।। আর সে আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলো এবং আমাকে
অনেক কষ্ট দিয়ে দূরে ঠেলে দিলো।।।
আর বৃষ্টি তার বন্ধুত্বের জন্য এতো কিছু করলো।।। আমি তার জন্য কিছুই
করতে পারলাম না।।। বৃষ্টি তার ভালোর জন্য অনেক কিছু করলো কিন্তু
বিনিময়ে সে একটুকু ভালোবাসা পেতে চায়।।।।
এভাবে দেখতে দেখতে অন্তরও বৃষ্টির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সেই ভাবতে
থাকে বৃষ্টি তার জন্য এতো কিছু করেছে সে কখনো ভুলতে পারবে না।। ।।।
কিছুক্ষণ পর অন্তর নিজেকে নিজে বলতে লাগলো,,,,
এসব কিছু কেন ভাবতেছে সে বৃষ্টিকে নিয়ে।।। তার মানে সেকি বৃষ্টিকে
ভালোবেসে ফেলেছে।।। না না এসব সে কি ভাবছে সে তো মিমকে
ভালোবাসতো তাহলে সে কিভাবে বৃষ্টিকে ভালোবাসবে।।।।আবার পরক্ষণেই
সে বৃষ্টির প্রতি আরো দূর্বল হয়ে পড়ে।। তার কাছে বৃষ্টির সব কিছু ভালো
লাগতে থাকে।।।
তারপর নিজেই নিজেকে বলে উঠে একটা মানুষকে দুটো মানুষকে
ভালোবাসতে পারে না।।। তারপর হঠাৎ করে ম্যাম তার হল রুমে আসে
এবং জিজ্ঞেস করে,,,,
কেমন আছে অন্তর।।। অন্তর কোনো উত্তর দেয় না তার মানে সে বৃষ্টিকে নিয়ে
ভাবতেছে।।। তারপর আবার জিজ্ঞেস করলো কি ভাবছো অন্তর???
পরক্ষনেই অন্তর বাস্তবে ফিরে আসে এবং বলে,,,
অন্তর ঃ কিছু না ।। ।
ম্যাম ঃ কেমন আছো অন্তর???
অন্তর ঃ ভালো৷।। আপনি কেমন আছেন????
ম্যাম ঃ ভালো।।। অন্তর তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো কিন্তু কিভাবে
বলবো তা মাথায় আসছে না।।।
অন্তর ঃ সমস্যা নাই বলে ফেলুন।।।
ম্যাম ঃ আসলে কথাটা হচ্ছে আমি তোমাকে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
অন্তর ঃ আমাকে কি ম্যাম????
ম্যাম ঃ দেখো আমি ঘুরিয়ে বেচিয়ে কথা বলতে ভালোবাসি না।।।।
অন্তর ঃ তো আপনাকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে কে বলেছে।।।।
আপনি যা বলার তা সরাসরি বলে ফেলুন।।।
ম্যাম ঃ আচ্ছা বলছি।।। আমি তোমাকে ভালোবাসি।।
আমি তো ম্যাম এর কথা শুনে আবাক,,, ম্যাম এগুলো কি বলছে??????
অম্তর ঃ এটা কোনো ভাবে সম্ভব না।।।।
ম্যাম হ কেনো সম্ভব না।। আমি তোমাকে ভালোবাসি।।। প্লিজ অন্তর তুমি এটা
ফিরিয়ে দিয়ো না।। আমি তোমাকে বিয়ে করবো।।।।
অন্তর হ ম্যাম এটা আপনার আবেগ।।। কয়েকদিন পরে এমনিতেই সব ঠিক
হয়ে যাবে।। আর আমি তো বিবাহিত।।। তো আপনি কেনোই বা আমাকে
বিয়ে করবেন।।। আর বিয়ে করলে লোকে কি বলবে আর আমিই বা
আপনাকে খাওয়াবো কি???
ম্যাম ঃ কেনো মিম তো তোমার কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছে আর সে
তো রাজিও আছে ডিভোর্স দিতে।।। তাহলে সমস্যা কোথায়?????
অন্তর ঃ ম্যাম আপনি আমার সমস্যার কথা কখনোই বুঝবেন না।।। মিম যদি
ডিভোর্স না দেয় তাহলে কি হবে???
ম্যাম ঃ দেখো আমি এতকিছু বুঝি না আমি তোমাকেই বিয়ে করবো এটাই
শেষ কথা।।।
এমন সময় মিম কোথা থেকে আসলো আর বললো,, কিসের বিয়ে, কার বিয়ে
অন্তর সাহেব???? আমি কিছুই বললাম না।।। তখন ম্যাম বললো, তার আর
অন্তরের বিয়ে।।। এটা শুনে মিম এর মাথা গরম হয়ে গেলো আর সে বললো,,,
রিয়া ঃ কিসের বিয়েঅন্তরকে আমি ভালোবাসি আর অন্তরের সাথে আমার
