ছুটির ঘণ্টা | vuter golpo
ঘটনাটি আমার নানুর কাছে শোনা।
তখন তিনি মুখে একটি পান নিলেন এবং গল্প বলা শুরু করলেন।
তখন রোজার সময় চলছিল সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা এলো আগামী ১৫ দিন রোজার বন্ধ এবং বাকি ৭ দিন ঈদের ছুটি থাকবে। আমরা সবাই আনন্দে লাফালাফি করতে লাগলাম।আমাদের মধ্যে মিতা নামে একটি মেয়ে ছিল যার সেদিন পেটে একটু ব্যথা ছিল। তাই সে ওয়াশরুমে গেল আর আমরা বাইরে অপেক্ষা করতে লাগলাম। হঠাৎ আমার মাথায় একটা দুষ্ট বুদ্ধি এলো। আমি সহ চার বন্ধু-বুদ্ধি করে ওয়াশরুমের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিলাম।হঠাৎ ছুটির ঘন্টা বাজলো। আমরা সবাই দৌড়ে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি চলে গেলাম। মিতার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। এদিকে দপ্তরি ও তাড়াহুড়া করে দরজা বাইরে থেকে তালা মেরে দিল।মিতা যখন বাইরে বের হতে যাবে তখন দেখল দরজা খুলছে না। সে জোর চেষ্টা চালাতে লাগলো কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। সে অনেকক্ষণ চিৎকার করেছিল কিন্তু তার আওয়াজ শোনার জন্য কেউ অবশিষ্ট ছিল না। আধার ঘনিয়ে এলো।সে খুব ভীত ছিল তার আর্তচিৎকারে পুরো স্কুল ক্যাম্পে উঠলো। ধীরে ধীরে সে নিস্তেজ হয়ে গেল এবং এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। বলে রাখা ভালো,ওয়াশরুমে ঠিক পেছনে একটা কবরস্থান ছিল। মিতা সারারাত অজ্ঞান থাকার পর সকালে টেপ থেকে পানি খেয়ে তৃষ্ণা নিবারণ করল কিন্তু তার খাবারের দরকার ছিল। এভাবে সারাদিন পার করার পর রাতে একটা চিৎকার শোনা গেল কবরস্থানের মাঝখান থেকে। ব্যাস তারপর সবকিছু নিরব।
স্কুল খুললো অনেকদিন পর। আমরা ক্লাসে যাওয়ার পর একটা অদ্ভুত জিনিস দেখে চমকে উঠলাম।ক্লাসের তৃতীয় বেঞ্চে মিতার ব্যাগ!
হঠাৎই সব মনে পরল। রুমি বলল চিন্তা করিস না দপ্তরি মনে হয় দরজা খুলে দিয়েছিল।আমি প্রশ্ন করলাম তাহলে ওর ব্যাগ ক্লাসে কেন? সানি বললো হয়তো নিতে ভুলে গেছে। আমরা সবাই ভয় মুখ করে ওয়াশরুমের দিকে গেলাম। সেখানে দেখি অনেক ছাত্র-ছাত্রী জড়ো হয়ে আছে। আমরা ভিড় ঠেলে ঢুক গিলে কোনমতে সামনে গিয়ে দেখলাম
একটা কঙ্কাল ঝুলছে!!
আমাদের আর বুঝতে বাকি রইল না ওইটা কার কঙ্কাল!
আর নিচে তার রক্তে লেখা চিঠিতে যা ছিল তা ভাবা তো দূর কখনো কল্পনা করতে পারেনি।
মিতার কঙ্কালের ঠিক নিচে একটি চিঠি ছিল। আমি তাড়াতাড়ি ভিড় ঠেলে চিঠিটি হাতে নিলাম। বাকিরা দূরে থেকে ভয় ও আতঙ্কে কান্না করতে লাগলো। চিঠিতে লেখা ছিল, "এ রক্ত স্বাধহীন নয়"
অপর পৃষ্ঠায় লেখা ছিল," তোদের কবর আমার মতই হবে।"
আমি জলদি চিঠিটা লুকিয়ে রাখলাম। আমার জামা লাল হয়ে যাচ্ছিল। হেড সারসহ বাকি স্যারেরা এলেন। তিনি পুলিশকে কল করতে যাচ্ছিলেন কিন্তু আমাদের ক্লাস টিচার লতিফ মিয়া বাধা দিয়ে বললেন এ ঘটনা জানাজানি হলে স্কুলের খুব বদনাম হবে। তার চেয়ে ভালো পেছনের কবরস্থানে জানাজা পড়ে কবর দিয়ে দেওয়া হোক।কিন্তু সাইন্সের টিচার জুয়েল স্যার বললেন একটা লাশ তো কয়দিনে পচে যেতে পারে না।আর তার মা-বাবাকেও তো খবর দেওয়া দরকার। হেড স্যার হালকা মাথা ঝাকালেন এবং বললেন ওর মা-বাবা এতদিন ওর খোঁজ খবর নিতে আসেনি কেন?
সানি বলল স্যার মিতারা তো এখানে ভাড়া থাকে। ওদের দেশের বাড়ি তো অনেক দূরে। লতিফ স্যার দুইজন ছাত্রীকে মিতার বাড়ি পাঠালেন।হেড স্যার নিষেধ করলেন এই ঘটনা যাতে কোথাও জানাজানি না হয়।সবাই ধরাধরি করে মিতার কঙ্কাল নিচে নামাতে চাইছিল কিন্তু অদ্ভুত ভাবে তার কঙ্কাল এত বেশি ভারী হয়ে গেছিল যে কেউ তুলতে পারছিল না।আমি ব্যাপারটা আচ করতে পেরে ওর কোমরে ধরলাম এবং সানি রুমি আর ফারিয়া ওর হাতে পায়ে ধরে অফিস রুমে নিয়ে গেলাম।সেখানে চাদর দিয়ে ঢাকা হল তাকে। ইতিমধ্যে সেই দুইজন আসলো আর বলল ওরা যে বাসায় থাকতো সে বাসায় তো তালা মারা।
জুয়েল স্যার জিজ্ঞেস করলেন 'আশেপাশে কোন বাড়ি ছিল না?'
তারা বলল,না। জুয়েল স্যার বললেন আমাদের সাইন্স রুমে তাকে নিয়ে চলো। ওই রুমটা বড় আর ছোট করে ছেলেরা জানাজা পড়ে নিব। সব স্যারেরা তাদের সম্মত হলেন কারণ বাইরে মাঠে পড়লে জানাজানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওর লাশ সাইন্স রুমে নেওয়া হলো আর স্কুলের প্রথম দিন হওয়ায় আজ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী রকম ছিল। আমরা বাইরে বসে কান্না করতে লাগলাম কিন্তু আমার ভেতরে অন্য ভয়ও কাজ করছিল। পকেটের দিকে তাকিয়ে দেখলাম চিঠিটা থেকে যেন এখনো রক্ত পড়ছে। সবকিছুই কেমন অদ্ভুত লাগছে। এরই মধ্যে মিতাকে বাইরে নিয়ে আসা হলো এবং স্কুলের পেছনের কবরস্থানে কবর দেওয়া হল।কিন্তু সোহেল আর শফিক স্যার বললেন নামানোর সময় কঙ্কালটা নাকি বেশি হালকা লাগছিল। সে যাই হোক সেদিনকার মত স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হলো। আমি সানি রুমি আর ফারিয়া কিছুক্ষণ একসাথে
সানি চিৎকার দিয়ে বলল," কঙ্কাল, কঙ্কাল" আমরা জিজ্ঞেস করলাম,' কিসের কঙ্কাল?'
কিন্তু কিছু না বলেই সানি মাথা ঘুরে পড়ে গেল। আমরা সবাই ওকে মাটিতে পড়ার আগেই ধরে ফেললাম। সে কিছুক্ষণ পরে হুসে ফিরে আসলো। হুশ ফিরে সাথে সাথে বলল,ভিতরে
ভিতরে দুইটা কঙ্কাল ঝুলছে। বলে আবার অজ্ঞান হয়ে গেল। রুমি এমনিতেই ভীতু আর সানি বারবার করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় সে কান্না করতে শুরু করল।এদিকে আধার ঘনিয়ে আসছে। আমি এখানে থাকা নিরাপদ মনে করলাম না। তাই সানিকে তিনজন উঠিয়ে নিয়ে হাটা শুরু করলাম। কিন্তু মিতাদের বাসায় আমরা আগে কখনো আসিনি আর সানি চিনতো শুধু ওদের বাসা।কিন্তু সে তো এখন অজ্ঞান। আমরা তিনজন প্রাণপণে ওকে নিয়ে ছুটতে লাগলাম। কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখলাম একটাই তেঁতুল গাছ ঘুরেফিরে আমরা চারবার অতিক্রম করেছি। এক সময় সবাই ক্লান্ত হয়ে পুকুরের পাড়েই বসলাম এবং রুমি পুকুর থেকে পানি এনে সানির চোখে মুখে দিল। সানি হুশে ফিরে চোখ বড় বড় করে মিতাদের বাড়িটার দিকে তাকালো।
আমরা জিজ্ঞেস করলাম কিসের কঙ্কালের কথা বলছিস তুই? কোথায় দেখেছিস?
সে বলল কঙ্কাল গুলো মনে হয় আমি আগেও কোথাও দেখেছি।কিন্তু কোথায় দেখেছি তা মনে করতে পারছি না। আমি জিজ্ঞেস করলাম কোথায় দেখেছিস তুই মনে কর ভালো করে।সে বলল হ্যাঁ মনে পড়েছে। কয়েকদিন আগে যখন জুয়েল স্যার প্রাইভেট বন্ধ দিলেন তখন তোরা চলে যাওয়ার পর আমি একটা বই আনার জন্য উনার বাড়ির স্টোর রুমে গিয়েছিলাম।আর তখন ওনার আলমারি খুলে দেখলাম চার থেকে পাঁচটা কঙ্কাল ঝুলানো।আমিতো প্রথমে দেখে ভয় পেয়ে যাই।হঠাৎই পেছন থেকে কে জানি খপ করে হাতটা ধরল। দেখি জুয়েল স্যার বেশ রাগী রাগী চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন,যেন চোখ দিয়েই গিলে খাবেন। তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বললেন," তুমি এখানে কি করছো?"আমি বললাম,"স্যার পদার্থবিজ্ঞানের একটা মডেল টেস্ট নিতে এসেছিলাম।"তিনি বললেন আমাকে বললেই তো হতো। আমি বললাম স্যার আপনি খাবার খাচ্ছিলেন তো তাই আর বিরক্ত করিনি। কিন্তু স্যার এতগুলো কঙ্কাল কিসের?
তিনি একটা কৃত্রিম হাসি দিয়ে বললেন,'এগুলো আমার বন্ধু কিছুদিনের জন্য ধার রেখেছিলো আমার কাছে। সে যাই হোক তুমি এখন বাড়ি যাও। আমি পেছনে ফিরে আরেকবার দেখলাম কঙ্কালগুলো।কেমন জানি আসল মনে হল। বুঝাই গেল না যে ওইগুলো প্লাস্টিকের বানানো। আমি জিজ্ঞেস করলাম,'তাহলে এগুলো বলিস নি কেন আমাদের?' সে বলল স্যার
দীর্ঘ আধ ঘন্টা ডাকাডাকি ও চেষ্টার পর সাড়া না পেয়ে বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙো দেখলাম রাফি ওয়াশরুমের আয়নার সামনে স্থির হয়ে দাড়িয়ে আছে। তাকে স্পর্শ করতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।শরীরে তার প্রানের স্পন্দন নেই। তাকে ধরাধরি করে লাইব্রেরিতে নেওয়া হলো। গ্রামের একজন চিকিৎসককে আনা হলে তিনি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে বললেন রাফি মারা গেছে । তার এই আচমকা মৃত্যুতে সবার মুখ আতঙ্কে ছেয়ে যায়। তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার । সেখানে বলা হয় সে নাকি বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে মারা গেছে। কিন্তু ওয়াশরুমের বিদ্যুৎের সুইচ তো অনেক উপরে, রাফি তো অতটা লম্বা নয়। আর রাফির সাথে থাকা বই কোথায় ?
স্কুলে গুঞ্জন ছড়ে গেলো মিতার আত্মাই রাফিকে থেকে ফেলেছে। সবাই ওয়াশরুম থেকে কয়েক হাতের দূরত্ব বজায় রাখলো । হেডস্যার পড়লেন মহা-চিন্তায়।
এদিকে রাফির মা-বাবা পুলিশে কেস করলেন। পুলিশ এসে ওয়াশরুমের চারপাশ পরীক্ষা করে গেলেন এবং বললেন পুনরায় এসে জলদিই পদক্ষেপ নিবেন । রাফিকে জানাজা শেষে স্কুলের পেছনের কবরস্থানে দাফন করা হলো।(আমাদের গ্রামে কবরস্থান ঐ একটাই )
আমাদের ক্লাস ক্যাপ্টেন নিরব সবাইকে ছুটির পর আমতলায় একত্রিত হতে বললো । আমরা সবাই একে অপরকে এভাবে ডাকার কারণ জানতে চাইলাম কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারলো না। যথাসময়ে আমরা একত্রিত হলাম |নিরব বললো, "বন্ধুগণ এভাবে ২ জন আমাদের চোখের সামনে থেকে চলে গেলো। এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না। সানি বললো, এইসব তো আমাদের চোখের সামনে ঘটছে না। যদি কোন মানুষ এইসব করে থাকতো তাহলে তাকে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করতে হতো।সবাই সমস্বরে বললো, মিতাই এইসব করছে। সে তো আর জীবিত নেই, তার আত্মার সাথে লড়বো কিভাবে? তার চেয়ে ভালো আমরা স্কুল ছেড়েই চলে যাবো | অনেকেই স্কুল ছাড়ার পক্ষে মতামত দিলো এবং আস্তে আস্তে সরে পড়লো। কিন্তু আমরা ৩০ জন সিদ্ধান্ত নিলাম যাই হোক না কেনো এই স্কুল আমরা ছাড়বো না । দরকার পরে জীবন দেব, সবাই হাত এক করলাম, আমরা সিদ্ধান্ত করে নিলাম ওয়াশরুমটা আরেকটু ভালো দেখবো। তাই আমি, নিরব আর সানি ওয়াশরুমের ভিতরটা দেখতে খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলাম। তেমন কিছুই পরিবর্তন দেখলাম না তবে খেয়াল করলাম ক্লাসটিচার লতিফ স্যার লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছেন আমাদের । ব্যাপারটা আঁচ করতে পেরে বললাম স্যার কিছু খুঁজছেন ? স্যার হঠাৎ করেই ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল
সব দিক দিয়ে অসহায় হয়ে গেছিলাম এমন সময় দরজার পেছন থেকে সানি অতর্কিত ওদের উপর ঝাপিয়ে পড়ল। আর তারপর একজনকে মাথায় আঘাত করে কাবু করে ফেলল। বাকি ১০ জন একসাথে হামলা করলে সে তাদের সামলাতে হিমশিম খেয়ে গেল। ফারিয়া আর রুমি রান্নাঘর থেকে দৌড়ে বটি ও ফল কাটার ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো ওদের উপর ।আমাকে যে ছুরি দিয়ে ধরেছিল তার মাথায় বাড়ি দিয়ে অজ্ঞান করে ফেললেন লতিফ স্যার। মুহূর্তে এই পরিস্থিতি পাল্টে গেল। কিন্তু বয়স্ক লোকটা পকেট থেকে গুলি বের করে ফায়ার করতেই আমরা ভয় পেয়ে যাই। তিনি স্যারের মাথায় নল ঠেকিয়ে সবাইকে লাইনে দাঁড়াতে বলেন। আমরা লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হলাম। তারা আমাদের অস্ত্রগুলো কেড়ে নেয় ।কিন্তু ছুরিটা আমি গোপনে লুকিয়ে রাখি। আমাদের চোখ এবং হাত বেঁধে দেয়। দূর থেকে একদল লোকের হাঁটার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। তাদের একজন ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিল। মনে হলো যেন আমার বন্ধুরাই আসছে। বয়স্ক লোকটা সবাইকে ইশারায় চুপ থাকতে বলল ।আমার বন্ধুরা এসে দরজা বন্ধ পেয়ে খুব জোরে ধাক্কাতে লাগলো। আমি জোরে বাচাও বলতে গেলে 'বা' শব্দটাই মুখ দিয়ে বের হল। পেছন থেকে বন্দুক দিয়ে মাথায় বাড়ি মারল কেউ। ব্যাস তারপর আর কিছু মনে নেই।
জ্ঞান ফিরলে ঘার উঁচু করতে কষ্ট হচ্ছিল;চোখে আবছা আবছা দেখতে পারছিলাম । সানি বলল স্যার ওর জ্ঞান ফিরেছে, জ্ঞান ফিরেছে। সবাই আমাকে গোল করে বসলো ।তাদের হাত পেছন দিয়ে বাধা ।নাড়াচড়া করতে গিয়ে দেখলাম আমারও হাত বাধা ।আমি জিজ্ঞেস করলাম আমার কি হয়েছিল ?
রুমি বলল ,'যখন তুই চিৎকার করতে গেলি তখন বয়স্ক লোকটা তোর মাথায় বন্দুক দিয়া আঘাত করে। তখন তুই অজ্ঞান হয়ে যাস। তারপর বয়স্ক লোকটা বলল ওদের এখানে রাখা নিরাপদ নয় তারপর তারা আমাদের কোথায় দিয়ে নিয়ে আসলো জানিনা।
যখন চোখ খুলল আমরা এই গর্তে নিজেদের আবিষ্কার করলাম ।তারপর সেই কাশির শব্দটা আবারো শুনতে পেলাম । আমাদের কাছে সেই বয়স্ক লোকটা এলো ।
তিনি বললেন মাস্টার মশাই আপনি নিজে তো আমাদের পিছে লেগেছেনি আবার এই ছোকরাগুলোকেও লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন আপনাদের সবাইকে ম র তে হবে ।লতিফ স্যার বললেন আমাকে মেরে ফেলো কিন্তু এই বাচ্চাদের ছেড়ে দাও। ওরা তো এখনো ছোট লোকটি বলল, ছোট!এরা প্রত্যেকদিন আমাদের উপর নজরদারি করত ।এদের বাঁচিয়ে রাখলে আমাদের বিপদ। তাই কাউকেই ছাড়বো না।
অপেক্ষা করতে থাকুন মৃত্যুর জন্য
keyward
vuter golpo,ছুটির ঘণ্টা,ভুতের গল্প,সেরা ভুতের গল্প,বাংলা ভুতের গল্প,bangla vuter golpo,
Tags
ভুতের গল্প