--তুমি কোনো মানুষ নও ইমন বাবা.... তুমি এক জ্বীন।তাই এই আগুন তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারছে না.....
---আআআ....আপনি কি বলছেন এগুলো??আমি বিশ্বাস করতে পারছি না আপনার কথা হুজুর সাহেব!
---আমি জানি এটা শুনে তোমার বিশ্বাস হবে না,তাই তো আগে প্রমান দিয়ে তারপরে তোমায় কথাটা বললাম।
---প্রমান!!কিসের প্রমাণ....???
---এই যে তুমি আগুনের ভেতরে হাত রাখলে কিছুই হলো না তোমার।এর থেকে উৎকৃষ্ট প্রমাণ আর কি হতে পারে!?!
ইমন কোনো কথা না বলে চুপ করে রইলো....
---কি হলো,, কোনো কথা বলছো না যে!!
---কি বলবো,,আমি নিজেই বুঝতে পারছি না।আমি না আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারছি,, না অবিশ্বাস করতে পারছি। কি করবো আমি এখন আপনিই বলুন।
---দেখো আমার তোমাকে মিথ্যে বলে কি লাভ!!আমার কি বিশেষ কোনো স্বার্থ আছে এটা করে??
---না,, সেটা নেই..... আচ্ছা..... আর একটা কথা আপনি আমার ব্যপারে এতো কিছু কিকরে জানলেন।আমি যদি সত্যি জ্বীন হয়ে থাকি তবে সেটা আপনার নিশ্চয়ই আরো অনেক আগে থেকেই জানা.....তাই না!???
---হ্যাঁ,, আর শুধু আরো আগে থেকে না... অনেক আগে থেকেই জানা আমার। ঠিক তোমার জন্মের আগ থেকে।
----আমার জন্মেরও আগে.... মানে....!!??? সেটা কিভাবে সম্ভব....???
---দেখো বাবা,, এখন আমার মনে হচ্ছে তোমার কাছে আর কিছু লুকিয়ে লাভ নেই।আমি জানি কথাগুলো তোমার কাছে ভীষণ অপ্রিয় লাগতে পারে। তবুও তোমার হিতার্থে সবটা জানানো আমার কর্তব্য।
--আপনি নির্দ্বিধায় বলতে পারেন।কোনো সমস্যা নেই।
---তবে শোনো..... আজ থেকে ত্রিশ বছর আগের কথা।তখন সবে তোমার আম্মা আব্বার বিয়ে হয়েছে।বেশ ভালোভাবেই দিন কাটছিলো তাদের।
জানিয়ে রাখছি তোমার মায়ের বাবা অর্থাৎ তোমার দাদাভাই একজন নামকরা আলেম ছিলেন।উনি আমার ভালো বন্ধু ছিলেন।জ্বীন পরী সম্পর্কে বেশ ভালো জ্ঞান ছিলো আমাদের।তোমার দাদা জ্বীন বশ করতে জানতেন.... তোমার মা তার সহচর্যে থাকতে থাকতে অল্পবিস্তর ধারনা লাভ করে।যদিও সে সেটা কখনোই প্রয়োগ করে নি।
একদিন তোমার আব্বা একটা কাজে কিছুদিনের জন্য শহরের বাইরে গেল।বাড়িতে তখন তোমার মা একা।এমনিতেই বয়স কম তখন তার....এতো ভালোমন্দ জ্ঞান ছিলো না তোমার মায়ের ভেতরে।
সে একদিন রাতে ভুল করে শুধুমাত্র কৌতুহলবশত
Tags
ভুতের গল্প