বিয়ে হবে আর অন্তর তোমাকে একটা কথা বলতে ভুলে গেছি,,, আমি
তোমাকে ভালোবাসি।।। তোমাকে ছাড়া আমি বাচবো না।।।
অন্তর মিম এর কথা শুনে আরও বেশি হতভম্ভ হয়ে গেলো।।। আমি কি বলবো
কিছুই বুঝতে পারছি না।। রিয়াই বা কেন আমাকে ভালোবাসে এটা সে
বুঝতে পারছে না।।। রিয়া আর ম্যাম ঝগড়া লাগার মতো অবস্থা হয়ে গেলো।।।
তারা শুধু তর্ক করতাছে।।। এই বলতেছে অন্তরের বউ হবো আর ও বলতেছে ও
অন্তরের বউ হবে।।।।
এখন অন্তর কথা গুলো শুনে তার মাথা এমনিতে খারাপ হয়ে যাচ্ছে।।। সে কি
বলবে বুঝতে পারছে না।।। আর এদিকে রিয়া আর ম্যাম এর ঝগড়া আরো বেশি
হয়ে গেলো।।।। তখন হঠাৎ করে মিম আসলো এবং বললো,,,,,
মিম ঃ এই তোমরা কি নিয়ে ঝগড়া করতেছো দুজনে।।।। আর কেই বা কার
বউ হবে।।।।
ম্যাম ঃ সেটা জেনে তুমি কি করবে।।। আর আমার তোমাকে একটা কথা বলার
ছিলো।।।।
মিম ঃ তো সেটা ভূমিকা না করে সোজাসুজি ভাবে বলে ফেলো।।।
ম্যাম ঃ কথাটা হচ্ছে তুমি অন্তরকে কখন ডিভোর্স দিবে????।
মিম ঃ সেটা জেনে তুমি কি করবে।।। আর অন্তর আমার স্বামী।। আমি তাকে
স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছি।।। সুতারাং আমার ডিভোর্স কেন দিবো দুজন
দুজনকে।।।
ম্যাম ঃ তুমি ডিভোর্স দাও আর না দাও আমি অন্তরকে বিয়ে করবো।।।
আর অন্তর আমার সাথেই থাকবে।।।
বৃষ্টি ঃ এ,,,,এ,,,,হ,,,, বললেই হলো অন্তর আমার সাথে থাকবে আর আমিই
ওকে বিয়ে করবো।।।
এমন সময় বৃষ্টি এসে হাজির হলো।। আর হাতে একটা টিফিন বক্স।।। এটা
আজকের কথা না বৃষ্টি প্রতিদিন ই আমার জন্য নিজে তৈরি করে খাবার
নিয়ে আসে।।।
বৃষ্টি ঃ এই তোমরা তিনজন মিলে এটা কি শুরু করেছো।।।
রিয়া ঃ এই তুমি আবার আমাদের এটার মধ্যে আসছো কেনো???
বৃষ্টি ঃ এই আসছি মানে কি??? তোমরা তিনজন মিলে একটা রুগির সামনে
এরকম লাগামহীন ভাবে ঝগড়া করছো।।। আবার বলছো আমি কেনো
আসছি।।। আচ্ছা তোমাদের কমন সেন্স বলতে কিছু নেই।।।
তারপর রিয়া,, ম্যাম,, মিম তিন জনেই থেমে গেলো।। আর বৃষ্টি অন্তরকে
হা করে চামচ দিয়ে খাওয়াতে লাগলো।।। আর এটা দেখে রিয়া, ম্যাম আর মিম
জলতে লাগলো।।। হঠাৎ মিম বলে উঠলো,,,,
মিম ঃ এই তুমি অন্তরকে এমন করে খাওয়াচ্ছো কেনো??? আমার স্বামীকে
ভালো কিছু করিয়ে তার মন জয় করতে চাও।।। শুনো আমি যতদিন আছি
আমার স্বামীকে কারও হতে দিবো না।।।
বৃষ্টি ঃ দেখো মিম,,, তুমি আমাকে ভুল বুঝেছো।।। আমি এমন কিছু করছি
না।। আমি আমার বন্ধুকে এভাবে খাওয়াতে পারবো না,,, তুমি এটা কি বলছো?
মিম ঃ তোমাদের মতো মেয়েদের আমার চেনা আছে।।। তোমরা ভালো কিছু
করে অন্যের স্বামীকে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করো।।। তারপর সে আর না
বলে থাকতে পারে না।।। এসব খারাপ মতলব আছে তোমার।।। তাই না।।
আমি থাকতে কখনো তা হতে দিবো না।।
বৃষ্টি ঃ প্লিজ তুমি আমাকে,,,,,,,,,,,,,,


bangla golpo,new golpo,bangla new golpo,বাংলা গল্প,বাংলা নতুন গল্প, অসমাপ্ত ভালোবাসা গল্প অসমাপ্ত ভালোবাসা status অসমাপ্ত ভালোবাসা অসমাপ্ত ভালোবাসা in english অসমাপ্ত ভালোবাসা বই অসমাপ্ত ভালোবাসা কবিতা

Post a Comment

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال