প্রেম নিয়ে কিছু বিখ্যাত ব্যাক্তিদের ২০০+ উক্তি

 প্রেম নিয়ে কিছু বিখ্যাত ব্যাক্তিদের  ২০০+ উক্তি 




প্রেম নিয়ে  উক্তি


(২০১) "সব মানুষ ভালোবাসা অনুভব করে।"

(২০২) ভালবাসার রূপ ভিন্ন । মানুষ যেমন দেখে সেইরকম করে প্রকাশ করে । "যে ভালবাসা যত গোপন, সেই ভালবাসা তত গভীর "

(২০৩) একটি স্থাপত্যকর্ম সম্পর্কেই আমার কোনো আপত্তি নেই, তার কোনো সংস্কারও আমি অনুমোদন করি না। স্থাপত্যকর্মটি হচ্ছে নারীদেহ।-- হুমায়ূন আজাদ

(২০৪) সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, তোমাকে শুধু এমন একজন কে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে-- হুমায়ূন আহমেদ

(২০৫) পুরস্কার অনেকটা প্রেমের মতো; দু-একবার পাওয়া খুবই দরকার, এর বেশি পাওয়া লাম্পট্য-- হুমায়ূন আজাদ

(২০৬) প্রতিটি সার্থক প্রেমের কবিতা বলতে বোঝায় যে কবি প্রেমিকাকে পায় নি, প্রতিটি ব্যর্থ প্রেমের কবিতা বোঝায় যে কবি প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে-- হুমায়ূন আজাদ

(২০৭) যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী-- হুমায়ূন আহমেদ

(২০৮) যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না-- হুমায়ূন আহমেদ

(২০৯) গার্লফ্রেন্ড বিহীন তরুনের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা, ঘাসবিহীন মাঠে গরুর পায়চারির মত-- হুমায়ূন আহমেদ

(২১০) প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকলে রস নিবিড় হয় না-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২১১) প্রেমের কি সাধ আছে বল নিন্দার কাটা যদি না বিধিল গায়ে-- লালন

(২১২) কলঙ্ক না লাগে যদি ভালোবেসে লাগে কি ভালো-- লালন

(২১৩) পুঁজিবাদী পর্বের সবচেয়ে বড়ো ও জনপ্রিয় কুসংস্কারের নাম প্রেম-- হুমায়ূন আজাদ

(২১৪) শাশ্বত প্রেম হচ্ছে একজনের শরীরে ঢুকে আরেকজনকে স্বপ্ন দেখা-- হুমায়ূন আজাদ

(২১৫) আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপ রে,আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপ রে আরে দিলের চক্ষে চাহিয়া দেখ বন্ধুয়ার স্বরূপ রে-- হাসন রাজা

(২১৬) আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়; একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং অপরটি হচ্ছে প্রেম-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২১৭) স্বামীরা প্রেমিক হতে অবশ্যই রাজি, তবে সেটা নিজের স্ত্রীর সাথে নয়। নিজের স্ত্রীর প্রেমিক হবার বিষয়টা কেন যেন তারা ভাবতেই চায় না-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২১৮) ভালবাসা যা দেয়, তার চেয়ে বেশি কেড়ে নেয় !-- টেনিসন

(২১৯) প্রেমহণি হৃদয় কী পদবাচ্য মুরুভুমিকে কি নন্দনকানন বলা উচিত?-- নজম নদভি

(২২০) মিলন হইতে দেরী বরঞ্চ বিরহ ভাল, দেখিব বলিয়া আশা থাকে চিরকাল-- গোবিন্দচন্দ্র দাস

(২২১) আমার তৃষ্ণা তোমার সুধা তোমার তৃপ্তি আমার সুধা-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২২২) এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে-- হুমায়ূন আহমেদ

(২২৩) পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।-- হুমায়ূন আহমেদ

(২২৪) কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।-- হুমায়ূন আহমেদ

(২২৫) গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা।-- হুমায়ূন আহমেদ

(২২৬) চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম।-- হুমায়ূন আহমেদ

(২২৭) মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও অতিক্রম করে যায়!-- হুমায়ূন আহমেদ

(২২৮) ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।-- হুমায়ূন আহমেদ

(২২৯) ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৩০) বিশ্বের সবচেয়ে অজ্ঞেয় বিষয় তা বোধগম্য হয় না-- অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

(২৩১) তোমার হৃদয়ের যতটা আমাকে দিতে পার তার বেশি তো আমি চাইতে পারি না-- ফিওদর দস্তয়োভস্কি

(২৩২) প্রেম হচ্ছে নিরন্তর অনিশ্চয়তা; বিয়ে ও সংসার হচ্ছে চূড়ান্ত নিশ্চিন্তির মধ্যে আহার, নিদ্রা, সঙ্গম, সন্তান, ও শয়তানি-- হুমায়ূন আজাদ

(২৩৩) যে মানুষটিকে তুমি দেখছো তাকেই যদি ভালো না বাসতে পারো, তবে তুমি কিভাবে ঈশ্বরকে ভালোবাসবে যাকে তুমি কোনদিন দেখোই নি?-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৩৪) সুন্দর মনের থেকে সুন্দর শরীর অনেক আকর্ষনীয়। কিন্তু ভন্ডরা বলেন উলটো কথা-- হুমায়ূন আজাদ

(২৩৫) অধিকাংশ রূপসীর হাসির শোভা মাংসপেশির কৃতিত্ব, হৃদয়ের কৃতিত্ব নয়-- হুমায়ূন আজাদ

(২৩৬) আমাদের মধ্যে সবাই সব বড় কাজ গুলো করতে পারবে তানা, কিন্তু আমরা অনেক ছোট কাজ গুলো করতে পারি আমাদের অনেক বেশী ভালবাসা দিয়ে।-- মাদার তেরেসা

(২৩৭) পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমেরমত সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথমযৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২৩৮) ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে, কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে। হয়ত খুবই অল্প সময়ের জন্য, অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে, আর না হয় সব সময়ের জন্য। তবে প্রেমে তারা পড়বেই।-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৩৯) ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন সত্যি সত্যি ভালবেসে ফেলে তারা তা নিজেও জানেনা। মেয়েরা সত্যিকার ভালবাসতে বাসতে যে কখন অভিনয় শুরু করে তারা তা নিজেও জানেনা।-- সমরেশ মজুমদার

(২৪০) ভালোবাসা হচ্ছে একধরনের মায়া যেখানে পুরুষ এক নারীকে অন্য নারী থেকে আলাদা করে দেখে আর নারী এক পুরুষকে অন্য পুরুষ থেকে আলাদা করে দেখে-- লুইস ম্যাকেন
(২৪১) ভালোবাসা হচ্ছে একটা আদর্শ ব্যাপার আর বিয়ে হচ্ছে বাস্তব। আদর্শ ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব তাই কখনো নিষ্পত্তি হবে না।-- গেটো

(২৪২) ভালোবাসায় পতনের জন্য কোনোভাবেই আমরা মহাকর্ষ-অভিকর্ষকে দায়ী করতে পারি না-- অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

(২৪৩) প্রেমের বেলায় ঘন্টার অনুপস্থিতিকে মাস, দিনের অনুপস্থিতিকে বছর ও অল্প সময়ের অনুপস্থিতিকে অনন্তকাল সময়ের অনুপস্থিতি বলে মনে হয় --প্রবাদ

(২৪৪) একজন নারী হয় ভালবাসে অথবা ঘৃণা করে, এছাড়া জানে না তৃতীয় কোন পন্থা --পিউবিলিয়াস সিরাস

(২৪৫) একমাত্র প্রেমেই বিয়েকে পবিত্র করতে পারে। আর একমাত্র অকৃত্রিম বিয়ে হচ্ছে সেটাই, যেটা প্রেমের দ্বারা পবিত্রকৃত।--লিও টলষ্টয়

(২৪৬) ভালবাসতে শেখ, ভালবাসা দিতে শেখ। তাহলে তোমার জীবনে ভালবাসার অভার হবেনা।--টমাস কুলার

(২৪৭) যাকে ভালবাস তাকে চোখের আড়াল করোনা-- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

(২৪৮) একমাত্র ভালবাসা সারাতে পারে সব রোগ-- গতিয়ে

(২৪৯) পাখিরা বাসা বাধে লতা পাতা দিয়ে, আর মানুষ বাধে ভালবাসা দিয়ে।-- মুঃ ইসহাক কোরেশী

(২৫০) মানুষের জীবন হলো একটি ফুল, আর ভালবাসা হলো মধুস্বরুপ-- ভিক্টর হোগো

(২৫১) ভালবাসা দিয়ে মরুভুমিতে ফুল ফোটানো যায়-- ডেভিসবস

(২৫২) ভালবাসা হৃদয়ের দরজা মুহুর্তেই খুলে দেয়-- টমাস মিল্টন

(২৫৩) ভালবাসা হচ্ছে জীবনের বন্ধু-- জেমস হাওয়েল

(২৫৪) ভালবাসার নদীতে জোয়ার ভাটা আছে--জন হে

(২৫৫) গভীর ভালবাসার কোন ছিদ্রপথ নেই--জর্জ হেইড

(২৫৬) যে ভালবাসে কিন্তু প্রকাশ করে কম সে ভালবাসার ক্ষেত্রে প্রকৃত--জর্জ ডেবিটসন

(২৫৭) ভালবাসা দিয়েই কেবল ভালবাসার ঋণ পরিশোধ করা যায়--আলেকজেন্ডার ব্রাকেন

(২৫৮) ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই--কাজী নজরুল ইসলাম

(২৫৯) ভালবাসা এমন একটি প্লাটফরম যেখানে সব মানুষ দাড়াতে পারে-- টমাস মিল্টন

(২৬০) অন্ধভাবে কাউকে ভালবাসলে তার ফল শুভ হতে পারেনা--কার্লাইল

(২৬১) সবকিছুর শুরু, মধ্য এবং অন্তই হচ্ছে প্রেম।--নফডেয়ার

(২৬২) প্রেম হল মানসিক ব্যাধি-- প্লেটো

(২৬৩) বারবার একই ব্যাক্তির প্রেমে পড়া সার্থক প্রেমের নিদর্শন-- ব্রোটন

(২৬৪) জীবনকে ঘৃণা কোরোনা ভালোবাসতে শেখো। ভালোবাসা দিয়ে এবং ভালোবাসা পেয়ে তোমার জীবনকে স্বর্গীয় সুষমায় উদভাসিত করে তালো।--মিলটন

(২৬৫) ক্ষমাই যদি করতে না পারো, তবে তাকে ভালোবাসো কেন?-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২৬৬) বয়স ভালোবাসার মতো লুকিয়ে রাখা যায় না-- টমাস ডেক্কার

(২৬৭) জীবনকে ঘৃণা কোরো না জীবন কে ভালবাসতে শেখো। ভালবাসা দিয়ে এবং ভালবাসা পেয়ে তোমার ক্ষণিক জীবন স্বর্গীয় সুষমায় উদ্ভাসিত করে তোল।--জন মিলটন

(২৬৮) ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি।-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৬৯) মেয়েরা প্রথমবার যার প্রেমে পড়ে তাকে ঘৃনা করলেও ভুলে যেতে পারে না। পরিষ্কার জল কাগজে পড়লে দেখবেন শুকিয়ে যাওয়ার পড়েও দাগ রেখে যায়।-- সমরেশ মজুমদার

(২৭০) প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২৭১) পদ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম প্রেম বলে কিছু নেই। মানুষ যখন প্রেমে পরে তখন প্রতিটি প্রেমই প্রথম প্রেম।-- হুমায়ূন আজাদ

(২৭২) প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন-- কাজী নজরুল ইসলাম

(২৭৩) ভালোবাসাটা হচ্ছে একধরনের প্রতিজ্ঞা-- কৃষণ চন্দর

(২৭৪) যৌবনে যার প্রেম হল না তার জীবন বৃথা-- শংকর

(২৭৫) কারও কারও জীবনে বসন্ত নিভৃতে আসে বাইরে প্রকাশ পায় না। তার আমেজে সে নিজেই পুলকিত হয়।-- জন ফ্রেচার

(২৭৬) গিন্নির চেয়ে শালী ভালো-- কাজী নজরুল ইসলাম

(২৭৭) ভালোবাসা যখন পরিতৃপ্ত হয় তখন তার মাধুর্য অনেক কমে যায়-- আব্রাহাম কাওলে

(২৭৮) দিতে পারো একশ ফানুশ এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুশ উড়াই-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৭৯) গোলাপ-বন্দুক-সংবিধান ইত্যাদি ব্যবস্থার সাথে খাপ না খাওয়ায় ধীরে ধীরে হ’য়ে উঠছি আমি-কবি-- হুমায়ূন আজাদ

(২৮০) যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি-- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

(২৮১) সুন্দরীদের বোকা বোকা কথাও স্বর্গীয় বাণীর সমতুল্য-- কৃষণ চন্দর

(২৮২) ভালোবাসা কথাটা বিবাহ কথার চেয়ে আরো বেশি জ্যান্ত-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২৮৩) ক্ষুদ্রকে লইয়াই বৃহৎ, সীমাকে লইয়াই অসীম, প্রেমকে লইয়াই মুক্তি। প্রেমের আলো যখনই পাই তখনই যেখানে চোখ মেলি সেখানেই দেখি, সীমার মধ্যে সীমা নাই।-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(২৮৪) ভালো আছি, ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ-- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

(২৮৫) আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে-- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

(২৮৬) কোথাও কাউকে ছাড়া আটকে থাকেনা কোন কিছু কেবল তোমাকে ছাড়া বরফের স্তূপে, সম্পূর্ণ আটকে যায় আমার জাহাজ-- মহাদেব সাহা

(২৮৭) ছেলেদের জন্য পৃথিবীতে সব চাইতে মূল্যবান হল মেয়েদের হাসি-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৮৮) ভাসিয়ে দেবার প্রবণতা প্রকৃতির ভেতর আছে। সে জোছনা দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, বৃষ্টি দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, তুষারপাত দিয়ে ভাসিয়ে দেয়। আবার প্রবল প্রেম, প্রবল বেদনা দিয়েও তার সৃষ্টজগৎকে ভাসিয়ে দেয়-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৮৯) সব পাখি জোড়ায় জোড়ায় ওড়ে। পক্ষীকুলে শুধুমাত্র চিলকেই নিঃসঙ্গ উড়তে দেখা যায়। নিঃসঙ্গতার আনন্দের সাথে এই পাখিটার হয়তো বা পরিচয় আছে-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৯০) চমৎকার মেয়েগুলি এমন-এমন জায়গায় থাকে যে ইচ্ছা করলেই হুট করে এদের কাছে যাওয়া যায় না। দূর থেকে এদের দেখে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলতে হয় এবং মনে মনে বলতে হয়, আহা, এরা কী সুখেই না আছে-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৯১) অনেকদিন পর মেয়ে বন্ধুরা একত্রিত হলে একটা দারুণ ব্যাপার হয়। আচমকা সবার বয়স কমে যায়। প্রতিনিয়ত মনে হয় বেঁচে থাকাটা কি দারুণ সুখের ব্যাপার-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৯২) ভালোবাসা যদি তরল পানির মত কোন বস্তু হত, তাহলে সেই ভালোবাসায় সমস্ত পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমন কি হিমালয় পর্বতও-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৯৩) হুট করে প্রেম হয় কনজারভেটিভ ফ্যামিলিগুলোতে। ঐ সব ফ্যামিলির মেয়েরা পুরুষদের সঙ্গে মিশতে পারে না, হঠাৎ যদি সুযোগ ঘটে যায়- তাহলেই বড়শিতে আটকে গেল-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৯৪) মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত। কখন যে এই মেয়েটি মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছে, নিজেই বুঝতে পারেন নি-- হুমায়ূন আহমেদ

(২৯৫) আসিবে তুমি জানি প্রিয় আনন্দে বনে বসন্ত এলো ভুবন হল সরসা, প্রিয়-দরশা, মনোহর। বনানতে পবন অশান্ত হল তাই কোকিল কুহরে, ঝরে গিরি নির্ঝরিণী ঝর ঝর-- কাজী নজরুল ইসলাম

(২৯৬) গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে – কিশোর কৃষ্ণ দোলে বৃন্দাবনে থির সৌদামিনী রাধিকা দোলে নবীন ঘনশ্যাম সনে; দোলে রাধা শ্যাম ঝুলন-দোলায় দোলে আজি শাওনে-- কাজী নজরুল ইসলাম

(২৯৭) চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার সরসীর আরশিতে ছোটে তরঙ্গ বাসনা ভঙ্গ সে অঙ্গ পরশিতে।-- কাজী নজরুল ইসলাম

(২৯৮) তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ? চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ-- কাজী নজরুল ইসলাম

(২৯৯) কামনা আর প্রেম দুটি হচ্ছে সম্পুর্ণ আলাদা। কামনা একটা প্রবল সাময়িক উত্তেজনা মাত্র আর প্রেম হচ্ছে ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন।-- কাজী নজরুল ইসলাম

(৩০০) মার্কা যদি হয় তোর লাল টুকটুকে ঠোঁট একা আমি দিতে রাজি - ১৬ কোটি ভোট-- প্রীতম আহমেদ
(৩০১) কখনো বাগান, কখনো দিগন্ত কখনো শ্রাবণ, কখনো বসন্ত আমি সেই তোমাকেই খুঁজি -- সংগৃহীত

(৩০২) ভালবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভাল। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়ত বা ভালবাসাটা থাকে,শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালবাসা এই দুয়ের মধ্যে ভালবাসাই হয়ত বেশি প্রিয়।-- হুমায়ূন আহমেদ

(৩০৩) কাউকে সারা জীবন কাছে পেতে চাও? তাহলে প্রেম দিয়ে নয় বন্ধুত্ব দিয়ে আগলে রাখো। কারণ প্রেম একদিন হারিয়ে যাবে কিন্তু বন্ধুত্ব কোনদিন হারায় না-- উইলিয়াম শেক্সপিয়র

(৩০৪) একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা-- হুমায়ূন আহমেদ

(৩০৫) এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায়-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(৩০৬) সমাজ সংসার মিছে সব, মিছে এ জীবনের কলরব। কেবলই আঁখি দিয়ে আঁখির সুধা পিয়ে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব – আঁধারে মিশে গেছে আর সব।।-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(৩০৭) তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন-- কাজী নজরুল ইসলাম

(৩০৮) প্রেমের পরশে প্রত্যেকেই কবি হয়ে ওঠে-- প্লেটো

(৩০৯) প্রেমে পড়লে বোকা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে, বুদ্ধিমান বোকা হয়ে যায়-- স্পুট হাসসুন

(৩১০) ভালোবাসা পাওয়ার চাইতে ভালোবাসা দেওয়াতেই বেশি আনন্দ-- জর্জ চ্যাপম্যান

(৩১১) ভভালোবাসতে শেখ, ভালোবাসা দিতে শেখ তাহলে তোমার জীবনে ভালোবাসার অভাব হবে না-- টমাস ফুলার

(৩১২) কোনো কিছুকে ভালোবাসা হলো সেটি বেঁচে থাক তা চাওয়া-- কনফুসিয়াস

(৩১৩) যখন আপনি কাউকে ভালোবাসেন তখন আপনার জমিয়ে রাখা সব ইচ্ছেগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে-- এলিজাবেথ বাওয়েন

(৩১৪) ভালোবাসা যখন অবদমিত হয়, তার জায়গা দখল করে ঘৃণা-- হ্যাভনক এলিস

(৩১৫) তুমি তা জানো না কিছু, না জানিলে- আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে! যখন ঝরিয়া যাব হেমন্তের ঝড়ে, পথের পাতার মতো তুমিও তখন আমার বুকের ‘পরে শুয়ে রবে?-- জীবনানন্দ দাশ

(৩১৬) অলির ও কথা শুনে বকুল হাসে কই তাহার মত তুমি আমার কথা শুনে হাসো না তো। ধরার ও ধুলিতে যে ফাগুন আসে কই তাহার মত তুমি আমার কাছে কভু আসো না তো।-- হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

(৩১৭) অভিমানী প্রেমিকা ভুলে যায় যে প্রেমিকেরও অভিমান হতে পারে-- সংগৃহীত

(৩১৮) প্রেমের নাম বেদনা, সে কথা তো বুঝিনি আগে। দুটি প্রানের সাধনা, কেন যে বিদূর লাগে।-- সংগৃহীত

(৩১৯) তোমারে লেগেছে এত যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে, রাতের বাসরে দোসর হয়ে তাই সে আমারে টানে।।-- কে. জি. মুস্তফা

(৩২০) আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন-কতদিন আমিও তোমাকে খুঁজি নাকো;- এক নক্ষত্রের নিচে তবু – একই আলো পৃথিবীর পারে আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়, প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়...-- জীবনানন্দ দাশ

(৩২১) ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলাল,- ডালিম ফুলের মতো ঠোঁট যার রাঙা, আপেলের মতো লাল যার গাল, চুল যার শাঙনের মেঘ, আর আঁখি গোধূলির মতো গোলাপী রঙিন, আমি দেখিয়াছি তারে ঘুমপথে, স্বপ্নে-কত দিন!-- জীবনানন্দ দাশ

(৩২২) পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে; পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে; পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু-জনার মনে; আকাশ ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে আকাশে আকাশে-- জীবনানন্দ দাশ

(৩২৩) শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, ঐ আনন্দে কেটে যাবে সহস্র জীবন-- নির্মলেন্দু গুণ

(৩২৪) শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, অহংকারে মুছে যাবে সকল দীনতা-- নির্মলেন্দু গুণ

(৩২৫) শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, স্পর্শসুখে লিখা হবে অজস্র কবিতা-- নির্মলেন্দু গুণ

(৩২৬) শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, শুধু একবার পেতে চাই অমৃত আস্বাদ-- নির্মলেন্দু গুণ

(৩২৭) শুধু তোমাকে একবার ছোঁব, তারপর হব ইতিহাস-- নির্মলেন্দু গুণ

(৩২৮) চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের’পর হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা-- জীবনানন্দ দাশ

(৩২৯) সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর, তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‌‌‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’ পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন-- জীবনানন্দ দাশ

(৩৩০) তুমি মুখ তুলে তাকাওনি বলে রৌদ্রদগ্ধ হয়ে গেছে হৃদয়ের ঘন বনাঞ্চল বর্ষণ-অভাবে সেখানে দিয়েছে দেখা ব্যধি ও মড়ক, একমাত্র তুমি মুখ তুলে তাকাওনি বলে এই গ্লানি এই পরাজয়-- মহাদেব সাহা

(৩৩১) চোখে তার যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার! স্তন তার করুণ শঙ্খের মতো–দুধে আর্দ্র-কবেকার শঙ্খিনীমালার!-- জীবনানন্দ দাশ

(৩৩২) প্রেম হল সিগারেটের মতো, যার আরাম্ভ হল অগ্নি দিয়ে আর শেষ পরিনতি ছাইয়েতে-- জর্জ বার্নার্ড শ

(৩৩৩) হে বর্ষা, এত বেশী ঝরোনা যে আমার প্রেয়সী আমার কাছে আসতে না পারে। ও এসে যাওয়ার পর এত মুষলধারায় ঝরো যেন ও যেতেই না পারে।-- সংগৃহীত

(৩৩৪) হিসাব নিকাস করে ব্যবসা হয়, ভালোবাসা হয় না-- সংগৃহীত

(৩৩৫) যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়-- হুমায়ূন আহমেদ

(৩৩৬) প্রেমে-পড়া আর রাজনীতি করার মধ্যে মেটাফরিক মিল খুঁজে পাই; তারুণ্যে প্রেমে পড়ে সুন্দর মুখ দেখে, আর তরুণোত্তীর্ণে শরীর দেখে; তেমনি তরুন বয়সে রাজনীতি করে আদর্শ দেখে আর বার্ধক্যে এসে মন্ত্রীত্ব দেখে।-- সংগৃহীত

(৩৩৭) ভালোবাসা নিজেই তার ক্ষেত্রেবিচারের পথ করে নেয় -- টমাস মিডল্টন

(৩৩৮) ভালোবাসা রঙিন প্রজাপতির মতো উড়ে উড়ে ছন্দ তুলে যায়। কিন্তু চলে যাওয়া মাত্রই সেখানে এক বিবর্ন বিষণ্নতা নেমে আসে।-- জন ম্যান্সফিল্ড

(৩৩৯) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয়। সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(৩৪০) আমি তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালবেসেছি, অসংখ্যবার ভালবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(৩৪১) সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকেনা - তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(৩৪২) চিঠি লেখার প্রতিভা সবচেয়ে বিকশিত হয় প্রেমে পড়লে। প্রেমপত্র তাই সবদেশে এত আদরের।-- শংকর

(৩৪৩) আমার অভাব যদি তুমি বুঝতে না পার তবে তোমার সাথে আমার বন্ধন কখনো দৃঢ় হবে না-- কালস্যান্ডবার্গ

(৩৪৪) ভালোবাসার চোখকে ফাকি দেওয়া যায় না--জন ক্রাউন

(৩৪৫) ধোয়া টাকা আর প্রেম কিছুতেই চেপে রাখা যায় না। ঠিক ফুটে বেরুবেই।-- শংকর

(৩৪৬) প্রেম একটি লাল গোলাপ-- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

(৩৪৭) ভালোবাসা দীন ভিখারিকেও রাজা করে-- নিমাই ভট্টাচার্য

(৩৪৮) তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা, কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা।-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(৩৪৯) স্বার্থসিদ্ধির চরমতম অভিব্যক্তি প্রেম-- ব্রুক জ্যাকসন

(৩৫০) লুকোচুরিই তো প্রেমের রোমান্স। প্রেম যেদিন স্বীকৃতি পেয়ে যায় সেদিন থেকেই প্রেমের মজাও নষ্ট হয়ে যায়।-- আশুতোষ মুখোপাধ্যায়

(৩৫১) যায় যদি লুপ্ত হয়ে থাকে শুধু থাক এক বিন্দু নয়নের জল কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল এ তাজমহল-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(৩৫২) অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গন্ডারের মত। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে এই গন্ডারকে সামলানো যায় না।-- হুমায়ূন আহমেদ

(৩৫৩) বধু তোমার গরবে গরবিনী নাম রুপসী তোমার রুপে হেন মনে হয় ও দুটি চরণ সদা নিয়ে রাখি বুকে--জ্ঞানদাস

(৩৫৪) ছোট ছোট বিচ্ছেদ প্রেমকে গভীর করে আর দীর্ঘ বিচ্ছেদ প্রেমকে হত্যা করে--মিরবো

(৩৫৫) বেশি কিছু আশা করা ভুল বুঝলাম আমি এতদিনে।। মুক্তি মেলে না সহজে জড়ালে হৃদয় কোনো ঋণে।।-- সংগৃহীত

(৩৫৬) কে তুমি আমারে ডাকো অলখে লুকায়ে থাকো ফিরে ফিরে চাই দেখিতে না পাই--গৌরী প্রসন্ন মজুমদার

(৩৫৭) মনে তো পড়ে না তবুও যে মনে পড়ে হাসিতে গেলেই কেন হৃদয় আঁধারে ভরে সমুখের পথে যেতে পিছনে টানিয়া রাখো-- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার

(৩৫৮) নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশে চুপি চুপি বাঁশি বাজে বাতাস্‌ বাতাসে নিশি রাত – বাঁকা চাঁদ আকাশে চুপি চুপি বাঁশি বাজে বাতাসে, বাতাসে-- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার

(৩৫৯) এ জীবনে যতটুকো চেয়েছি মন বলে তার বেশি পেয়েছি, পেয়েছি-- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার

(৩৬০) যদি হিমালয় আল্পসের সমস্ত জমাট বরফ একদিন গলেও যায়, তবুও তুমি আমার যদি নায়াগ্রা জলপ্রপাত একদিন সাহারের কাছে চলেও যায় তবুও তুমি আমার-- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
(৩৬১) যদি প্রশান্ত মহাসাগরে একফোটা জল আর নাও থাকে যদি গঙ্গা-ভলগা-হোয়াংহো নিজেদের শুকিয়েও রাখে যদি ভিসুভিয়াস-ফুজিয়ামা একদিন জ্বলতে জ্বলতে জ্বলেও যায় তবুও তুমি আমার-- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার

(৩৬২) যদি পৃথিবীকে ধ্বংস করতে একদিন তৃতীয় মহাযুদ্ধও বাঁধে যদি নিভেও যায় কোনদিন যতটুকু আলো আছে ওই সূর্য আর চাদেঁ যদি সাইবেরিয়ার তুষারে কখনও সবুজ ফসল ফলেও যায় তবুও তুমি আমার-- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার

(৩৬৩) এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু।। কোন রক্তিম পলাশের স্বপ্ন মোর অন্তরে ছড়ালে গো বন্ধু-- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার

(৩৬৪) আমলকি পেয়ালের কুঞ্জে, কিছু মৌমাছি এখনো যে গুঞ্জে জানি কোন সুরে মোরে ভরালে গো বন্ধু-- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার

(৩৬৫) এমন সময় সেই পায়ের মৃদু চাপ। সব সংশয়ের অবসান, সব দুঃখ অন্তর্ধান-- সৈয়দ মুজতবা আলী

(৩৬৬) সমুখে রয়েছে সুধা পারাবার নাগাল না পায় তবু আঁখি তার কেমনে সরাব কুহেলিকার এই বাধা রে-- সৈয়দ মুজতবা আলী

(৩৬৭) তুমিই শুধু ভালোবাসা রাখতে গিয়ে ছড়িয়ে ফেললে চতুর্দিকে অসাবধানে ভালোবাসা ছড়িয়ে ফেললে চতুর্দিকে…-- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

(৩৬৮) স্বপনে কি যে কয়েছি তাই গিয়াছে চলে জাগিয়া কেদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম প্রিয়তম প্রিয়তম।।-- কাজী নজরুল ইসলাম

(৩৬৯) যে প্রেমিক সাহস-মাতঙ্গপরি চড়ি সহিষ্ণুতা দৃঢ়বর্মে সর্বাঙ্গ আবরি, নির্ভয়ে প্রবেশে প্রেম-বিপিন মাঝার, নিরাশা-কন্টক নাহি ফুটে দেহে তার; বিরহ-শার্দুল নারে গ্রাসিবারে তায়, প্রিয়-প্রেম-সুখ-মৃগ দরিতে সে পায়-- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

(৩৭০) আমি মস্তিস্কের সমস্ত জানালা খুলে দাঁড়িয়ে রয়েছি, কেউ আসছে না। না রোদ, না পাখির নেকলেস। কেবল উত্তর পাহাড়ের হিম, ঠান্ডা হাত ছুঁয়ে যাচ্ছে ব্যথিত চিবুক-- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

(৩৭১) বিস্মৃতির বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে রয়েছি একা, কেউ আসছে না। না স্বপ্ন, না ঘুম, কেউ নয়। আঁধারপুরের বাস কতোদূর থেকে তুমি আসো?-- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

(৩৭২) মনে পড়ে কবেকার পাড়াগাঁর অরুণিমা স্যানালের মুখ; উড়ুক উড়ুক তারা পউষের জ্যোৎস্নায় নীরবে উড়ুক কল্পনার হাঁস সব — পৃথিবীর সব ধ্বনি সব রং মুছে গেল পর উড়ুক উড়ুক তারা হৃদয়ের শব্দহীন জোছনার ভিতর-- জীবনানন্দ দাশ

(৩৭৩) বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুনা বলেছিল, যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!-- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

(৩৭৪) দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড় বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টি নীলপদ্ম! তবুও কথা রাখেনি বরুনা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ এখনো সে যে-কোনো নারী!-- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

(৩৭৫) আবার যখনই দেখা হবে, আমি প্রথম সুযোগেই বলে দেব স্ট্রেটকাটঃ ‘ভালোবাসি’। এরকম সত্য-ভাষণে যদি কেঁপে ওঠে, অথবা ঠোঁটের কাছে উচ্চারিত শব্দ থেমে যায়, আমি নখাগ্রে দেখাবো প্রেম, ভালোবাসা, বক্ষ চিরে তোমার প্রতিমা। দেয়ালে টাঙ্গানো কোন প্রথাসিদ্ধ দেবীচিত্র নয়, রক্তের ফ্রেমে বাঁধা হৃদয়ের কাচে দেখবে নিজের মুখে ভালোবাসা ছায়া ফেলিয়াছে-- নির্মলেন্দু গুণ

(৩৭৬) এরকম উন্মোচনে যদি তুমি আনুরাগে মুর্ছা যেতে চাও মূর্ছা যাবে,জাগাবো না,নিজের শরীর দিয়ে কফিন বানাবো-- নির্মলেন্দু গুণ

(৩৭৭) ‘ভালোবাসি’ বলে দেব স্ট্রেটকাট, আবার যখনই দেখা হবে-- নির্মলেন্দু গুণ

(৩৭৮) তোমাকে ভুলতে চেয়ে তাই আরো বেশি ভালোবেসে ফেলি, তোমাকে ঠেলতে গিয়ে দূরে আরো কাছে টেনে নেই যতোই তোমার কাছ থেকে আমি দূরে যেতে চাই ততো মিশে যাই নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে-- মহাদেব সাহা

(৩৭৯) প্রনয়ীর প্রথম পরশ ছুঁয়ে দ্বিধাগ্রস্ত চুপিচুপি চোখের উপকূলে জোয়ারের মতো স্বপ্নালু হেঁটে আসা যে রাত আচ্ছন্ন আকাশের নিচে সে রাত আমার নয়, সে রাত অন্য কারো-- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

(৩৮০) তুমি আমার নিঃসঙ্গতার সতীন হয়েছ !--হেলাল হাফিজ

(৩৮১) তুমি কি জুলেখা, শিরী, সাবিত্রী, নাকি রজকিনী? চিনি, খুব জানি তুমি যার তার, যে কেউ তোমার, তোমাকে দিলাম না – ভালোবাসার অপূর্ব অধিকার--হেলাল হাফিজ

(৩৮২) আমাকে উস্টা মেরে দিব্যি যাচ্ছো চলে, দেখি দেখি বাঁ পায়ের চারু নখে চোট লাগেনি তো; ইস্‌! করছো কি? বসো না লক্ষ্মীটি, ক্ষমার রুমালে মুছে সজীব ক্ষতেই এন্টিসেপটিক দুটো চুমু দিয়ে দেই--হেলাল হাফিজ

(৩৮৩) তোমার হাতে দিয়েছিলাম অথৈ সম্ভাবনা তুমি কি আর অসাধারণ? তোমার যে যন্ত্রনা খুব মামুলী, বেশ করেছো চতুর সুদর্শনা আমার সাথে চুকিয়ে ফেলে চিকন বিড়ম্বনা--হেলাল হাফিজ

(৩৮৪) ভালোবেসেই নাম দিয়েছি ‘তনা’ মন না দিলে ছোবল দিও তুলে বিষের ফণা--হেলাল হাফিজ

(৩৮৫) তোমার জন্য সকাল, দুপুর তোমার জন্য সন্ধ্যা তোমার জন্য সকল গোলাপ এবং রজনীগন্ধা--হেলাল হাফিজ

(৩৮৬) কোনদিন, আচমকা একদিন ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে,- ‘চলো যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই’, যাবে?-- হেলাল হাফিজ

(৩৮৭) আছি। বড্ড জানান দিতে ইচ্ছে করে, – আছি, মনে ও মগজে গুন্‌ গুন্‌ করে প্রণয়ের মৌমাছি-- হেলাল হাফিজ

(৩৮৮) কবির জীবন খেয়ে জীবন ধারণ করে কবিতা এমন এক পিতৃঘাতী শব্দের শরীর, কবি তবু সযত্নে কবিতাকে লালন করেন, যেমন যত্নে রাখে তীর জেনে-শুনে সব জল ভয়াল নদীর-- হেলাল হাফিজ

(৩৮৯) বোকা উদ্ভিদ তবে কি মানুষের কাছে প্রেম চেয়েছিলো? চেয়েছিলো আরো কিছু বেশি-- হেলাল হাফিজ

(৩৯০) কোনো প্রাপ্তিই পূর্ণ প্রাপ্তি নয় কোনো প্রাপ্তির দেয় না পূর্ণ তৃপ্তি সব প্রাপ্তি ও তৃপ্তি লালন করে গোপনে গহীনে তৃষ্ণা তৃষ্ণা তৃষ্ণা-- হেলাল হাফিজ

(৩৯১) তারপর ফেরে, তবু ফেরে, কেউ তো ফেরেই, আর জীবনের পক্ষে দাঁড়ায়, ভালোবাসা যাকে খায় এইভাবে সবটুকু খায়-- হেলাল হাফিজ

(৩৯২) ভালোবাসা মানে, শেষ হয়ে যাওয়া কথার পরেও মুখোমুখি বসে থাকা-- রফিক আজাদ

(৩৯৩) আমর দু’জন দেখি ব’সে ব’সে আকাশ কত না নীল, ছোট পাখি আরো ছোট হ’য়ে যায়- আকাশের মুখে তিল সারাদিন গোলা, সূর্য লুকালো জলের তলার ঘরে, সোনা হ’য়ে জ্বলে পদ্মার জল কালো হ’লো তার পরে--বুদ্ধদেব বসু

(৩৯৪) সন্ধ্যার বুকে তারা ফুটে ওঠে- এবার নামাও পাল গান ধরো, মাঝি; জলের শব্দ ঝুপঝুপ দেবে তাল। ছোকানুর চোখ ঘুমে ঢুলে আসে- আমি ঠিক জেগে আছি, গান গাওয়া হ’লে আমায় অনেক গল্প বলবে, মাঝি?--বুদ্ধদেব বসু

(৩৯৫) নরম কাঁদা একবার পুড়ে যদি ইট হয়ে যায়, তারপর যতই পানি ঢালা হোক না কেন, তা আর গলে না বরং শক্তিশালী হয়। মানুষের মনও একই রকম, একবার কষ্ট পেলে এরপর শত আবেগেও তার কোন পরিবর্তন হয় না।--টার্মস টমাস

(৩৯৬) পথে চলতে পথ চলতে কখনো পিছু থমকে। বার বার শুধু ফিরে চাওয়া বার বার একই গান গাওয়া এটাই বোধ হয় ভালোবাসা এটাই বোধ হয় প্রেম।।-- সংগৃহীত

(৩৯৭) কোনদিন, আচমকা একদিন ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে, "চলো", যেদিকে দু'চোখ যায় চলে যাই, যাবে?-- হেলাল হাফিজ

(৩৯৮) আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান-ভেজা চোখ, আমাকে গ্রহণ করো। উৎসব থেকে ফিরে যাওয়া আমি সেই প্রত্যাখ্যান, আমি সেই অনিচ্ছা নির্বাসন বুকে নেওয়া ঘোলাটে চাঁদ। আমাকে আর কি বেদনা দেখাবে?-- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

(৩৯৯) তপ্ত সীসার মতো পুড়ে পুড়ে একদিন কঠিন হয়েছি শেষে, হয়েছি জমাট শীলা। তবু সেই পাথরের অন্তর থেকে কেঁদে ওঠে একরাশ জলের আকুতি, ঝর্ণার মতো তারা নেমে জেতে চায় কিছু মাটির শরীরে-- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

(৪০০) বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়--শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


প্রেম নিয়ে কিছু বিখ্যাত ব্যাক্তিদের  ২০০+ উক্তি 

প্রেম নিয়ে   ২০০+ উক্তি 

প্রেম নিয়ে উক্তি 

 উক্তি 

bangla  উক্তি 

humayun azad quotes in english

humayun azad kobita

humayun ahmed ukti bangla

badshah namdar quotes

himu rupa caption

bangla uponnash status

quotes

bangla quotes

bangla new quotes

বাংলা quotes

Post a Comment

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال