নিরুপাই মায়া শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক উপন্যাস

 নিরুপাই মায়া শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক উপন্যাস

নিরুপাই মায়া শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক উপন্যাস

১০ বছর পর প্রবাশ থেকে দেশে পা রাখলাম রাত প্রাই ৯ টা,, কাওকে না জানিয়েই আসলাম সারপ্রাই দিব বলে,, কিন্তু বাড়ির পাশে এসে নিজেই সারপ্রাই হয়ে গেলাম,, কারন বাড়ির উঠুনে জাকজমাক অনুষ্টান দেখে,,, বেপারটা দেখার জন্য নিজের মুখ ঢেকে নিলাম ভালো করে জেনো কেও না চিনে,, বেবেছিলাম ছুট বুনের বিয়ে হয়ে জাচ্ছে হইত,,মনে মনে কষ্ট পেলাম আমাকে কেও না জানিয়ে বিয়ে দিবে আমাকে কি জানানোর প্রয়োজন মনে করলনা একবারও কেও ভাবতে ভাবতে গেটের সামনে,, গেটের সামনে গিয়ে আবারও সারপ্রাইজ হলাম কারন ছুট বুনের নই বড়ং ছুট ভায়ের নাম দিয়ে গায়ে হলুদ সন্ধা লিখা আমি যেনো পাথর হয়ে গেছি,, সবাই জার জার মত করে ব্যস্ত হটাত করে কারো দিকে নজর জেতেই দেখলাম আমার ছোটবেলার বন্ধু সজিব তাকে ডাকদিলাম প্রথমে চিনতে পারেনি পরে তাকে নিয়ে আড়ালে চলে আসলাম কন্ট সুনেই জরিয়ে দরল ,,,,?
সজিব : বন্ধু তুই বেচে অাছিস বলেই জরিয়ে কান্না করে
করতে লাগলো,, আমি আবারও অবাক
আমি : কি বলিস আমি বেচে আছি মানে আমি আবার
মরলাম কবে,,?
সজিব : এখানে মানে বাড়িতে সবাই জানে তুই মারা
গেছিস,, ১ মাস জাবত ফোন দিসনা তর কোন
খবর নাই তাই সবাই ধরে নিছে তুই মারা গেছিস
আমি : কি বলিস
সজিব : হে এটাই সত্যি আর আজ তর ভাই শুভর বিয়ে
জানিস কার সাথে,, তর হবুও বউ এর সাথে,,?
আমি : কথাটা শুনে আমার জেনো আকাশটা গুরে
গেলো পায়ের নিচের মাটি শরে যেতে লাগলো
ধপাস করে মাঠিতে বসে পরলাম সজিব ধরে
তার গরে নিয়ে গেলো, কিছুক্ষন পর সে বলতে
লাগলো,,
সজিব : তুই যেদিন সেশ কথা বলেছিলি তর মায়ের
সাথে বলে ছিলি তর নাকি একসিডেন্ট হইছে আর কিছু বলিস নি তার পর তর মা কান্না করে আমার কাছে আসে এবং জিগ্যেস করছে তর কি হয়েছে বলতে,, আমি কিছুনা জানাই বলতে পাড়িনি কিছু,, পরে আমি তকে অনেক ফোন দেই কিন্তু তর মোবাইল বন্ধ ছিলো,,, তার পরে কয়েক দিন সবার মন খারাপ ছিলো পরে তর কোন খুজ না পেয়ে সবাই ভেবে নিয়েছে তুই
মারা গেছিস কিন্তু আমার বিশ্বাস হইনি আমি জানতাম তর কিছু হইনি কেটে গেলো ২০ দিন তর বাড়িতে গিয়ে দেখলাম।সবাই তকে ভুলেই গেছে জিগ্যেস করলাম তর কোন খুজ আছে নাকি সবাই বল্ল তুই আর নেই কারো কাছে কোন চিন্তা দেখলাম না সবাই খুশি মনেই জার জার কাজ করছে,, এমনকি তর মাও হাশি খুশি সবার সাথে কথা বলছে,, তর বউও খুশি খুশি তর ভায়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে আমার কেমন জানি সন্ধেহ হলো তাই তর ছোট বোনকে খুজে পেলাম ছাদে কান্না করতেছে তার কাছে যেতেই আমাকে দেখে আরো কান্না বেড়ে গেলো আর বলতে লাগলো সজিব ভাই বলনা আমার ভাই মরেনি আমি বিশ্বাষ করিনা আমার ভাই আমাকে ছেরে যেতে পারেনা আমি তাকে মিথ্যা আস্যাস দিয়ে বলে ছিলাম তর কিছু হইনি একদিন আসবি ঠিকি তখন সে কান্না থামাই আমি জিগ্যেস করলাম সবার মুখে হাসি কারন কি বলত তার পর সে বল্ল বড় ভাইয়া নাই বলে সবাই তাই ছুট ভাইয়ার সাথে তার বিয়ে ঠিক করছে ১০ দিন পর,,,আর আজ তাদের গায়ে হলুদ দেখতেই পাচ্ছিস,,, এখন কি করবি আমি সব শুনে কি বলব বাবতে পারতে ছিনা তখন বল্লাম
আমি : এতটা সহজ ভাবে সবাই মেনে নিল আমার
মৃত্যুটা আর এর মধ্যেই কি করে পারলো তারা
আমাকে ভুলে যেতে,,? তার মানে আমিকি তাদের কাছে কিছুই ছিলাম না,,, ভালোই হয়েছে তুই কাওকে কিছু বলিস না আমাকে একটু একা থাকতে দে তখন সজিব চলে গেলো আর আমি একটার পরর একটা সিগারেট পুরছি আর কাদছি,,, একটু পর সজিব এসে সান্তনা দিতে লাগল তাকে বল্লাম কি বুজজ দিস আমাকে আমার পররিবার আমাকে ভুলে গেছে জিবিত থাকতেই মেরে ফেললো কি ভাবে পারলো তারা একবারও বাবলনা একটু অপেক্ষাও করলনা,,,যে তাদের বড় ছেলে মারা গেছে তারা একটু কষ্টও পেলনা,,,? আর আমি তাদের জন্য কি না করলাম এত কিছু করলাম কিছু মনেও হলোনা তাদের,,,? নিজেকে সক্ত করে ফেল্লাম যারা আমাকে মরে ফেলছে তাদের কাছে থেকে কি করব চলে যামো এখানে থাকবনা সবাই যেহেতু সুখে আছে আমার মৃত্যুতে তাহলে তারা সুখেই থাক ১০ টা বছর শেষ করলাম তাদের সুখের জন্য বাকি জিবনটা না হই মৃত হয়েই থাকবো,,,?
সজিব : কি বলিস তুই চলে যাবি মানে কই চলে যাবি,
আমি : জিবনটা না হই প্রবাশেই শেষ করে দিবো
কালকের ফ্লাইটেই আবার সৌদী আরবেই চলে
যামো,,,? সজিব অনেক মানা করে তাও তাককে
কোন রকম বুজ দিলাম সেও বুজল আসলেইত
যারা তকে মূল্যই দেইনা এমনকি মৃত জানে তাদের কাছে কেনোই বা থাকবি তাই বলে বিদেশ চলে যাবি জিবনটা এখানেই শেষ করে দিবি নিজের মত করে সাজা জিবনটা অনেক সন্দর,, কথা শেষ করে বল্লাম দেখি কি করা জাই তবে এখান থেকে জেতে হবে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে এখানে,,?
হটাত চলে আসাই তেমমন কিছু আনতে পারিনাই তাও কাদে করে একটা বেগ নিয়ে আসছিলাম।যাতে শুধু তাদের জন্যই সব নিজের কিছুই নেই,, তার পর বেগটা সজিব কে দিয়ে বল্লাম,,, ,,,
চলবে,,,
গল্প, ; নিরুপাই মায়া
লেখক : Riajul Soltan
পার্ট : ১
ধন্যবাদ প্রথমবার গল্প লিখলাম ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দ্রৃষ্টিতে দেখবেন,,,,,?১০ বছর পর প্রবাশ থেকে দেশে পা রাখলাম রাত প্রাই ৯ টা,, কাওকে না জানিয়েই আসলাম সারপ্রাই দিব বলে,, কিন্তু বাড়ির পাশে এসে নিজেই সারপ্রাই হয়ে গেলাম,, কারন বাড়ির উঠুনে জাকজমাক অনুষ্টান দেখে,,, বেপারটা দেখার জন্য নিজের মুখ ঢেকে নিলাম ভালো করে জেনো কেও না চিনে,, বেবেছিলাম ছুট বুনের বিয়ে হয়ে জাচ্ছে হইত,,মনে মনে কষ্ট পেলাম আমাকে কেও না জানিয়ে বিয়ে দিবে আমাকে কি জানানোর প্রয়োজন মনে করলনা একবারও কেও ভাবতে ভাবতে গেটের সামনে,, গেটের সামনে গিয়ে আবারও সারপ্রাইজ হলাম কারন ছুট বুনের নই বড়ং ছুট ভায়ের নাম দিয়ে গায়ে হলুদ সন্ধা লিখা আমি যেনো পাথর হয়ে গেছি,, সবাই জার জার মত করে ব্যস্ত হটাত করে কারো দিকে নজর জেতেই দেখলাম আমার ছোটবেলার বন্ধু সজিব তাকে ডাকদিলাম প্রথমে চিনতে পারেনি পরে তাকে নিয়ে আড়ালে চলে আসলাম কন্ট সুনেই জরিয়ে দরল ,,,,?
সজিব : বন্ধু তুই বেচে অাছিস বলেই জরিয়ে কান্না করে
করতে লাগলো,, আমি আবারও অবাক
আমি : কি বলিস আমি বেচে আছি মানে আমি আবার
মরলাম কবে,,?
সজিব : এখানে মানে বাড়িতে সবাই জানে তুই মারা
গেছিস,, ১ মাস জাবত ফোন দিসনা তর কোন
খবর নাই তাই সবাই ধরে নিছে তুই মারা গেছিস
আমি : কি বলিস
সজিব : হে এটাই সত্যি আর আজ তর ভাই শুভর বিয়ে
জানিস কার সাথে,, তর হবুও বউ এর সাথে,,?
আমি : কথাটা শুনে আমার জেনো আকাশটা গুরে
গেলো পায়ের নিচের মাটি শরে যেতে লাগলো
ধপাস করে মাঠিতে বসে পরলাম সজিব ধরে
তার গরে নিয়ে গেলো, কিছুক্ষন পর সে বলতে
লাগলো,,
সজিব : তুই যেদিন সেশ কথা বলেছিলি তর মায়ের
সাথে বলে ছিলি তর নাকি একসিডেন্ট হইছে আর কিছু বলিস নি তার পর তর মা কান্না করে আমার কাছে আসে এবং জিগ্যেস করছে তর কি হয়েছে বলতে,, আমি কিছুনা জানাই বলতে পাড়িনি কিছু,, পরে আমি তকে অনেক ফোন দেই কিন্তু তর মোবাইল বন্ধ ছিলো,,, তার পরে কয়েক দিন সবার মন খারাপ ছিলো পরে তর কোন খুজ না পেয়ে সবাই ভেবে নিয়েছে তুই
মারা গেছিস কিন্তু আমার বিশ্বাস হইনি আমি জানতাম তর কিছু হইনি কেটে গেলো ২০ দিন তর বাড়িতে গিয়ে দেখলাম।সবাই তকে ভুলেই গেছে জিগ্যেস করলাম তর কোন খুজ আছে নাকি সবাই বল্ল তুই আর নেই কারো কাছে কোন চিন্তা দেখলাম না সবাই খুশি মনেই জার জার কাজ করছে,, এমনকি তর মাও হাশি খুশি সবার সাথে কথা বলছে,, তর বউও খুশি খুশি তর ভায়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে আমার কেমন জানি সন্ধেহ হলো তাই তর ছোট বোনকে খুজে পেলাম ছাদে কান্না করতেছে তার কাছে যেতেই আমাকে দেখে আরো কান্না বেড়ে গেলো আর বলতে লাগলো সজিব ভাই বলনা আমার ভাই মরেনি আমি বিশ্বাষ করিনা আমার ভাই আমাকে ছেরে যেতে পারেনা আমি তাকে মিথ্যা আস্যাস দিয়ে বলে ছিলাম তর কিছু হইনি একদিন আসবি ঠিকি তখন সে কান্না থামাই আমি জিগ্যেস করলাম সবার মুখে হাসি কারন কি বলত তার পর সে বল্ল বড় ভাইয়া নাই বলে সবাই তাই ছুট ভাইয়ার সাথে তার বিয়ে ঠিক করছে ১০ দিন পর,,,আর আজ তাদের গায়ে হলুদ দেখতেই পাচ্ছিস,,, এখন কি করবি আমি সব শুনে কি বলব বাবতে পারতে ছিনা তখন বল্লাম
আমি : এতটা সহজ ভাবে সবাই মেনে নিল আমার
মৃত্যুটা আর এর মধ্যেই কি করে পারলো তারা
আমাকে ভুলে যেতে,,? তার মানে আমিকি তাদের কাছে কিছুই ছিলাম না,,, ভালোই হয়েছে তুই কাওকে কিছু বলিস না আমাকে একটু একা থাকতে দে তখন সজিব চলে গেলো আর আমি একটার পরর একটা সিগারেট পুরছি আর কাদছি,,, একটু পর সজিব এসে সান্তনা দিতে লাগল তাকে বল্লাম কি বুজজ দিস আমাকে আমার পররিবার আমাকে ভুলে গেছে জিবিত থাকতেই মেরে ফেললো কি ভাবে পারলো তারা একবারও বাবলনা একটু অপেক্ষাও করলনা,,,যে তাদের বড় ছেলে মারা গেছে তারা একটু কষ্টও পেলনা,,,? আর আমি তাদের জন্য কি না করলাম এত কিছু করলাম কিছু মনেও হলোনা তাদের,,,? নিজেকে সক্ত করে ফেল্লাম যারা আমাকে মরে ফেলছে তাদের কাছে থেকে কি করব চলে যামো এখানে থাকবনা সবাই যেহেতু সুখে আছে আমার মৃত্যুতে তাহলে তারা সুখেই থাক ১০ টা বছর শেষ করলাম তাদের সুখের জন্য বাকি জিবনটা না হই মৃত হয়েই থাকবো,,,?
সজিব : কি বলিস তুই চলে যাবি মানে কই চলে যাবি,
আমি : জিবনটা না হই প্রবাশেই শেষ করে দিবো
কালকের ফ্লাইটেই আবার সৌদী আরবেই চলে
যামো,,,? সজিব অনেক মানা করে তাও তাককে
কোন রকম বুজ দিলাম সেও বুজল আসলেইত
যারা তকে মূল্যই দেইনা এমনকি মৃত জানে তাদের কাছে কেনোই বা থাকবি তাই বলে বিদেশ চলে যাবি জিবনটা এখানেই শেষ করে দিবি নিজের মত করে সাজা জিবনটা অনেক সন্দর,, কথা শেষ করে বল্লাম দেখি কি করা জাই তবে এখান থেকে জেতে হবে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে এখানে,,?
হটাত চলে আসাই তেমমন কিছু আনতে পারিনাই তাও কাদে করে একটা বেগ নিয়ে আসছিলাম।যাতে শুধু তাদের জন্যই সব নিজের কিছুই নেই,, তার পর বেগটা সজিব কে দিয়ে বল্লাম,,, ,,
বেগটা সজিবের হাতে দিলাম,,,, বেগটা সজিব হাতে নিয়ে জিগ্যেস করলো কি করবো বেগটা,, তখন আমি বেগ থেকে কিছু জিনিস বের করে সজিব কে দেখালাম এখানে সবার জন্য কিছু জিনিস নিয়ে আসছিলাম সে গুলা তুই কিছুদিন পরে দিয়ে দিস,,,, বেগে ছিল একটা লেপটপ,একজুরা কানের জিনিস সর্ণের, দুইটা গলার হার আর দুই জুরা নূপুর সর্ণের ,,,একটা মোবাইল,,,একটা ঘরি,,,,,
আমার পরিচয়টা দিয়ে নেই নাহলে বুজতে সমস্যা হতে পারে,,
আমি: রাজ পরিবারের বড় ছেলে,, আমার বড় দুই বোন বিবাহিত,, আমার ছুট এক ভাই একবোন ,, আমরা দুই ভাই তিন বোন বাবা মা,,বড় দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে,, আদরের ছুট বোনটা ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পরে নাম তাহমিনা আক্তার আমি মিনা বলে ডাকি,,,, ছোট ভায়ের নাম সাজিদুল ইসলাম শুভ, আমি শুভ বলে ডাকি লেখাপড়া করে বেকার থাকাই কোর্স কমপ্লিট করিয়ে ডাক্তারি ফার্মেসি দিয়ে বসিয়েছি শুভ কে,,
অনেক কথা বল্লাম গল্পে ফেরা যাক,,,
তার পর তাকে সব কিছুদিয়ে বল্লাম,,, লেপটপ টা শুভ কে দিস আর কানের জিনিস গুলা মা কে দিস হার দুইটা বড় দুই বোনের, একজুরা নূপুর আর মোবাইলটা দিলাম তার হাতে দিয়ে বল্লাম এগুলা মিনা কে দিস,,, তার পর সজিব কে বলতে লাগলাম তারা কি সুখে থাকবে আমার পরিবার শুভ পারবেত ঠিক রাখতে কারো কোন কস্ট হবেনাত কেমন চলে তার দোকান,, তার ইনকাম দিয়ে চলবেত আমার পরিবারের,,, সজিব কান্না বেজা চখে বলতে লাগলো,,
সজিব : তুই কেমন লোক জারা তকে ভুলে গেছে তাদের
জন্য এখনও এত কিছু দিবি,, তর চখে তাদের জন্য গৃনা দেখিনা বড়ং তাদের নিয়ে এত ভাবতেছিস তারা তর মৃত্যুতে সবাই খুশিই হইছে তার পরও তুর তাদের জন্য এত চিন্তা,,, তাদের নিয়ে ভেবে তুই কি করবি তারা ত তকে নিয়ে ভাবেনা,,,?
আমি : মনের ভিতরে কষ্ট চাপা রেখেই একটু মুচকি
হাসলাম আসলে অতি কষ্ট পেলে নাকি হাসি পাই সেই হাসিটাই আসলো তাকে বল্লাম হয়ত আমি তাদের কাছে ছিলামনা তাই তারা ভুলে গেছে হইত আমার আর প্রয়োজন নেই তাই তারা ভুলে গেছে এতদিন হয়ত তারা নিরুপাই ছিলো তাই আমার সাতে কথা বলতো যোগা যোগ রাখত এখন তাদের ছেলে অাছেই তাদের জন্য তাই আমার আর প্রয়োজন নেই কিন্তু আমিত ১০ টা বছর শেষ করলাম তাদের সুখের জন্য তাহলে কি ভাবে তাদের কষ্ট সয্য করবো বলে কান্না করতে লাগলাম হটাত ঘরিতে দেখলাম রাত ১:৩০ মিনিট বল্লাম আমাকে জেতে হবে চল জাওয়ার আগে বাবা মাকে একটু দুর থেকে দেখে আসি,,,
সজিব : চল,,, ,
তার পর দুজনে আরাল থেকে দেখলাম সবাই খুশি বড় কে নিয়ে কত উল্লাস সব দেখে আবারও চখ দিয়ে পানি এসে গেলো আজও আমার কথা একবারও কারো মনে পরে নি,,, হটাত দেখলাম ছোট বোনটা মন মরা হয়ে এক পাশে দারিয়ে আছে বুজে গেলাম আমার কথাই বাবছে কারন সেই একমাত্র আমার জন্য ভাবে আমার জন্য পাগল কত বড় হয়ে গেছে মনে মনে একটু খুশি হলাম কারন আমার আদরের বোনটাত আমাকে মনে রেখেছে তাই,,,তার কষ্ট আমার সয্য হইনা তাই চলে আসলাম সজিবের রুমে,,, সজিব বল্ল একটু গুমা অনেক যার্নি করেছিস,,
আমি : আর গুম সেই জিনসটা কি আর এই চখে আছে
পুরু পৃথীবিটা ই যেনো গুমিয়ে গেছে আমার,, তুই গুমা তর মনে হই কষ্ট হচ্ছে তার পর সে চখের পানি ছেরে আবারও জরিয়ে দরলো,, তারপর সে সোয়ে পরলো আমি বসে কান্না করছি আর দুইটা চিঠি লিখলাম রাত ৩ টা বাজে দেখলাম সজিব গুমিয়ে আছে তাই তাকে সজাগ করলাম না সে কান্না করবে জানি তাই আর ডাক না দিয়ে বের হয়ে জামো এমন সময় সে সজাগ হয়ে গেলো পিছন থেকে টেনে ধরে বল্লো
সজিব : কিরে কোথাই জাচ্ছিস,,,
আমি : অবাক হয়ে তার দিকে চেয়ে রইলাম
সে আবার ডাক দেওয়ার পর হুস আসলো বল্লাম তুইনা গুমিয়ে ছিলি,,আর আমি চলে যাচ্ছি,,
সজিব: হুম গুমিয়েই ছিলাম হটাত গুমটা ভেঙ্গে গেলো,,
আর চলে জাচ্ছিস মানে আমাকেও বলার প্রয়োজন মনে করলিনা,, আমাকে অন্তত পর করে দিস না আমি তর ছুট বেলার বন্ধু ছুট থেকে একসাথেই বড় হয়েছি,, বলেই কান্না করে দিলো,,,?
আমি : তাকে থামিয়ে বল্লাম তুই গুমিয়ে ছিলি তাই
তকে জাগাতে চাইনি,,তার পর সজিব উঠে রেডি হতে লাগলো, বুজলাম আমাকে ছারতে জাবে তাই কিছু বল্লাম না তার পর একসাতে হাটা শুরু করলাম হাটতে হাটতে নদীর কাছে চলে আসলাম তার পর সে বলতে লাগলো সারাটা জিবনি তুই কষ্টই পেয়ে গেলি তর জিবনটা কষ্টের বিতরেই জাচ্ছে এত বছর পর বাড়িতে এসেও এত বড় কষ্টটা পেয়ে জাচ্ছিস আমাকে ক্ষমা করে দিস আমি কিছু করতে পারলাম না তর জন্য,, অনেক কষ্ট হচ্ছে আজ,,,
আমি : তাকে জরিয়ে দরে বল্লাম উপর ওয়ালা সব কিছু
ভালোর জন্যই করে,, বাবতেছি আসলেই বন্ধুদের কোন তুলনা হইনা প্রকিত বন্ধু সব সময় পাশে থাকে,,, আমার বাবনার বিগত গঠিয়ে সে বল্লো,,
সজিব: আর হে তর কাছে টাকা পয়সা আছেত আর
এখন কি সত্তি চলে যাবি বাহিরে,,,
আমি : নাহ ভাবতেছি কিছু দিন থাকবো শহরে দেশের
মায়া আসলেই তেগ করা বড় কষ্ট কর আর হে আমার কাছে টাকা আছে সমস্যা হবেনা,, তুই আমার বোনটার দিকে একটু খেয়াল রাখিস,,, আর হে কাওকে আমার খবর বলবিনা বা নাম্বার কাওকে দিবিনা তকে বিশ্বাস করে দিয়ে গেলাম শুধু আমার ছুট বোনটার খুজ নেওয়ার জন্য,, ওকে ভালো থাক বলেই নৌকায় উঠে গেলাম সজিব বল্লো,,,
সজিব : ঢাকাই পৌছে ফোন করিস,,
আমি : ওকে বলে নৌকা চালাতে বল্লাম অনেক্ষন সে
আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো,, ১০ মিনিট পর নৌকা ঘাটে এসে লাগলো,, ভারা দিয়ে চলে আসলাম রাস্তাই একটা অটু নিয়ে রেলগেট পৌছে গেলাম,, তার পর টিকিট কাওন্টারে গিয়ে টিকেট কেটে বসে রইলাম ৫ টাই রেল আসবে,, তখন ঘরিতে দেখি ভোর ৪ :৪০ বাজে আরো বিশ মিনিট বাকি, পাশে দুকানে গিয়ে সিগারেট ধরালাম সিগারেট টানসি আর বাপছি কই থাকবো,, পরিচিত কেও নেই আর কিছু চিনিওনা,, হটাত সিগনাল পরে গেলো রেল আসতেছে,,,,দারিয়ে রইলাম রেল থামলো টিকেট দেখে বগিতে উঠে পরলাম,, টিকেট দেখে সিটের কাছে গিয়ে দেখি একটা ছুট মেয়ে বসে আছে বয়স ৬/৭ এমন হবে তার পাশের ছিটে একটা সুন্দরি মেয়ে বসে মোবাইল টিপতেছে,,, বাচ্চাটাকে জিগ্যেস করলাম তুমি কার সাথে এসেছো,,
বাচ্চা : মিষ্টি কন্ঠে বল্লো আমাল আপুল সাথে কথাটা
শুনে ভালো লাগলো,,বুজতে পারলাম পাশের টা
তার আপু,,
আমি : ঐইটা তোমার আপু মেয়েটার দিকে ইশারা করে
দেখিয়ে বল্লাম,,
বাচ্চা : হুম,,
আমি : মেয়েটাকে দুই বার ডাক দিলাম কোন খবরি নেই
এমন ভাবে মোবাইল টিপতেছে আসে পাশে কি হচ্ছে তার কোন খবর নেই,,, তার পর একটু জুরেই ডাকদিলাম পাশে সবাই তাকিয়ে আছে আমি সে দিকে চখ না দিয়ে মেয়েটাকে বল্লাম এটা আমার সিট আপনি কি একটা সিট নিছেন নাকি অন্য কোথাও আরো সিট আছে,,, একসাথে বসার জন্য জদি এখানে বসে অন্য খানে সিট রেখে তাই জিগ্যেস করছি এভাবে,,
মেয়েটা : রেগে বল্লো কি সিট সিট করছেন দেখতেছেন
মোবাইল টিপি ড্রিস্টাব করতেছেন সিটের জন্য কেও এভাবে চেচাই নিচে বসে থাকোন খবর দার আবার ড্রিসটাব করলে খবর আছে,,,
আমি : এক প্রকার ভয় পেয়ে গেছি কি গুন্ডি মেয়েরে
বাবা,,,আর ভয় পাবনা কেনো যে ভাবে বসে আছে পুরু তামিল ছিনেমার নায়িকাদের মত করে একটা পা সিটের ওপরে তুলে বসা তার উপর এত বড় হুমকি,, আমি ভয়ে নিচেয় বসে পরলাম একপাশে ,, ক্লান্ত লাগছিলো তাই, তাছারা ১ ঘন্টার রাস্তা দারিয়ে জাওয়া সম্ভব না,,আসে পাশে চখ পরতেই দেখলাম সবাই হা করে তাকিয়ে আছে অনেকে মিটি মিটি হাসছে বুজলাম না বেপারটা হটাত একজন বলেই ফেল্লো কি ভিতু ছেলেরে বাবা কিছুই বল্লনা আবার বসেও গেলো,, আমি হা হয়ে বসে দেখছি এমনিতেই আমি ভিতু টাইপের মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারিনা তার উপর মন খারাপ তাই কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা পরিবারের কথা মনে হতেই চখ দিয়ে দু ফুটা পানি ঘরিয়ে পরলো,,,,হটাত বাচ্চা মেয়েটি বল্লো,,,,
বাচ্চা : ভাইয়া আপনি কাদছেন কেনো আপু বকা দিছে
বলে আপনি কাদছেন নাকি বসতে পারেন নি বলে বলোন, কথা গুলা আস্তে করেই বল্ল যেনো কেও না শুনে
আমি : এক প্রকার হা হয়ে চেয়ে না কিছুই না এমনি,
বুজলাম মেয়েটা খুব পাকা মনটা ভালো হয়ে গেলো তার কথা শুনে খুব সুন্দর করে কথা বলে জিগ্যেস করলাম বাবু তোমার নাম কি,,
বাচ্চা : রেগে বল্ল আমাকে বাবু বলবেন না আমি অনেক
বড় দারিয়ে বল্ল কথাটা, আর আমার নাম হচ্ছে তামান্না আক্তার,, আমার আপুর নাম আখি,,
আমি : আমিত তোমার নাম জিগ্যেস করছি তোমার
আপুর নই,?
তামান্না : জানি আপনি একটু পরেই আপুর নাম জিগ্যেস
করবেন, কারুন আমার আপু এতটা কিওট বলেই একটা হাসি দিলো,,
আমি : অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম,, মেয়েটা আসলেই
অনেক দুষ্টু,, আর ভাবলাম নাম
দুটি অনেক সুন্দর তাদের দুজনের চেহারাও মাশাআল্লাহ অনেক কিওট,,, হটাত খেয়াল করলাম আখি আমার দিকে রাগি মোডে তাকিয়ে আছে বুজলাম তার মোবাইল টিপার ড্রিস্টাব হচ্ছে তাই আর কথা বল্লাম না,,,
হটাত আখি যেটা করলো তা দেখে আমি স্থব্ধ হয়ে গেছি কারন আখি,,,,
হটাৎ আঁখি যা করলো আমি অবাক হয়ে গেছি কারন,,
কারন আঁখির চোখ দিয়ে পানি পরতেছে,, তা দেখে তামান্না বললো
তামান্না: আপু তুমি কাঁদছো কেনো কি হয়েছে তোমার,
আঁখি : এমনি কিছুনা তুই বুজবি না বসে থাক বলেই
মোবাইলটা রেখে চোখ মোছে নিল,, মোবাইলটা হাতে নিয়ে একটু টিপা টিপি করে রেখে দিলো,, হটাৎ আমার দিকে তাকিয়ে তামান্না কে নিজের কোলে বসিয়ে আমাকে ইশারা করে বললো বসোন আপনার সিটে আপনি, আমি আমতা আমতা করে বললাম,,
আমি : না আমি ঠিক আছি আপনারা দু জন ভালো ভাবে
দুই সিটেই বসেন নাহলে আপনাদের কষ্ট হবে,,
আঁখি : কষ্ট ত আপনারও হচ্ছে আপনি বসোন আমরা
যেতে পারবো সমস্যা হবেনা,, তামান্নাও বললো ভাইয়া আপনি বসোন আমাদের কষ্ট হবে না আমি ত অনেক্ষন বসেই ছিলাম এখন আপুর কোলে বসবো,,
আমি : আর কিছু বললাম না কারন নিচে বসে থেকে পা
ব্যথ্যা হয়ে গেছে তাই সিটে বসলাম বসেই আঁখিকে লক্ষ করে জিগ্যেস করলাম আচ্ছা আপনি কাঁদছিলেন কেনো,,,
আঁখি : একটু লজ্জা পেয়ে বল্লো আরে তেমন কিছুনা
একটা গল্প পরছি ত কষ্টের কাহিনি দেখে চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো,,
আমি : কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না,আমি কি হাসবো
নাকি কাদবো বুজতেছিনা, তাকে জিগ্যেস করলাম কার গল্প পরতেছেন কি নাম গল্পের,,
আঁখি : লেখকের নাম Riajul Soltan ,, নিরুপাই মায়া
গল্পের নাম,,,শালা*য় এক পর্ব করে লিখে তাও আবার ছোট করে অপেক্ষা করতে ভালোলাগে, বলোন ত, এমন জাইগাই এসে শেষ করে দেই, পরে কি হবে ভেবেই ঘুম আসেনা,,,,
আমি : ও খুব বাজে লেখক তার লেখা পড়লে আমার
রাগ ওঠে এত বাজে কেও লিখে,, রোমান্টিকতা নেই কিচ্ছুনেই ভালো লাগেনা,,, দেখলাম আখি আমার দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে,,,
আঁখি : দেখুন বাজে কথা বলবেন না তার লেখা খুব
ভালো হই আমার খুব ভালোলাগে এত কষ্টের কাহিনী লেখে আমার কাঁন্না চলে আসে,,
আমি : মনে মনে ভাবতেছি বাহ লেখলাম দুই পর্ব তাও
আবার নতুন লেখি তাও এত বানান ভুল তার এত প্রশংসা,,,বাহ বেটা বাহ এই নাহলে বাপের ব্যাটা,,
,,,,,,দুঃখিত নিজের একটু প্রশংসা করে ফেললাম, মানে নিজের একটু কাহীনি দিলাম, আসলেই আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ মনের ভাবনাটা প্রকাশ করি মাত্র, লেখক হতে পাড়িনি তাও লেখতেছি তার জন্য ছরি,,একটু কষ্ট করে পরে নিবেন কারন অনেক বানান ভুল হই অজান্তেই, আবার অনেকটা পাড়িওনা তার জন্যও সরি,, কেও মাইন্ট করবেন না প্লিজ,,,,,
আঁখি : কিছু বললেন নাকি,,,
আমি : নাহ কিছুনা,,
আঁখি : তা আপনিও গল্প পরেন,
আমি : হুম বলেই চুপ করে রইলাম একটু পর আঁখি
বললো,,
আঁখি : আই এম সরি,
আমি : কেনো সরি কেনো,
আঁখি : আসলে অই সময়ে খারাপ ব্যবহারের জন্য
গল্পের মাঝ খানে এসেছি এই সময় আপনি ডাক
দিছেন ত তাই রাগ ওঠে গেছিলো,,,
আমি : অহ, ইটস ওকে, ভাবতেছি আসলে মেয়েটা
এতটাও গুন্ডি নই,, যতটা আমি ভেবে ছিলাম,, মনটা খুব ভালো তবে অল্পতে রেগে যাই মনে হচ্ছে,, ভাবনার ছেদ ঘঠিয়ে আঁখি বললো,,
আঁখি : আচ্ছা আপনার নাম কী,,
আমি : রাজ,,
আঁখি : অহ কোথাই জাবেন,,
আমি : ঢাকা বিমানবন্দর নামবো,,,
আসলে গুলশানে আমার একটা ফ্রেন্ড আছে তাই ভাবলাম বিমান বন্দর নেমে সেখান থেকে গুলশান চলে জামো তারপর তার সাহায্য নিয়ে এই খানেই কিছু দিন থাকমো,,, কারন আমি ৪০ দিনের ছুটিতে দেশে আসছি তাই ভাবছি ছুটি গুলো কাটিয়েই যাই তা ছারা আরেকটা কাজও আছে,, গল্পে থাকোন পরে যানবেন কাজটা কি,,,তাই আঁখি কে বিমানবন্দর নামবো বললাম,, তার পর সে বললো,
আঁখি : আমিওত বিমান বন্দর নামবো আপনি বিমান
বন্দর নেমে কই জাবেন
আমি : দেখি কই যেতে পারি,, আপনি কই জাবেন আর
কই থেকে আসলেন,,আঁখিকে জিগ্যেস করলাম,
আঁখি : কই জাবেন দেখবেন মানে কি বুজলাম না
আপনি কই জাবেন আপনি জানেন না,, আর আমরা নানু বাড়ি থেকে বাড়িতে যাচ্ছি,,,?
আমি : অহ ভালো,, আমি আসলে ঢাকাই নতুন
আসলাম কিছু দিন থাকবো বলে তাই দেখি কোথাই থাকতে পারি পরে আবার চলে যাবো প্রবাসে ,,,,
আঁখি : অহ তার মানে আপনি প্রবাস থেকে আসছেন
ত ঢাকা থাকবেন কেনো আপনার ফ্যামিলির সাথে তাদের সাথে সময় কাটাবেন তা না করে আপনি ঢাকা থাকতে চাচ্ছেন কেনো,,
আমি : আসলে পরিবার বলতে আমার কেহ রইলনা
সবাই পর করে দিলো,, এখন আমি এতিম,,বলতেই চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেলো তারা তারি পানি মোছে নিলাম, খুব কষ্ট হচ্ছে কথা গুলো বলতে তাও বললাম,,
আঁখি : অহ দুঃখিত আমি বুজতে পারিনি ,, বলেই চুপ করে
রইলো দেখলাম তার মুখেও কষ্টের ছাপ,,, এরকম কথা সোনার পর সবাই একটু হলেও কষ্ট পাই,,, আর কিছু বললামনা দুজনেই চুপচাপ বসে রইলাম,,,
রেলচলে আসলো তার গন্তব্য স্থলে মানে বিমান বন্দর,, নেমে পরলাম গারি থেকে, দেখলাম আঁখি আর তামান্নাও নেমে বাহিরে চলে গেলো আমিও গেলাম দেখলাম তারা একটা বাসে উঠলো, আমিও একটা বাসে করে চলে গেলাম গুলশান গিয়ে সেই বন্ধুকে কল দিলাম নাম্বার বন্ধ দেখাচ্ছে,,,তাই আর কল দিলাম না, একটা রেস্টুরেন্টে ডুকে কিছু নাস্তা করে বসে ভাবতেছি কি করবো এখন এভাবে বসে থাকলে ত হবে না,, তখন পিছন থেকে ওয়েটার বল্লো কি এত ভাবছেন স্যার,,
আমি : আর কিছু না ভেবেই, তাকে বলে ফেললাম আমি
হটাৎ করে ঢাকাই চলে আসছি তাও আবার নতুন আসছি আগে কখনও ঢাকাই থাকা হইনি তেমন কিছু চিনিওনা তাই ভাবতেছি কোথাই থাকবো কিছু বুজতেছিনা,,,
ওয়েটার : অহ, ঢাকা শহরে ভাই থাকার জন্যই প্রচুর কষ্ট
খাবারের অভাব নেই অথচ থাকার জাইগা নেই,,, আর বড়লোকদের বাসাই কত গুলা রুম খালি পরে থাকে মধ্যবিত্তরা কোন মতে রুম নিয়ে খুব কষ্টেই থাকে এগুলা বলে আর কি হবে,,, মধ্যবিত্তরা কেও কাওকে থাকার জাইগা দিতে পারেনা,, ত আপনি কোথাই উঠতে চাচ্ছেন,,,,
আমি : আসলে আমি চাচ্ছিলাম কোন বাসাই যদি কোন
রুম ভাড়া পাওয়া যেতো তাহলে উঠতে পারতাম ভালো হতো,,, আর আমার একটা ফ্রেন্ড ছিলো এখানে কিন্তু তার নাম্বার বন্ধ সে হলে একটা ব্যবস্থা করে দিত,,,,?
ওয়েটার : আপনি ত একা থাকবেন মানে ব্যাচলর
ব্যাচলরদের জন্য রুম পাওয়া মানে কোটি টাকার লটারি পাওয়া অনেক কষ্ট করতে হবে,,,, আপনিত কিছু চিনেন না কই খুজবেন আচ্ছা দারান আমি ছুটি নিয়ে আসছি,, আপনাকে দেখে খুব ভালো মানুষ মনে হচ্ছে,, তাই আপনাকে উপকার করতে মন চাচ্ছে,,,
আমি : হে ভাই আসলে অনেক উপক্রিত হবো,,,তার পর
সে চলে গেলো কিছুক্ষন পর আসলো, দুজন খুজতে শুরু করলাম দুপুর গরিয়ে সন্ধা হয়ে এলো একটাও বাসা পেলামনা যেখানেই জাই ব্যাচলর ভারা দিবেনা,, তাই চিন্তিত হয়ে পরলাম তখন রাকিব বললো চিন্তা করবেন না আমিত আছি আজকে আমার সাথেই থাকবেন চলেন কালকে আবার খুজবো,, বাসা খুজার সময় ওয়েটারের নামটা যেনে নিয়ে ছিলাম রাকিব,,,,
আমি : আর কিছু বললামনা কি আর বলবো আমিত
নিরুপাই তাই তার সাথেই চলে গেলাম তার বাসাই দেখলাম ছুট্ট একটা ঘর বিতরে গিয়ে দেখলাম একটা মহিলা আর একটা ছুট বাচ্চা ছেলে, তারপর রাকিব বললো
রাকিব : মহিলাটার দিকে দেখিয়ে বললো এটা আমার মা
আর এটা আমার ছুট ভাই, আর আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমার সমস্যার কথা বললো তার মা কে,
রাকিবের মা : ভালো করেছিস বাড়িতে নিয়ে এসেছিস
বলেই রাকিব কে বললো তরা ফ্রেশ হয়ে আই,,, আমি রান্না বসাচ্ছি,, বলেই বাহিরে কিচেনে চলে গেলেন আর আমরা ফ্রেশ হয়ে বসে গল্প করতেছি আর পরিচয় দিলাম আঁখির সাথে যেটা ঐইটাই,১ ঘন্টা পর রাকিবের মা খাবারের জন্য ডাক দিলো সবাই একসাথে বসলাম খাবার খেতে, হটাৎ মায়ের কথা মনে পরে গেলো আজ মায়ের হাতে খাবার খাওয়ার কথা আর কই এসে খাচ্ছি, আল্লাহ কার রিজিক কই লিখে রাখছে কেও জানেনা,, আজ পরিবারের সাথে বসে খাওয়ার কথা কি থেকে কি হয়ে গেলো ভাবতেই চোখে পানি চলে আসলো,,, বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে কষ্টে কি করে পারলো পুরো পরিবার একটা ছেলেকে এভাবে ভুলে যেতে ছেলে মারা গেলেওত তাদের কষ্ট পাবার কথা তা নই তারা বেশ শুখেই আছে, ভাবতেছি আর চোখ দিয়ে পানি পরতেছে, রাকিবের মা বিষয়টা লক্ষ করলো,,
রাকিবের মা : বাবা রাজ কাঁদছো কেনো তুমি,
আমি : মায়ের কথা মনে পরছে তাই,,,মাঝখান দিয়ে
রাকিব তার মাকে বলে দিলো,
রাকিব : তার কেও নেই মা, সে এতিম,,
রাকিবের মা : গম্ভির গলাই বললেন অহ বলেই বললো
আমি ত তর মায়ের মতই আই আমি তকে খায়িয়ে দেই বলেই প্লেট টা নিয়ে খায়িয়ে দিতে লাগলো সাথে রাকিবের ভাইকেও খাওয়াচ্ছে, তা দেখে রাকিব বললো তাহলে আমি কি দুষ করলাম আমাকেও খাওয়াই দাও তার পর তাকেও খাওয়াতে লাগলো,, আমার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো এত ভালোবাসা দেখে,
রাকিবের মা : কাদেনা বাবা সব ঠিক হয়ে জাবে,,
আমি : হুম, বলেই ভাবতে লাগলাম আমার নিজের
পরিবার আমাকে ভুলে গেলো অথচ অন্যের পরিবার আমাকে এত আপন ভাবলো যাকে চিনেনা জানেনা তাকে এতটা ভালোবাসা দিলো,,, খাবার খাওয়া শেষ করে ঘুমোতে গেলাম আসলে পাটিসন করে দুইটা রুম করছে ঘরটাই দুইটা খাট আছে আমি রাকিবের সাথে সুইতে গেলাম,,, সুইয়ে ডাটা অন করলাম একটা মেসেজ আসলো সিন করেই দেখলাম আমার সেই বন্ধুর আইডি থেকে মেসেজ আসছে,
বন্ধু : কেমন আছিস বন্ধু কি করিস আর আমার আগের
নাম্বারটা ব্লক হয়ে গেছে নতুন সিম নিলাম এটা নাম্বার ০১৭৬২৫১****,,,
বন্ধুর নাম হচ্ছে রানা তার সাথে আমার ফেইসবুকে পরিচয়,,,
আমি : নাম্বার টা তুলে তাকে ফোন দিলাম সাথে সাথেই
রিসিব করলো তার পর কেমন আছিস কি করিস সব বলে তাকে বললাম যে দেশে আসছি সে শুনে অবাক হয়ে বললো
রানা : আমাকে একবার জানালিনা,
আমি : ঢাকাই আছি এখন, কালকে দেশে আসছি মাত্র তর
কাছেই আসছিলাম আজকে কিন্তু তর নাম্বার বন্ধ,,তার পর ঢাকাই কি কি হইছে কই আছি সব বললাম,,
সে সব শুনে যা বললো তা শুনে আমার চোখে পানি এসে গেলো
রানা সব শুনে যা বললো তা শুনে আমার চোখে পানি চলে আসলো,,,
রানা : কি বলিস তুই সারা দিন আমার জন্য এত কষ্ট
করলি বলেই কাঁন্না করে দিলো আর বললো তুই কোথায় আছিস আমাকে বল আমি এখনি তকে নিতে আসছি,,,
আমি : আরে নাহ তেমন সমস্যা হয়নি আর এখন অনেক
রাত এখন আসতে হবে না তুই কালকে আসিস,,
তার পর রাকিবের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে রানাকে দিয়ে দিলাম,,, আরো কিছু কথা বলে ফোন রেখে দিলাম,,হটাৎ রাকিব বললো
রাকিব : তুমি ঘুমাও আমি একটু আসতেছি,,,
আমি : ওকে,, রাকিব চলে গেলো, তারপর সজিব কে
ফোন দিলাম ফোন বাজতেই সজিব রিসিব করেই বললো
সজিব : হ্যালো রাজ কেমন আছিস কই আছিস কি
করিস একসাথে সব বলে ফেললো আসলে সারা দিন কল দেয়নি তাই অস্থির হয়ে সব গুলা কথা বললো,
আমি : এইত ভালো আছি, ঢাকা আছি, সুয়ে আছি,
তারপর সজিব কে সারা দিনের ঘটনা বললাম, তার পর রানার কথা বললাম সে একটু খুশি হয়ে বলে,,
সজিব : যাক ভালো হয়ছে, আমি আরো সারা দিন
টেনশনে ছিলাম,,,খাবার খাইছিস
আমি : হুম খেয়েছি,, তুই খাইছিস,,
সজিব : হুম,,
আমি : বাড়ির কি অবস্থা বিয়ে কী হয়ে গেছে,
সজিব : হুম,,
কথাটা শুনার পর চোখ দিয়ে পানি আসতে লাগলো কি করে পারলো রিয়া আমার সাথে এমনটা করতে একবারও ভাবলনা আমার কথা,,
রিয়া হচ্ছে আমার হবো বউ এর নাম ছিলো মানে আমার ছোট ভায়ের বউ এর নাম রিয়া,,,
জিবনে রিলেশন প্রেম ভালোবাসার ধারে কাছে যায়নি আর যাব কি করে সেই সময় টা হয়ে উঠেনি,, এক সময় ভেবে ছিলাম বিয়ে করবোনা, পরে বাধ্য হয়ে বিয়েটা করতে হয়,আমার বিয়ে হয়েছিলো ১ বছর,,, এই ১ বছরে রিয়ার সাথে কথা বলতে বলতে তাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম,,জিবনে অনেক কথা থাকে যা জিবন সঙ্গী ছারা কারো সাথে শেয়ার করা যায়না,,,, কত কথা বলতাম তাকে সেও আজ আমাকে ভুলে গেলো কি পাপঁ ছিলো আমার কি অপরাধ ছিলো, দূরে ছিলাম এটাই কী আমার অপরাধ,,আমি তাদের ভালোর জন্যই দূরে ছিলাম আমি ইচ্ছে করে ত থাকিনি দূরে আমি নিরুপাই হয়ে দূরে ছিলাম,, ভাবছি আর চোখের পানি ফেলতেছি, চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে কিন্তু পারছিনা, কারন হাজারো মানুষের ভিরে আছি আমি কী করে কাঁদবো এত মানুষের ভীরে,,, হটাৎ সজিব বলে উঠলো,
সজিব : কিরে কই হারিয়ে গেলি কতক্ষন থেকে হ্যালো
হ্যালো করছি,,
আমি : কিছু না ভালো থাক পরে কথা হবে,, বলে
ফোনটা কেটে দিলাম কারন কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা আর কাঁন্নার জন্য কথাও বলতে পারছিনা তাই ফোনটা রেখে দিলাম,,, দেখলাম সজিব কলদিতেছে তাই তাকে একটা মেসেজ দিলাম এখন ভালো লাগছেনা ঘুমাবো পরে কথা হবে বলে ফোনটা অফ করে রাখলাম, হটাৎ পেছন থেকে রাকিব বললো,,
রাকিব : কি হলো আপনি কাঁদছেন কেনো,
আমি : তারা তারি চোখের পানি মোছে বললাম কয় নাতো
চোখে কি যেনো গেলো,, তাই পানি আসতেছে,,
রাকিব : আমাকে কী বোকা ভেবেছেন কাঁন্না আর চোখে
কিছু যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য বুজবনা
আমি : আরে নাহ তেমন কিছুনা তুমি ঘুমাও,, মায়ের
কথা মনে পরতেছে তাই কাঁন্না পাচ্ছিলো মিথ্যা বললাম কারন আমি চাইনা আমার কষ্টের বাগীদার কাওকে করতে,,,,রাকিব আর কিছু বললনা আমি নিজে বললাম তাকে রানার কথা, কালকে তার সাথে বাসা খুজতে যাবো তুমি আর তুমার কাজ বন্ধ করিওনা, এমনিতে আমার জন্য একদিন ডেওটি অফ হয়ে গেলো,, পরে তুমার আবার সমস্যা হবে রাকিব সব শুনে একটু খুশি হয়ে বললো,,
রাকিব : তাহলে আপনার বন্ধুকে পেয়ে গেলেন এখন
আর কোন সমস্যা নেই, আর আমি ত আপনার জন্য তেমন কিছু করতে পারলাম না,,
আমি : নাহ তুমি আমার জন্য অনেক করেছো এটুকু
কে কার জন্য করে এই যোগে,,,
রাকিব : তাহলে কালকে চলে যাবেন, আমাদের ভুলে
যাবে নাত,,
আমি : তোমাদের কথা আমি জিবনেও ভুলতে পারবনা
তুমি না থাকলে যে আমার কি হতো,, আর আজ তোমাদের সাথে থেকে মনে হচ্ছে যেনো এটা আমার পরিবার,,, আমি একটা মা পেয়েছি মাকে কি করে ভুলবো তুমার মত একটা ভাই পেয়েছি কি করে ভুলবো বলতে রাকিব কাঁন্না ভেজা কন্ঠে জরিয়ে দরলো,, আমিও কিছু বললামনা,, একটু পর ছেরে দিয়ে বললো,,
রাকিব : ওকে ভাইয়া অনেক রাত হলো ঘুমাওন,,
আমি : হুম তুমিও ঘুমাই যাও বলে পাশে ফিরে
গেলাম সে অন্য পাশে ফিরে ঘুমিয়ে গেলো, আমি আবারও ভাবতে শুরু করলাম, যে আমি প্রবাসের কথা শুনলে ভয় পেতাম এবং অপছন্দ ছিলো আমার,,কারন মানুষ নিরুপাই হয়ে বিদেশ পরে থাকে বছরের পর বছর টাকার জন্য পরিবারের জন্য, নাই কোন আনন্দ নাই পরিবারের ভালোবাসা, নাই কোন সুখ শান্তি তাই আমি বিদেশ পছন্দ করতাম না,,
সব সময় ভাবতাম দেশে চাকরি করবো পরিবারের সাথে থাকবো,, সে আমি ১০ বছর প্রবাসে ছিলাম,,
মনে পরে গেলো সেই ১০ বছর আগের কথা, আমি ক্লাস টেনে উঠলাম,, কত সপ্ন S S C পরিক্ষা দিবো কলেজে ভর্তি হবো জিবন টা যেনো রঙ্গীন হয়ে যাবে, তার পর দেশে কোন একটা জব করবো,, ছোট বেলা থেকে সপ্ন ছিলো সেনাবাহিনীতে চাকরী করবো,,তার পর বিয়ে করবো হ্যাপি ফেমেলি হয়ে থাকবো আরো কত হাজারো সপ্ন ছিলো,,
সেই সপ্ন আর বেশি দিন দেখা হইনি ক্লাস টেনের দ্বিতীয় সাময়িক পরিক্ষার পরে হটাৎ বাবার শরিল খারাপ হয়ে যায়,, শুরু হয়ে যাই পরিবারের টানা হ্যচরা, হে বাবা ছিলো পরিবারে একমাত্র ভরসা সে বাবা অসুস্থ হয়ে গেলো কি করে চলবে পরিবার,,
বন্ধ হয়ে জাই আমার লেখাপড়া, ভেঙ্গে গেলো সব সপ্ন কারন সেই সময় পরিবারের আসা ভড়সা ছিলাম আমি সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতো কারন বড় ছেলে আমি, তাই পরিবারেরর কথা চিন্তা করে সব সপ্নকে মাটি দিয়ে দিলাম, শুরু হয়ে গেলো জিবন যোদ্ধ, ১ বছর দেশে ছিলাম কত কাজ করতাম কারো জমিতে কাজ করতাম, মাটি কাটতাম, আরো কত কি, শুধু পরিবারের জন্য তাও দেখলাম এভাবে পরিবার চালানো জাবেনা,, ডিসিশন নিলাম ভয়ার্তক অপছন্দের জাইগা বিদেশ নামক সেই দেশে চলে যাবো,,
বয়স তখন ১৮ বিদেশ যাওয়া যাবেনা, ২৩ বছর নাহলে বিদেশ যাওয়া যায়না, তাই বয়স বাড়াতে হয় অনেক কষ্টে টাকা খরচ করে বয়স বাড়িয়ে পাসপোর্ড করলাম ২৩ বছর দিয়ে,,
খালাতো ভাই বললো সৌদি আরবের একটা ভালো ভিসা আছে, ৫ লক্ষ টাকা হলে যেতে পারবি, এত টাকা কই পাবো, ভাবতে লাগলাম জমি বন্ধক দিলাম ধার করলাম ব্যাংক থেকে লোণ নিলাম সব মিলিয়ে হলো ৫ লক্ষ টাকা,,,,
ভিসা পেলাম নিজের আপন লোক দিলো তাই আর কিছু ভাবলামনা যাচায় করিনি খালাতো ভাই দিছে খারাপ দিবেনা ভেবে টাকা দিয়ে দিলাম,, সব রেডি করে নিলাম যেদিন চলে আসবো মা কাঁন্না করতেছিলো তাকে অনেক বোজালাম নিজেও কেঁদে ছিলাম দেশ ছেরে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো পরিবার ছেরে আসতে কিন্তু কিছো করার নাই নিরুপাই ছিলাম,, সেদিন পরিবারের সবাই কেঁদেছিলো মায়ার কাঁন্না তারাও ছিলো নিরুপাই,,
চলে আসলাম সৌদি আরব দেখলাম কথার সাথে কাজের সাথে কোন মিল নায়,, ফোন দিলাম খালাতো ভায়ের কাছে সব বলার পরে সাত পাঁচ তেরো বুজ দিলো চেন্জ করবে এই সেই কত কী,, প্রাই ১৫ দিন বসে ছিলাম খাবারের কষ্ট শুরু হতে লাগলো ভাইকে অনেক ফোন দিয়ে ছিলাম,
আর ফোন তুলেনি এক সময় ব্লক করে দিলো, তখন বোজে গেছিলাম ধোকা দিছে বাড়িতে কিছু বলতে পারিনি কারন আমি বিশ্বাস করে ছিলাম ভাইকে কারো কথা শুনিনি অনেকেই না করেছিলো যাচাই করতে বলে ছিলো আমি শুনি নি খালাতো ভাই বলে কথা বিশ্বাস করে ছিলাম,,
তাই লজ্জাই কাওকে কিছু বলিনি খুটা দিবে বলে,, বাধ্য হয়ে শেষে কাজ শুরু করলাম পাথরের ফেক্টরিতে শারা দিন রুদ্রে পুড়ে কাজ করতাম,, বাড়িতে ফোন দিয়ে বলতাম ভালো আছি না খেলেও বলতাম খেয়েছি,, মিথ্যে হাসি হেসে কথা বলতাম,,,
এভাবে চলে গেলো ৬ মাস কত কষ্ট করে কাজ করতাম রাতে কাঁন্না করতাম ব্যথ্যায়,কারন পাথর টেনে শারা শরিল ব্যথ্যা করতো,, তাও কাজ ছারিনি করতে হতো কারন কাজ না করলে খাবো কি, টাকা পাবো কই পরিবার চলবে কি করে এত লুন দিবো কি করে সব ভেবে শত কষ্টের পরেও কাজ করতাম,,,
দিন যেতে লাগলো কষ্ট চাপাতে লাগলাম সবাই জানে ভালো আছি মাসে মাসে টাকা দিচ্ছি,, কাওকে বোজতে দেয়নি যে টাকা গুলা রক্ত পানি করে কামিয়ে দিচ্ছি,,
প্রাই ১ বছর পর কাজের দক্ষ্যতা দেখে কোম্পানির নিজস্য লোক বানিয়ে একটু উপরের লেভেল দিলো, বেতন বারলো কাজের পেশার কিছুটা কমলো তার পর চিন্তা করতে লাগলাম কি করা যায়, এখন উপরের লেভেল পেয়েছি মোটা মোটি ভাষা শিখে গেছি, এভাবে চলে গেলো আরো ১ টা বছর রিণ দেওয়া হয়ে গেছে বললো বাবা,,, সংশারও মোটা মোটি ভালো চলে,,
হটাৎ একদিন বাড়ি থেকে কল দিয়ে বললো বড় বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছে জামাই শিক্ষিত চাকরি হয়ে যাবে, টাকা লাগবে তাই দুই লক্ষ টাকা দাবী করছে,, আমি কিছু বলিনি বলে ছিলাম তুমরা যা ভালো বোজ তাই করো,, বাবা বলে ছিলো তাহলে সামনের মাসে দুই লাখ টাকা পাঠিয়ে দিস, আর এই মাসে বিয়েতে প্রাই লাখ খানিক টাকা লাগবে,,, পাঠিয়ে দিস, এমন ভাবে বলছিলো যেনো আমি টাকা নিয়ে বসে ছিলাম একবারও বলেনি তর কাছে টাকা আছে কিনা,,,
তাও কিছো বলিনি শুধু বাবাকে বলছি বাবা আমি গত ২ বছরে প্রাই ১২ লক্ষ টাকা দিয়েছি শেষ হয়ে গেছে,
বাবা অনেক কথা বললো আমাকে হিসাব দিতে শুরু করলো রিণ দিলাম সংসারের খরচ সবার লেখাপড়ার খরচ,চিকিৎসার খরচ আরো অনেক কিছো বলে কাটিয়ে দিলো,
আমি বললা তাই বলে এত টাকা শেষ হয়ে গেছে জমিটাও নাকি ছারাওনি,, সেদিন রেগে ফোন কেটে দিছিলো বাবা,, অনেক কষ্ট পেয়ে ছিলাম আর নিজেকে নিজে শান্তনা দিলাম হইত কোন কাজেই শেষ করেছে বাবা ত আর টাকা শুধু শুধু অপচয় করবেনা,,,
আবারও রিণ করে তিন লাখ দিয়ে ছিলাম তবে প্রথমের মত এখন এতটা কষ্ট করতে হইনি সহজেই লুন পেয়ে গেছি কারন টাকা কামাই করি জানে সবাই দিয়ে দিতে পারবো,,
এভাবে চলে গেলো আরো এক বছর কোম্পানি ছুটি দিয়েছে, বাড়িতে বললাম ছুটি আসবো তখন না নানন বোজ দিলো তর মাঝারো বোন বিয়ের উপযোক্ত হয়েছে বিয়ে দিতে হবে অনেক টাকার প্রয়োজন আর একটা বছর পরে আসিস,, তখন বাবাকে বললাম কেনো বাবা টাকা নেই এই বছরে ৫ লাখ টাকা দিলাম শেষ হয়ে গেছে তখনও সাত পাচঁ তেরো বোজালো বোনের শুশুর বাড়িতে দাওয়াত খাওয়াই তর ভাইকে আর তর বোনকে মোবাইল কিনে দিছি না নান ওযু হাত,,সেদিনও কিছু বলতে পারিনি বাবা ত তাই কি করে ছেলে হয়ে সব হিসাব নিবো হইত কাজেই লাগছে টাকা গুলো,,
এভাবে আরো ১ টা বছর চলে গেলো মাঝারো বোনেরও বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো তখন বললাম আমি বাড়িতে আসবো আপুর বিয়েতে থাকবো ছুটি আছে, তখনও মত দেয়নি কেও,,, বলে অনেক টাকার দরকার বিয়েতে তুই আসলে কি করে হবে তা ছারা ভালো একটা ঘর বাদতে হবে,, আর একটা বছর পরে আসিস বাবা,, কিছু বললাম না শুধু চোখের পানি ফেললাম চলে গেলো চারটা বছর তার পরেও বাড়ি যেতে পারলামনা,,
তার বিয়েতেও ৩ লাখ টাকা গেলো , বিয়ের পর পরই বাড়ির কাজ ধরা হয়েছে তিন তলা ফাওন্ডেশন নিয়ে দুই তলা বিল্ডিং করবে ৪০ লাখ টাকা লাগবে,, বাবার কাছে নাকি ৫ লাখ টাকা জমা আছে, বাবা কে বললাম আমি চার বছরে ২৫ লাখ টাকা পাঠাইছি, ২০ লাখ টাকাই খরচ হয়ে গেছে কি করে,,, আর তুমি ৫ লাখ টাকা পুজি নিয়ে কি করে ৪০ লাখ টাকার বিল্ডিং এর কাজ দরতে পারো ,,
বাবা বলেছিলো কেনো সংশারে টাকা লাগেনা নাকি,, আর তর কাছে জমানো টাকা নেই, আমাদের না জানিয়ে তুই টাকা জমাসনি ঐই টাকা দিবি,, আমি সেদিন কাঁন্না করেছিলাম আর অনেক বার বাবাকে বলে ছিলাম আমার জমানো একটা টাকাও নেয়, বেতনের একটা টাকাও রাখিনি সব টাকা তুমাদের দিয়েছি,, কেও বিশ্বাস করেনি আমার কথা,, যে আমি কিছু খেতে মন চাইলে খায়নি ভালো কোন কাপর পরিনি টাকা খরচ হবে বলে সব টাকা পাঠিয়ে দিতাম,, তারা কি করে ভাবলো আমি তাদের না জানিয়ে টাকা জমিয়েছি,,,
সেদিনও আর কিছু বলিনি সুধু কেঁদে বলেছিলাম ওকে দিয়ে দিবো কালকে ১০ লাখ পাঠামোনে,,বলেই ফোন কেটে দেয়,, সন্ধাই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরি চলে গেলাম বিশাল মরুভূমিতে,,, গাড়ি থামিয়ে সেদিন চিৎকার করে কেদেছিলাম,, সেই কাঁন্না কেও শুনবার নয়, অনেক্ষন কেদেছিলাম সেদিন,,,
হে পরে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম কোম্পানি থেকে লুন নিয়ে দিছি, কোম্পানি লুন দিছে কারন আমার প্রমোশন হয়েছে বেতন বেরেছে, আরো একটা বছর চলে যায় বাসাটা কমপ্লিট হয়ে গেছে বেতন বারছিলো তাই সমস্যা হয়নি তাছারা লুন নেওয়া ১০ লাখ টাকা আর ফেরৎ দিতে হয়নি, আমার ভালো কাজের জন্য কোম্পানির সুনাম হয় এবং ভালো একটা প্রজেক্টের ডিল করে ছিলাম প্রাই ৩ শত কোটি টাকার কাজ তাই বস খুশি হয়ে সেই দশ লাখ টাকা পুরুষ্কার করেছে আর একটা গাড়িও দিছে,,,,
পাচঁ বছর চলে গিয়ে ছয় বছরের মাথায় আবার বললাম বাড়ি যাবো তখনও সেই ওযু হাত, বলছে আর দুই বছর পরে আই বাবা, আসলে একবারে বিয়ে করে চলে যাবি, তার পর জিদ করে বলেছিলাম যে আর কোন দিন দেশে যাবোনা, দেখতে দেখতে দুই বছরও পূর্ন হলো আবার বললাম তখন মা বলেছিলো দেখ বাবা এসে বিয়ে করবি টাকা পয়সা দরকার সংসারে অনেক খরচ আরেকটা বছর পরে আসিস সেদিন মায়ের কথাও ফেলতে পারিনি,,,
অনেক কাঁদলাম পরের দিন কাজ করার সময় হটাৎ করে পেট ব্যথ্যা হয়, তারাতারি হাসপাতালে নিয়ে যায় আমাকে তার পর ডাক্তার পরিক্ষা করে ঔষুধ দেয় আর কিছু কথা বলে দিয়েছিলো,,
তার পর মাকে আবার কলদিলাম মা আমি অসুস্থ তাই বাড়িতে এসে চিকিৎসা করাবো,, মা বলেছিলো হুম জানি সব তর বাড়িতে আসার বাহানা এমন পাগল হয়ে গেছিস বাড়িতে আসতে মাত্রত আট বছর হলো গেলি মানুষ ১৫/২০ বছর বিদেশ করে তাও আসতে চাইনা,, আমি কিছু বলিনি শুধু একটা মুচকি হাসি দিয়ে ফোনটা রেখে দেয়,,,,,
যাদের জন্য এত কিছু করলাম তারা সবাই আমার পর হয়ে গেলো,,,?
কিছু দিন পর শুভ ফোন দিয়ে বললো চাকরি করতে টাকা লাগে আর আমি চাকরি করবনা সাধারন ডাক্তারি কোর্স করেছি আমাদের বাজারে ফার্মেসি দিবো, দোকান ভারা করেছি দুই লাখ টাকা লাগবে,,দিয়ে দিলাম তর যা মনে চাই কর,, কারন আদরের ছোট ভাই বলে কথা,,,
আবার কিছুদিন পর শুভ ফোন দিলো একটা বাইক কিনবে বললো তিন লাখ টাকা লাগবে,, আমি বাইক দিতে রাজি নয় কারন বাইক বিপদ জনক,,তাই বললাম আমার কাছে টাকা নেই,,সে অনেক কথা শুনালো কিছু বলিনি,, সে আমার কথাথা শুনেনি জিদ দরে বসলো তার লাগবেই, না হলে বাড়িতে কিছু একটা করে ফেলবে,, বাধ্য হয়ে দিতে হলো,,,,
তবে সেদিন একটা জিনিস বোজে ছিলাম তারা সবাই টাকার পাগল হয়ে গেছে আমার কথা কেও ভাবেনা,,,
আমি নিরুপাই হয়ে রইলাম আমি কাওকে কিছু বলতে পারিনা,,
পরের বছর যখন বললাম বাড়ি আসার কথা সেই একি কথা তাই বলেছিলাম জিবনে বিয়েও করবনা দেশেও জাবনা,,, সেদিন মা কাঁন্না করে বলেছিলো এমন ভাবে বলিসনা বাবা আমরা তর জন্য বউ দেখেছি, তাই চাচ্ছিলাম আংটি পরিয়ে ফোনেই বিয়ের কাজটা শেরে ফেলবো,,,, তুই সামনের বছর ছুটি আসলে অনুষ্টান করে বিয়ে করাবো,, আমি অবাক হয়ে মায়ের কথা শুনছিলাম আসলে কি তারা আমাকে নিয়ে খেলা করতেছে,,, আমিই সারা জিবন তাদের কথা ভেবে যাবো তারা কি আমার কথা একবারও ভাবেনা,,ভেবে ছিলাম বিয়ে করিয়ে মনে হই সান্তনা দিতেছে, কিন্তু না পরের কথা গুলা শুনে আমি হা হয়ে রইলাম,, কারন মা বললো তার শরিল ভালোনা সংসারের কাজের জন্য তার একজন লোকের দরকার তাই আমাকে বিয়ে করাবে সংসারের কাজের জন্য,, মায়ের কথা শুনে সেদিন আমার চোখের পানি গুলা আর বের হলোনা বুকে একটা পাথর জমা করলাম, কষ্টের মাঝে বললাম কাজের লোক দরকার তাহলে রেখে দেই,, তাও আমাকে বিয়ের কথা বইলোনা আমি বিয়ে করবনা,,, তারপর অনেক বুঝিয়ে কান্নাকাটি করে ইমোশনাল ব্ল্যক মেইল করে, আমাকে বিয়ে করাই তাও আবার ফোনে আমি বাধ্য হয়ে বিয়েটা করলাম,,আমার জন্য কারো জিবনটা নষ্ট হতে চললো ভেবেই খুব কষ্ট হচ্ছিলো,,
হুম পরের বছর পাঁচ মাস জাওয়ার পর হটাৎ অসুস্থ হয়ে পরি, তাই বাড়িতে বলে ছিলাম একসিডেন্ট করেছি, আমার সমস্যার কথা কাওকে জানাতে চাইনি বলে,, ডাক্তার বলেছে আমার অপারেশন করতে হবে সুস্থ হতে এক মাস লাগবে এই একমাস কথা বলবনা কারো সাথে তাই মোবাইলটা অফ করে দেয়,, একমাস পর ডাক্তার বললো রাজ তোমার দেশে গিয়ে চিকিৎসা করালে ভালো হবে, তুমার অবস্থা বেশি ভালোনা, ভালো চিকিৎসা এবং সেবা যত্ন ধরকার তোমার ,, তাই সেদিন কাওকে না যানিয়ে ইমার্জেন্সি ফ্লাইটে চলে আসি মনে মনে খুশি হয়েছি শেষ মেশ দেশে আসতে পারলাম, বাড়িতে সবাই কে সারপ্রাইজটা দেওয়া যাবে
তার পর বাড়িতে গিয়ে যা হলো তা ত সবি যানেন আপনারা,,,,,,,
দেখলাম বালিশটা ভিজে গেছে তারপর চোখের পানি মুছে ঘরিতে দেখলাম রাত তিনটা বাজে তাই মোবাইলটা অন করে ঘুমিয়ে গেলাম কারন সকালে রানা কল দিবে,,,,
সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম এটা কি ভাবে সম্ভব,,,,,,,
সকালে ঘুম থেকে ওঠে সামনে তাকিয়ে আমি অবাক কারন,, সামনে তাকিয় দেখি রানা দারিয়ে আছে,, কিভাবে সম্ভব সপ্ন দেখছিনাত, বলে হাতে চিমটি কাটলাম না বাস্তবে এটা, আমার এরকম কান্ড দেখে রানা হেসে দিলো,,,আর বললো
রানা : অভাক হওয়ার কিছুনেই সকাল থেকে তকে ফোন
দিচ্ছি তর কোন খবর নেয়, তার পর হটাৎ ফোন রিসিব হলো কিন্তু তুই রিসিব করিস নি কন্ঠ শুনে বোঝতে পারছি,,, তাই জিগ্যেস করলাম, কে, বললো রাকিব, আমি বললাম অহ রাকিব তোমাদের বাসার সামনে আমি, রাজ কই,,
রাকিব : রাজ ভাইয়া ত ঘুমাচ্ছে আপনি দারান আমি
এখনি আসছি,,
বলে রাকিব ফোন রেখে দিয়ে ঘুম থেকে উঠে চলে যায় নিচে,,নিচে গিয়ে আবার ফোন দেয় রানা কে,, ফোন রিসিব হতে রাকিব বলে আপনি কোথাই রানা ভাই আমি নিচে কালো গেন্জি পড়া দেখোন,,
রানা : হে দেখতে পাচ্ছি আসতেছি আমি সামনের
দোকানে,,
রাকিব : ওকে
রানা : আমি রানা, তুমি রাকিব,
রাকিব : হুম, আসো বিতরে,
বিতরে এসে দেখি তুই ঘুমাচ্ছিস তাই আর ড্রিস্টাব করলাম না,,বসে রইলাম রাকিবও বসে আছে একসাথে বের হবে
বলে,,,?
আমি : কি বলিস কতক্ষন হইছে আসছিস আর ডাক
দিবিনা,,,?
রানা : এইত ১ ঘন্টা হলো, এখন ওঠে ফ্রেশ হয়ে নে
আমি : ওঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে গেলাম তখনি
রাকিবের মা আসলো,,
রাকিবের মা : বাবা রানা তুমি এখনি চলে যাবে,
আমি : জি আন্টি, আমাকে যেতে হবে,,
রাকিবের মা : অহ ওকে আসো খাবার রেডি করেছি
সবাই একসাথে খাবো,
আমি : আর না করলাম না চলে যাবো লাস্ট না হয়
মায়ের হাতে খেয়ে যায়,,
রাকিবের মা : একটু মুচকি হেসে আবার মুখটা গম্ভির
করে চলে গেলো,
আমরা ও গেলাম সবাই বসলাম টেবিলে রানা প্রথমে বলেছিলো হোটেলে খেয়ে নিবে পরে আমার কথায় এখানে খেতে বসে যায়,,
সবাই খাচ্ছে সুধু আমি ছারা আমি খাচ্ছিনা শুধু নাড়া চারা করছি তা রাকিবের মায়ের চোখে পড়ে,, তখন রাকিবের মা বললো,,
রাকিবের মা: রাজ বাবা আই আমি তকে খায়িয়ে দেই,,,
বলে প্লেট টা নিয়ে নিলো,,,
আমি : আর না করলাম না আর করবই বা কেনো
আমি ত এটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম,,তার পড় খাওয়াতে লাগলো আমিও খেতে লাগলাম, আর যেনো চোখের পানি মানতে ছেনা মনে হচ্ছে বুকে জমানো পাথরটা এখনি গলে গিয়ে, জল হয়ে বের হবে,,, এক পর্যায় চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেলো তা দেখে রাকিবের মা বলে,
রাকিবের মা : বাবা রাজ কাদিস কেনো তকে না
মানা করছি কাঁন্না করতে, তর কাঁন্না দেখলে আমার খুব কষ্ট হয় কাদিসনা বাবা,
আমি : কাঁন্না থামিয়ে চেয়ে রইলাম রাকিবের মায়ের
দিকে, আর ভাবতে লাগলাম পৃথিবীর সকল মা এরকম হয়না কেনো,, আল্লাহ আমার মাকে কেনো এত নিষ্ঠুর করে দিলো,, আগে ত এমন ছিলনা মা,,ছোট বেলা কত আদর করত খায়িয়ে দিতো,, মনে পরে সেই দিনের কথা বিদেশে চলে যাওয়ার আগে কত আদর করে কত কিছু রান্না করে খায়িয়ে ছিলো,,,, কত হাসি খুসি ছিলো যাবার সময় কাঁন্না ও করেছিলো তাহলে কি সব মিথ্যা ছিলো,
নাকি তখন নিরুপাই ছিলো,, হইত নিরুপাই ছিলো তাদের আমাকে দরকার ছিলো টাকার দরকার ছিলো তাই হইত এত মিছে মায়া দেখিয়ে ছিলো,,, না হলে কি করে মা সন্তানের কথা বোলে যেতে পারে,, সন্তানের মরার খবর শুনেও চোপ থাকতে পারে,, ভাবতেছি তখন রাকিবের মা ডাকলো কিরে রাজ কখন থেকে ভাত সামনে ধরে রাখলাম হা কর আমি হা করে নিলাম,,,আর খেতে শুরু করলাম,,
খাবার শেষ করে রাকিবের মাকে বললাম আসি মা ভালো থেকো, বলতেই রাকিবের মা,আবার আসিস বাবা বলেই কাঁন্না করে দিল,,আমিও তার কাঁন্না দেখে আর ঠিক থাকতে পারলামনা জরিয়ে ধরে কাঁন্না করে দিলাম অনেক্ষন জরিয়ে ধরে কাদলাম মনে হচ্ছে কাঁন্নাতেও আজ শান্তি পাচ্ছি,,, হঠাৎ রাকিব বললো,,
রাকিব : আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে ভাইয়া আমি কী চলে
যাবো তোমরা আসো একটু পরে রেষ্টুরেন্টে,,
আমি : মাকে ছেরে দিয়ে বললাম না এক সাথেই যাবো দারা
বলে মাকে বললাম আসি মা বেঁচে থাকলে আবার আসবো একদিন,,
রাকিবের মা : এমন কথা বলিস না বাবা তর যখন মনে,
চাই চলে আসিস মায়ের কাছে,, দেখিস আবার ভুলে যাসনা মাকে,,,
আমি : মাকে কখনও ভুলা যায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তুমার
কথা মনে পরবে,,রানা বললো
রানা : এবার চল যাওয়া যাক,,
আমি : হুম,
বলে রাকিবের মা কে বিদায় যানিয়ে রাকিবকে নিয়ে বাহির হয়ে গেলাম,, বাহিরে এসে দেখি একটা গাড়ি রানা গাড়ির কাছে গিয়ে বললো উঠে পড়,,,
আমি : এই গাড়ি কী তদের,
রানা : হুম
আমি : বাহ গাড়িটাত বেশ সুন্দর,
রানা : হুম এবার উঠ সুধু গাড়িটা দেখবি নাকি জাবি,
আমি : হুম রাকিব উঠো,,
রাকিব : আমি কেনো আমি ত এই কাছে হেটে চলে
যাবো,, তোমরা যাও আর ভালো থেকো আবার আইসো ভাইয়া রানা ভাইয়াও আইসো রাজ ভাইকে নিয়ে, রানা বললো
রানা : সেটা পরে দেখা যাবে এখন গাড়িতে উঠো ত হেটে
যেতে হবেনা আমি নামিয়ে দিচ্ছি,,,রাকিব আর কিছু বলেনি তারও ল্যাট হয়ে যাচ্ছে তাই উঠেগেলো,,,
তার পর আমি রাকিব কে জিগ্যেস করলাম তোমি কতটুকু লেখাপড়া করেছো,,
রাকিব : এইত ভাইয়া H S C পরিক্ষা দিয়েছিলাম
জিপিএ ৪. ৫০ পেয়েছি আর পড়া হয়নি,,লেখাপড়ার খরচ চালাতে কষ্ট হয় বাবা মারা গেছেন ২ বছর হলো পরিবার নিয়ে চলতে খুব কষ্ট হয়ে যায়, তাই আর লেখাপড়া করা হয়নি,,
আমি : রাকিবের কথা শুনে অবাক তার মানে রাকিবের
বাবা নেই আমি জানতে পারলাম না আর জানবো কি করে আমিত জিগ্যেস করিনি,, দেখলাম রাকিবের চোখে পানি চলে আসলো তাকে বুকে জরিয়ে নিলাম, আমারও চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো তাহলে কি পরিবারের বড় ছেলে মানেই সব দায়িত্ব হয়ে যায়,,, আসলে বাবার কিছু হলে বোঝাযায় পৃথিবীটা কতটা কষ্ট কর হয়,, রাকিব কে বললাম
চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে কাদিসনা আল্লাহ যা করেন সব ভালোর জন্যই করেন, তর বাবাকে আল্লাহ নিয়েগেছেন এটা ভেবেও নিজেকে শান্তনা দিতে পারবি তর মা ত আছে পরিবারত ঠিক রয়েছে,, আর যাদের পরিবার দূরে চলে যায় সন্তান বেচে থাকতেই তাকে মৃত বানিয়ে দেই তার কতটা কষ্ট হয় বলত,,,
রাকিব : আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল কতক্ষন
পরে বলে, মানে বোজলাম না ভাইয়া তুমি কার কথা বলতেছো,
আমি : না কিছুনা এমনি অনেক ঘটনাইত এমন হয়
পরিবার সুখে রাখার জন্য নিজের সব সপ্নকে মাটিদিয়ে প্রবাসে থাকে যে সময়টা খেলাধুলা করার বয়স মুক্ত আকাশে ঘুরে বেরানোর বয়স সেই বয়সে অনেকে প্রবাসে থাকে, জিবনের গুরুত্ব পূর্ন ১০/১৫ টা বছর শেষ করে দেই, মাত্র কয়েক দিন কথা না বলে বাড়িতে আসলে মৃত ভেবে নেই অথবা কারো ভালোবাসা পাইনা সুধু অবহেলাই পাই তাদের জিবনটা কেমন,,
রাকিব : হুম এমন ঘটনা অনেক হয়, আসলেই তাদের
অনেক কষ্ট,
আমি : হুম, আচ্ছা তর সেলারি কত,
রাকিব : ১৫ হাজার টাকা,
আমি : তর পরিবার চলে কি করে এত কমটাকা দিয়ে
রাকিব : এইত কোন রকম ডাল ভাত খেয়ে চলে যায়,
বাড়িটা নিজের তাই হয়ে যায় কোন রকম,,
আমি : চাকরির খোজ করিস নি অন্য একটা চাকরি নিতে
পারতি, ওয়েটার কেনো হলি,
রাকিব : মুচকি হেসে বললো এই ঢাকা শহরে চাকরি
পাওয়া এতটা সহজ নয়, অনেক চেষ্টা করে এই চাকরিটা পেলাম, এটা না করলে না খেয়ে থাকতে হতো,
আমি : অহ, আর কিছু বলার আগেই রানা বলে উঠলো,
রানা : আমি কিন্তু তদের সব কথা শুনে ফেলছি
আমি : ত কি হয়ছে একি গাড়িতে বসা তাহলে সবাই
শুনবে,আর কোন গুপণ কথা বলতেছিনা যে তুই শুনতে পারবিনা,,
রানা : বেপারটা তা না বলে রাকিবের হাতে একটা কার্ড
দিলো আর বললো তুমি সময় করে উনার সাথে দেখা করবে উনার অফিসে,
রাকিব : কেনো ভাইয়া, আর কে উনি,
রানা : উনি হলেন আমার বাবা,, তুমিত ভালো কোন
চাকরি পাওনি তোমার পরিবার নিয়ে চলতে খুব কষ্ট হয়, আর আমি চাই তুমি চাকরির পাশাপাশি আবার লেখাপড়া শুরু করো,,তুমি সময় করে বাবার কাছে গিয়ে দেখা করবে, আমি বাবাকে বলে রাখবো তোমার কথা,
রাকিব : আমাকে জরিয়ে দরলো কারন রানা সামনে তাই
তাকে দরতে পারেনি, রানাকে ধন্যবাদ দিলো,
রানা : ভাইকে ধন্যবাদ দিতে হয়না,
দেখলাম রাকিবের হোটেলের সামনে চলে আসছে রাকিব নেমে গেলো বিদায় নিয়ে চলে গেলো,বিতরে,রানা আবার গাড়ি চালাতে লাগলো,
আমি : রানা কে বললাম ভালো করেছিস রাকিবের
চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়ে ছেলেটা খুব ভালো আবার লেখাপড়ার শোযোগ পেলো,,,
রানা : হুম ছেলেটা আসলেই খুব ভালো, আর শত্ত্যি
বলতে দেখলাম তর মনটা খুব খারাপ তাদের জন্য কিছু করতে পারলিনা বলে তাই তর হয়ে আমি করে দিলাম, এতে তর মনটাও ভালো হলো আর রাকিবেরও,,
আমি : আমি রানার দিকে চেয়ে বললাম আচ্ছা তুইত
আমাকে ভালো করে চিনিস না তর সাথে আমার ফেইসবুকে পরিচয় পরে বন্ধুত্য তাহলে আমাকে এতটা বিশ্বাস করিস কি ভাবে আর আমার জন্য এত কিছু করতেছিস কেনো,
রানা : আমার দিকে একটু তাকিয়ে বলতে শুরু করলো
তর সাথে আমার দুই বছর আগে পরিচয় হয় পরে কথা বলতে বলতে বন্ধুত্ব হয়, তর সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার আগে আমি ছিলাম খুব বাজে মানে খুব খারাপ একটা মানুষ রাত দিন বর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া মদ খাওয়া আরো অনেক বাজে বাজে কাজ করতাম, কারন বাবার টাকা আছে, যখন থেকে তর সাথে বন্ধুত্ব হয় তুই প্রাই বলতি নামাজ পরার কথা আমি শুনতাম না,, একদিন রাস্থাই একটা মেয়েকে দেখে খুব ভালো লাগে তার পর তাকে ফলো করতাম একদিন মেয়েটাকে প্রপোজ করি মেয়েটা রাজি হইনি পরে রেগে তাকে রাস্থাই সবার সামনেই কিছ করে ফেলি, মেয়েটার বাবাও ধনি ছিলো বাবাকে ঢেকে নিয়ে অনেক অপমান করে এবং পুলিশে দিয়ে দিবার কথাও বলে, বাবা সেদিন তার কাছে অনেক ক্ষমা চাই এমনকি পায়েও ধরতে গিয়ে ছিলেন যেনো পুলিশের কাছে না যায় কারন মান সম্মান সব চলে যাবার ভয়ে , মেয়েটার কাছে অনেক ক্ষমা চাই, তারপর বলে তুমি যা বলবে আমার ছেলেকে তাই করবো তাও ক্ষমা করে দাও মা,
মেয়েটা বাবাকে বলে আপনার ছেলেকে এখনি এসে আমার কাছে এসে ক্ষমা চাইতে বলবেন,,,,,তার পর আমি গিয়ে ক্ষমা চাই হে সে আমাকে মাফ করে দিয়ে ছিলো তাও দুইটা থাপ্পর মেরেছিলো, বাবার সামনে, বেশি কেও ছিলোনা মেয়েটার বাবা মা আর তার ছোট একটাবোন ছিলো আর আমার বাবা,,
তার পর চলে আসি বাড়িতে বাবা আমাকে সেদিন কিছু বলেনি কারন আমি ছিলাম খুব আদরের ছোট বেলা থেকে আমাকে কখনও মারেনি,,, বাবা সেদিন অনেক কাঁন্না করে ছিলো আর আমাকে বলেছিলো, আমি কখনও আর তার কাছে কোন টাকা নিতে পারবোনা, এবং মাকে মানা করছে আজ থেকে তার সব খরচ বন্ধ শুধু খাবে আর এই বাসায় থাকবে, টাকা তাকে খারাপ বানিয়ে দিছে,,,
আমিও মেনে নেয় কারন আমি ভেবেছিলাম বাড়ি থেকে বেড় করে দিবে,
তার পর থেকে বন্ধুদের সাথে গেলে তারা একদিন দুইদিন ভালো যখন দেখে আমি কোন বিল দেয়না টাকা খরচ করিনা তারাও সরে গেলো, বোজলাম সবাই আমার টাকার পাগল ছিলো,,
একদিন রাস্থা দিয়ে হাটতেছি হটাৎ একটা বাচ্চার একসিডেন্ট হয় গাড়িটা চলে যায় বাচ্চাটা রাস্থাই পরে থাকে, আমি বাচ্চাটাকে হাসপাথালে নিয়ে যায়,, বাচ্চাটা ছিলো এতিম মাদ্রাসায় পরতো, ডাক্তার বলেছিলো তার চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা লাগবে,
বাবাকে গিয়ে বলে ছিলাম কিন্তু বাবা বিশ্বাস করেনি বলেছিলো মদ খাওয়ার জন্য নাটক সাজিয়েছি টাকা নেওয়ার জন্য,,, ভাবলাম আমারি দূষ আমি যেমন ছিলাম এমনিত ভাববে,, তার পর বন্ধুদের কাছে চাইলাম তারও বিশ্বাস করেনি অপমান করেছিলো না নান কথা শুনিয়েছিলো অনেকে মোখের উপর না করে দিছিলো,,, রাস্তার পাশে বসে কাঁন্না করতেছিলাম আর বলতেছিলাম হে আল্লাহ আজ থেকে ভালো হয়ে যাবো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরবো তুমি শুধু টাকাটার ব্যবস্থা করে দাও বাচ্চাটাকে বাচিয়ে দাও, তখনি হটাৎ তর মেসেজ আসে,,কেমন আছিস রানা,
আমি তার উত্তর না দিয়ে তকে বলে ফেলি আমার ৫০ হাজার টাকা লাগবে, তুই কি বলে ছিলি মনে আছে,
আমি : কী বলেছিলাম মনে নেই কিন্তু টাকাটা মনে হয়
দিয়ে ছিলাম,,
রানা : আবারও বলতে শুরু করলো তুই বলেছিলি
একাউন্ট নাম্বার দে,, আমি নাম্বার দেওয়া কিছুক্ষন পরে তুই টাকা পাঠিয়ে দিস, তার পর টাকা তোলে নিয়ে ডাক্তারকে দিয়েছিলাম ছেলেটার চিকিৎসা হয়,,
সেদিন তুই একবারও জিগ্যেস করিসনি এতটাকা দিয়ে আমি কি করবো আমাকে চিন্তিসনা জানতিসনা, হটাৎ ৫০ হাজার টাকা চেয়ে বসলাম আর তুই বন্ধুত্বের খাতিরে দিয়ে দিলি,, তুই আমাকে না চিনে ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলি, সে মানুষটা কি খারাপ হতে পারে,
তা ছারা তার পর থেকে তকে আমি যতটা চিনেসি তা আমি নিজে বোঝেছি তর মত মানুষ হয়না, তাহলে তকে বিশ্বাস করবনা কেনো,,
সেদিন থেকে আমি ভালো হওয়ার চেষ্টা করি এবং নামাজ পরি,, হটাৎ আমার এমন আচরন দেখে বাবা মা সবাই অবাক হটাৎ এত পরিবর্তন অবাক হবারি কথা, যে ছেলেটা মদ খেতো সিগারেট খেতো সেই ছেলে এইসব দেখলেই ঘৃনা করে, রাস্তাই মেয়েদের ড্রিস্টাব করতো সে মেয়েদের দিকে তাকাইনা মেয়ে দের দেখলে মাথা নিচু করে চলে যায়,,এবাবে আজ ১ বছর হতে চললো,বাবা মাকে প্রাই বলতাম তর কথা তাদের সব ঘটনা খুলে বলেছিলাম এবং আমার ভালো হওয়ার পিছনে সব তর অভদান,,,
তারা সব শুনে খুব খুসি হয় এবং তর কথা প্রাই বলে তারা, কেমন আছিস তুই আমি বলি ভালো,,,তারা তকে দেখতে চাইতো আমি বলতাম তুই বিদেশ, কাল যখন তুই বললি তুই আমার সাথে দেখা করতে আসছিস ঢাকাই আমিত এক প্রকার স্ট্রোক করার মত অবস্থা খুশিতে,
দুই দিন আগেও তুই প্রবাসে আর কাল বললি তুই ঢাকাই প্রথমে আমার বিশ্বাস হচ্ছিলোনা, পরে তুই ঠিকানা দিলি আমি রাতেই আইসা পরতে চাইছিলাম,, তর সাথে কথা বলে খাবার খেতে গেলাম টেবিলে আমার খুশি দেখে আমার বোন জিগ্যেস করলো, কি ভাইয়া আজকে বেশ খুশি খুশি লাগছে, তার পড় সবাইকে তর কথা বললাম সুনে সবাই খুশি হলো এবং তকে দেখার জন্য অপেক্ষাই বসে আছে,,
আমি : কথা শুনে হা হয়ে রইলাম কি বলবো ভেবে
পাচ্ছিনা, আমাকে নিয়ে এত কিছু হয়ে গেলো,,তার পর রানা কে বললাম আমাকে নিয়ে একটু বেশিই বলে ফেলছিস আসলে আমি এতটাও ভালো না,,
রানা : বেশি না বরং তর প্রশংসা কম হয়েছে তর প্রশংসা
করলে শেষ হবার নই,,তবে মজার বেপার কী জানিস,
আমি : কী
রানা : তর কথা শুনে বাবা মা সকালে উঠে ফজরের
নামাজ পরে আমাকে ডাক দিলো তকে তারা তারি নিতে,, বাবা মাও নামাজ পরবে আজ থেকে বললো আমার খুব ভালোলাগছে আজকে, সব তর জন্য
আমি : সবি আল্লাহর ইচ্ছা,, আচ্ছা এখন আমরা কই
যাচ্ছি,
রানা : আমাদের বাসাই কেনো,
আমি : না এমনি, আচ্ছা তদের বাসার আসে পাশে কি
কোন রুম ভারা পাওয়া যাবে,
রানা : কেনো রুম দিয়ে তুই কি করবি
আমি : আমি কিছুদিন থাকবো ঢাকা শহরে, তাই একটা রুম
লাগবে ,
রানা : অহ থাকবি এটা ভালো কথা, কিন্তু তুই কি করে
ভাবলি আমার বাসা রেখে তুই ভাড়া থাকবি, তর যত দিন ইচ্ছা আমার বাসাই থাকবি, আর বাবা মা ত পারলে আমাকে বের করে দিয়ে তকে রেখেদিতে চাইবে সারা জিবন দেখিস,, যে খুশি দেখলাম আজকে তাদের,, ফাজলামো করে বললো শেষের কথাটা,,
আমি : দূর তুইযে কি বলিসনা, আমি তর বাসাই থাকতে
পারবনা আমাকে একটা রুম বের করে দিস তাহলে ভালো হবে,,,
রানা : কেনো থাকতে পারবিনা কেনো, আমার বাসায়
কত গুলা রুম খালি থাকে তা ছারা তুই আমার সব চাইতে কাছের বন্ধু তকে আমি কখনও দূরে থাকতে দিবোনা, আর বাবা মা যদি শুনে তুই রুম ভারা করে দূরে থাকবি তাহলে ঠেংভেঙ্গে ফেলবে,, তর না আমার, এখন তুই ভেবে দেখ তুই কি চাস আমার ঠেং বেঙ্গে যাক,
আমি : দুর কি সব আজে বাজে বকিস, পরে দেখা যাবে
কই থাকি,,
রানা : হুম দেখিস বলতেই গাড়িটা ব্রেক করলো,
আমি : কিরে গাড়ি থামালি কেন
রানা : আর কত এসে পরছিত, বলেই হর্ণ দিলো
দারোয়ান গেইট খুলে দিলো,
বিতরে গিয়ে নেমে পরলাম,দুই তালা বাসা অনেক সুন্দর করে বানিয়েছে চারপাশে ফুলের গাছ লাগানো অনেক সুন্দর, দরজার সামনে গিয়ে কলিং বেল চাপ দেওয়ার একটু পরেই দরজা খুলে দিলো, দরজা খুলার সাথে সাথে আমি
যাকে দেখলাম, তাকে দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্থুত ছিলাম,
দরজা খুলার পর আমি দেখলাম ট্রেনে যে দুইটি মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিলো তার মধ্যে একজন মানে তামান্নাকে,, আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম আর ভাবতেছি সে এখানে কেনো, তাহলে কি তামান্না রানার ছোট বোন, ভাবনার এক পর্যায়ে তামান্না বললো
তামান্না : আরে রাজ ভাইয়া না,
আমি : হুম, তামান্না তুমি কেমন আছো,
তামান্না : এইত ভাইয়া আমি ভালো, তুমি ভালো আছো,
আমি : হুম ভালো, তার মধ্যে রানা বলে উঠলো,
রানা : কিরে রাজ তুই তামান্নাকে চিনিস কি ভাবে
তামান্নাও তকে চিনে আমিত কারো সাথে তর পরিচয় করিয়ে দেয়নি,
আমি : আসলে কাল ট্রেনে আসার সময় দেখা হই, তখন
থেকে চিনি,,
রানা : অহ তার মানে তরা কালকে একসাথেই আসছিস
আর সেখানে তদের পরিচয়, তামান্না হচ্ছে আমার ছোট বোন,,
আমি : হুম,, এর মধ্যেই তামান্না বলে উঠলো বাহিরে
দারিয়ে কথা বলবা বিতরে আসো ভাইয়া,,রানা কে ইঙ্গিত করে বললো কথাটা,,,
রানা : অ হে বিতরে চল রাজ,,
তার পর বিতরে গিয়ে দেখলাম একজন মহিলা আর একজন পুরুষ বসে আছে, বোজলাম রানার বাবা মা আমাকে দেখে তারা বলতে লাগলো, তুমি রাজ তাইনা,
আমি : জি আমি রাজ কিন্তু আপনারা আমাকে চিনলেন
কি করে,,,
রানার বাবা : রানা কে সকাল বেলা তুমাকে আনার
জন্য পাঠিয়েছি, আর তুমার অপেক্ষাতেই সবাই বসে রইছি তুমাকে দেখবো বলে,,
আমি : অবাক হয়ে গেলাম আমাকে দেখার জন্য সবাই
বসে আছে মানে আমি আবার কি করলাম আর আমাকে এত আগ্রেহের সাথে দেখার কি আছে,, আমি আমতা আমতা করে বলে ফেললাম, আংকেল আমাকে দেখার জন্য বসে আছেন মানে বোজলাম না আমি কি কিছু করেছি, তা ছারা আমিত কোন সেলিব্রেটিও নয়,
রানার বাবা : কি যে বলনা বাবা, এইযে আমার ছেলে
রানা, সেত সব সময় তোমার কথাই বলতো, তাকে তুমি পাল্টে দিলে কত চেষ্টা করেছি তাকে সঠিক পথে আনার জন্য কিন্তু পারিনি হঠাৎ করে তার পরিবর্তন হয়ে গেলো, তার পর জানতে পারি তার পেছনে তুমি , যেদিন থেকে তোমার কথা শুনেছি সেদিন থেকে তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছা ছিলো আর আজ তোমাকে দেখে আমার সত্যিই খুব ভালোলাগছে, তোমার মত ভালো মানুষ এখন খুব কম হয়,, আল্লাহ কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে রানার জিবনে তোমার মত একজন বন্ধু দিয়েছেন,,?
আমি : কি বলবো ভেবে পাচ্ছিনা,, তাই আংকেলের
পায়ে ধরে ছালাম করলাম আর বললা দোয়া করবেন আংকেল আমি যেনো শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত রানার বন্ধু হয়ে থাকতে পারি,,
রানার বাবা : হে বাবা দোয়া সব সময় করি তোমাদের
বন্ধুত্ব সময় ভালো থাকোক,,
তখনি রানা তার মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো,,, আমি সালাম দিয়ে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে গেলাম আন্টি দরে তুলে নিয়ে বুকে জরিয়ে কাঁন্না করে দিলো, আর বলতে লাগলো,
রানার মা : বেচে থাকো বাবা তোমাদের জন্য সব সময়
দোয়া করি, রানার জিবনে তুমি ফেরেশতা হয়ে এসেছো তাকে ভালো করার জন্য,,
আমি : আল্লাহ তাকে হেদায়েত করেছেন হইত আমার
উছিলা,
আন্টির চোখের পানি মোছে দিলাম,
কেনো জানি মনে হচ্ছে নিজের মায়ের সাথে আছি, মা আমাকে ধরে কাঁন্না করছে আমি মায়ের চোখের পানি মোছে দিয়ে বললাম কাদেনা মা আমিত ফিরে এসেছি এইযে তুমার সামনে,,তুমি কি করে পারলে তোমার ছেলেকে ভুলে যেতে আমি ভুলিনি মা আমি ফিরে এসেছি নিজের মা ভেবে অভিযোগ করতে শুরু করলাম,,,
রানা বলে উঠলো কিরে রাজ কি বলছিস এইসব, আমার হূস ফিরলো দেখলাম এটা আমার মা নয়, রানার মা,
সবাই আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে আছে আমি একটু হ্যচকিয়ে বললাম না কিছুনা, আমার খুব খুদা পেয়েছে তাই মুখদিয়ে আবুল তাবুল বের হচ্ছে,,, আসলে খুদা লাগেনি সেই কথা গুলু যেনো বোজতে না পারে তাই কথা গুরালাম,,,
রানার মা : রানার বাবাকে ইঙ্গিত করে বললো দেখছো
ছেলেটা এসেছে তাকে বসতেই দিলাম না,, কথা বলা শুরু করে দিলাম, দুপুর হয়ে গেছে,,খুদাত লাগবেই, বলে রানার দিকে তাকিয়ে বললো রানা ওকে নিয়ে রুমে যা আর দুজনে ফ্রেশ হয়েনে, লান্চ করবো একসাথে আমরাও তদের জন্য বসে ছিলাম একসাথে খাবো বলে,,,
রানা : হুম,,, আমিও পিছনে ফিরে চোখের পানি মুছে
রানার সাথে হাটা দরলাম,কেও না দেখলেও রানা বিষয়টা লক্ষ করে,,
তার পর চলে গেলাম রানার সাথে তার রুমে গিয়ে দুজনেই শাওয়ার নিয়ে ওযু করে রুমে নামাজ আদায় করলাম,,, রানা বললো চল খাবার খেয়ে আসি আমি আর না করলাম না কারন আমি নিজেই খাবারের কথা বলেছি,,
তার পর খাবার টেবিলে গিয়ে বসলাম আমি আর রানা দেখলাম রানার বাবা মা আর তার ছুট বোন তামান্না আছে,, তার পর খাওয়া শুরু করলাম আর ভাবতে থাকলাম ট্রেনের মধ্যে ত আঁখিও ছিলো আর তামান্না বলে ছিলো আঁখি তার বোন তাহলে আঁখি কোথায়, ভাবতে ভাবতে খাবার শেষ হয়ে গেছে, ওঠে চলে যাবো তখন আন্টি বললো বাবা রাজ তোমার কি কোন কারনে মন খারাপ,
আমি : কই না তো,,
আন্টি : তাহলে চুপ চাপ থাকো কেনো কারো সাথে কথা
বলনা, আর তোমার মুখ দেখে মনে হচ্ছে কোন কিছু নিয়ে চিন্তিত, নাকি লজ্জা পাচ্ছো আমাদের সাথে কথা বলতে,,
আমি : নাহ আন্টি আমি আসলে এমনি, বলে চলে
গেলাম ওয়াশ রুমে হাত দোয়ে সোজা রানার রুমে গিয়ে তার বিছানাই শুয়ে পরলাম পেটের মধ্যে খুব ব্যথ্যা করতেছে মাথাটা ও কেমন পেইন হচ্ছে, তাই শুয়ে রইছি কখন গুমিয়ে গেছি বোজতে পাড়িনি, গুম থেকে উঠে ঘরিতে তাকিয়ে দেখি ছয়টা বাজে, রানাও নেয় কি করবো ভাবতে পারতেছিনা, আসলে আমি এখনও কারো সাথে ফ্রি হতে পারি নি একটু লজ্জা পাচ্ছি,,
তাই আর বাইরে গেলাম না ওযু করে রুমে মাগ্রিবের নামাজ আদায় করলাম, নামাজ শেষ করে রুমে বসে সজিব কে ফোন দিলাম,, প্রথমে ফোন রিসিব করেনি দ্বিতিয় বার ফোন রিং হতেই রিসিব করলো,,
সজিব : কিরে রাজ কেমন আছিস,
আমি : ভালো, তুই কেমন আছিস,
সজিব : এইত ভালো, কি করিস, আর কয় আছিস এখন
আমি : কিছু করিনা, আর এখন রানার বাসায় আছি,
তুই কি করিস
সজিব : কিছুনা,
আমি : আমাদের বাড়িতে সবাই কেমন
আছে জানিস, গেছিলি ঐই দিকে,
সজিব : এখন আর তদের এই দিকে যাওয়ার ইচ্ছে
হইনা তাও আজকে গিয়ে ছিলাম সবাই ভালো আছে সুধু মিনা ছাড়া,,
আমি : কথাটা শুনে আমার যেনো জানটা বেড়িয়ে
গেলো, কি বলিস এসব কি হয়ছে মিনার
সজিব : আরে এত উত্ত্যেজিত হতে হবেনা মাথা ঘুরিয়ে
পরে গেছিলো, ডাক্তার এসে দেখে গেছে বলছে না খাওয়ার জন্য শরিল দুর্বল হয়ে গেছে, অতিরিক্ত টেনসন করে,
আমি : কি বলিস খাওয়া দাওয়া করেনা কেনো আর
টেনসন কেনো করে ,,,, তুই জিগ্যেস করলিনা ওকে,
আমার চোখ দিয়ে অন বরত পানি পরতেছে আমার আদরের বোন যাকে কখনও কষ্ট দেয়নি, কোন কিছুর জন্য কাঁদতে দেয়নি যা চাইত তাই দিতাম,,, বাবা মাকে সব সময় বলতাম মিনার যেনো কোন কিছু অভাব না হয়,, তার জন্য প্রতি মাসে এক্সট্রা টাকাও দিতাম, সে আজকে না খেয়ে থাকে বাবা মা কি জানেনা, নাকি আমার মতো মিনাকেও ভুলে গেছে, না এটা কি করে হয় তাদের চোখের সামনে নিজের মেয়ে কে কি করে ভুলে যাবে, বাবা মা কি এতই নিষ্টুর হয়ে যাবে,, এইসব ভাবছি আর চোখের পানি ফেলছি, তখন কানে ভেসে আসলো সজিবের কন্ঠ
সজিব : কিরে রাজ তুই কাদছিস কেনো আরে কিছু
হবেনা সব ঠিক হয়ে যাবে, আর আমি পড়ে গিয়ে আবার খুজ নিয়ে তকে জানাবো, তুই চিন্তা করিস না,মিনা কি শুধু তর বোন, মিনা ত আমারও বোন অর কিছু হবেনা,
আমি : তুই একটু খেয়াল রাখিস আর যানিস ত মিনার
কিছু হয়ে গেলে আমি মরেই যাবো এই পৃথিবীতে এখনও বেচে আছি শুধু আমার বোনের ভালোবাসায়,,, আর তুই তার কাছ থেকে জানিস ত অর কি সমস্যা কি নিয়ে চিন্তা করে,
সজিব : হুম তুই কোন চিন্তা করিস না,
আমি : ওকে ভালো থাকিস পরে কথা হবে, বলে ফোন
রেখে দিলাম, চোখ দিয়ে এখনও পানি পরতে আছে, তখনি রুমে কেও ডুকলো আমি সাথে সাথে চোখের পানি মোছে নিলাম, তাকিয়ে দেখি রানা,
{ ( রানা : কিরে তুই কাদছিস নাকি,
আমি : না চোখ দিয়ে মুতার ট্রাই করতাছি,, সালা দেখতেছিস কাদতেছি তাও আবার জিগাস,,) } jast fan
কেও কিছু মনে করবেন না প্লিজ
রানা এসেই জিগ্যেস করলো কিরে ঘুম ভাংলো কখন,
আমি : এইত কিছুক্ষন হলো, তুই কয় গেছিলি,
রানা : এইত একটু বাহিরে গেছিলাম,
আমি : আমাকে নিয়ে গেলিনা,
রানা : তুই ঘুমাচ্ছিলি তাই ডাক দেয়নি,
আমি : চল আবার যাবো একটু কাজ আছে
আমার দোকানে,,
রানা : কি কাজ
আমি : বলা যাবেনা
রানা : আমাকেও বলা যাবেনা,
আমি : না
রানা আর কিছু বললনা আমি রেডি হয়ে নিলাম হঠাৎ রানা খেয়াল করলো আমার চোখ লাল হয়ে আছে, তখনি জিগ্যেস করে বসলো কিরে তর চোখ লাল হয়ে আছে কেনো তুই কি কাঁন্না করেছিস,
আমি : কই নাতো এমনি ঘুম থেকে উঠছি তাই মনে হয়
লাল হয়ে আছে,,
রানা : না তুই কাঁন্না করেছিস তর কি হয়েছে বলতো তকে
আমার কেমন যেনো সন্ধেহ হচ্ছে তুই হঠাৎ দেশে আসলি আবার তর বাড়িতে গিয়ে চলে আসলি, আবার রাকিবের সাথেও কেমন অদ্ভুত কথা বললি, মায়ের সামনেও কেমন আচরন করলি কি হয়েছে তর সব কিছু ঠিক আছে ত নাকি,আমার মনে হয় কিছু একটা সমস্যা আছে বলত আমাকে তর কি সমস্যা,,
আমি : আরে দূর কিছু হয়নি, আর আমি এসেছি বলে
কি তর সমস্যা হচ্ছে সমস্যা হলে বল চলে যায়,,
রানা : আমি কি বলেছি সেটা,
আমি : তাহলে চল দোকানে যায়,বলে কথাটা গুরিয়ে
নিলাম
রানাও আর কিছু বললনা হাটতে হাটতে চলে গেলাম দোকানের ধারে রানাকে বললে তুই ধারা আমি আসতেছি বলে চলে গেলাম, দোকানের ভিতর গিয়ে এক পেকেট সিগারেট নিলাম আর একটা ম্যাচ নিলাম,
রানাকে না বলার কারন এটাই আর তাকে দূরে দার করিয়ে আসার কারনও এটা, কারন রানা সিগারেট খাওয়া ছেরে দিছে আমার কথা শুনে আর সেই আমি বেচে আছি এখন সিগারেটের উপর,,,
রানা জানলে খুব কষ্ট পাবে তাই তাকে বলিনি, আইসা পরলাম বাসাই,,
রানা রুমে বসে মোবাইল টিপতেছে আমি আছতে করে বেড়িয়ে গেলাম যেনো সে বোজতে না পারে, চলে গেলাম ছাদে, আন মনে ছাদে দারিয়ে সিগারেট পুরাচ্ছি কষ্ট চাপা দেওয়ার জন্য, হটাৎ ছাদে কারো উপস্থিতি টের পেলাম, তারা তারি সিগারেট টা ফেলে দিলাম, সিগারেট ফেলে পিছনে তাকিয়ে আমি চমকে গেলাম,, অ এখানে কেনো, আমি ভাবতেই পাড়িনি এভাবে তাকে এখানে দেখবো,,,



Post a Comment

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال