আত্মহত্যা শেষ পরিনতি বাংলা গল্প
সাইফুল রাত ৮টার দিকে সনিয়াদের বাসার কাছে আসেন।এসেই সাইফুল লক্ষ্য করে পুরো বাড়ীতে কেমন যানি কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে,সাইফুল অবাক হলেন বিয়ের বাড়ীতে কান্না!
সাইফুল কোনো এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলো এই বাড়ীতে আজকে না বিয়ে??
লোকটি জবাবে বললো হ্যাঁ বিয়ে।তবে যার বিয়ে সে আর নেই!সে আত্মহত্যা করে মারা যায় কিছুক্ষন আগে।
সাইফুল এই কথা শুনা মাত্রই ও আল্লাহ বলে একটি চিৎকার করলেন শুধু।আর মাটিতে লুটে পড়েন।সাইফুলে সাথে ২জন বন্ধু আসে।তারা সাইফুলকে শান্তনা দিতে লাগলো।
ঘটনা কিন্তু এখানেই শেষ নয়।সনিয়ার বিয়ের পরিবর্তে মৃত্যুই উপহার পেয়েছে তার পিতা-মাতা।
কিছুক্ষন পর সনিয়ার লাশকে পুলিশ এসে পোসমার্টামে নিয়ে যায়।এই দিকে বিয়ের সব আয়োজন এক পলকেই সব শেষ।স্বামী বেচারা আস্তা অলক্ষী বলতে তাকে সমাজের লোকেরা ।
যাই হোক সনিয়ার লাশ পরের দিন সন্ধ্যায় দাপন করা হয়,একটি কবরস্থানে।
সনিয়াকে দেরি করে দাপন করার মূল কারন,শুধু মাত্র তার বাবা বিদেশ থেকে এসে তাকে দেখবে বলে।
লাশ দাপন করার সময়-হঠাৎ কিছুক্ষন পর পর মাটি যেন সরে যায়,কবরের উপর থেকে।লোকজন মাটি চাপা দিয়েই যাচ্ছে শুধু,কিন্তু এই কি মাটি কেন এমন করছে।উপরের মাটি বার বার প্লেন হয় কেন?
সবাই কিছুটা ভয় পায়।এর পরে মসজিদের ঈমাম সাহেবকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন হুজুর একটু দেখুনতো কবরের মাটি বার বার সরে যায় কেন!!!!!!ঈমাম সাহেব দেখলেন,এবং তিনি একচিমটি মাটিতে কিছু একটা পড়ে ওই মাটি কবরের উপর চিটকে দেন।এর পর দেখা গেল সব ঠিক হয়ে গেল।
এই দিকে সাইফুলকে কবরের কাছ থেকে কোন ভাবেই আনা যাচ্ছে না।
যাই হোক ঘটনা ক্রমানয়ে বাড়তে লাগলো।
সনিয়াকে কবর দিয়ে আসার পর।ওই মসজিদের ঈমাম সাহেব চাকুরী ছেড়ে দেন,কিছুদিন পরেই।